Ajker Patrika

তলানি থেকে ওপরে ওঠার লড়াইয়ে ফিল্ডিংয়ে অস্ট্রেলিয়া

আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২৩, ১৪: ৪১
তলানি থেকে ওপরে ওঠার লড়াইয়ে ফিল্ডিংয়ে অস্ট্রেলিয়া

শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া-বিশ্বকাপজয়ী দুই দলের কোনো দলই ২০২৩ বিশ্বকাপে এখনো জয়ের মুখ দেখেনি। পয়েন্ট তালিকায় লঙ্কানরা রয়েছে ৮ নম্বরে আর অজিরা রয়েছে একদম তলানিতে ১০ নম্বরে। আর চোটে পড়ে লঙ্কানদের নিয়মিত অধিনায়ক দাসুন শানাকার বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুন অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস। লক্ষ্ণৌর ভারতরত্ন শ্রী অটল বিহারি বাজপেয়ি স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মেন্ডিস। 

গত ম্যাচের একাদশ থেকে দুটি পরিবর্তন এনেছে শ্রীলঙ্কা। শানাকার পরিবর্তে এসেছেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার চামিকা করুণারত্নে ও পেসার মাথিসা পাতিরানার পরিবর্তে এসেছেন লাহিরু কুমারা। শানাকার মতো চোটের সমস্যা রয়েছে পাতিরানারও। কুমারা, দিলশান মাদুশঙ্ক, করুণারত্নে—এই তিন পেসার আছেন লঙ্কানদের একাদশে। সঙ্গে থাকছেন দুই স্পিনার মাহিশ তিকশানা, দুনিথ ভেল্লালাগে। যার মধ্যে ভেল্লালাগে বাঁহাতি স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার। পাশাপাশি ধনঞ্জয় ডি সিলভা, চারিথ আসালাঙ্কা এই দুই স্পিন বোলিং অলরাউন্ডারও থাকছেন। 

অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া গত ম্যাচের একাদশ নিয়েই খেলতে নেমেছে। প্যাট কামিন্স, জশ হ্যাজলউড, মিচেল স্টার্ক—স্বীকৃত তিন পেসারের সঙ্গে থাকছেন দুই পেস বোলিং অলরাউন্ডার মার্কাস স্টয়নিস ও মিচেল মার্শ। স্পিন আক্রমণে অ্যাডাম জাম্পার সঙ্গে থাকছেন অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। 

শ্রীলঙ্কার একাদশ: পাথুম নিশাঙ্কা, কুশল পেরেরা, কুশল মেন্ডিস (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), চারিথ আসালাঙ্কা, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, সাদিরা সামারাবিক্রমা, চামিকা করুণারত্নে, মাহিশ তিকশানা, দুনিথ ভেল্লালাগে, দিলশান মাদুশঙ্ক, লাহিরু কুমারা।  

অস্ট্রেলিয়ার একাদশ: ডেভিড ওয়ার্নার, মিচেল মার্শ, স্টিভেন স্মিথ, মারনাস লাবুশেন, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, জস ইংলিশ (উইকেটরক্ষক), মার্কাস স্টয়নিস, প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), মিচেল স্টার্ক, অ্যাডাম জাম্পা, জশ হ্যাজলউড।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

টিটি ফেডারেশন কাপে চ্যাম্পিয়ন হৃদয় ও খই খই

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
টিটি ফেডারেশন কাপে চ্যাম্পিয়ন খই খই সাই মারমা ও মুহতাসিন আহমেদ হৃদয়। ছবি: টিটি ফেডারেশন
টিটি ফেডারেশন কাপে চ্যাম্পিয়ন খই খই সাই মারমা ও মুহতাসিন আহমেদ হৃদয়। ছবি: টিটি ফেডারেশন

ঘরোয়া টুর্নামেন্ট হলেও স্বপ্নটা বড় তাঁদের। ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে যে করেই হোক পদকের ছোঁয়া পাওয়া। আরও শাণিত হয়ে উঠতে ফেডারেশন কাপকে তাঁরা বেছে নিয়েছেন প্রস্তুতি মঞ্চ হিসেবে।

আজ পল্টনের শহীদ তাজউদ্দীন উডেন ফ্লোর স্টেডিয়ামে টেবিল টেনিস ফেডারেশন কাপের পুরুষ এককে মুহতাসিন আহমেদ হৃদয় ও নারী এককে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন খই খই সাই মারমা। দুজনেই খেলবেন সৌদি আরবের রিয়াদে ৭ নভেম্বর শুরু হতে যাওয়া ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে। কাল তাঁদের সঙ্গে রিয়াদের বিমান ধরবেন রামহিম লিয়ন বম, জাভেদ আহমেদ ও সোনাম সুলতানা সোমাও।

২০২১ সালে তুরস্কের কোনিয়ায় অনুষ্ঠিত ইসলামিক সলিডারিটি গেমসের সর্বশেষ আসরে টেবিল টেনিসে অংশ নেন বাংলাদেশের ৭ অ্যাথলেট। কিন্তু কেউই এনে দিতে পারেননি পদক। হৃদয় অবশ্য বেশ আত্মবিশ্বাসী। রামহিমকে ফাইনালে ১১-৬, ১১-৮, ১১-৩ গেমের সরাসরি সেটে উড়িয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আসল লক্ষ্য আমার ইসলামিক সলিডারিটি গেমস। যখন আন্তর্জাতিক লক্ষ্য থাকে, তখন স্বাভাবিকভাবে জাতীয় পর্যায়ে খেলা একটু ভালো হয়।’

গতবার কোয়ার্টার ফাইনাল খেললেও হৃদয়ের আশা, ‘যেকোনো এক জায়গায় আমরা চেষ্টা করব ইনশা আল্লাহ পদক নিয়ে আসার। আগেরবার আমরা কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছিলাম। চেষ্টা করব এবার সেমিফাইনাল খেলার ইনশা আল্লাহ।’

ফর্মের চূড়ায় না থাকলেও রামহিম ঠিকই ঘুরে দাঁড়াবে বিশ্বাস হৃদয়ের, ‘রামহিম অনেক ভালো প্লেয়ার, হয়তো কোনো কারণে একটু ক্লান্ত মনে হয়েছে আমার কাছে। সেমিফাইনালে যে ফোর্সে খেলছে, ফাইনালে সেই ফোর্সে খেলতে পারেনি। এ কারণে আমার জন্য সহজ হয়েছে ম্যাচটা।’

নারী এককে খই খই মারমা এবারই প্রথম চ্যাম্পিয়ন হলেন ফেডারেশন কাপে। সোমার মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়কে ৫ সেটের থ্রিলারে ১১-৪, ৯-১১, ১১-৪, ৯-১১ ও ১১-৭ গেমে হারান তিনি। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে অভ্যস্ত না হওয়ায় খানিকটা লজ্জাও পাচ্ছিলেন তিনি, ‘আগে যেহেতু খেলিনি, তো এবার আমার প্রথম ইসলামিক সলিডারিটিতে। আমার লক্ষ্য থাকবে দেশকে কিছু দেওয়ার, ভালো ফল করার।’

ফেডারেশন কাপের দুয়ার খেলতে সময় লেগেছে ৪ বছর। টুর্নামেন্ট নিয়ে সন্তুষ্ট হলেও তাতে যেন বিরতি না পড়ে, এমনটাই চাওয়া সোমার। তিনি বলেন, ‘আমি অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। আমি যতগুলো ফেডারেশন কাপ খেলেছি, আমি মনে করি যে তার তুলনায় অনেকটাই ভালো হয়েছে। প্রাইজমানির ব্যবস্থা করা হয়েছে, এটা কখনোই হয়নি। আমি এতগুলো ফেডারেশন কাপ খেলেছি, কখনো প্রাইজমানি ছিল না।’

দুই মাসের চুক্তিতে গত আগস্টে থাইল্যান্ডের পাসসারা পাত্তারাথোর্নকে নিয়োগ দিয়েছিল ফেডারেশন। তাঁর অধীনে খেলোয়াড়দের উন্নতি হয়েছে বলে দাবি হৃদয়ের। তাঁর ভাষ্য, ‘তিনি অনেক ভালো প্র্যাকটিস পার্টনার। তাঁর সঙ্গে গেম খেলে খেলে আমার অনেক উন্নতি হয়েছে।’

কিছুটা ভিন্ন সুর খই খইয়ের কণ্ঠে, ‘আসলে উন্নতি হয়েছে কিন্তু অল্প। কারণ ক্যাম্পে তো অনেক খেলোয়াড় থাকে, শুধু আমাকে তো সময় দিতে পারবে না। তো আরও যদি প্র্যাকটিস পার্টনার, কোচ আরও দু-একজন হলে ভালো হতো। বিদেশে যেরকম একজন খেলোয়াড়ের আলাদা কোচ থাকে। আমাদের ক্যাম্পে করতেছে ২০ জন, এর মধ্যে একজন কোচ।’

উন্নতির ছাপ কতটুকু তা বোঝা যাবে ইসলামিক সলিডারিটি গেমসেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ আশরাফুল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ২২: ২৪
আয়ারল্যান্ড সিরিজে বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ মোহাম্মদ আশরাফুল। ছবি: বিসিবি
আয়ারল্যান্ড সিরিজে বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ মোহাম্মদ আশরাফুল। ছবি: বিসিবি

আয়ারল্যান্ড সিরিজে বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ হিসেবে কাজ করবেন মোহাম্মদ আশরাফুল। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করেছে।

বিসিবির আজকের সভা শেষে আশরাফুলকে ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। টিম ডিরেক্টরের দায়িত্বে থাকছেন আবদুর রাজ্জাক। প্রায় সাত ঘণ্টা সভা শেষে যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে (আশরাফুল ব্যাটিং কোচ), সেটা শুনে অবাক হয়েছেন আশরাফুল। আজকের পত্রিকাকে ৪১ বছর বয়সী এই ব্যাটার বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। কোচিং তো শুরু করেছি কাজ করার জন্যই। যেহেতু সুযোগ পেয়েছি, চেষ্টা করব আমার যে অভিজ্ঞতা সেটা সবার সঙ্গে শেয়ার করব।

‘আমি যেটা মনে করি যখন আমার..আমি তো বলেছি অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। জীবন দিয়ে কাজ করব। কেন সফল হতে পারিনি, কেন হয়েছি। সাম্প্রতিক সময়ে আমি খেলে এসেছি। মাত্র ছয় মাস হয়েছে। ইংল্যান্ডে আমি ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলছি। কীভাবে ভালো খেলি, সেগুলোই শেয়ার করব।এখন তো জাতীয় দলে যারা কাজ করে, তাদের টেকনিক নিয়ে কাজ করব না। হয়তোবা ছোটখাটো।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাংলাদেশে ‘স্পোর্টস মিউজিয়াম’ দেখতে চান বাফুফে সভাপতি

ক্রীড়া ডেস্ক    
‘স্পোর্টস মিউজিয়াম’ বাংলাদেশে দেখতে চান বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল। ছবি: বাফুফে
‘স্পোর্টস মিউজিয়াম’ বাংলাদেশে দেখতে চান বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল। ছবি: বাফুফে

খেলাধুলার প্রতি বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসাটা আজ একেবারে নতুন নয়। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম, চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে ক্রিকেট অথবা ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়াম, বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ফুটবল—সব জায়গায় গ্যালারিতে দেখা যায় দর্শকদের ভিড়। শুধু তা-ই নয়, বিদেশে খেলা হলেও প্রবাসী বাংলাদেশিরা অধীর আগ্রহে খেলা দেখেন।

দেশের ক্রিকেট-ফুটবলে মনে রাখার মতো মুহূর্ত একেবারে কম নয়। ১৯৯৭ আইসিসি ট্রফি, ২০২০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়া সহ ভারত-পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর অসংখ্য স্মৃতি উপহার দিয়েছেন আকরাম খান, তামিম ইকবাল, আকবর আলীরা। ফুটবলে নারী সাফে ২০২২ ও ২০২৪ সালে টানা দুইবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। দুইবারই সাবিনা খাতুন, ঋতুপর্ণা চাকমারা শিরোপা জিতেছেন স্বাগতিক নেপালকে হারিয়ে। বয়সভিত্তিক নারী সাফেও বাংলাদেশ দুর্দান্ত খেলছে। আর গত কয়েক মাসে হামজা চৌধুরী, শমিত শোমদের মতো তারকা ফুটবলার আসার কারণে দেশের ফুটবলে নতুন এক জোয়ার এসেছে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি তাবিথ আউয়ালে চাওয়া ‘স্পোর্টস মিউজিয়াম’-এর মাধ্যমে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের উল্লেখযোগ্য মুহূর্তগুলো জীবন্ত করে রাখা।

পল্টনের জাতীয় স্টেডিয়াম কমপ্লেক্সে আজ বিএসপিএ-এর নতুন কার্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সহসভাপতি ফারুক আহমেদের সঙ্গে ছিলেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল। বাংলাদেশে বিএসপিএ একটা স্পোর্টস মিউজিম করতে পারবে বলে মনে আশা তাবিথের। বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘বিএসপিএ-এর কাজটা কিন্তু আজকের নয়। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য থাকবে। আজকে আমি বিএসপিএ-এর অফিস প্রধান হয়ে এসেছি। আমি বিশ্বাস করি আগামীতে বিএসপিএ-এর নেতৃত্বে বাংলাদেশে একটা স্পোর্টস মিউজিয়ামও দেখতে পারব। এটা হবে আমার শেষ চাওয়া।

দেশের ক্রীড়াঙ্গনের মুহূর্তগুলো তুলে ধরেন বলে বিএসপিএতে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন তাবিথ। বিএসপিএ-এর অনুষ্ঠানে বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘আজকে যে খেলাটা খেলছি, যেখানে আয়োজন করছি, যে খেলোয়াড় ভালো খেলছে, সময়ের সঙ্গে নতুন খেলোয়াড় আসবে। নতুন ফেডারেশন আসবে, নতুন প্রতিপক্ষ ও কোচ আসবে। আমরা ভুলেও যেতে পারি। আবার মনেও রাখতে পারি। আপনাদের লেখার কারণে আমরা সবাই কিন্তু ইতিহাসের পাতায় স্বীকৃতি পাই। এই মুহূর্তটাকে আপনারা ধরে রাখছেন।’

প্রতিহিংসা নয়, তাবিথের চাওয়া খেলাধুলার মাধ্যমে যেন প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতা তৈরি হয় এবং দেশে একটা সুস্থ সমাজ গড়ে ওঠে। বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘আপনাদের লেখার মাধ্যমে আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করেন ও আপনাদের লেখার মাধ্যমে খেলাধুলা যে ধরনের ইমপ্যাক্ট তৈরি করছে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের জনগণের ওপর, সেটা খুব ভালোভাবে আপনারা তুলে ধরেন। কারণ, আমরা জানি যে খেলাধুলা শুধু প্রতিযোগিতা না। খেলাধুলা মনস্তাত্ত্বিক প্রতিযোগিতা তৈরি করে। আমরা প্রতিহিংসা নয়। প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতা তৈরি করতে চাই। সেই অবদানটা কিন্তু আমাদের ক্রীড়াবিদদের। আমরা বাংলাদেশে দেখতে চাই একটা সুস্থ সমাজ। শারীরিকভাবে হোক, মানসিকভাবে হোক। খেলাধুলার মাধ্যমেই এটা হয়। খেলাধুলার সঙ্গে আমরা যতটুকু সময় জড়িয়ে থাকব, জাতীয় হোক, অ্যামেচার হোক, প্রফেশনাল হোক, নন-প্রফেশনাল হোক, ততই আমরা কিন্তু একটা ভালো সমাজ গড়ে তুলতে পারব। এই ইমপ্যাক্টটা কিন্তু খেলাধুলা আমাদের দিচ্ছে।’

খেলাধুলা যে দেশের অর্থনীতিতে কতটা প্রভাব ফেলে সেটা না বললেও চলছে। ভারতে এক আইপিএল দিয়েই কোটি কোটি টাকা অর্থ উপার্জন করা যায় মাত্র তিন মাসের মধ্যেই। আর ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করলে কত শত কোটি টাকা যে যোগ হয় একটা দেশের অর্থনীতিতে, সেটা ধারণাতীত। তাবিথ যেন আজ এটাই মনে করিয়ে দিতে চাইলেন। বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস যেটা আপনারা আজকে নিয়ে কথা বলছেন সেটা হলো অর্থনীতি। ক্রীড়া অর্থনীতি সম্ভবত বিশ্বের চতুর্থ বৃহৎ ক্রীড়া ইকোনমি। বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নিতে আমাদের ক্রীড়া সংগঠনগুলো ভালো উদ্যোগ ভূমিকা রাখতে পারে। সেই কথাগুলি আমি বিশ্বাস করি যে বিএসপিএ-এর মাধ্যমে ছড়িয়ে যাবে এবং বিএসপিএ-এর জন্যই আমরা কাজ করব।’

ফুটবল-ক্রিকেটসহ দেশের অন্যান্য খেলাধুলায় কীভাবে উন্নয়ন সম্ভব, সেটা নিয়ে তাবিথের সঙ্গে কথাবার্তা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বুলবুল। সেক্ষেত্রে কিছু কিছু উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেছেন বিসিবি সভাপতি। সাংবাদিকদের এ ব্যাপারে বুলবুল বলেন, ‘বসে বসে আলাপ করছিলাম তাবিথ ভাইয়ের সঙ্গে। আমরা যদি তাকিয়ে দেখি অলিম্পিক স্পোর্টস, মাল্টি স্পোর্টসগুলো মানে অন্যান্য যে সংস্থাগুলো খেলে, সেখানে কিন্তু আমাদের অত বড় সাফল্য নেই। আমরা সকলে কিছু কিছু অবদান যদি রাখতে পারি যেমন স্পোর্টস সায়েন্স, স্পোর্টস মেডিসিন, স্পোর্টস সাইকোলজি, একটা পরিপূর্ণ বায়োমেকানিকাল ল্যাব। সেখানে আমরা আমন্ত্রণ জানাই সব খেলাধুলার বিভাগকে। এই প্রোগ্রামটার পেছনে গত পাঁচ-ছয় মাস ধরে কাজ করেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

লিগ বর্জন করা ক্লাবগুলোকে কঠিন শাস্তি দেবে বিসিবি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ২১: ৫৪
বিসিবি। ফাইলছবি
বিসিবি। ফাইলছবি

লিগ বর্জন করা ক্লাবগুলোর ব্যাপারে এবার কঠোর হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ সেটা নিশ্চিত করেছে বোর্ড। নতুন মৌসুমের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ এবং প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও তৃতীয় বিভাগ বাছাইয়ের লিগ থেকে নতুন এই নিয়ম কার্যকর হতে যাচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোনো দল সম্পূর্ণভাবে বা আংশিকভাবে লিগে অংশগ্রহণ করতে ব্যর্থ হলে কিংবা শুরুর পর প্রতিযোগিতা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করলে সংশ্লিষ্ট দলটি অযোগ্য ঘোষিত হবে ও রেলিগেশনে চলে যাবে। সেই মৌসুমে দলটির পুনরায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। অযোগ্য ঘোষণার বা প্রত্যাহারের আগে যদি দলটি এক বা একাধিক ম্যাচে অংশ নিয়ে থাকে, তবে সেই ম্যাচগুলোর পূর্ণ পয়েন্ট প্রতিপক্ষ দলকে দেওয়া হবে। মূল ফল বিবেচিত হবে না।

দল অযোগ্য ঘোষিত হওয়ার পর সূচি অনুযায়ী তাদের বিপক্ষে যেসব দলের খেলার কথা ছিল, প্রতিপক্ষ দলগুলো আপনাআপনি ম্যাচের পূর্ণ পয়েন্ট পাবে। লিগ শুরুর আগে যেসব দল আনুষ্ঠানিকভাবে খেলা থেকে নাম প্রত্যাহার করবে, তাদের ক্ষেত্রে এই ধারা প্রযোজ্য নয়। কোনো মৌসুমে দুটি বা তার বেশি দল অংশগ্রহণ না করা বা প্রত্যাহারের কারণে অবনমিত হলে রেলিগেশন লিগ হবে না। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ২০২৫–২৬ মৌসুমে এই ধারার আওতায় কয়টি দল অবনমিত হয়েছে, তার ভিত্তিতে সিসিডিএম নির্ধারণ করবে ২০২৬-২৭ মৌসুমে কয়টি দল খেলবে।

বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন হয়েছে ৬ অক্টোবর। নির্বাচনের আগেই লিগ বর্জনের হুমকি দিয়েছিল আবাহনী-মোহামেডানসহ ৪৮ ক্লাব। তাদের দাবি ছিল নির্বাচন বাতিল করা। শেষ পর্যন্ত নির্বাচন হয়েছে আর বিসিবি কয়েকটি ক্লাবকে বুঝিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলাতে রাজি হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত