বিখ্যাত ঔপন্যাসিক ও ক্রীড়া লেখক কলিন বেটম্যান এক বোলারকে নিয়ে লিখেছিলেন, ‘সে খুব সহজেই সর্বস্ব নিংড়ে দিয়ে বোলিং করে। ব্যাপারটি জাদুমন্ত্রের মতো মনে হয়। যদিও ব্যাটিংয়ে সে সহজাত আন্ডারডগ, ফিল্ডিংয়ে একেবারেই বিশ্রী। শুধু বোলিং দিয়েই সে জাতীয় বীর বনে গেছে।’
বেটম্যান যাঁকে নিয়ে কথাগুলো লিখেছেন, তিনি আর কেউ নন—নব্বইয়ের দশকে ইংল্যান্ডে হাতে গোনা যে কজন নিখাদ ফাস্ট বোলার ছিলেন, তাঁদেরই একজন ডেভন ম্যালকম।
ক্রিস গেইল-উসাইন বোল্টের দেশ জ্যামাইকায় জন্ম নেওয়া ম্যালকম ১৬ বছর বয়সে পড়াশোনা করতে আসেন ইংল্যান্ডে। ক্রিকেটের প্রেমে পড়েন তখন থেকেই। কাউন্টি ক্রিকেটে অসাধারণ বোলিংয়ের সুবাদে ১৯৮৯ সালে ডাক পান জাতীয় দলে। খ্যাপাটে এই পেসারের অভিষেকও হয় সে বছরই, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মহামর্যাদার অ্যাশেজ দিয়ে।
তবে ম্যালকমের হাত থেকে সেরা ডেলিভারিগুলো বেরিয়ে আসে আরও পাঁচ বছর পরে, তাঁকে তাতিয়ে দেওয়ার কারণেই। ১৯৯৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওভাল টেস্টের প্রথম ইনিংসে শেষ ব্যাটার হিসেবে উইকেটে আসতেই ফ্যানি ডি ভিলিয়ার্সের বাউন্সার আঘাত হানে ম্যালকমের হেলমেটে। তিনি উত্তেজিত হয়ে স্লিপে দাঁড়ানো প্রোটিয়া ফিল্ডারদের কাছে গিয়ে বলেন, ‘তোমরা নিজেরাই একেকটা ইতিহাস।’
পরের ইনিংসে নিজেই ইতিহাস গড়েন ম্যালকম। ৫৭ রানে ৯ উইকেট তুলে নিয়ে কেপলার ওয়েসেলস, হ্যান্সি ক্রনিয়ে, গ্যারি কারস্টেনদের হতভম্ব করে দেন তিনি। ম্যালকমের দুর্ধর্ষ বোলিংয়েই ইংল্যান্ড পরে ম্যাচ জিতে নেয়।
২৭ বছর আগে ম্যালকমের সেই কীর্তি টেস্ট ইতিহাসে নবম সেরা বোলিং ফিগার। অথচ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঠিক পরের ম্যাচেই দলে জায়গা হারান তিনি!
দুর্ভাগা ম্যালকমের কাহিনি আজাজ প্যাটেলের কারণেই এত বছর পর আবার সামনে এল। গত ৪ ডিসেম্বর জন্মশহর মুম্বাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ইনিংসে ১০ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের আজাজ। বাংলাদেশের বিপক্ষে পরের সিরিজেই বাদ দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
অবশ্য ম্যালকমের বাদ পড়ার পেছনে যুক্তিসংগত কারণ ছিল। জলবসন্ত হওয়ায় তাঁকে বিবেচনা করেনি ইংলিশ বোর্ড। কিন্তু বাংলাদেশ সিরিজে আজাজকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে অদ্ভুত যুক্তি দাঁড় করিয়ে। পরশু দল ঘোষণার পর নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (এনজেডসি) জানিয়েছে, ঘরের মাঠে কন্ডিশন স্পিনারদের জন্য অনুকূল না হওয়ায় বিশেষজ্ঞ স্পিনার রাখা হয়নি। তাই ভারতের বিপক্ষে বীরোচিত পারফরম্যান্সের পরও সুযোগ হয়নি বাঁহাতি স্পিনার আজাজের।
মুমিনুল হক-মুশফিকুর রহিমদের বিপক্ষে স্পিন অলরাউন্ডার হিসেবে শুধু রাচিন রবীন্দ্রকে রাখা হয়েছে। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু হবে ১ জানুয়ারি থেকে।
বিখ্যাত ঔপন্যাসিক ও ক্রীড়া লেখক কলিন বেটম্যান এক বোলারকে নিয়ে লিখেছিলেন, ‘সে খুব সহজেই সর্বস্ব নিংড়ে দিয়ে বোলিং করে। ব্যাপারটি জাদুমন্ত্রের মতো মনে হয়। যদিও ব্যাটিংয়ে সে সহজাত আন্ডারডগ, ফিল্ডিংয়ে একেবারেই বিশ্রী। শুধু বোলিং দিয়েই সে জাতীয় বীর বনে গেছে।’
বেটম্যান যাঁকে নিয়ে কথাগুলো লিখেছেন, তিনি আর কেউ নন—নব্বইয়ের দশকে ইংল্যান্ডে হাতে গোনা যে কজন নিখাদ ফাস্ট বোলার ছিলেন, তাঁদেরই একজন ডেভন ম্যালকম।
ক্রিস গেইল-উসাইন বোল্টের দেশ জ্যামাইকায় জন্ম নেওয়া ম্যালকম ১৬ বছর বয়সে পড়াশোনা করতে আসেন ইংল্যান্ডে। ক্রিকেটের প্রেমে পড়েন তখন থেকেই। কাউন্টি ক্রিকেটে অসাধারণ বোলিংয়ের সুবাদে ১৯৮৯ সালে ডাক পান জাতীয় দলে। খ্যাপাটে এই পেসারের অভিষেকও হয় সে বছরই, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মহামর্যাদার অ্যাশেজ দিয়ে।
তবে ম্যালকমের হাত থেকে সেরা ডেলিভারিগুলো বেরিয়ে আসে আরও পাঁচ বছর পরে, তাঁকে তাতিয়ে দেওয়ার কারণেই। ১৯৯৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওভাল টেস্টের প্রথম ইনিংসে শেষ ব্যাটার হিসেবে উইকেটে আসতেই ফ্যানি ডি ভিলিয়ার্সের বাউন্সার আঘাত হানে ম্যালকমের হেলমেটে। তিনি উত্তেজিত হয়ে স্লিপে দাঁড়ানো প্রোটিয়া ফিল্ডারদের কাছে গিয়ে বলেন, ‘তোমরা নিজেরাই একেকটা ইতিহাস।’
পরের ইনিংসে নিজেই ইতিহাস গড়েন ম্যালকম। ৫৭ রানে ৯ উইকেট তুলে নিয়ে কেপলার ওয়েসেলস, হ্যান্সি ক্রনিয়ে, গ্যারি কারস্টেনদের হতভম্ব করে দেন তিনি। ম্যালকমের দুর্ধর্ষ বোলিংয়েই ইংল্যান্ড পরে ম্যাচ জিতে নেয়।
২৭ বছর আগে ম্যালকমের সেই কীর্তি টেস্ট ইতিহাসে নবম সেরা বোলিং ফিগার। অথচ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঠিক পরের ম্যাচেই দলে জায়গা হারান তিনি!
দুর্ভাগা ম্যালকমের কাহিনি আজাজ প্যাটেলের কারণেই এত বছর পর আবার সামনে এল। গত ৪ ডিসেম্বর জন্মশহর মুম্বাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ইনিংসে ১০ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের আজাজ। বাংলাদেশের বিপক্ষে পরের সিরিজেই বাদ দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
অবশ্য ম্যালকমের বাদ পড়ার পেছনে যুক্তিসংগত কারণ ছিল। জলবসন্ত হওয়ায় তাঁকে বিবেচনা করেনি ইংলিশ বোর্ড। কিন্তু বাংলাদেশ সিরিজে আজাজকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে অদ্ভুত যুক্তি দাঁড় করিয়ে। পরশু দল ঘোষণার পর নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (এনজেডসি) জানিয়েছে, ঘরের মাঠে কন্ডিশন স্পিনারদের জন্য অনুকূল না হওয়ায় বিশেষজ্ঞ স্পিনার রাখা হয়নি। তাই ভারতের বিপক্ষে বীরোচিত পারফরম্যান্সের পরও সুযোগ হয়নি বাঁহাতি স্পিনার আজাজের।
মুমিনুল হক-মুশফিকুর রহিমদের বিপক্ষে স্পিন অলরাউন্ডার হিসেবে শুধু রাচিন রবীন্দ্রকে রাখা হয়েছে। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু হবে ১ জানুয়ারি থেকে।
প্রথমবারের মতো আইএল টি-টোয়েন্টিতে খেলার সুযোগ পেয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ২ ডিসেম্বর শুরু হতে যাওয়া সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই টি-টোয়েন্টি লিগে বাংলাদেশের কাটার মাস্টার খেলবেন দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে।
১ ঘণ্টা আগেহাতের ব্যাটকে তলোয়ার বানালেন ডেওয়াল্ড ব্রেভিস। কচু কাটা করলেন অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের। ৪১ বলে ফিফটি ছুঁয়ে খেললেন রেকর্ড ১২৫ রানের ইনিংস। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সর্বোচ্চ এই ইনিংসই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। ৫৩ রানে জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
১ ঘণ্টা আগেএকেকটা পাসের পর হতাশা ঝাড়ছিলেন সুলেমান দিয়াবাতে। প্রতিপক্ষে দীর্ঘদেহী ফুটবলারদের সামনে কোনোভাবেই পেরে উঠছিলেন না বাকিরা। যা লড়াই করার তা দেখা গেছে শুধু দিয়াবাতের মধ্যে। দিন শেষে বিফলেই যায় তা। আবাহনী লিমিটেডকে ২-০ গোলে হারিয়ে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের মূল পর্বে নাম লিখিয়েছে কিরগিজস্তানের ক্লাব মুরাস ইউন
২ ঘণ্টা আগেবিশ্বকাপ কিংবা অলিম্পিকের মতো বড় প্রতিযোগিতায় সাফল্যের জন্য কমবেশি সব দেশেই পুরস্কৃত করা হয় খেলোয়াড়দের। তবে আফ্রিকান নেশনস চ্যাম্পিয়নশিপকে ঘিরেই নিজ দেশের ফুটবলারদের আর্থিক বোনাসের ঘোষণা দিয়েছেন কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো। প্রতিটি ম্যাচ জয়ের জন্য কেনিয়ার খেলোয়াড়েরা পাবেন বাড়তি অর্থ।
৩ ঘণ্টা আগে