নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাকি প্রায় আট মাস। এ সময়ে যখন নিজেদের ভুলত্রুটি শুধরে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে থাকার কথা, তখন বাংলাদেশ দল সেই পুরোনো রোগেই আক্রান্ত—অপরিণত ব্যাটিং, মন্থর ফিল্ডিং আর পরিকল্পনাহীন বোলিং! পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথমটিতে অসহায় আত্মসমর্পণ করা লিটনদের সামনে আজ দ্বিতীয় ম্যাচ। পাকিস্তান সফরের মাঝপথে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) চলছে আরেক অস্থিরতা। অপসারণ করা হয়েছে সভাপতি ফারুক আহমেদকে। বাইরের এ সব অস্থিরতার মাঝেই সিরিজ বাঁচাতে হলে মাঠের জিততেই হবে বাংলাদেশকে।
সিরিজ শুরুর আগে বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন বলেছিলেন, ‘ফল নয়, প্রক্রিয়া ঠিক রেখে ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই।’ তবে মাঠের পারফরম্যান্সে তাঁর কথার প্রতিফলন দেখা যায়নি। প্রথম ম্যাচে তিন বিভাগেই চরম ব্যর্থ ছিল সফরকারী দল। ২০২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নিজেদের সেরাটা থেকে অনেক দূরে ছিলেন ব্যাটাররা। ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৮ রান এসেছে লিটনের ব্যাটে। কিন্তু সেই ইনিংসেও ম্যাচে ফেরার কোনো ইঙ্গিত ছিল না!
আমিরাত সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করা ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ছিলেন নিষ্প্রভ। তিন নম্বরে তাওহীদ হৃদয় ২২ বলে ১৭ রান করে আউট হয়ে উল্টো দলের বিপদ বাড়িয়েছেন। তাঁর এমন মন্থর ব্যাটিংয়ে হতাশ রমিজ রাজাও। পাকিস্তানের সাবেক এই ক্রিকেটার ধারাভাষ্যে দেওয়ার সময় বলছিলেন, ‘এই সময় এমন আত্মবিশ্বাসহীন ব্যাটিং কিছুতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।’
শুধু কি ব্যাটিং? লাহোরে বাংলাদেশের ফিল্ডিংও ছিল হতাশাজনক। সহজ ক্যাচ ফেলা, বাউন্ডারি আটকাতে ভুলপথে দৌড়ানো, যা এই সময়ের টি-টোয়েন্টির সঙ্গে একদমই বেমানান। ম্যাচশেষে লিটনও স্বীকার করে নিলেন, ‘পুরো ম্যাচেই আমরা ভালো ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং করতে পারিনি।’
সাম্প্রতিক সময়ে দলের বড় ভরসা হয়ে উঠছেন জাকের আলী। পরশুর ম্যাচেও ২০ বলে ৩৬ রান করেছেন, যদিও তা দলের কোনো কাজে আসেনি। তবে সতীর্থদের ব্যর্থতায় তাঁর সে ব্যটিংও নজর কেড়েছে অধিনায়কের, ‘গত এক বছরে জাকের দারুণ খেলছে। সে এখন দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।’
কিন্তু ক্রিকেট দলের খেলা। নির্ভর করা যায় এমন কেউ দলে না থাকলে মাঠে দল হিসেবেই খেলতে হয়। এখানেও পিছিয়ে বাংলাদেশ। আর আমিরাতের কাছে সিরিজ হেরে এসে পাকিস্তানের বিপক্ষে জিততে চাইলে দল হিসেবেই খেলতে হবে বাংলাদেশকে।
২০২ রানের লক্ষ্য তাড়া কঠিন হলেও অসম্ভব ছিল কি? লিটন অন্তত মনে করেন না, ‘এই মাঠে ২০০ রান তাড়া করা সম্ভব বলে মনে করি আমি। কেননা এই মাঠ খুবই গতিময়। ব্যাটিংয়ের জন্য উইকেটও ভালো ছিল।’ তারপরও ভালো ব্যাটিং করতে না পারার কারণ ওই একটাই, লিটনের ভাষায়, ‘আমরা পারিনি।’
আজ দ্বিতীয় ম্যাচেও না পারলে সিরিজ হাতছাড়া হয়ে যাবে বাংলাদেশের। তাই আজকের ম্যাচটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রেরণা হতে পারে আরব আমিরাতই। মরুর দেশটিতে তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথমটিতে হেরে গিয়েছিল তারা। তবে পরের দুটি ম্যাচ জিতে সিরিজই জিতে নিয়েছিল।
পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ হারলেও টানা দুটি ম্যাচ জিতে এখনো জয়ের সুযোগ বাংলাদেশের! প্রথম টি-টোয়েন্টি শেষে পুরস্কর বিতরণী মঞ্চে এসে ঘুরে দাঁড়ানোর কথাই বললেন সফরকারী দলের অধিনায়ক, ‘আমাদের শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। এখনো দুটি ম্যাচ বাকি।’
শুধু সিরিজ বাঁচানোর জন্যই নয়, তলানিতে এসে ঠেকা আত্মবিশ্বাসটাকেও বাঁচিয়ে রাখার জন্য আজ জিততেই হবে লিটনদের!
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাকি প্রায় আট মাস। এ সময়ে যখন নিজেদের ভুলত্রুটি শুধরে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে থাকার কথা, তখন বাংলাদেশ দল সেই পুরোনো রোগেই আক্রান্ত—অপরিণত ব্যাটিং, মন্থর ফিল্ডিং আর পরিকল্পনাহীন বোলিং! পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথমটিতে অসহায় আত্মসমর্পণ করা লিটনদের সামনে আজ দ্বিতীয় ম্যাচ। পাকিস্তান সফরের মাঝপথে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) চলছে আরেক অস্থিরতা। অপসারণ করা হয়েছে সভাপতি ফারুক আহমেদকে। বাইরের এ সব অস্থিরতার মাঝেই সিরিজ বাঁচাতে হলে মাঠের জিততেই হবে বাংলাদেশকে।
সিরিজ শুরুর আগে বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন বলেছিলেন, ‘ফল নয়, প্রক্রিয়া ঠিক রেখে ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই।’ তবে মাঠের পারফরম্যান্সে তাঁর কথার প্রতিফলন দেখা যায়নি। প্রথম ম্যাচে তিন বিভাগেই চরম ব্যর্থ ছিল সফরকারী দল। ২০২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নিজেদের সেরাটা থেকে অনেক দূরে ছিলেন ব্যাটাররা। ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৮ রান এসেছে লিটনের ব্যাটে। কিন্তু সেই ইনিংসেও ম্যাচে ফেরার কোনো ইঙ্গিত ছিল না!
আমিরাত সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করা ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ছিলেন নিষ্প্রভ। তিন নম্বরে তাওহীদ হৃদয় ২২ বলে ১৭ রান করে আউট হয়ে উল্টো দলের বিপদ বাড়িয়েছেন। তাঁর এমন মন্থর ব্যাটিংয়ে হতাশ রমিজ রাজাও। পাকিস্তানের সাবেক এই ক্রিকেটার ধারাভাষ্যে দেওয়ার সময় বলছিলেন, ‘এই সময় এমন আত্মবিশ্বাসহীন ব্যাটিং কিছুতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।’
শুধু কি ব্যাটিং? লাহোরে বাংলাদেশের ফিল্ডিংও ছিল হতাশাজনক। সহজ ক্যাচ ফেলা, বাউন্ডারি আটকাতে ভুলপথে দৌড়ানো, যা এই সময়ের টি-টোয়েন্টির সঙ্গে একদমই বেমানান। ম্যাচশেষে লিটনও স্বীকার করে নিলেন, ‘পুরো ম্যাচেই আমরা ভালো ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং করতে পারিনি।’
সাম্প্রতিক সময়ে দলের বড় ভরসা হয়ে উঠছেন জাকের আলী। পরশুর ম্যাচেও ২০ বলে ৩৬ রান করেছেন, যদিও তা দলের কোনো কাজে আসেনি। তবে সতীর্থদের ব্যর্থতায় তাঁর সে ব্যটিংও নজর কেড়েছে অধিনায়কের, ‘গত এক বছরে জাকের দারুণ খেলছে। সে এখন দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।’
কিন্তু ক্রিকেট দলের খেলা। নির্ভর করা যায় এমন কেউ দলে না থাকলে মাঠে দল হিসেবেই খেলতে হয়। এখানেও পিছিয়ে বাংলাদেশ। আর আমিরাতের কাছে সিরিজ হেরে এসে পাকিস্তানের বিপক্ষে জিততে চাইলে দল হিসেবেই খেলতে হবে বাংলাদেশকে।
২০২ রানের লক্ষ্য তাড়া কঠিন হলেও অসম্ভব ছিল কি? লিটন অন্তত মনে করেন না, ‘এই মাঠে ২০০ রান তাড়া করা সম্ভব বলে মনে করি আমি। কেননা এই মাঠ খুবই গতিময়। ব্যাটিংয়ের জন্য উইকেটও ভালো ছিল।’ তারপরও ভালো ব্যাটিং করতে না পারার কারণ ওই একটাই, লিটনের ভাষায়, ‘আমরা পারিনি।’
আজ দ্বিতীয় ম্যাচেও না পারলে সিরিজ হাতছাড়া হয়ে যাবে বাংলাদেশের। তাই আজকের ম্যাচটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রেরণা হতে পারে আরব আমিরাতই। মরুর দেশটিতে তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথমটিতে হেরে গিয়েছিল তারা। তবে পরের দুটি ম্যাচ জিতে সিরিজই জিতে নিয়েছিল।
পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ হারলেও টানা দুটি ম্যাচ জিতে এখনো জয়ের সুযোগ বাংলাদেশের! প্রথম টি-টোয়েন্টি শেষে পুরস্কর বিতরণী মঞ্চে এসে ঘুরে দাঁড়ানোর কথাই বললেন সফরকারী দলের অধিনায়ক, ‘আমাদের শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। এখনো দুটি ম্যাচ বাকি।’
শুধু সিরিজ বাঁচানোর জন্যই নয়, তলানিতে এসে ঠেকা আত্মবিশ্বাসটাকেও বাঁচিয়ে রাখার জন্য আজ জিততেই হবে লিটনদের!
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরই আমিনুল ইসলাম বুলবুল ঘোষণা দিয়েছিলেন—বিসিবির কার্যক্রমে গতি আনতে কিছু বিভাগ এবং সাংগঠনিক কাঠামোয় রদবদল করবেন। এবার সেই ঘোষণার বাস্তব রূপ দেখা গেল।
২ মিনিট আগেজিম্বাবুয়েতে ত্রিদেশীয় সিরিজে দুর্দান্ত খেলছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গতকালের হারটা ‘দুর্ঘটনা’ হিসেবে ধরলে আজিজুল হাকিম তামিম-ইকবাল হোসেন ইমনদের টুর্নামেন্টটা কাটছে দুর্দান্ত। দুই ম্যাচ হাতে রেখেই ফাইনালের টিকিট কেটেছেন বাংলাদেশের যুবারা।
৪৪ মিনিট আগেইনগে সরেনসেনের নামটা এই প্রজন্মের সাঁতারপ্রেমীদের মনে থাকার কথা নয়। ১৯৩৬ সালের বার্লিন অলিম্পিকে ডেনিশ এই সাঁতারু যখন ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন, তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১২ বছর। অলিম্পিক গেমসের সাঁতারের ২০০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোকে জেতা সে ব্রোঞ্জটাই খুদে এই সাঁতারুকে অনন্য উচ্চতায় তুলে দিয়েছিল। হয়েছিলেন অলিম্পিকের
১ ঘণ্টা আগেদারুণ এক মৌসুম কাটানোর পর গালাতাসারাই এবার ভিক্টর ওসিমেনকে কিনেই নিল। নাপোলি থেকে গত মৌসুমে ধারে তুরস্কের ক্লাব গালাতাসারাইয়ে এসেছিলেন এই নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার। দলকে লিগ শিরোপা জেতানোর পথে ৩০ ম্যাচে ২৬ গোল করেন তিনি। সুফল পেয়ে এবার তাঁর সঙ্গে স্থায়ীভাবে চুক্তি করল তুর্কি চ্যাম্পিয়নরা।
১ ঘণ্টা আগে