নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
এই ম্যাচ নিয়ে কত উন্মাদনা! ক্রিকেট ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হলে সেই ম্যাচের টিকিট হয়ে পড়ে সোনার হরিণ। আয়োজক শহরের আবাসিক হোটেল আর খালি থাকে না। ম্যাচের সম্প্রচারকারী টিভির বিজ্ঞাপনী স্লটের দাম উঠে যায় আকাশে!
‘শক্রপ্রতিম’ প্রতিবেশী দুই দেশের লড়াই নিয়ে কাগজ-কলমে এবারও ছিল উন্মাদনা। কিন্তু কাল দুবাইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মানদণ্ডে সেই উন্মাদনার ‘উ’-ও ছিল না! ২৪২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় জয়ের কক্ষপথে থাকা ভারতকে তেমন বেগও দিতে পারেনি। ২ উইকেট হারিয়ে ভারত ৩৩.২ ওভারে ১৮২ রান তুলে ফেলেছে। জয়ের জন্য ৯৯ বলে ভারতকে তুলতে হবে মাত্র ৬০ রান।
ম্যাচের আগে পিচ রিপোর্টে ক্যারিবিয়ান ধারাভাষ্যকার ইয়ান বিশপ বলেছিলেন, লড়াইয়ের জন্য ২৭০ রানই যথেষ্ট। কিন্তু পাকিস্তান যেতে পারেনি এর ধারে-কাছেও। দুই বল বাকি থাকতেই তারা গুটিয়ে যায় ২৪১ রানে। পরে বোলিংয়েও ভারতকে এমন কোনো পরিস্থিতিতে ফেলতে পারেনি তারা, তাতে একবারও কারো মনে হয়নি ‘পাকিস্তান জিততে পারে’!
বড় স্কোর গড়তে না পারায় জয়ের জন্য ভারতীয় ইনিংসের শুরুতেই ধাক্কা দিতে হতো পাকিস্তান বোলারদের। কিন্তু শাহিন শাহ আফ্রিদি-হারিস রউফরা রইলেন ছন্নছাড়াই। তাই মরুর বুকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির অন্যতম আকর্ষণীয় লড়াইয়ে রোমাঞ্চ নয়, বরং ভারতের একপেশে আধিপত্যেরই দেখা মিলল। আগ্রাসী শুরুর পর রোহিত শর্মা ফিরে যান ১৫ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২০ রান করে। দারুণ এক ইনসুইং ইয়র্কারে তাঁকে বোল্ড করেন শাহিন। তবে ভারতকে তেমন চাপে রাখার সুযোগ পায়নি পাকিস্তান। বিরাট কোহলিকে নিয়ে শুবমান গিল খেলতে থাকেন স্বাচ্ছন্দ্যেই। আগের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা গিল এদিন ৫২ বলে ৭ চারে ৪৭ রান করে। পরে শ্রেয়াস আইয়ারের সঙ্গে জুটি বাঁধেন কোহলি। ফিফটি (৫৬) করে আইয়ারও বিদায় নেন। তবে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন কোহলি। বোলার খুশদিন শাহকে ৪ মেরে রানের তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন তিনি, ৬ উইকেটে জয় নিশ্চিত করেছেন দলের। ভারতকে জেতাতে খেলেছেন হারা না মানা ১০০ রানের রানের ইনিংস। ১১১ বলে ৭টি চারে রেকর্ড ৫১তম এই সেঞ্চুরির করার পথে দ্রুততম ব্যাটার (২৮৭ ইনিংস) হিসেবে ওয়ানডেতে ১৪ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন। টপকে গেছেন কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারকে (৩৫০)।
ভারতের সহজ জয়ের ভিতটা গড়ে দিয়েছিলেন বোলাররাই। বোলিংয়ে নেমে যথারীতি মোহাম্মদ শামির হাতে আগে বল তুলে দেন রোহিত। প্রথম ওভারে কিছুটা এলোমেলোই ছিলেন শামি। বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তাঁর বেশ সুনাম থাকলেও পাঁচটি ওয়াইড দিয়ে অবাক করেন সবাইকে। তবে দ্রুতই সামলে নেন নিজেকে।
ভালো বোলিংয়ের ফল হিসেবে পাওয়ার প্লের ভেতরই ব্রেক থ্রুর দেখা পায় ভারত। নবম ওভারে বাবর আজমকে শিকার করেন হার্দিক পান্ডিয়া। অফ স্টাম্পের অনেকটা বাইরের বল খোঁচা মেরে উইকেটরক্ষক লোকেশ রাহুলকে ক্যাচ দেন বাবর। ছন্দহীনতা ধরে রেখে ২৬ বলে ৫ চারে ২৩ রানে ফেরেন তিনি। পরের ওভারে অক্ষর প্যাটেলের দুর্দান্ত থ্রোয়ে রানআউট হন ইমাম-উল হক। ফখর জামানের ইনজুরি কপাল খুলে দিয়েছিল তাঁর। কিন্তু কাজে লাগাতে পারলেন না সুযোগ। ২৬ বলে ১০ রান করেই ফিরতে হয় তাঁকে।
উদ্বোধনী জুটি বিদায় নেওয়ার পর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সৌদ শাকিল। প্রথমে ধীরে খেললেও থিতু হওয়ার পর রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টায় থাকেন তাঁরা। কিন্তু সেই সাজানো জুটিতে চিড় ধরান অক্ষর প্যাটেল। একবার জীবন পেয়েও সেটার সদ্ব্যবহার করতে পারেননি রিজওয়ান। অক্ষরকে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে নিজের স্টাম্প হারিয়ে ফেলেন তিনি। ফলে ভাঙে ১০৩ রানের জুটি। ৭৭ বলে ৩ চারে ৪৬ রানে ফেরেন রিজওয়ান।
শাকিল অবশ্য ফিফটির দেখা পান, তবু ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। পান্ডিয়ার শিকার হয়ে ৭৬ বলে ৫ চারে ৬২ রানেই থামতে হয় তাঁকে। পরের সময়টা কেবলই ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিল। খুশদিল শাহ প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও ৩৯ বলে ২ ছক্কায় ৩৮ রানের বেশি করতে পারেননি।
ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন কুলদীপ যাদব। এ ছাড়া পান্ডিয়া দুটি, হর্ষিত রানা, অক্ষর ও রবীন্দ্র জাদেজার শিকার একটি করে উইকেট।
পাকিস্তান: ৪৯.৪ ওভারে ২৪১
ভারত: ৪২.৩ ওভারে ২৪৪/৪
ফল: ভারত ৬ উইকেটে জয়ী।
এই ম্যাচ নিয়ে কত উন্মাদনা! ক্রিকেট ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হলে সেই ম্যাচের টিকিট হয়ে পড়ে সোনার হরিণ। আয়োজক শহরের আবাসিক হোটেল আর খালি থাকে না। ম্যাচের সম্প্রচারকারী টিভির বিজ্ঞাপনী স্লটের দাম উঠে যায় আকাশে!
‘শক্রপ্রতিম’ প্রতিবেশী দুই দেশের লড়াই নিয়ে কাগজ-কলমে এবারও ছিল উন্মাদনা। কিন্তু কাল দুবাইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মানদণ্ডে সেই উন্মাদনার ‘উ’-ও ছিল না! ২৪২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় জয়ের কক্ষপথে থাকা ভারতকে তেমন বেগও দিতে পারেনি। ২ উইকেট হারিয়ে ভারত ৩৩.২ ওভারে ১৮২ রান তুলে ফেলেছে। জয়ের জন্য ৯৯ বলে ভারতকে তুলতে হবে মাত্র ৬০ রান।
ম্যাচের আগে পিচ রিপোর্টে ক্যারিবিয়ান ধারাভাষ্যকার ইয়ান বিশপ বলেছিলেন, লড়াইয়ের জন্য ২৭০ রানই যথেষ্ট। কিন্তু পাকিস্তান যেতে পারেনি এর ধারে-কাছেও। দুই বল বাকি থাকতেই তারা গুটিয়ে যায় ২৪১ রানে। পরে বোলিংয়েও ভারতকে এমন কোনো পরিস্থিতিতে ফেলতে পারেনি তারা, তাতে একবারও কারো মনে হয়নি ‘পাকিস্তান জিততে পারে’!
বড় স্কোর গড়তে না পারায় জয়ের জন্য ভারতীয় ইনিংসের শুরুতেই ধাক্কা দিতে হতো পাকিস্তান বোলারদের। কিন্তু শাহিন শাহ আফ্রিদি-হারিস রউফরা রইলেন ছন্নছাড়াই। তাই মরুর বুকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির অন্যতম আকর্ষণীয় লড়াইয়ে রোমাঞ্চ নয়, বরং ভারতের একপেশে আধিপত্যেরই দেখা মিলল। আগ্রাসী শুরুর পর রোহিত শর্মা ফিরে যান ১৫ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২০ রান করে। দারুণ এক ইনসুইং ইয়র্কারে তাঁকে বোল্ড করেন শাহিন। তবে ভারতকে তেমন চাপে রাখার সুযোগ পায়নি পাকিস্তান। বিরাট কোহলিকে নিয়ে শুবমান গিল খেলতে থাকেন স্বাচ্ছন্দ্যেই। আগের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা গিল এদিন ৫২ বলে ৭ চারে ৪৭ রান করে। পরে শ্রেয়াস আইয়ারের সঙ্গে জুটি বাঁধেন কোহলি। ফিফটি (৫৬) করে আইয়ারও বিদায় নেন। তবে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন কোহলি। বোলার খুশদিন শাহকে ৪ মেরে রানের তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন তিনি, ৬ উইকেটে জয় নিশ্চিত করেছেন দলের। ভারতকে জেতাতে খেলেছেন হারা না মানা ১০০ রানের রানের ইনিংস। ১১১ বলে ৭টি চারে রেকর্ড ৫১তম এই সেঞ্চুরির করার পথে দ্রুততম ব্যাটার (২৮৭ ইনিংস) হিসেবে ওয়ানডেতে ১৪ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন। টপকে গেছেন কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারকে (৩৫০)।
ভারতের সহজ জয়ের ভিতটা গড়ে দিয়েছিলেন বোলাররাই। বোলিংয়ে নেমে যথারীতি মোহাম্মদ শামির হাতে আগে বল তুলে দেন রোহিত। প্রথম ওভারে কিছুটা এলোমেলোই ছিলেন শামি। বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তাঁর বেশ সুনাম থাকলেও পাঁচটি ওয়াইড দিয়ে অবাক করেন সবাইকে। তবে দ্রুতই সামলে নেন নিজেকে।
ভালো বোলিংয়ের ফল হিসেবে পাওয়ার প্লের ভেতরই ব্রেক থ্রুর দেখা পায় ভারত। নবম ওভারে বাবর আজমকে শিকার করেন হার্দিক পান্ডিয়া। অফ স্টাম্পের অনেকটা বাইরের বল খোঁচা মেরে উইকেটরক্ষক লোকেশ রাহুলকে ক্যাচ দেন বাবর। ছন্দহীনতা ধরে রেখে ২৬ বলে ৫ চারে ২৩ রানে ফেরেন তিনি। পরের ওভারে অক্ষর প্যাটেলের দুর্দান্ত থ্রোয়ে রানআউট হন ইমাম-উল হক। ফখর জামানের ইনজুরি কপাল খুলে দিয়েছিল তাঁর। কিন্তু কাজে লাগাতে পারলেন না সুযোগ। ২৬ বলে ১০ রান করেই ফিরতে হয় তাঁকে।
উদ্বোধনী জুটি বিদায় নেওয়ার পর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সৌদ শাকিল। প্রথমে ধীরে খেললেও থিতু হওয়ার পর রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টায় থাকেন তাঁরা। কিন্তু সেই সাজানো জুটিতে চিড় ধরান অক্ষর প্যাটেল। একবার জীবন পেয়েও সেটার সদ্ব্যবহার করতে পারেননি রিজওয়ান। অক্ষরকে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে নিজের স্টাম্প হারিয়ে ফেলেন তিনি। ফলে ভাঙে ১০৩ রানের জুটি। ৭৭ বলে ৩ চারে ৪৬ রানে ফেরেন রিজওয়ান।
শাকিল অবশ্য ফিফটির দেখা পান, তবু ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। পান্ডিয়ার শিকার হয়ে ৭৬ বলে ৫ চারে ৬২ রানেই থামতে হয় তাঁকে। পরের সময়টা কেবলই ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিল। খুশদিল শাহ প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও ৩৯ বলে ২ ছক্কায় ৩৮ রানের বেশি করতে পারেননি।
ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন কুলদীপ যাদব। এ ছাড়া পান্ডিয়া দুটি, হর্ষিত রানা, অক্ষর ও রবীন্দ্র জাদেজার শিকার একটি করে উইকেট।
পাকিস্তান: ৪৯.৪ ওভারে ২৪১
ভারত: ৪২.৩ ওভারে ২৪৪/৪
ফল: ভারত ৬ উইকেটে জয়ী।
ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা আর উৎসবমুখর পরিবেশে শেষ হলো কেএসআরএম ফুটবল টুর্নামেন্ট (কেএফটি সিজন-২)। গতকাল শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) টুর্নামেন্টের ফাইনালে অংশ নেয় কেএসএল ফাইটার্স ও ইলেকট্রো এলিট। ১-০ গোলে ভাগ্যনির্ধারণ...
৩ ঘণ্টা আগেইসলামাবাদের টিম হোটেলে বসেই বাংলাদেশ দল দেখেছে গতকালের ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ। লাহোরে ৭০০ + রানের ম্যাচে ইংল্যান্ডের দেওয়া ৩৫২ রানের বড় লক্ষ্য অস্ট্রেলিয়া টপকেছে ১৫ বল আর ৫ উইকেট হাতে রেখে। বাংলাদেশ কোচ ফিল সিমন্স নিজেই পরশুর ম্যাচের উদাহরণ টেনে বলতে চাইলেন, রাওয়ালপিন্ডির ফ্ল্যাট উইকেটে ভিন্ন
৪ ঘণ্টা আগেভারতীয় ইনিংসের ১৩ তম ওভারে দারুণ চিরচেনা এক কাভারর ড্রাইভে বিরাট কোহলি বোলার হারিস রউফকে করলেন সীমানা ছাড়া। তাতে গর্জন উঠল দুবাইয়ের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্টেডিয়ামে। সে গর্জন কোহলির জন্য। বল সীমানা দড়ি ছোঁয়ার মধ্য দিয়েই যে ওয়ানডেতে ১৪ হাজারি ক্লাবে পা রাখলেন এই প্রজন্মের অন্যতম সেরা ব্যাটার।
৫ ঘণ্টা আগেঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) দুই দিনব্যাপী দলবদল শেষ হয়েছে আজ। এই দলবদলে ওপেনার লিটন দাস ও পেসার মোস্তাফিজুর রহমানের কোনো দল নিশ্চিত হয়নি। দুই দিনে দলবদল করেছেন ১৬৫ ক্রিকেটার।
৬ ঘণ্টা আগে