Ajker Patrika

তাসকিনকে মেরে বলের দিকেও তাকালেন না পান্ডিয়া

আপডেট : ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১: ১৩
তাসকিনকে মেরে বলের দিকেও তাকালেন না পান্ডিয়া

কতটা আত্মবিশ্বাস থাকলে অমন শট খেলা যায়! তাসকিন আহমেদের বল না তাকিয়ে যেভাবে আপার কাট করলেন হার্দিক পান্ডিয়া—রিপ্লে করে সেটি বারবার দেখার মতন। আজকাল টি-টোয়েন্টি যুগে কত শটই তো দেখা যায়। তবে ‘না তাকিয়ে’ এমন শট রোজ মেলে না। 

গতকাল গোয়ালিয়রে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৪৯ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে জিতেছে ভারত। পান্ডিয়া নেমেছিলেন সঞ্জু স্যামসন আউটের পর, ইনিংসের অষ্টম ওভারে। ততক্ষণে জয়ের কাছাকাছি আগেই চলে এসেছিল ভারত। পান্ডিয়া সেটিকে আরও দ্রুত করে তোলেন। ১৬ বলে ৫ চার ও ২ ছয়ে খেলেন অপরাজিত ৩৯ রানেই ইনিংস। 

ইনিংসের ১২তম ওভার করতে আসা তাসকিনকে যেভাবে টানা ২ চার ও ১ ছয় মেরে ম্যাচের সমাপ্তি টেনেছেন পান্ডিয়া, সেটিও দেখার মতন। প্রথম চারটি যেন ক্যানভাসে কোনো প্রশিক্ষিত শিল্পীর তুলির আঁচড়। আলতো করে পাঠিয়ে দিয়েছেন বাউন্ডারিতে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম তাঁর সেই শটের নাম দিয়েছে ‘নো লুক’ শট। হ্যাঁ, না তাকিয়েই শট নিয়েছেন পান্ডিয়া। 

তাসকিন ইনিংসের ১২তম ওভারের তৃতীয় বলটি শর্ট বাউন্স দিয়েছিলেন। বল লাফিয়ে উঠতেই পান্ডিয়া না নড়ে, পায়ের পাতায় ভর দিয়ে, না তাকিয়ে শুধু ব্যাটটাতে একটু চামচের মতো নাড়া দিয়েছেন আলতো করে। বল ব্যাটের মাঝখানে লেগে উইকেটরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে সোজা গড়িয়ে গেল খালি বাউন্ডারিতে। কোনো শক্তি ক্ষয় নয়, শুধু একটু কৌশল—তাতেই ৪ রান। মাথাটা সোজায় রেখেছিলেন পান্ডিয়া। যেন আগে থেকে মনস্থির করে রেখেছিলেন, বাউন্স এলে আপার কাট করবেন। সেই মোক্ষম সুযোগ আসতেই পাউরুটিতে যেন ছুরি দিয়ে মাখন মাখিয়ে নিলেন। বল কোথায় যাচ্ছে, ফিল্ডার আছে নাকি পেছনে—ঘুরে দেখলেন না একটিবারও। হয়তো আগেই ফিল্ডারের ছায়া কোনদিকে, কোথায় পড়েছে সেটি দেখে নিয়েছিলেন। এমন চার মারার পর বোলারের দিকে ঘুরে তো তাকালেনই না উল্টো তাচ্ছিল্যের দৃষ্টি ছুঁড়ে চুইংগাম চিবোতে লাগলেন ৷ প্রতিপক্ষকে বিন্দুমাত্রই যেন পাত্তা দিতে চাইলেন না তিনি। আর এটিই যেন গতকালকের ম্যাচে ভারত আর বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে বড় পার্থক্য হয়ে থাকল।

পান্ডিয়ার এই আত্মবিশ্বাসী, শিল্পিত শট নিয়ে বেশ আলোচনাও হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি তাদের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডলে সেই শটের কিছু ছবি দিয়ে ক্যাপশনে লিখেছে, ‘উৎকর্ষের কথা বলতে হবে না, বলতে হবে না সাজানো, শুধু হার্দিক পান্ডিয়া বলো, আমরা বুঝে যাব।’ আর পান্ডিয়ার এই শট দেখে ম্যাচের ধারাভাষ্যকার শুধু একটি শব্দেই বুঝিয়ে দিয়েছেন সব—‘ব্রিলিয়ান্ট’।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত