Ajker Patrika

দলে যা নিয়ে বেশি চিন্তিত মিরাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশের শেষ ব্যাটার আউট, জয়োল্লাস শ্রীলঙ্কান ফিল্ডারদের। ছবি: এএফপি
বাংলাদেশের শেষ ব্যাটার আউট, জয়োল্লাস শ্রীলঙ্কান ফিল্ডারদের। ছবি: এএফপি

শ্রীলঙ্কার কাছে ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। যে ম্যাচে ৪০ ওভারও ব্যাট করতে পারেনি বাংলাদেশ, ৩৯.৪ ওভারেই অলআউট হয়েছে ১৮৬ রানে। এ নিয়ে সর্বশেষ ১১ ওয়ানডের মধ্যে ৭ বারই পুরো ৫০ ওভার ব্যাট করতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ! এ ব্যাপারটা ভাবাচ্ছে বাংলাদেশের নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজকে।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী শেষ ওয়ানডেতে হারের কারণও জানালেন অধিনায়ক। বললেন, ‘সত্যি বলতে, উইকেটটা ব্যাটিংয়ের জন্য খুবই ভালো ছিল। ওদের দুই ব্যাটার দুর্দান্ত ব্যাট করেছে; বিশেষ করে কুশল মেন্ডিস। আমরা কখনোই তাদের ওপর চাপ তৈরি করতে পারিনি। আমার মনে হয়, রাতে উইকেটটা আরও ভালো হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আমরা একের পর এক উইকেট হারিয়ে ফেলি, আর সেখানেই ম্যাচটা হাতছাড়া হয়ে যায়।’

এরপরই বললেন আসল কথাটা, ‘আমরা গত কয়েকটি ম্যাচেও ৫০ ওভার খেলতে পারিনি। এটি সবচেয়ে বড় চিন্তার কারণ। সঠিকভাবে ব্যাট করতে পারলে ফল ভিন্ন হতে পারত। আমরা ড্রেসিংরুমে এ নিয়ে কথা বলেছি। মিডল অর্ডারে যারা আছে, তাদের আরও দায়িত্ব নিতে হবে। এখানে আমরা কেউই ভালো করতে পারছি না। আমি নিজেও না। আরও বল খেলতে পারলে ভালো হতো। এই জায়গাগুলোয় আমাদের উন্নতি করতে হবে।’

নতুন অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়ে নিজের খেলায় ঘাটতি কোথায়, সেটিও খোলাখুলি স্বীকার করেছেন মিরাজ, ‘এই সিরিজ থেকে আমি নিজের খেলা নিয়েও অনেক কিছু শিখেছি। কোথায় দুর্বলতা আছে, আর কীভাবে উন্নতি করা যায়, সেসব নিয়ে ভাবছি। সামনে আরও খেলা আছে। কোচের সঙ্গে কথা বলে এসব জায়গায় কাজ করার চেষ্টা করব।’

দিবারাত্রির ম্যাচে রাতের উইকেট ব্যাটিংবান্ধব হলেও স্পিনারদের বল খেলা চ্যালেঞ্জিং ছিল বলেই মনে করেন মিরাজ, ‘এই উইকেটে স্পিনারদের বল একটু নিচে থাকে, টার্নও করে। আমি চেষ্টা করেছিলাম (শামীম) পাটওয়ারীকে দিয়ে কয়েক ওভার কাভার করতে। বাউন্ডারি বড় ছিল বলে মারতে গেলে আউট হওয়ার ঝুঁকি ছিল। আমরা সেই পরিস্থিতিতে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করেছি।’

ব্যাটিংয়ের সময় তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে গড়ে ওঠা জুটিটা আরও কিছুটা দীর্ঘায়িত করা যেত বলেও মনে করেন মিরাজ, ‘হৃদয় ভালো ব্যাট করেছে, আমার মনে হয়েছে, ও আরও একটু দ্রুত রান তুলতে পারত। সমস্যা হচ্ছে, আমরা যখনই মোমেন্টাম পাওয়ার চেষ্টা করেছি, তখনই একটা করে উইকেট পড়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাটিং করা খুব কঠিন। আমি যদি একটা প্রান্ত থেকে ওকে সাপোর্ট দিতে পারতাম, তাহলে হয়তো রানরেট ও জুটিটা আরও ভালো হতো।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত