Ajker Patrika

জিততে হলে ইতিহাস গড়তে হবে বাংলাদেশকে 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২৪, ১৭: ৪৫
জিততে হলে ইতিহাস গড়তে হবে বাংলাদেশকে 

সিলেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জিতলে একাধিক রেকর্ড নিজেদের করে নেবে বাংলাদেশ। দলীয় সর্বোচ্চ রান, টেস্টে নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড—চতুর্থ ইনিংসের এই দুটি রেকর্ড তো বাংলাদেশের হবেই। একই সঙ্গে টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ডও নিজেদের করে নেবে বাংলাদেশ। 

টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং পাওয়া শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংসে ২৮০ রানে অলআউট হয়েছে। বাংলাদেশ তাদের প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছে ১৮৮ রানে। ৯২ রানে এগিয়ে থাকা লঙ্কানরা দ্বিতীয় ইনিংসে ৪১৮ রান করে অলআউট হয়েছে। সিরিজের প্রথম টেস্টে জিততে বাংলাদেশের লক্ষ্য এখন ৫১১ রান। টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪১৮ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজের। অ্যান্টিগায় উইন্ডিজ রেকর্ড গড়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ২১৫ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড রয়েছে। ২০০৯ সালে গ্রেনাডার সেন্ট জর্জেস স্টেডিয়ামে উইন্ডিজের বিপক্ষে। চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ৪১৩ রান হয়েছে লঙ্কানদের বিপক্ষেই। ২০০৮ সালে মিরপুরে করেছিল বাংলাদেশ। 

৫ উইকেটে ১১৯ রানে আজ তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে শ্রীলঙ্কা। লঙ্কানদের ইনিংসে তখন ২১১ রানের লিড। নামের পাশে তখন ৩৬ ওভার। সেখান থেকে তৃতীয় দিনের খেলা শুরুর তৃতীয় ওভারেই উইকেট হারায় লঙ্কানরা। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা বিশ্ব ফার্নান্দোকে ৩৯তম ওভারের পঞ্চম বলে ফেলান খালেদ আহমেদ। লঙ্কানদের স্কোর হয়ে যায় তখন ৩৮.৫ ওভারে ৬ উইকেটে ১২৬ রান। 

বিশ্ব আউট হওয়ার পর ৮ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন কামিন্দু। ধনাঞ্জয়া-কামিন্দু সপ্তম উইকেটে জুটি বেঁধে বাংলাদেশকে ভোগান্তিতে ফেলার দায়িত্বটা নিজেদের কাঁধে তুলে নেন আবারও। এই জুটি গড়ার পেছনে দায় রয়েছে বাংলাদেশেরও। ৬৩ তম ওভারের পঞ্চম বলে খালেদ করেন ধনাঞ্জয়াকে। নন স্ট্রাইক প্রান্ত থেকে কামিন্দু বেরিয়ে গেলে রানআউট করার সুযোগ পেয়েও করেননি খালেদ। সফরকারীদের স্কোর তখন ৬২.৪ ওভারে ৬ উইকেটে ২৩১ রান। কামিন্দুর স্কোর তখন ৪৯ ও ধনাঞ্জয়া ৮৪ রানে ব্যাটিং করছেন। 

বেঁচে যাওয়ার এই সুযোগে সাবলীল ব্যাটিং করতে থাকেন ধনাঞ্জয়া ও কামিন্দু। কামিন্দু টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন। এরপর নার্ভাস নাইন্টিতে সহজেই কাটা পড়তে পারতেন ধনাঞ্জয়া। ৭২ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মেহেদী হাসান মিরাজকে কাট করতে যান ধনাঞ্জয়া। উইকেটরক্ষক লিটন দাস বল ধরেও কোনো আবেদন করেননি। আবেদন করেননি আর কেউই। অথচ রিপ্লেতে দেখা গেছে, ব্যাট ছুয়ে বল জমা পড়েছে লিটনের গ্লাভসে। ৯৪ রানে বেঁচে যাওয়া ধনাঞ্জয়া ১২ তম টেস্ট সেঞ্চুরি পেয়েছেন ৭৬তম ওভারে। ৭৬তম ওভারের তৃতীয় বলে শর্ট মিড উইকেট এলাকায় সিঙ্গেল নিয়ে ফৌঁছে যান তিন অঙ্কে। ১০ বছর পর টেস্টে লঙ্কান কোনো ব্যাটার দুই ইনিংসে সেঞ্চুরির কীর্তি গড়লেন। এর আগে ২০১৪ সালে চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করেন কুমার সাঙ্গাকারা। 
 
ধনাঞ্জয়ার জোড়া সেঞ্চুরি প্রথম লঙ্কান অধিনায়ক হিসেবে টেস্টে দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরির পর অবশ্য ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ৮৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মিরাজের শর্ট পিচ বল পুল করতে যান ধনাঞ্জয়া। শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ ধরেন জাকির হাসান। ১৭৯ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ১০৮ রান করেন ধনাঞ্জয়া। লঙ্কান অধিনায়কের বিদায়ের পর চা পানের বিরতিতে যাওয়ার আগেই টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয়  সেঞ্চুরি তুলে নেন কামিন্দু। ৯৪তম ওভারের প্রথম বলে শান্তকে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ঠেলে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন কামিন্দু।  অষ্টম উইকেট জুটিতে প্রবাথ জয়াসুরিয়াকে নিয়ে ১০৩ বলে ৬৭ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন কামিন্দু। ১০২তম ওভারের তৃতীয় বলে জয়াসুরিয়াকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন মিরাজ। ঠিক তার পরের বলে লাহিরু কুমারাকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন মিরাজ। 

মিরাজের জোড়া আঘাতে শ্রীলঙ্কার স্কোর হয়ে যায় ১০১.৪ ওভারে ৯ উইকেটে ৩৬৬ রান। শেষ উইকেটে কাসুন রাজিথার সঙ্গে ৫৪ বলে ৫২ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন কামিন্দু। ১১১তম ওভারের চতুর্থ বলে তাইজুলকে পুল করতে যান কামিন্দু। এজ হওয়া বল মিড উইকেটে ক্যাচ ধরেন মিরাজ। ১১০.৪ ওভারে ৪১৮ রানে অলআউট হয়ে যায় লঙ্কানরা। টেস্ট ক্যারিয়ারের সেরা ১৬৪ রানের ইনিংস খেলেন কামিন্দু।

 

 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত