নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘মানসিকতা’—বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে সমালোচনার ক্ষেত্রে শব্দটি ব্যবহার হয়ে আসছে অসংখ্যবার। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট হলে তো কোনো কথাই নেই। প্রায় ১৯ বছর ধরে খেলেও টি-টোয়েন্টি মেজাজের সঙ্গে এখনো সখ্যতা গড়ে ওঠেনি বাংলাদেশের। খেলোয়াড়দের ব্যর্থতার পেছনে মানসিক ঘাটতি ফুটে ওঠে বেশ ভালোভাবেই। পরশু শ্রীলঙ্কার কাছে বিধ্বস্ত হওয়াটাই এর প্রমাণ। ঘাটতি কাটাতে লিটন-তাসকিনদের পাকিস্তান কিংবদন্তি ইমরান খানের মন্ত্র জপে দিচ্ছেন স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ।
এশিয়া কাপের বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছে হংকংয়ের বিপক্ষে অতৃপ্তির এক জয় দিয়ে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারের পর সুপার ফোরে খেলার সম্ভাবনা এখন সুতোয় ঝুলছে। বাঁচা-মরার লড়াইয়ে কাল আবুধাবিতে মুখোমুখি হবে আফগানিস্তানের।
দলকে উজ্জীবিত করা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আজ মুশতাক বলেন, ‘ইমরান খান, ওয়াসিম আকরাম ও জাভেদ মিয়াঁদাদদের কাছ থেকে শিখেছি–নিজেকে আন্তর্জাতিক মানের হিসেবে বিশ্বাস করলে আপনি যেকোনো দলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবেন। লিটন, হৃদয়, তানজিদ, ইমন, জাকের, শামীমরা এখন আরও ফিট, আরও আত্মবিশ্বাসী।’
মুশতাক বলেন, ‘গতকাল আমরা হয়তো খুব ভালো অবস্থায় ছিলাম না, তবু ১৪০ রান করেছি। যখন তারা ভালো দলের বিপক্ষে গতি পাবে, তখন ১৭০-১৮০ রানও করা সম্ভব। আমাদের বোলিং ইউনিটও শক্তিশালী–ভালো ফাস্ট বোলার, ভালো স্পিনার আছে। দল হিসেবে আমরা আরও ফিট ও আরও শক্তিশালী হতে পারলে যেকোনো দলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারব। আমাদের সেই সম্ভাবনা ও সক্ষমতা আছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, আমাদের বিশ্বাস রাখতে হবে।’
রশিদ খান তো আছেনই। সঙ্গে আল্লাহ গজনফর ও নুর আহমেদেরও সামর্থ্য আছে যেকোনো সময় ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার। আফগানিস্তানের স্পিনাররা তাই মূল চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের জন্য। মুশতাক বলেন, ‘মাঝের ওভারগুলোতে তারা খুবই শক্তিশালী। যদি আমরা সেটার পাল্টা জবাব দিতে পারি এবং ভালো রান করতে পারি, তাহলে আমরা তাদের চ্যালেঞ্জে ফেলতে পারব। আমাদের বোলিং ইউনিটও খুব ভালো, তাই আমি মাঝের ওভার নিয়ে বেশি চিন্তিত।’
মাঝের ওভার নিয়ে দুশ্চিন্তার পাশাপাশি সুখানুভুতিও আছে মুশতাকের, ‘সেদিন এক পরিসংখ্যান দেখলাম, বাংলাদেশের স্পিনাররা মাঝের ওভারে বেশি ম্যাচ জিতিয়েছে। ইকোনমির দিক থেকে বিশ্বের এক কিংবা দুই নম্বরে আছে। পরিসংখ্যানটা দুর্দান্ত। তাই নিজেদের শক্তির দিকটা মনে রাখতে হবে। সেটা মনে রাখলে আমাদের স্পিন বিভাগ খুব ভালোভাবে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারবে আশা করি।’
অভিজ্ঞতার বিচারে অবশ্য আফগানিস্তানকে এগিয়ে রাখছেন মুশতাক, ‘আফগানিস্তানের খেলোয়াড়েরা প্রচুর ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলছে। একটা জিনিস মনে রাখবেন বিছানার চাদর কিনতে পেলেও আপনি ঘুম কিনতে পারবে না। ঠিক সেভাবেই অভিজ্ঞতাও কেনা যায় না। আর সেটা আসে প্রচুর ম্যাচ খেলে।’
দ্বিপাক্ষিক সিরিজের বাইরে বহুজাতিক টুর্নামেন্টে সফলতা পেতে বাংলাদেশের আরও উন্নতি দরকার বলে মনে করেন মুশতাক। তিনি বলেন, ‘দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ও ঘরের মাটিতে বাংলাদেশ ভালো ক্রিকেট খেলছে। কিন্তু যখন আইসিসি কিংবা এসিসি টুর্নামেন্ট খেলতে আসে তখন নিজেদের আরও উন্নতি করতে হবে। এসব জায়গায় মনোযোগী হতে হবে। আমার মনে হয় বাংলাদেশের সেই সম্ভাবনা রয়েছে। স্বাধীনভাবে খেললে যেকোনো দলকে চ্যালেঞ্জ জানানোর ক্ষমতা আছে তাদের।’
‘মানসিকতা’—বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে সমালোচনার ক্ষেত্রে শব্দটি ব্যবহার হয়ে আসছে অসংখ্যবার। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট হলে তো কোনো কথাই নেই। প্রায় ১৯ বছর ধরে খেলেও টি-টোয়েন্টি মেজাজের সঙ্গে এখনো সখ্যতা গড়ে ওঠেনি বাংলাদেশের। খেলোয়াড়দের ব্যর্থতার পেছনে মানসিক ঘাটতি ফুটে ওঠে বেশ ভালোভাবেই। পরশু শ্রীলঙ্কার কাছে বিধ্বস্ত হওয়াটাই এর প্রমাণ। ঘাটতি কাটাতে লিটন-তাসকিনদের পাকিস্তান কিংবদন্তি ইমরান খানের মন্ত্র জপে দিচ্ছেন স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ।
এশিয়া কাপের বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছে হংকংয়ের বিপক্ষে অতৃপ্তির এক জয় দিয়ে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারের পর সুপার ফোরে খেলার সম্ভাবনা এখন সুতোয় ঝুলছে। বাঁচা-মরার লড়াইয়ে কাল আবুধাবিতে মুখোমুখি হবে আফগানিস্তানের।
দলকে উজ্জীবিত করা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আজ মুশতাক বলেন, ‘ইমরান খান, ওয়াসিম আকরাম ও জাভেদ মিয়াঁদাদদের কাছ থেকে শিখেছি–নিজেকে আন্তর্জাতিক মানের হিসেবে বিশ্বাস করলে আপনি যেকোনো দলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবেন। লিটন, হৃদয়, তানজিদ, ইমন, জাকের, শামীমরা এখন আরও ফিট, আরও আত্মবিশ্বাসী।’
মুশতাক বলেন, ‘গতকাল আমরা হয়তো খুব ভালো অবস্থায় ছিলাম না, তবু ১৪০ রান করেছি। যখন তারা ভালো দলের বিপক্ষে গতি পাবে, তখন ১৭০-১৮০ রানও করা সম্ভব। আমাদের বোলিং ইউনিটও শক্তিশালী–ভালো ফাস্ট বোলার, ভালো স্পিনার আছে। দল হিসেবে আমরা আরও ফিট ও আরও শক্তিশালী হতে পারলে যেকোনো দলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারব। আমাদের সেই সম্ভাবনা ও সক্ষমতা আছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, আমাদের বিশ্বাস রাখতে হবে।’
রশিদ খান তো আছেনই। সঙ্গে আল্লাহ গজনফর ও নুর আহমেদেরও সামর্থ্য আছে যেকোনো সময় ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার। আফগানিস্তানের স্পিনাররা তাই মূল চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের জন্য। মুশতাক বলেন, ‘মাঝের ওভারগুলোতে তারা খুবই শক্তিশালী। যদি আমরা সেটার পাল্টা জবাব দিতে পারি এবং ভালো রান করতে পারি, তাহলে আমরা তাদের চ্যালেঞ্জে ফেলতে পারব। আমাদের বোলিং ইউনিটও খুব ভালো, তাই আমি মাঝের ওভার নিয়ে বেশি চিন্তিত।’
মাঝের ওভার নিয়ে দুশ্চিন্তার পাশাপাশি সুখানুভুতিও আছে মুশতাকের, ‘সেদিন এক পরিসংখ্যান দেখলাম, বাংলাদেশের স্পিনাররা মাঝের ওভারে বেশি ম্যাচ জিতিয়েছে। ইকোনমির দিক থেকে বিশ্বের এক কিংবা দুই নম্বরে আছে। পরিসংখ্যানটা দুর্দান্ত। তাই নিজেদের শক্তির দিকটা মনে রাখতে হবে। সেটা মনে রাখলে আমাদের স্পিন বিভাগ খুব ভালোভাবে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারবে আশা করি।’
অভিজ্ঞতার বিচারে অবশ্য আফগানিস্তানকে এগিয়ে রাখছেন মুশতাক, ‘আফগানিস্তানের খেলোয়াড়েরা প্রচুর ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলছে। একটা জিনিস মনে রাখবেন বিছানার চাদর কিনতে পেলেও আপনি ঘুম কিনতে পারবে না। ঠিক সেভাবেই অভিজ্ঞতাও কেনা যায় না। আর সেটা আসে প্রচুর ম্যাচ খেলে।’
দ্বিপাক্ষিক সিরিজের বাইরে বহুজাতিক টুর্নামেন্টে সফলতা পেতে বাংলাদেশের আরও উন্নতি দরকার বলে মনে করেন মুশতাক। তিনি বলেন, ‘দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ও ঘরের মাটিতে বাংলাদেশ ভালো ক্রিকেট খেলছে। কিন্তু যখন আইসিসি কিংবা এসিসি টুর্নামেন্ট খেলতে আসে তখন নিজেদের আরও উন্নতি করতে হবে। এসব জায়গায় মনোযোগী হতে হবে। আমার মনে হয় বাংলাদেশের সেই সম্ভাবনা রয়েছে। স্বাধীনভাবে খেললে যেকোনো দলকে চ্যালেঞ্জ জানানোর ক্ষমতা আছে তাদের।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৭৪ রানে হারিয়ে ওয়ানডে সিরিজ শুরু করেছে বাংলাদেশ। মাঠের খেলাকে পাশ কাটিয়ে সিরিজের প্রথম ম্যাচে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট। ঘন কালো উইকেটে স্পিনারদের জন্য ছিল বাড়তি সহায়তা। বিপরীতে বেশ ভুগতে হয়েছে ব্যাটারদের।
৬ মিনিট আগেআগামী ডিসেম্বরে ৩৯ এ পা দেবেন আসিফ আফ্রিদি। এই বয়সে অনেক ক্রিকেটার ব্যাট–প্যাড, বল তুলে রেখে কোচিং, ধারাভাষ্য কিংবা অন্য কোনো পেশায় নিজেকে জড়িয়েছেন। সেই সময়ই কিনা অভিষেক হলো আসিফ আফ্রিদির!
৩৮ মিনিট আগেআগের দিন জিরোনাকে ২–১ গোলে হারিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠেছিল বার্সেলোনা। একদিন যেতেই পুনরায় সিংহাসনের দখল নিল রিয়াল মাদ্রিদ। কিলিয়ান এমবাপ্পের একমাত্র গোলে লা লিগায় গেতাফেকে হারিয়েছে মাদ্রিদের প্রতিনিধিরা। দল জিতিয়ে একটি কীর্তিতে নাম লিখিয়েছেন ফরাসি ফরোয়ার্ড।
১ ঘণ্টা আগেটানা ৬ ম্যাচ জিতে অনূর্ধ্ব ২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু শিরোপার মঞ্চে হতাশ করেছে লা আলবিসেলস্তেরা। মরক্কোর কাছে ২–০ গোলে হেরে শিরোপা হাতছাড়া করেছে আর্জেন্টাইন যুবারা। এই হারের কষ্ট ছুঁয়ে গেছে লিওনেল মেসিকে। তবে ছোট ভাইদের লড়াকু মানসিকতায় গর্বিত তিনি।
২ ঘণ্টা আগে