সারোয়ার ইমরান
এবারের আইপিএলে মোস্তাফিজুর রহমানকে দেখেছি, সব মিলিয়ে এই টুর্নামেন্টে সে ভালো করেছে। কিছু কিছু জায়গায় যদিও আরও ভালো করার সুযোগ আছে। ব্যাটারদের মানসিকতা ঠিকঠাক বুঝতে পারলে তার যে দক্ষতা ও বৈচিত্র্য আছে, সে এই টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সত্যি ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে।
সেরা ছন্দে থাকলে মোস্তাফিজকে খেলা খুব কঠিন হয়ে যাবে। তবে একটি জায়গায় তার একটু ঘাটতি চোখে পড়েছে। মোস্তাফিজ অনেক সময় ব্যাটারদের আচরণ ধরতে পারে না, ব্যাটার বুঝে বোলিং করে না! এই জায়গাগুলোয় সে দ্রুত উন্নতি করতে পারলে তার বল খেলা আরও কঠিন হয়ে যাবে। কোনো ব্যাটার তার বিপক্ষে সুবিধা করতে পারবে না।
এই আইপিএলে দু-এক ম্যাচে হয়তো মোস্তাফিজ কিছুটা খরুচে ছিল। এক–দুটি ম্যাচে রান দিয়েছে, এটা নিয়ে যদিও বিশেষ ভাবনার কিছু নেই। আমাদের এখন সেরা ছন্দের মোস্তাফিজকেই বেশি প্রয়োজন। অনূর্ধ্ব ১৮-১৯ থেকে জাতীয় দলে আসা পর্যন্ত দেড় বছর সে আমার সঙ্গে কাজ করেছে। তারপর আবাহনীতে আমার অধীনে খেলেছে। তখন তার স্লোয়ারটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল, ওর গতিটাও দারুণ ছিল। ঘণ্টায় ১৩৫–১৪০ কিলোমিটার গতিতে তখন সে নিয়মিত বল করতে পারত। তবে সবচেয়ে ভয়ংকর ছিল তার স্লোয়ারটা।
মোস্তাফিজের স্লোয়ারটা তখন বোঝার ক্ষমতা কম ব্যাটারেরই ছিল। তবে এখন পরিস্থিতি বদলেছে। সে এখন পরিচিত। অনেকেই এখন ভিডিও দেখে বিশ্লেষণ করে মোস্তাফিজের কৌশল কিছুটা ধরে ফেলেছে। কীভাবে স্লোয়ার দেয় সেটা অনেক ব্যাটারই জানে। তবে একটা জায়গায় এখনো সে বেশি সুবিধাজনক অবস্থায় আছে। এখন পর্যন্ত তার স্লোয়ার আর জোরে বলের অ্যাকশন প্রায় একই রকম। এ কারণে ব্যাটাররা অনেক বিশ্লেষণ করেও তাকে ঠিকঠাক খেলতে পারে না। তবে এটা এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই যে মোস্তাফিজের ভিডিও বিশ্লেষণের পর অনেক ব্যাটারই উন্নতি করেছে।
আরেকটা জায়গা বেশ চ্যালেঞ্জিং মনে হয়। সেটা হচ্ছে, ডানহাতি ব্যাটারদের জন্য বল ভেতরে আনা, যেটা এখনো মোস্তাফিজ খুব ভালো পারছে না। তাকে এই জায়গায় উন্নতি করতে হবে। এই কাজ করতে পারলে মোস্তাফিজ আশা করি দারুণ কিছু করতে পারবে। ব্যাটারদের পড়তে পারা, তাদের শক্তি ও দুর্বলতার জায়গাগুলো জানা এবং সে অনুযায়ী বল করা—এই জায়গাগুলোতে মোস্তাফিজ যদি নিজের সেরাটা দিতে পারে, টুর্নামেন্টে সে খুব ভালো করবে বলে আমার বিশ্বাস।
সারোয়ার ইমরান, সাবেক কোচ, বাংলাদেশ
এবারের আইপিএলে মোস্তাফিজুর রহমানকে দেখেছি, সব মিলিয়ে এই টুর্নামেন্টে সে ভালো করেছে। কিছু কিছু জায়গায় যদিও আরও ভালো করার সুযোগ আছে। ব্যাটারদের মানসিকতা ঠিকঠাক বুঝতে পারলে তার যে দক্ষতা ও বৈচিত্র্য আছে, সে এই টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সত্যি ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে।
সেরা ছন্দে থাকলে মোস্তাফিজকে খেলা খুব কঠিন হয়ে যাবে। তবে একটি জায়গায় তার একটু ঘাটতি চোখে পড়েছে। মোস্তাফিজ অনেক সময় ব্যাটারদের আচরণ ধরতে পারে না, ব্যাটার বুঝে বোলিং করে না! এই জায়গাগুলোয় সে দ্রুত উন্নতি করতে পারলে তার বল খেলা আরও কঠিন হয়ে যাবে। কোনো ব্যাটার তার বিপক্ষে সুবিধা করতে পারবে না।
এই আইপিএলে দু-এক ম্যাচে হয়তো মোস্তাফিজ কিছুটা খরুচে ছিল। এক–দুটি ম্যাচে রান দিয়েছে, এটা নিয়ে যদিও বিশেষ ভাবনার কিছু নেই। আমাদের এখন সেরা ছন্দের মোস্তাফিজকেই বেশি প্রয়োজন। অনূর্ধ্ব ১৮-১৯ থেকে জাতীয় দলে আসা পর্যন্ত দেড় বছর সে আমার সঙ্গে কাজ করেছে। তারপর আবাহনীতে আমার অধীনে খেলেছে। তখন তার স্লোয়ারটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল, ওর গতিটাও দারুণ ছিল। ঘণ্টায় ১৩৫–১৪০ কিলোমিটার গতিতে তখন সে নিয়মিত বল করতে পারত। তবে সবচেয়ে ভয়ংকর ছিল তার স্লোয়ারটা।
মোস্তাফিজের স্লোয়ারটা তখন বোঝার ক্ষমতা কম ব্যাটারেরই ছিল। তবে এখন পরিস্থিতি বদলেছে। সে এখন পরিচিত। অনেকেই এখন ভিডিও দেখে বিশ্লেষণ করে মোস্তাফিজের কৌশল কিছুটা ধরে ফেলেছে। কীভাবে স্লোয়ার দেয় সেটা অনেক ব্যাটারই জানে। তবে একটা জায়গায় এখনো সে বেশি সুবিধাজনক অবস্থায় আছে। এখন পর্যন্ত তার স্লোয়ার আর জোরে বলের অ্যাকশন প্রায় একই রকম। এ কারণে ব্যাটাররা অনেক বিশ্লেষণ করেও তাকে ঠিকঠাক খেলতে পারে না। তবে এটা এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই যে মোস্তাফিজের ভিডিও বিশ্লেষণের পর অনেক ব্যাটারই উন্নতি করেছে।
আরেকটা জায়গা বেশ চ্যালেঞ্জিং মনে হয়। সেটা হচ্ছে, ডানহাতি ব্যাটারদের জন্য বল ভেতরে আনা, যেটা এখনো মোস্তাফিজ খুব ভালো পারছে না। তাকে এই জায়গায় উন্নতি করতে হবে। এই কাজ করতে পারলে মোস্তাফিজ আশা করি দারুণ কিছু করতে পারবে। ব্যাটারদের পড়তে পারা, তাদের শক্তি ও দুর্বলতার জায়গাগুলো জানা এবং সে অনুযায়ী বল করা—এই জায়গাগুলোতে মোস্তাফিজ যদি নিজের সেরাটা দিতে পারে, টুর্নামেন্টে সে খুব ভালো করবে বলে আমার বিশ্বাস।
সারোয়ার ইমরান, সাবেক কোচ, বাংলাদেশ
গত জুনে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচটির দ্বিতীয়ার্ধ দেরিতে শুরু হওয়ায় শাস্তির মুখে পড়েছে বাফুফে। তাদের ১৫০০ ডলার (প্রায় দুই লাখ টাকা) জরিমানা করেছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)।
১০ ঘণ্টা আগে১১০ রানে অলআউট হয়ে কার্যত ম্যাচের প্রথমার্ধেই ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল পাকিস্তান। মিরপুর শেরেবাংলার উইকেটে নিজেদের মেলে ধরতে ব্যর্থ সফরকারী ব্যাটাররা। ম্যাচ হারের পর তাই সফরকারী দলের যত ক্ষোভ উইকেট নিয়ে। পাকিস্তান অধিনায়ক তো বলেই দিলেন, বাংলাদেশে এসে ভালো উইকেট আশা করা যায় না!
১০ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ দেখতে আজ মিরপুর শেরেবাংলার গ্যালারিতে হাজির হয়েছিলেন অনেক নামীদামি ব্যক্তি। তাঁদের মধ্যে ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও।
১১ ঘণ্টা আগেদুর্দান্ত বোলিংয়ে পাকিস্তানকে অল্প রানে আটকে রেখে জয়ের অর্ধেক কাজ সেরে রেখেছিলেন বোলাররা। ব্যাটাররাও নিজেদের কাজ সারলেন দারুণভাবে। পারভেজ হোসেন ইমনের ফিফটি আর তাওহীদ হৃদয়ের কার্যকর এক ইনিংসের সৌজন্যে ২৭ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে বড় জয় পেল বাংলাদেশ। ৯ বছর বেশি সময় পর পাকিস্তানের বিপক্ষে কুড়ি ওভারের ম্যাচ
১২ ঘণ্টা আগে