রানা আব্বাস, আবুধাবি থেকে

বাংলাদেশ দলের ফিল্ডিং কোচ জেমস প্যামেন্ট খেপে গেলেন ফিল্ডারদের ওপর। কাল সন্ধ্যায় ফিল্ডিং অনুশীলনে যেভাবে মিস করছিলেন শরীফুল-মেহেদীরা, চিৎকার করে বোঝাতে থাকলেন—কিছুতেই এই ভুল করা যাবে না। তবু ভুল হতে থাকল বাংলাদেশ দলের অনুশীলনে। অনুশীলনের ভুল মার্জনীয়। যদি আজ আবুধাবিতে আফগানদের বিপক্ষে ভুলের পুনরাবৃত্তি করে বসেন লিটনরা, তাহলে এবারও এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বাংলাদেশের বিদায়।
২০২২ এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে লো স্কোরিং ম্যাচে হেরেছিল বাংলাদশ। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচটির স্মৃতিও সজীব। সেন্ট ভিনসেন্টে আফগানদের বিপক্ষে যে ম্যাচটা জিতলে বাংলাদেশ চলে যায় সেমিফাইনালে, সেটি পারেননি সাকিব-শান্তরা।
খেলা যখন ২০ ওভারের, আফগানিস্তানের বিপক্ষে একটু যেন পিছিয়ে থাকে বাংলাদেশ। আজকের ম্যাচ মরুতে, আারব আমিরাতের কন্ডিশন হাতের তালুর মতো চেনা রশিদ-নবিদের। এটা যে তাঁদের ‘সেকেন্ড হোম’।
আফগানদের দ্বিতীয় বাড়িতে বাংলাদেশ খেলতে নামছে কঠিন এক সমীকরণ নিয়ে। হারলেই সুপার ফোরের আগে বিদায় বাংলাদেশের। জিতলেও যে সুপার ফোর নিশ্চিত, তা নয়। পরশু আবুধাবিতে শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তানের ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে লিটনদের। পরের কথা পরে, আগে তো জিততে হবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
কাজটা কঠিন, খুব কঠিন হলেও দলের স্পিন পরামর্শক মুশতাক আহমেদ ‘বিশ্বাস’ হারাতে চান না। তিনি চান, তাঁর শিষ্যরা এটা বিশ্বাস করুন, তাঁরা পারবেন। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটারদের যে সামর্থ্য আর সক্ষমতা, তাতে বড় কিছু অর্জন করবেন তাঁরা, আগে থেকে ‘বিলিভ’ করা কঠিনই। এশিয়া কাপের আগে বাংলাদেশ দল টানা এক মাস প্রস্তুতি নিয়েছে। একজন পাওয়ার হিটিং কোচের কাছে বিশেষ দীক্ষা নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেই পাওয়ার হিটিংয়ের নমুনা দেখা গেল না। গত দুই ম্যাচে বাংলাদেশ মারতে পেরেছে মোটে ৩ ছক্কা।
উইকেটে গেলে যে টি-টোয়েন্টির চরিত্র বুঝে ‘আমরাও পারি বিগ হিটিং’, সেই বিশ্বাস দেখা যাচ্ছে কোথায়? দলের প্রতিনিধি হয়ে কাল আবুধাবিতে সংবাদ সম্মেলনে আসা মুশতাক বলছিলেন, ‘আমরা এখন যে পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে, আমাদের কন্ডিশন ও পরিস্থিতি বুঝতে হবে। বিশ্বাস করতে হবে বোর্ডে এমন রান তুলতে হবে, যেটা নিয়ে আপনার বোলার লড়াই করতে পারবে। আমাদের যে বোলিং বিভাগ, ১৬০-১৭০ রান তুলতে পারলেই তাদের পক্ষে সম্ভব দলকে জেতানো।’
আবুধাবির কন্ডিশনে এই ১৬০-১৭০ রান তুলতে পারছে না বাংলাদেশের ব্যাটিং বিভাগ। বিশেষ করে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মুহূর্তেই যেভাবে বাংলাদেশের দুই ওপেনার ‘উধাও’ হয়ে গেছেন, আজ সেটার পুনরাবৃত্তি হলে বিদায়ঘণ্টা বেজে যাবে নিশ্চিত। বাঁচা-মরার ম্যাচে ব্যাটিং, স্পিন ও পেস—তিন বিভাগে পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত মিলেছে। ২০ ওভারের ক্রিকেটে দুই দলের ১২ সাক্ষাতে ৭টিতেই জিতেছে আফগানিস্তান। আজও এগিয়ে থেকে খেলতে নামবে তারা। প্রতিপক্ষের শক্তি, অভিজ্ঞতা, মাঠ—সব যদি প্রতিকূলে থাকে, জিততে হলে বাংলাদেশকে একটা জায়গায় অটুট থাকতে হবে; মুশতাকের ভাষায়, ‘বিলিভ বা বিশ্বাস’।

বাংলাদেশ দলের ফিল্ডিং কোচ জেমস প্যামেন্ট খেপে গেলেন ফিল্ডারদের ওপর। কাল সন্ধ্যায় ফিল্ডিং অনুশীলনে যেভাবে মিস করছিলেন শরীফুল-মেহেদীরা, চিৎকার করে বোঝাতে থাকলেন—কিছুতেই এই ভুল করা যাবে না। তবু ভুল হতে থাকল বাংলাদেশ দলের অনুশীলনে। অনুশীলনের ভুল মার্জনীয়। যদি আজ আবুধাবিতে আফগানদের বিপক্ষে ভুলের পুনরাবৃত্তি করে বসেন লিটনরা, তাহলে এবারও এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বাংলাদেশের বিদায়।
২০২২ এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে লো স্কোরিং ম্যাচে হেরেছিল বাংলাদশ। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচটির স্মৃতিও সজীব। সেন্ট ভিনসেন্টে আফগানদের বিপক্ষে যে ম্যাচটা জিতলে বাংলাদেশ চলে যায় সেমিফাইনালে, সেটি পারেননি সাকিব-শান্তরা।
খেলা যখন ২০ ওভারের, আফগানিস্তানের বিপক্ষে একটু যেন পিছিয়ে থাকে বাংলাদেশ। আজকের ম্যাচ মরুতে, আারব আমিরাতের কন্ডিশন হাতের তালুর মতো চেনা রশিদ-নবিদের। এটা যে তাঁদের ‘সেকেন্ড হোম’।
আফগানদের দ্বিতীয় বাড়িতে বাংলাদেশ খেলতে নামছে কঠিন এক সমীকরণ নিয়ে। হারলেই সুপার ফোরের আগে বিদায় বাংলাদেশের। জিতলেও যে সুপার ফোর নিশ্চিত, তা নয়। পরশু আবুধাবিতে শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তানের ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে লিটনদের। পরের কথা পরে, আগে তো জিততে হবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
কাজটা কঠিন, খুব কঠিন হলেও দলের স্পিন পরামর্শক মুশতাক আহমেদ ‘বিশ্বাস’ হারাতে চান না। তিনি চান, তাঁর শিষ্যরা এটা বিশ্বাস করুন, তাঁরা পারবেন। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটারদের যে সামর্থ্য আর সক্ষমতা, তাতে বড় কিছু অর্জন করবেন তাঁরা, আগে থেকে ‘বিলিভ’ করা কঠিনই। এশিয়া কাপের আগে বাংলাদেশ দল টানা এক মাস প্রস্তুতি নিয়েছে। একজন পাওয়ার হিটিং কোচের কাছে বিশেষ দীক্ষা নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেই পাওয়ার হিটিংয়ের নমুনা দেখা গেল না। গত দুই ম্যাচে বাংলাদেশ মারতে পেরেছে মোটে ৩ ছক্কা।
উইকেটে গেলে যে টি-টোয়েন্টির চরিত্র বুঝে ‘আমরাও পারি বিগ হিটিং’, সেই বিশ্বাস দেখা যাচ্ছে কোথায়? দলের প্রতিনিধি হয়ে কাল আবুধাবিতে সংবাদ সম্মেলনে আসা মুশতাক বলছিলেন, ‘আমরা এখন যে পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে, আমাদের কন্ডিশন ও পরিস্থিতি বুঝতে হবে। বিশ্বাস করতে হবে বোর্ডে এমন রান তুলতে হবে, যেটা নিয়ে আপনার বোলার লড়াই করতে পারবে। আমাদের যে বোলিং বিভাগ, ১৬০-১৭০ রান তুলতে পারলেই তাদের পক্ষে সম্ভব দলকে জেতানো।’
আবুধাবির কন্ডিশনে এই ১৬০-১৭০ রান তুলতে পারছে না বাংলাদেশের ব্যাটিং বিভাগ। বিশেষ করে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মুহূর্তেই যেভাবে বাংলাদেশের দুই ওপেনার ‘উধাও’ হয়ে গেছেন, আজ সেটার পুনরাবৃত্তি হলে বিদায়ঘণ্টা বেজে যাবে নিশ্চিত। বাঁচা-মরার ম্যাচে ব্যাটিং, স্পিন ও পেস—তিন বিভাগে পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত মিলেছে। ২০ ওভারের ক্রিকেটে দুই দলের ১২ সাক্ষাতে ৭টিতেই জিতেছে আফগানিস্তান। আজও এগিয়ে থেকে খেলতে নামবে তারা। প্রতিপক্ষের শক্তি, অভিজ্ঞতা, মাঠ—সব যদি প্রতিকূলে থাকে, জিততে হলে বাংলাদেশকে একটা জায়গায় অটুট থাকতে হবে; মুশতাকের ভাষায়, ‘বিলিভ বা বিশ্বাস’।


মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে তখন উৎসবের আমেজ। অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি স্পিনার সোফি মলিনাক্সকে যখন আমানজত কৌর চার মেরেছেন, ভারত করে ফেলেছে রেকর্ড। ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়। তা-ও আবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে! আনন্দ-উদ্যাপন তো একটু বেশি হবেই।
১৭ মিনিট আগে
ক্রিকেটের তিন সংস্করণের মধ্যে বাংলাদেশ কোন সংস্করণে সেরা—সে তালিকায় দুই বছর আগেও ওয়ানডে ছিল সবার ওপরে। কিন্তু ওয়ানডেতে এ মাসে আফগানিস্তানের কাছে ধবলধোলাই হওয়ার পর সে ধারণায় পরিবর্তন আসে। গত দু-তিন মাসে এশিয়া কাপ বাদ দিলে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ধারাবাহিকভাবেই সফল হচ্ছিল বাংলাদেশ।
৪৩ মিনিট আগে
জামাল ভূঁইয়াকে পেলেই সাংবাদিকদের সেই চিরাচরিত প্রশ্ন—শুরুর একাদশে সুযোগ পাবেন কি এবার? বরাবরের মতো জামালের উত্তর থাকে, ‘এটা কোচের সিদ্ধান্ত।’
১৩ ঘণ্টা আগে
ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে মোট আটটি পদকের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে সাতটিই এসেছে আর্চারি ও শুটিং থেকে। গেমসের ষষ্ঠ সংস্করণে রাখা হয়নি এই দুটি ডিসিপ্লিন। পদক জয়ের সম্ভাবনাও তাই অনেকটা কম। তবে আশা হারাচ্ছেন না কর্মকর্তারা।
১৫ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে তখন উৎসবের আমেজ। অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি স্পিনার সোফি মলিনাক্সকে যখন আমানজত কৌর চার মেরেছেন, ভারত করে ফেলেছে রেকর্ড। ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়। তাও আবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে! আনন্দ-উদ্যাপন তো একটু বেশি হবেই।
ডাগআউটে বসে থাকা ভারতের অন্য নারী ক্রিকেটাররাও মাঠে ঢুকে জেমিমা রদ্রিগেজ ও আমানজতের উদ্যাপনের শামিল হয়েছেন। সে সময় অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর ও রদ্রিগেজের চোখে ঝরছিল পানি। এই অশ্রু তো দুঃখের নয়। আনন্দের অশ্রু। বিশেষ করে ম্যাচসেরা জেমিমা যেন নিজের আবেগই সামলাতে পারছিলেন না। ম্যাচ শেষে বাবা ইভান রদ্রিগেজকে জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন জেমিমা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ছবি ভাইরাল। কথা বলবেন কী করে! পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি। ভারতীয় এই নারী ক্রিকেটার বলেন, ‘মা, বাবা, কোচ ও যাঁরা আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছেন, সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। গত মাসটা সত্যিই অনেক কঠিন ছিল। স্বপ্নের মতো লাগছে সব।’
ওপেনিং বা টপ অর্ডারে ব্যাটিং যে জেমিমা কোনো দিন করেননি, তা নয়। তবে বেশির ভাগ সময় তিনি ব্যাটিং করেন পাঁচ নম্বরে। মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে গতকাল সেমিফাইনালে হয়তো পাঁচেই ব্যাটিং করার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎই তাঁর ব্যাটিং অর্ডার বদলে যায় বলে জানিয়েছেন জেমিমা। তিন নম্বরে নেমে ১৩৪ বলে ১৪ চারে ১২৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।
ফিফটি-সেঞ্চুরির কথা না ভেবে অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ৩৩৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করে কীভাবে জেতা যায়, সেটা নিয়ে ভাবছিলেন জেমিমা। ম্যাচ শেষে ভারতীয় এই নারী ক্রিকেটার বলেন, ‘তিন নম্বরে যে ব্যাটিং করতে হবে, সেটা আগে জানতাম না। গোসল করছিলাম তখন। দলের সবাইকে বললাম যেন আমাকে জানায় কী হয়েছে। মাঠে নামার ৫ মিনিট আগে জানলাম, আমাকে তিন নম্বরে ব্যাটিং করতে হবে। শুধু আমিই না। আগে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ম্যাচ হারের পর সবাই চেয়েছিলাম আজ (গতকাল) জিততে। আজ ফিফটি বা সেঞ্চুরি নিয়ে চিন্তা করিনি। ভারতকে জেতানোর কথা ভেবেছিলাম।’
ভাগ্যও গতকাল পক্ষে ছিল ম্যাচসেরা জেমিমার। ৬০, ৮২, ১০৬—অস্ট্রেলিয়ার ফিল্ডাররা তাঁকে তিনবার জীবন দিয়েছেন। যাঁর মধ্যে ৪৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে অ্যানাবেল সাদারল্যান্ডকে তুলে মারেন জেমিমা। মিড অফে তাহলিয়া ম্যাকগ্রা সহজতম ক্যাচ হাতছাড়া করেন। ১০৬ রানে জেমিমা আউট হলে ভারতের পঞ্চম উইকেট পড়ত। ৪০ বলে ৫৫ রান দরকার হতো স্বাগতিকদের। শেষ পর্যন্ত ভারতকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন জেমিমা। ৪৮.৩ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৪১ রান করে ফেলে স্বাগতিকেরা। ৫ উইকেটের জয়ে দ্বিতীয়বারের মতো নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল ভারত। রোববার ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ভারত খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।

মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে তখন উৎসবের আমেজ। অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি স্পিনার সোফি মলিনাক্সকে যখন আমানজত কৌর চার মেরেছেন, ভারত করে ফেলেছে রেকর্ড। ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়। তাও আবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে! আনন্দ-উদ্যাপন তো একটু বেশি হবেই।
ডাগআউটে বসে থাকা ভারতের অন্য নারী ক্রিকেটাররাও মাঠে ঢুকে জেমিমা রদ্রিগেজ ও আমানজতের উদ্যাপনের শামিল হয়েছেন। সে সময় অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর ও রদ্রিগেজের চোখে ঝরছিল পানি। এই অশ্রু তো দুঃখের নয়। আনন্দের অশ্রু। বিশেষ করে ম্যাচসেরা জেমিমা যেন নিজের আবেগই সামলাতে পারছিলেন না। ম্যাচ শেষে বাবা ইভান রদ্রিগেজকে জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন জেমিমা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ছবি ভাইরাল। কথা বলবেন কী করে! পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি। ভারতীয় এই নারী ক্রিকেটার বলেন, ‘মা, বাবা, কোচ ও যাঁরা আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছেন, সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। গত মাসটা সত্যিই অনেক কঠিন ছিল। স্বপ্নের মতো লাগছে সব।’
ওপেনিং বা টপ অর্ডারে ব্যাটিং যে জেমিমা কোনো দিন করেননি, তা নয়। তবে বেশির ভাগ সময় তিনি ব্যাটিং করেন পাঁচ নম্বরে। মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে গতকাল সেমিফাইনালে হয়তো পাঁচেই ব্যাটিং করার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎই তাঁর ব্যাটিং অর্ডার বদলে যায় বলে জানিয়েছেন জেমিমা। তিন নম্বরে নেমে ১৩৪ বলে ১৪ চারে ১২৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।
ফিফটি-সেঞ্চুরির কথা না ভেবে অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ৩৩৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করে কীভাবে জেতা যায়, সেটা নিয়ে ভাবছিলেন জেমিমা। ম্যাচ শেষে ভারতীয় এই নারী ক্রিকেটার বলেন, ‘তিন নম্বরে যে ব্যাটিং করতে হবে, সেটা আগে জানতাম না। গোসল করছিলাম তখন। দলের সবাইকে বললাম যেন আমাকে জানায় কী হয়েছে। মাঠে নামার ৫ মিনিট আগে জানলাম, আমাকে তিন নম্বরে ব্যাটিং করতে হবে। শুধু আমিই না। আগে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ম্যাচ হারের পর সবাই চেয়েছিলাম আজ (গতকাল) জিততে। আজ ফিফটি বা সেঞ্চুরি নিয়ে চিন্তা করিনি। ভারতকে জেতানোর কথা ভেবেছিলাম।’
ভাগ্যও গতকাল পক্ষে ছিল ম্যাচসেরা জেমিমার। ৬০, ৮২, ১০৬—অস্ট্রেলিয়ার ফিল্ডাররা তাঁকে তিনবার জীবন দিয়েছেন। যাঁর মধ্যে ৪৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে অ্যানাবেল সাদারল্যান্ডকে তুলে মারেন জেমিমা। মিড অফে তাহলিয়া ম্যাকগ্রা সহজতম ক্যাচ হাতছাড়া করেন। ১০৬ রানে জেমিমা আউট হলে ভারতের পঞ্চম উইকেট পড়ত। ৪০ বলে ৫৫ রান দরকার হতো স্বাগতিকদের। শেষ পর্যন্ত ভারতকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন জেমিমা। ৪৮.৩ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৪১ রান করে ফেলে স্বাগতিকেরা। ৫ উইকেটের জয়ে দ্বিতীয়বারের মতো নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল ভারত। রোববার ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ভারত খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।


বাংলাদেশ দলের ফিল্ডিং কোচ জেমস প্যামেন্ট খেপে গেলেন ফিল্ডারদের ওপর। কাল সন্ধ্যায় ফিল্ডিং অনুশীলনে যেভাবে মিস করছিলেন শরীফুল-মেহেদীরা, চিৎকার করে বোঝাতে থাকলেন—কিছুতেই এই ভুল করা যাবে না। তবু ভুল হতে থাকল বাংলাদেশ দলের অনুশীলনে।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ক্রিকেটের তিন সংস্করণের মধ্যে বাংলাদেশ কোন সংস্করণে সেরা—সে তালিকায় দুই বছর আগেও ওয়ানডে ছিল সবার ওপরে। কিন্তু ওয়ানডেতে এ মাসে আফগানিস্তানের কাছে ধবলধোলাই হওয়ার পর সে ধারণায় পরিবর্তন আসে। গত দু-তিন মাসে এশিয়া কাপ বাদ দিলে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ধারাবাহিকভাবেই সফল হচ্ছিল বাংলাদেশ।
৪৩ মিনিট আগে
জামাল ভূঁইয়াকে পেলেই সাংবাদিকদের সেই চিরাচরিত প্রশ্ন—শুরুর একাদশে সুযোগ পাবেন কি এবার? বরাবরের মতো জামালের উত্তর থাকে, ‘এটা কোচের সিদ্ধান্ত।’
১৩ ঘণ্টা আগে
ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে মোট আটটি পদকের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে সাতটিই এসেছে আর্চারি ও শুটিং থেকে। গেমসের ষষ্ঠ সংস্করণে রাখা হয়নি এই দুটি ডিসিপ্লিন। পদক জয়ের সম্ভাবনাও তাই অনেকটা কম। তবে আশা হারাচ্ছেন না কর্মকর্তারা।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ক্রিকেটের তিন সংস্করণের মধ্যে বাংলাদেশ কোন সংস্করণে সেরা, সে তালিকায় দুই বছর আগেও ওয়ানডে ছিল সবার ওপরে। কিন্তু ওয়ানডেতে এ মাসে আফগানিস্তানের কাছে ধবলধোলাই হওয়ার পর সে ধারণায় পরিবর্তন আসে। গত দু-তিন মাসে এশিয়া কাপ বাদ দিলে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ধারাবাহিকভাবেই সফল হচ্ছিল বাংলাদেশ।
যে টি-টোয়েন্টি সংস্করণ বাংলাদেশের কাছে ছিল ‘গোলকধাঁধা’, সে সংস্করণে হঠাৎ ভালো খেলতে শুরু করল বাংলাদেশ। জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কায় লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ হারের পরও ২-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়। এরপর পাকিস্তান, নেদারল্যান্ডস ও আফগানিস্তানকেও টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারিয়েছে বাংলাদেশ। আফগানদের মরুর বুকে ৩-০ ব্যবধানে করেছে ধবলধোলাই। বাংলাদেশের সামনে যখন টানা পাঁচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের হাতছানি, তখনই ধাক্কা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ খুইয়েছেন লিটন দাস-সাইফ হাসানরা। প্রয়াত আইয়ুব বাচ্চুর গানের মতো টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট নিয়ে বাংলাদেশের প্রশ্ন হতে পারে, ‘সেই তুমি কেন এত অচেনা হলে!’
সাম্প্রতিক সময়ে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পারফরম্যান্স বলার মতো ছিল না। তারা নেপালের কাছে সিরিজ হেরে এসেছিল। তাহলে কি মিরপুরের উইকেটে ওয়ানডে সিরিজ জয়ে মেকি আত্মবিশ্বাস পেয়ে বসেছে লিটন-তানজিদ তামিমদের? টি-টোয়েন্টি সিরিজের দুটি ম্যাচই বাংলাদেশ হারল চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে ব্যাটিং-ব্যর্থতায়। হঠাৎ ধসের রোগ আবারও জেঁকে বসেছে দলে। সেট ব্যাটাররা কোথায় খেলা শেষ করে আসবেন তা না, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আউট হয়ে চাপ বাড়াচ্ছেন।
চট্টগ্রামে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হারের পর লিটন দাস কাঠগড়ায় তুলেছিলেন শামীম হোসেন পাটোয়ারীকে। ১৬৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করার সময় শামীম যেভাবে বোল্ড হয়েছিলেন, সেটা লিটনের কাছে অগ্রহণযোগ্য মনে হয়েছিল। সেই ম্যাচে ৭৭ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর ১৪৯ রান পর্যন্ত যেতে পেরেছিল লোয়ার অর্ডারে তানজিম হাসান সাকিব ও নাসুম আহমেদের ব্যাটিংয়ে। ৩৩ রান করে সেদিনের সর্বোচ্চ স্কোরার তানজিম সাকিব সংবাদ সম্মেলনে একজন স্বীকৃত ব্যাটারের অভাব বোধ করছিলেন। পরশু দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ব্যাটাররা যা করেছেন, সেটা ব্যাখ্যাতীত। ১৫০ রানের লক্ষ্যে নেমে হেরেছে ১৪ রানে।
টস জিতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাটিং নিয়ে একটা পর্যায়ে যেখানে ২০০ রান হওয়ার কথা ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের, সেখান থেকে তারা আটকে যায় ১৪৯ রানে। সিরিজ খোয়ানোর পর লিটন-তানজিদ তামিম বোলারদের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন। পাশাপাশি নিজেদের ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে লিটন বলেন, ‘গত দু-তিনটি সিরিজে বোলাররা সত্যি অসাধারণ বোলিং করেছে। বোলাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি।’ বারবার জীবন পেয়েও সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারেননি। হাতে ৭ উইকেট নিয়ে শেষ ১৮ বলে ৩৩ রানের সমীকরণ যখন স্বাগতিকদের, সে মুহূর্তে তানজিদ তামিম আউট হওয়ার পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ইনিংস। আত্মসমালোচনা করে তামিম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আসলে উইকেট যা ছিল, সেট ব্যাটারকেই খেলা শেষ করতে হবে। বল ব্যাটে সেভাবে আসছিল না। নতুন ব্যাটারদের জন্য একটু কঠিন।’
সিরিজ বাঁচানোর লড়াইয়ে নেমে পরশু একাদশ নির্বাচনেও তালগোল পাকিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। আফগানদের বিপক্ষে নিশ্চিত হার থেকে দুবার বাঁচানো নুরুল হাসান সোহানকে বসিয়ে উইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে খেলানো হয়েছে জাকের আলী অনিককে। ১৭ বলে ১৮ রান করে নায়ক হওয়ার সুযোগ হেলায় হারিয়েছেন জাকের। অফসাইডের বল লেগসাইডে টানতে গিয়ে বারবার পরাস্ত হওয়ার পরও টেকনিকে কোনো পরিবর্তন নেই। অফফর্মের কারণে একাদশেও নিয়মিত নন। অথচ গত ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করেছিল বাংলাদেশ, তখন ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে নজর কেড়েছিলেন জাকের। এক বছরের মধ্যে জাকের নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন, বাংলাদেশের কাছেও কেমন অচেনা লাগছে বড্ড পরিচিত হয়ে ওঠা টি-টোয়েন্টি। আজ চট্টগ্রামে ধবলধোলাই না এড়ানো গেলে বিশ্বকাপের আগে ভালো একটা ধাক্কা লাগবে বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসে।

ক্রিকেটের তিন সংস্করণের মধ্যে বাংলাদেশ কোন সংস্করণে সেরা, সে তালিকায় দুই বছর আগেও ওয়ানডে ছিল সবার ওপরে। কিন্তু ওয়ানডেতে এ মাসে আফগানিস্তানের কাছে ধবলধোলাই হওয়ার পর সে ধারণায় পরিবর্তন আসে। গত দু-তিন মাসে এশিয়া কাপ বাদ দিলে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ধারাবাহিকভাবেই সফল হচ্ছিল বাংলাদেশ।
যে টি-টোয়েন্টি সংস্করণ বাংলাদেশের কাছে ছিল ‘গোলকধাঁধা’, সে সংস্করণে হঠাৎ ভালো খেলতে শুরু করল বাংলাদেশ। জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কায় লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ হারের পরও ২-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়। এরপর পাকিস্তান, নেদারল্যান্ডস ও আফগানিস্তানকেও টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারিয়েছে বাংলাদেশ। আফগানদের মরুর বুকে ৩-০ ব্যবধানে করেছে ধবলধোলাই। বাংলাদেশের সামনে যখন টানা পাঁচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের হাতছানি, তখনই ধাক্কা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ খুইয়েছেন লিটন দাস-সাইফ হাসানরা। প্রয়াত আইয়ুব বাচ্চুর গানের মতো টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট নিয়ে বাংলাদেশের প্রশ্ন হতে পারে, ‘সেই তুমি কেন এত অচেনা হলে!’
সাম্প্রতিক সময়ে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পারফরম্যান্স বলার মতো ছিল না। তারা নেপালের কাছে সিরিজ হেরে এসেছিল। তাহলে কি মিরপুরের উইকেটে ওয়ানডে সিরিজ জয়ে মেকি আত্মবিশ্বাস পেয়ে বসেছে লিটন-তানজিদ তামিমদের? টি-টোয়েন্টি সিরিজের দুটি ম্যাচই বাংলাদেশ হারল চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে ব্যাটিং-ব্যর্থতায়। হঠাৎ ধসের রোগ আবারও জেঁকে বসেছে দলে। সেট ব্যাটাররা কোথায় খেলা শেষ করে আসবেন তা না, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আউট হয়ে চাপ বাড়াচ্ছেন।
চট্টগ্রামে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হারের পর লিটন দাস কাঠগড়ায় তুলেছিলেন শামীম হোসেন পাটোয়ারীকে। ১৬৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করার সময় শামীম যেভাবে বোল্ড হয়েছিলেন, সেটা লিটনের কাছে অগ্রহণযোগ্য মনে হয়েছিল। সেই ম্যাচে ৭৭ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর ১৪৯ রান পর্যন্ত যেতে পেরেছিল লোয়ার অর্ডারে তানজিম হাসান সাকিব ও নাসুম আহমেদের ব্যাটিংয়ে। ৩৩ রান করে সেদিনের সর্বোচ্চ স্কোরার তানজিম সাকিব সংবাদ সম্মেলনে একজন স্বীকৃত ব্যাটারের অভাব বোধ করছিলেন। পরশু দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ব্যাটাররা যা করেছেন, সেটা ব্যাখ্যাতীত। ১৫০ রানের লক্ষ্যে নেমে হেরেছে ১৪ রানে।
টস জিতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাটিং নিয়ে একটা পর্যায়ে যেখানে ২০০ রান হওয়ার কথা ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের, সেখান থেকে তারা আটকে যায় ১৪৯ রানে। সিরিজ খোয়ানোর পর লিটন-তানজিদ তামিম বোলারদের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন। পাশাপাশি নিজেদের ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে লিটন বলেন, ‘গত দু-তিনটি সিরিজে বোলাররা সত্যি অসাধারণ বোলিং করেছে। বোলাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি।’ বারবার জীবন পেয়েও সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারেননি। হাতে ৭ উইকেট নিয়ে শেষ ১৮ বলে ৩৩ রানের সমীকরণ যখন স্বাগতিকদের, সে মুহূর্তে তানজিদ তামিম আউট হওয়ার পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ইনিংস। আত্মসমালোচনা করে তামিম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আসলে উইকেট যা ছিল, সেট ব্যাটারকেই খেলা শেষ করতে হবে। বল ব্যাটে সেভাবে আসছিল না। নতুন ব্যাটারদের জন্য একটু কঠিন।’
সিরিজ বাঁচানোর লড়াইয়ে নেমে পরশু একাদশ নির্বাচনেও তালগোল পাকিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। আফগানদের বিপক্ষে নিশ্চিত হার থেকে দুবার বাঁচানো নুরুল হাসান সোহানকে বসিয়ে উইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে খেলানো হয়েছে জাকের আলী অনিককে। ১৭ বলে ১৮ রান করে নায়ক হওয়ার সুযোগ হেলায় হারিয়েছেন জাকের। অফসাইডের বল লেগসাইডে টানতে গিয়ে বারবার পরাস্ত হওয়ার পরও টেকনিকে কোনো পরিবর্তন নেই। অফফর্মের কারণে একাদশেও নিয়মিত নন। অথচ গত ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করেছিল বাংলাদেশ, তখন ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে নজর কেড়েছিলেন জাকের। এক বছরের মধ্যে জাকের নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন, বাংলাদেশের কাছেও কেমন অচেনা লাগছে বড্ড পরিচিত হয়ে ওঠা টি-টোয়েন্টি। আজ চট্টগ্রামে ধবলধোলাই না এড়ানো গেলে বিশ্বকাপের আগে ভালো একটা ধাক্কা লাগবে বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসে।


বাংলাদেশ দলের ফিল্ডিং কোচ জেমস প্যামেন্ট খেপে গেলেন ফিল্ডারদের ওপর। কাল সন্ধ্যায় ফিল্ডিং অনুশীলনে যেভাবে মিস করছিলেন শরীফুল-মেহেদীরা, চিৎকার করে বোঝাতে থাকলেন—কিছুতেই এই ভুল করা যাবে না। তবু ভুল হতে থাকল বাংলাদেশ দলের অনুশীলনে।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে তখন উৎসবের আমেজ। অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি স্পিনার সোফি মলিনাক্সকে যখন আমানজত কৌর চার মেরেছেন, ভারত করে ফেলেছে রেকর্ড। ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়। তা-ও আবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে! আনন্দ-উদ্যাপন তো একটু বেশি হবেই।
১৭ মিনিট আগে
জামাল ভূঁইয়াকে পেলেই সাংবাদিকদের সেই চিরাচরিত প্রশ্ন—শুরুর একাদশে সুযোগ পাবেন কি এবার? বরাবরের মতো জামালের উত্তর থাকে, ‘এটা কোচের সিদ্ধান্ত।’
১৩ ঘণ্টা আগে
ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে মোট আটটি পদকের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে সাতটিই এসেছে আর্চারি ও শুটিং থেকে। গেমসের ষষ্ঠ সংস্করণে রাখা হয়নি এই দুটি ডিসিপ্লিন। পদক জয়ের সম্ভাবনাও তাই অনেকটা কম। তবে আশা হারাচ্ছেন না কর্মকর্তারা।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জামাল ভূঁইয়াকে পেলেই সাংবাদিকদের সেই চিরাচরিত প্রশ্ন—শুরুর একাদশে সুযোগ পাবেন কি এবার? বরাবরের মতো জামালের উত্তর থাকে, ‘এটা কোচের সিদ্ধান্ত।’
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে আগামী ১৮ নভেম্বর ভারত ম্যাচ সামনে রেখে গতকাল থেকে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ দলের ক্যাম্প। অথচ দল কত সদস্যের, সেটাই জানায়নি বাফুফে। বসুন্ধরা কিংসের ফুটবলাররা ও হামজা-শমিত যোগ না দেওয়ায় ক্যাম্প অবশ্য পরিপূর্ণ হয়নি। সবচেয়ে বড় কথা, কোচ হাভিয়ের কাবরেরা ছুটি কাটাচ্ছেন এখনো। বাবা হওয়ার আনন্দে থাকা এই স্প্যানিশ ঢাকায় ফিরবেন ২ কিংবা ৩ নভেম্বর।
৯ নভেম্বর হামজা চৌধুরী ও পরদিন আসার কথা রয়েছে শমিত শোমের। ক্যাম্পের শুরুতে তাই অপূর্ণতা লাগছে অধিনায়ক জামালের। গতকাল টিম হোটেলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আজকে তো প্রথম দিন, পুরো স্কোয়াড যোগ দেয়নি। তিন-চার দিন পরে পুরো স্কোয়াড থাকবে। হামজা-শমিত একটু দেরিতে যোগ দেবে। আশা করি ভালো একটা ক্যাম্প হবে।’
ভারতের আগে ১৩ নভেম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামে নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। যদিও সেখানে নেপালের পরিবর্তে আফগানিস্তানের থাকার কথা ছিল। কিন্তু কথা দিয়েও কথা রাখেনি তারা।
গত সেপ্টেম্বরেই নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। দুটি ম্যাচের জায়গায় একটি খেলেই রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ফিরে আসতে হয় কাঠমান্ডু থেকে। চেনা নেপালকে পেয়ে খুব একটা অসন্তুষ্ট নন জামাল, ‘আফগানিস্তান আর নেপালের মান কাছাকাছি। খুব বড় কোনো পার্থক্য নেই। এটা একটা প্রস্তুতি ম্যাচ। ভারত ম্যাচের আগে এটা ভালো হবে আমাদের জন্য। আমরা মনে করেছি আফগানিস্তান আসবে। কিন্তু তারা আসেনি। আমার দলে (ব্রাদার্সে) চার-পাঁচজন নেপালি খেলোয়াড় আছে। সবাই জাতীয় দলে খেলে। একটু মজা হবে ওদের সঙ্গে খেলা হলে।’
বাংলাদেশ কিংবা ভারত কেউই আর এশিয়ান কাপ খেলার দৌড়ে নেই। নিয়মরক্ষার ম্যাচ হলেও জামাল তা সেভাবে দেখছেন না, ‘এটা বড় ম্যাচ। বাংলাদেশ-ভারতের একটি ভালো ইতিহাস আছে। আমরা ভারতের সঙ্গে জিততে চাই। ভারত অনেক (৭) বছর পরে বাংলাদেশে এসে খেলবে।’
প্রতিপক্ষ ভারত বলেই রোমাঞ্চের কমতি থাকবে না বলে মনে করেন জামাল। তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে ম্যাচ নিয়ে সবাই রোমাঞ্চিত থাকে। শুধু ফুটবলভক্তরা নয়, এমনকি যারা ফুটবল নিয়মিত খোঁজখবর রাখে না তারাও। কারণ এটা ভারত।’
কার্ডজনিত নিষেধাজ্ঞায় ভারত ম্যাচে খেলতে পারবেন না ফাহামিদুল ইসলাম। তাঁকে মিস করছেন জামাল, ‘এই গ্রুপের সঙ্গে ফাহামিদুলের ভালো তালমেল রয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে আমি ফাহামিদুলের উপস্থিতিটা খুব উপভোগ করি। সে খুব ভালো ছেলে।’

জামাল ভূঁইয়াকে পেলেই সাংবাদিকদের সেই চিরাচরিত প্রশ্ন—শুরুর একাদশে সুযোগ পাবেন কি এবার? বরাবরের মতো জামালের উত্তর থাকে, ‘এটা কোচের সিদ্ধান্ত।’
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে আগামী ১৮ নভেম্বর ভারত ম্যাচ সামনে রেখে গতকাল থেকে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ দলের ক্যাম্প। অথচ দল কত সদস্যের, সেটাই জানায়নি বাফুফে। বসুন্ধরা কিংসের ফুটবলাররা ও হামজা-শমিত যোগ না দেওয়ায় ক্যাম্প অবশ্য পরিপূর্ণ হয়নি। সবচেয়ে বড় কথা, কোচ হাভিয়ের কাবরেরা ছুটি কাটাচ্ছেন এখনো। বাবা হওয়ার আনন্দে থাকা এই স্প্যানিশ ঢাকায় ফিরবেন ২ কিংবা ৩ নভেম্বর।
৯ নভেম্বর হামজা চৌধুরী ও পরদিন আসার কথা রয়েছে শমিত শোমের। ক্যাম্পের শুরুতে তাই অপূর্ণতা লাগছে অধিনায়ক জামালের। গতকাল টিম হোটেলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আজকে তো প্রথম দিন, পুরো স্কোয়াড যোগ দেয়নি। তিন-চার দিন পরে পুরো স্কোয়াড থাকবে। হামজা-শমিত একটু দেরিতে যোগ দেবে। আশা করি ভালো একটা ক্যাম্প হবে।’
ভারতের আগে ১৩ নভেম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামে নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। যদিও সেখানে নেপালের পরিবর্তে আফগানিস্তানের থাকার কথা ছিল। কিন্তু কথা দিয়েও কথা রাখেনি তারা।
গত সেপ্টেম্বরেই নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। দুটি ম্যাচের জায়গায় একটি খেলেই রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ফিরে আসতে হয় কাঠমান্ডু থেকে। চেনা নেপালকে পেয়ে খুব একটা অসন্তুষ্ট নন জামাল, ‘আফগানিস্তান আর নেপালের মান কাছাকাছি। খুব বড় কোনো পার্থক্য নেই। এটা একটা প্রস্তুতি ম্যাচ। ভারত ম্যাচের আগে এটা ভালো হবে আমাদের জন্য। আমরা মনে করেছি আফগানিস্তান আসবে। কিন্তু তারা আসেনি। আমার দলে (ব্রাদার্সে) চার-পাঁচজন নেপালি খেলোয়াড় আছে। সবাই জাতীয় দলে খেলে। একটু মজা হবে ওদের সঙ্গে খেলা হলে।’
বাংলাদেশ কিংবা ভারত কেউই আর এশিয়ান কাপ খেলার দৌড়ে নেই। নিয়মরক্ষার ম্যাচ হলেও জামাল তা সেভাবে দেখছেন না, ‘এটা বড় ম্যাচ। বাংলাদেশ-ভারতের একটি ভালো ইতিহাস আছে। আমরা ভারতের সঙ্গে জিততে চাই। ভারত অনেক (৭) বছর পরে বাংলাদেশে এসে খেলবে।’
প্রতিপক্ষ ভারত বলেই রোমাঞ্চের কমতি থাকবে না বলে মনে করেন জামাল। তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে ম্যাচ নিয়ে সবাই রোমাঞ্চিত থাকে। শুধু ফুটবলভক্তরা নয়, এমনকি যারা ফুটবল নিয়মিত খোঁজখবর রাখে না তারাও। কারণ এটা ভারত।’
কার্ডজনিত নিষেধাজ্ঞায় ভারত ম্যাচে খেলতে পারবেন না ফাহামিদুল ইসলাম। তাঁকে মিস করছেন জামাল, ‘এই গ্রুপের সঙ্গে ফাহামিদুলের ভালো তালমেল রয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে আমি ফাহামিদুলের উপস্থিতিটা খুব উপভোগ করি। সে খুব ভালো ছেলে।’


বাংলাদেশ দলের ফিল্ডিং কোচ জেমস প্যামেন্ট খেপে গেলেন ফিল্ডারদের ওপর। কাল সন্ধ্যায় ফিল্ডিং অনুশীলনে যেভাবে মিস করছিলেন শরীফুল-মেহেদীরা, চিৎকার করে বোঝাতে থাকলেন—কিছুতেই এই ভুল করা যাবে না। তবু ভুল হতে থাকল বাংলাদেশ দলের অনুশীলনে।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে তখন উৎসবের আমেজ। অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি স্পিনার সোফি মলিনাক্সকে যখন আমানজত কৌর চার মেরেছেন, ভারত করে ফেলেছে রেকর্ড। ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়। তা-ও আবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে! আনন্দ-উদ্যাপন তো একটু বেশি হবেই।
১৭ মিনিট আগে
ক্রিকেটের তিন সংস্করণের মধ্যে বাংলাদেশ কোন সংস্করণে সেরা—সে তালিকায় দুই বছর আগেও ওয়ানডে ছিল সবার ওপরে। কিন্তু ওয়ানডেতে এ মাসে আফগানিস্তানের কাছে ধবলধোলাই হওয়ার পর সে ধারণায় পরিবর্তন আসে। গত দু-তিন মাসে এশিয়া কাপ বাদ দিলে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ধারাবাহিকভাবেই সফল হচ্ছিল বাংলাদেশ।
৪৩ মিনিট আগে
ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে মোট আটটি পদকের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে সাতটিই এসেছে আর্চারি ও শুটিং থেকে। গেমসের ষষ্ঠ সংস্করণে রাখা হয়নি এই দুটি ডিসিপ্লিন। পদক জয়ের সম্ভাবনাও তাই অনেকটা কম। তবে আশা হারাচ্ছেন না কর্মকর্তারা।
১৫ ঘণ্টা আগেইসলামিক সলিডারিটি গেমস
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে আগের ৫ আসর মিলিয়ে মোট আটটি পদকের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে সাতটিই এসেছে আর্চারি ও শুটিং থেকে। গেমসের ষষ্ঠ সংস্করণে রাখা হয়নি এই দুটি ডিসিপ্লিন। পদক জয়ের সম্ভাবনাও তাই অনেকটা কম। তবে আশা হারাচ্ছেন না কর্মকর্তারা।
৭ নভেম্বর থেকে সৌদি আরবের রিয়াদে শুরু হবে ইসলামিক সলিডারিটি গেমস। ২৩ ডিসিপ্লিনের মধ্যে ১০ ডিসিপ্লিন—অ্যাথলেটিকস, ফেন্সিং, কারাতে, সুইমিং, টেবিল টেনিস, ভারোত্তোলন, কুস্তি, উশু, জুডো ও তায়কোয়ান্দো। ৩৬ অ্যাথলেটের মধ্যে সর্বোচ্চ আট অ্যাথলেট টেবিল টেনিসের।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মার্চপাস্টে লাল-সবুজের পতাকা থাকবে টেবিল টেনিস খেলোয়াড় মুহতাসিন আহমেদ ও ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তারের হাতে। এবারের গেমসে শেফ দ্য মিশন হিসেবে আছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সেলিম ফকির। পদকের নিশ্চয়তা নিয়ে আজ বিওএর ডাচ-বাংলা অডিটরিয়ামে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনই কিছু বলতে পারছি না। পদক জয়ের আশাও ছাড়ছি না।’
শেফ দ্য মিশনের মতো পদকের কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারেননি ফেডারেশনগুলোর কর্মকর্তারাও। তবে ক্রীড়াবিদদের প্রণোদনার কোনো কমতি নেই কারও কথাতেই। উশুর সাধারণ সম্পাদক দিলদার হাসানের কথা, ‘পদক জিতলে বিওএ সোনা, রুপা ও ব্রোঞ্জের জন্য যথাক্রমে ছয়, চার ও দুই লাখ টাকা ঘোষণা করেছে। আমরা ব্রোঞ্জ পদক জিতলেই ৫০ হাজার টাকা অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছি। আশা করি, উশুরা সেই লক্ষ্য পূরণ করতে পারবে।’
অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সহসভাপতি ইকবাল হোসেনের কথা, ‘আমরাও প্রণোদনা দিচ্ছি। সোনা, রুপা ও ব্রোঞ্জের জন্য যথাক্রমে তিন, দুই ও এক লাখ টাকা ঘোষণা করেছি।’
কারাতের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘দক্ষিণ এশীয় গেমসে আমাদের পদকের ধারাবাহিকতা ছিল। এখানেও ছেলেমেয়েরা আমাদের হতাশ করবে না বলে আশা করি।’

ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে আগের ৫ আসর মিলিয়ে মোট আটটি পদকের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে সাতটিই এসেছে আর্চারি ও শুটিং থেকে। গেমসের ষষ্ঠ সংস্করণে রাখা হয়নি এই দুটি ডিসিপ্লিন। পদক জয়ের সম্ভাবনাও তাই অনেকটা কম। তবে আশা হারাচ্ছেন না কর্মকর্তারা।
৭ নভেম্বর থেকে সৌদি আরবের রিয়াদে শুরু হবে ইসলামিক সলিডারিটি গেমস। ২৩ ডিসিপ্লিনের মধ্যে ১০ ডিসিপ্লিন—অ্যাথলেটিকস, ফেন্সিং, কারাতে, সুইমিং, টেবিল টেনিস, ভারোত্তোলন, কুস্তি, উশু, জুডো ও তায়কোয়ান্দো। ৩৬ অ্যাথলেটের মধ্যে সর্বোচ্চ আট অ্যাথলেট টেবিল টেনিসের।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মার্চপাস্টে লাল-সবুজের পতাকা থাকবে টেবিল টেনিস খেলোয়াড় মুহতাসিন আহমেদ ও ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তারের হাতে। এবারের গেমসে শেফ দ্য মিশন হিসেবে আছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সেলিম ফকির। পদকের নিশ্চয়তা নিয়ে আজ বিওএর ডাচ-বাংলা অডিটরিয়ামে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনই কিছু বলতে পারছি না। পদক জয়ের আশাও ছাড়ছি না।’
শেফ দ্য মিশনের মতো পদকের কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারেননি ফেডারেশনগুলোর কর্মকর্তারাও। তবে ক্রীড়াবিদদের প্রণোদনার কোনো কমতি নেই কারও কথাতেই। উশুর সাধারণ সম্পাদক দিলদার হাসানের কথা, ‘পদক জিতলে বিওএ সোনা, রুপা ও ব্রোঞ্জের জন্য যথাক্রমে ছয়, চার ও দুই লাখ টাকা ঘোষণা করেছে। আমরা ব্রোঞ্জ পদক জিতলেই ৫০ হাজার টাকা অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছি। আশা করি, উশুরা সেই লক্ষ্য পূরণ করতে পারবে।’
অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সহসভাপতি ইকবাল হোসেনের কথা, ‘আমরাও প্রণোদনা দিচ্ছি। সোনা, রুপা ও ব্রোঞ্জের জন্য যথাক্রমে তিন, দুই ও এক লাখ টাকা ঘোষণা করেছি।’
কারাতের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘দক্ষিণ এশীয় গেমসে আমাদের পদকের ধারাবাহিকতা ছিল। এখানেও ছেলেমেয়েরা আমাদের হতাশ করবে না বলে আশা করি।’


বাংলাদেশ দলের ফিল্ডিং কোচ জেমস প্যামেন্ট খেপে গেলেন ফিল্ডারদের ওপর। কাল সন্ধ্যায় ফিল্ডিং অনুশীলনে যেভাবে মিস করছিলেন শরীফুল-মেহেদীরা, চিৎকার করে বোঝাতে থাকলেন—কিছুতেই এই ভুল করা যাবে না। তবু ভুল হতে থাকল বাংলাদেশ দলের অনুশীলনে।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে তখন উৎসবের আমেজ। অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি স্পিনার সোফি মলিনাক্সকে যখন আমানজত কৌর চার মেরেছেন, ভারত করে ফেলেছে রেকর্ড। ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়। তা-ও আবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে! আনন্দ-উদ্যাপন তো একটু বেশি হবেই।
১৭ মিনিট আগে
ক্রিকেটের তিন সংস্করণের মধ্যে বাংলাদেশ কোন সংস্করণে সেরা—সে তালিকায় দুই বছর আগেও ওয়ানডে ছিল সবার ওপরে। কিন্তু ওয়ানডেতে এ মাসে আফগানিস্তানের কাছে ধবলধোলাই হওয়ার পর সে ধারণায় পরিবর্তন আসে। গত দু-তিন মাসে এশিয়া কাপ বাদ দিলে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ধারাবাহিকভাবেই সফল হচ্ছিল বাংলাদেশ।
৪৩ মিনিট আগে
জামাল ভূঁইয়াকে পেলেই সাংবাদিকদের সেই চিরাচরিত প্রশ্ন—শুরুর একাদশে সুযোগ পাবেন কি এবার? বরাবরের মতো জামালের উত্তর থাকে, ‘এটা কোচের সিদ্ধান্ত।’
১৩ ঘণ্টা আগে