উপল বড়ুয়া, ঢাকা
ক্রিস ব্রড ছিলেন আশির দশকের ইংল্যান্ড ও নটিংহ্যাম্পশায়ারের ওপেনার। তাঁর ছেলে স্টুয়ার্ট ব্রড হয়তো বাবার পরিচয়ে বড় হতে চাননি। না হলে ব্যাটার বাবার সন্তান পেসার হবেন কেন! দুজনের মিল বলতে ইংল্যান্ড ও নটিংহ্যাম্পশায়ারের হয়ে রাঙানো ক্যারিয়ার। ক্রীড়াঙ্গনে বাবা-সন্তানের গল্প কম নেই। তারকা বাবার দ্যুতি কখনো কখনো ছেলের ক্যারিয়ারকে অন্ধকারেও ঠেলে দেয়। ছোট ব্রড অবশ্য নিজের আলোতেই পথ হেঁটেছেন।
শুরুর দিকেই শেষ হয়ে যেতে পারত ব্রডের ক্যারিয়ার। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কী এমন বয়স তাঁর—২২! আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার মাত্র এক বছরের। সেই বয়সেই তাঁকে পাড়ি দিতে হয়েছে জীবনের কঠিন মুহূর্ত। ডারবানে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৬ বলে ৬ ছক্কার রেকর্ড গড়েন যুবরাজ সিং। সেই অভাগা বোলারের নাম ব্রড। সেটিই হয়ে যেতে পারত তাঁর শেষ ম্যাচ। কিন্তু ব্রড যেন অন্য ধাতুতে গড়া। যেন আর্নেস্ট হেমিংওয়ের সেই বুড়ো সান্তিয়াগো, যিনি ধ্বংস হতে পারেন, তবে পরাজিত হতে জানেন না।
এমনকি তাঁর বাবাও বিশ্বাস করেননি, ছেলে এভাবে ফিরে আসবে। ওই ম্যাচের পর যুবরাজকে আক্ষেপের সুরে সিনিয়র ব্রড বলেছিলেন, ‘আমার ছেলের ক্যারিয়ার প্রায় শেষ করে দেওয়ার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।’ তবে ব্রড যেন সেই রবার্ট ব্রুস। ঘুরে দাঁড়িয়ে ঠিকই যুদ্ধ জিতেছেন। ক্রিকেটীয় রূপকথার ‘ট্র্যাজিক হিরো’ থেকে গত ১৬ বছরে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন টেস্ট ইতিহাসের সেরাদের একজন হিসেবে। জীবনের দুঃসময় থেকে শিক্ষা নিয়েছেন, গত পরশু হুট করে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণার পর সেটিই মনে করিয়ে দিলেন আরেকবার, ‘সত্যি সেসব খুব কঠিন দিন ছিল। তখন ২১/২২ হব। আমি চাপ নিতে শিখেছি।’
গত শুক্রবার অবসরের সিদ্ধান্তটা প্রথমে জানান দীর্ঘদিনের সতীর্থ জেমস অ্যান্ডারসন ও জো রুটকে। শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে জানালেন, চলমান ওভাল টেস্টটিই তাঁর শেষ ম্যাচ। এরপর কী করবেন? স্কাই স্পোর্টসে ধারাভাষ্য? গত পরশু সংবাদ সম্মেলনে জানতে চেয়েছিলেন সাংবাদিকেরা। ব্রড মজা করে বললেন, ‘গলফ খেলব। আনাবেলাকে (মেয়ে) দেখভাল করব।’
গতকাল ছিল অ্যান্ডারসনের জন্মদিন। জিমি যেখানে ৪২ বছর পর্যন্ত খেলে যেতে চান, ব্রড থামছেন ৩৭-এ। চাইলে আরও কয়েক বছর টেস্ট খেলতে পারতেন। ৭ বছর ধরে এই ফরম্যাটেই ধ্যানজ্ঞান। এই অ্যাশেজেই (ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্ট) ৬০০ উইকেটের মাইলফলকে পা রাখা। টেস্ট ইতিহাসে পঞ্চম সর্বোচ্চ (৬০২) উইকেট শিকার, জিমির পরে পেসারদের মধ্যে দ্বিতীয়। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বোচ্চ ১৫১ উইকেট, কীর্তি কম নেই ব্রডের। শেষটাও করছেন রেকর্ড গড়ে। ক্যারিয়ারের শেষ বলে ছক্কা মারা দ্বিতীয় ক্রিকেটার যে তিনিই!
জিমির সঙ্গে ওভালে চতুর্থ দিন শুরু করেছিলেন। ব্যাটটা বগলে নিয়ে মাঠে প্রবেশের সময় সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ব্রডকে অভ্যর্থনা জানান দুই দলের ক্রিকেটাররা। অস্ট্রেলিয়ার সমর্থকেরাও কার্পণ্য করেননি সম্মান জানাতে। অথচ ২০০৯ অ্যাশেজে তাঁদেরই ‘শত্রু’ হয়ে উঠেছিলেন ব্রড। সেই অ্যাশেজের নায়ক হয়ে লিখেছিলেন পুনরুত্থানের গল্প। এই অ্যাশেজ-যোদ্ধাকে বিদায়ী সম্ভাষণ জানিয়েছেন গ্লেন ম্যাকগ্রা, অ্যালিস্টার কুক, রাহুল দ্রাবিড়, মাইকেল ভন, পিটার মুরস, রিকি পন্টিং, রুটের মতো তারকারা। ওভালে কত স্মৃতিরই-না জন্ম দিয়েছেন ব্রড, সেখানেই ১৭ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারকে বিদায় বলাটা নিশ্চয় বিশেষ কিছু তাঁর জন্য, ‘ওভালেই আমার ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট, এখানে আমার অসাধারণ স্মৃতি আছে। আমি মনে করি, এটি বিশ্বের সেরা মাঠের একটি।’
এবার যদি এই ওভালেই দুর্দান্ত এক স্পেলে ইংল্যান্ডকে জয় এনে দিয়ে অ্যাশেজে সমতায় ফেরাতে পারেন, এর চেয়ে বেশি আর কী চাইতে পারেন ব্রড! টেস্টে সর্বোচ্চ ১৪৬ ম্যাচ একসঙ্গে খেলেছেন শচীন-দ্রাবিড় (১৯৯৬-২০১২)। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩৮ টেস্টে দেখা গেছে জিমি-ব্রডকে। আজ থেকে পরিচিত এই দৃশ্য দেখা যাবে না। জিমি হয়তো আরও কিছুদিন খেলবেন, আর ব্রড বাইরে দাঁড়িয়ে দেখবেন বন্ধুর কীর্তি।
ক্রিস ব্রড ছিলেন আশির দশকের ইংল্যান্ড ও নটিংহ্যাম্পশায়ারের ওপেনার। তাঁর ছেলে স্টুয়ার্ট ব্রড হয়তো বাবার পরিচয়ে বড় হতে চাননি। না হলে ব্যাটার বাবার সন্তান পেসার হবেন কেন! দুজনের মিল বলতে ইংল্যান্ড ও নটিংহ্যাম্পশায়ারের হয়ে রাঙানো ক্যারিয়ার। ক্রীড়াঙ্গনে বাবা-সন্তানের গল্প কম নেই। তারকা বাবার দ্যুতি কখনো কখনো ছেলের ক্যারিয়ারকে অন্ধকারেও ঠেলে দেয়। ছোট ব্রড অবশ্য নিজের আলোতেই পথ হেঁটেছেন।
শুরুর দিকেই শেষ হয়ে যেতে পারত ব্রডের ক্যারিয়ার। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কী এমন বয়স তাঁর—২২! আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার মাত্র এক বছরের। সেই বয়সেই তাঁকে পাড়ি দিতে হয়েছে জীবনের কঠিন মুহূর্ত। ডারবানে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৬ বলে ৬ ছক্কার রেকর্ড গড়েন যুবরাজ সিং। সেই অভাগা বোলারের নাম ব্রড। সেটিই হয়ে যেতে পারত তাঁর শেষ ম্যাচ। কিন্তু ব্রড যেন অন্য ধাতুতে গড়া। যেন আর্নেস্ট হেমিংওয়ের সেই বুড়ো সান্তিয়াগো, যিনি ধ্বংস হতে পারেন, তবে পরাজিত হতে জানেন না।
এমনকি তাঁর বাবাও বিশ্বাস করেননি, ছেলে এভাবে ফিরে আসবে। ওই ম্যাচের পর যুবরাজকে আক্ষেপের সুরে সিনিয়র ব্রড বলেছিলেন, ‘আমার ছেলের ক্যারিয়ার প্রায় শেষ করে দেওয়ার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।’ তবে ব্রড যেন সেই রবার্ট ব্রুস। ঘুরে দাঁড়িয়ে ঠিকই যুদ্ধ জিতেছেন। ক্রিকেটীয় রূপকথার ‘ট্র্যাজিক হিরো’ থেকে গত ১৬ বছরে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন টেস্ট ইতিহাসের সেরাদের একজন হিসেবে। জীবনের দুঃসময় থেকে শিক্ষা নিয়েছেন, গত পরশু হুট করে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণার পর সেটিই মনে করিয়ে দিলেন আরেকবার, ‘সত্যি সেসব খুব কঠিন দিন ছিল। তখন ২১/২২ হব। আমি চাপ নিতে শিখেছি।’
গত শুক্রবার অবসরের সিদ্ধান্তটা প্রথমে জানান দীর্ঘদিনের সতীর্থ জেমস অ্যান্ডারসন ও জো রুটকে। শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে জানালেন, চলমান ওভাল টেস্টটিই তাঁর শেষ ম্যাচ। এরপর কী করবেন? স্কাই স্পোর্টসে ধারাভাষ্য? গত পরশু সংবাদ সম্মেলনে জানতে চেয়েছিলেন সাংবাদিকেরা। ব্রড মজা করে বললেন, ‘গলফ খেলব। আনাবেলাকে (মেয়ে) দেখভাল করব।’
গতকাল ছিল অ্যান্ডারসনের জন্মদিন। জিমি যেখানে ৪২ বছর পর্যন্ত খেলে যেতে চান, ব্রড থামছেন ৩৭-এ। চাইলে আরও কয়েক বছর টেস্ট খেলতে পারতেন। ৭ বছর ধরে এই ফরম্যাটেই ধ্যানজ্ঞান। এই অ্যাশেজেই (ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্ট) ৬০০ উইকেটের মাইলফলকে পা রাখা। টেস্ট ইতিহাসে পঞ্চম সর্বোচ্চ (৬০২) উইকেট শিকার, জিমির পরে পেসারদের মধ্যে দ্বিতীয়। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বোচ্চ ১৫১ উইকেট, কীর্তি কম নেই ব্রডের। শেষটাও করছেন রেকর্ড গড়ে। ক্যারিয়ারের শেষ বলে ছক্কা মারা দ্বিতীয় ক্রিকেটার যে তিনিই!
জিমির সঙ্গে ওভালে চতুর্থ দিন শুরু করেছিলেন। ব্যাটটা বগলে নিয়ে মাঠে প্রবেশের সময় সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ব্রডকে অভ্যর্থনা জানান দুই দলের ক্রিকেটাররা। অস্ট্রেলিয়ার সমর্থকেরাও কার্পণ্য করেননি সম্মান জানাতে। অথচ ২০০৯ অ্যাশেজে তাঁদেরই ‘শত্রু’ হয়ে উঠেছিলেন ব্রড। সেই অ্যাশেজের নায়ক হয়ে লিখেছিলেন পুনরুত্থানের গল্প। এই অ্যাশেজ-যোদ্ধাকে বিদায়ী সম্ভাষণ জানিয়েছেন গ্লেন ম্যাকগ্রা, অ্যালিস্টার কুক, রাহুল দ্রাবিড়, মাইকেল ভন, পিটার মুরস, রিকি পন্টিং, রুটের মতো তারকারা। ওভালে কত স্মৃতিরই-না জন্ম দিয়েছেন ব্রড, সেখানেই ১৭ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারকে বিদায় বলাটা নিশ্চয় বিশেষ কিছু তাঁর জন্য, ‘ওভালেই আমার ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট, এখানে আমার অসাধারণ স্মৃতি আছে। আমি মনে করি, এটি বিশ্বের সেরা মাঠের একটি।’
এবার যদি এই ওভালেই দুর্দান্ত এক স্পেলে ইংল্যান্ডকে জয় এনে দিয়ে অ্যাশেজে সমতায় ফেরাতে পারেন, এর চেয়ে বেশি আর কী চাইতে পারেন ব্রড! টেস্টে সর্বোচ্চ ১৪৬ ম্যাচ একসঙ্গে খেলেছেন শচীন-দ্রাবিড় (১৯৯৬-২০১২)। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩৮ টেস্টে দেখা গেছে জিমি-ব্রডকে। আজ থেকে পরিচিত এই দৃশ্য দেখা যাবে না। জিমি হয়তো আরও কিছুদিন খেলবেন, আর ব্রড বাইরে দাঁড়িয়ে দেখবেন বন্ধুর কীর্তি।
প্রবাসী ফুটবলারদের নিয়ে উন্মাদনার মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ছেই। বিশেষ করে হামজা চৌধুরীর অভিষেকের পর অনেক প্রবাসী ফুটবলার এখন আলোচনায়। কানাডা প্রবাসী সমিত সোমের পাশাপাশি এবার কিউবা মিচেলকে খেলানোর চেষ্টায় রয়েছে বাফুফে।
৯ ঘণ্টা আগেআগামীকাল (২০ এপ্রিল) সিলেটে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্ট। সিরিজের সম্প্রচার স্বত্ব নিয়ে বেশ ভোগান্তির মধ্যে ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে এ ভোগান্তির অবসান ঘটিয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের ম্যাচ সরাসরি দেখানোর
১০ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য ১৫ সদস্যের বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ দল ঘোষণা করেছে। আগামীকাল ঢাকা থেকে কলম্বোর উদ্দেশে রওনা দেবেন যুবারা। সফরে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে ছয় ম্যাচের যুব ওয়ানডে সিরিজ খেলবে আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন দল।
১০ ঘণ্টা আগেহামজা চৌধুরীর বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার পর থেকে আগ্রহ বেড়েছে ফুটবল নিয়ে। প্রবাসী ফুটবলারদের ঘিরে অন্যরকম উন্মাদনা কাজ করছে সমর্থকদের। হামজার প্রভাব শুধু ফুটবলেই নয় পড়েছে অন্যান্য খেলাতেও। দেশের বাইরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রবাসী ক্রীড়াবিদদের বাংলাদেশের হয়ে খেলানোর উদ্যোগ নিতে সকল ফেডারেশনকে চিঠি দিয়েছে
১১ ঘণ্টা আগে