Ajker Patrika

২৪৫ করে বাংলাদেশ কি পারবে জিততে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২৩, ১৯: ১৮
Thumbnail image

টপ অর্ডার হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল। মিডল অর্ডারে রীতিমতো সেই ইনিংস মেরামতের চাপ। সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম থিতু হয়েও প্রয়োজন মতো ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হলেন। শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ খেলেছেন দারুণ এক ইনিংস। এর সৌজন্যে চেন্নাইয়ে বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ২৪৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। 

ছয় মাস পর নিউজিল্যান্ডের একাদশে ফিরেছেন নিয়মিত অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। টস ভাগ্যে জিতে তাঁর ফেরার শুরুটাও হলো দারুণ। সুযোগ পেয়ে বাংলাদেশকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন উইলিয়ামসন। ইনিংসের প্রথম বলে ট্রেন্ট বোল্ট সাফল্যও এনে দিয়েছেন দলকে। লেংথের ইনসুইং বল বুঝেই উঠতে পারেননি লিটন দাস। ব্যাট দিয়ে খুঁচিয়ে বল পাঠালেন ফাইন লেগে। 

ম্যাট হেনরির ক্যাচে ‘গোল্ডেন ডাক’ ড্রেসিংরুমে ফিরেছেন লিটন। ওপেনিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম বলে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার আউট হয়েছেন এই ওপেনার। ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রামে আউট হয়েছিলেন ইনিংসের প্রথম বলে। সব মিলিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে লিটনের এটি ১২তম ডাক। 

আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমও শুরু থেকে নড়বড়ে ছিলেন। চারটা বাউন্ডারিও মেরেছিলেন। কিন্তু যখনই থিতু হচ্ছিলেন, তখন উইকেট দিয়ে ফিরেছেন। অষ্টম ওভারের শেষ বলে লকি ফার্গুসনের শিকার হয়েছেন তানজিদ তামিম। ১৭ বলে ১৬ রান করে স্কয়ার লেগে ডেভন কনওয়েকে ক্যাচ দিয়েছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। 

তিন নম্বরে নেমে দারুণ শুরু করেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একই জায়গায় নেমে ফিফটি করেছিলেন এই অলরাউন্ডার। কিন্তু এই ম্যাচে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি মিরাজ। ফার্গুসনের বলে পুল শট খেলতে গিয়ে ডিপ ফাইন লেগে হেনরিকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি। ৪৬ বলে ৩০ রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে। এরপর ১৩তম ওভারে গ্লেন ফিলিপসের বলে কনওয়েকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৭ রান এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। 

 ১২.১ ওভারে ৫৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। পঞ্চম উইকেটে সাকিব ও মুশফিকের জুটিতে দারুণভাবে প্রাথমিক চাপ সামলিয়ে উঠছিল বাংলাদেশ। ২৮তম ওভারের প্রথম বলে ফার্গুসনকে চার মেরে এবারের বিশ্বকাপের টানা দুই ফিফটি করেন মুশফিক। সব মিলিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪৮তম ফিফটি তাঁর। 

ধীর গতিতে শুরু করা সাকিবও আগ্রাসী হয়ে ওঠেন। ২৯তম ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে রাচিন রবীন্দ্রকে ছক্কা ও চার মারেন সাকিব। বাংলাদেশ অধিনায়ক একটু বেশি আগ্রাসী হতে গিয়েই যেন উইকেটটা হারিয়েছেন। ৩০তম ওভারের চতুর্থ বলে ফার্গুসনের লাফিয়ে ওঠা বল ছক্কা মারেন সাকিব। পরের বলে আবারও শট খেলতে গিয়েছিলেন। কিন্তু টপ এজ হয়ে ফাইন লেগ বরাবর দৌড়ে গিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন কিউই উইকেটরক্ষক টম লাথাম। ৫১ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৪০ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। পঞ্চম উইকেটে সাকিব-মুশফিকের জুটিটা ছিল ১০৮ বলে ৯৬ রানের। 

হেনরির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মুশফিক। ৭৫ বলে ৬৬ রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে। ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও দুটি ছক্কা। ৩৫.৫ ওভারে ১৭৫ রানেই ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তবে শেষ দিকে দারুণ দুটি কার্যকরী ইনিংস খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তাসকিন আহমেদ। ১৯ বলে ১৭ রান করে আউট হন তাসকিন। দুটি করে ছক্কা ও চারের বাউন্ডারিতে ৪৯ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন মাহমুদউল্লাহ। এর সৌজন্যে ৯ উইকেটে ২৪৫ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। 

নিউজিল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে ফার্গুসন ৩টি, ২টি করে উইকেট নিয়েছেন বোল্ট ও হেনরি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত