Ajker Patrika

বাংলাদেশ বাজে খেলেছে, এমনটা মানতে চাচ্ছে না আমিরাত

ক্রীড়া ডেস্ক    
বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পর আমিরাতের উদযাপন। ছবি: ক্রিকইনফো
বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পর আমিরাতের উদযাপন। ছবি: ক্রিকইনফো

প্রথম ম্যাচ হারের পর সিরিজ জয়ের উদাহরণ রয়েছে ভুঁড়ি ভুঁড়ি। বাংলাদেশ সিরিজে আরব আমিরাত ঘটাল এমন কিছুই। প্রথম ম্যাচের ব্যর্থতা কাটিয়ে অসাধারণ সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়ার পর আমিরাত করেছে বাধভাঙা উদ্‌যাপন।

বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের তিন টি-টোয়েন্টিতেই টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছেন আমিরাত অধিনায়ক মুহাম্মদ ওয়াসিম। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ২৭ রানে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে আমিরাত জিতেছে ২০৬ রান তাড়া করে। যা টি-টোয়েন্টিতে আমিরাতের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়। আর গত রাতে শারজায় তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৫ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে জিতে সিরিজটা ২-১ ব্যবধানে জিতে নিল আমিরাত। বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথমবার সিরিজ জয়ের পর ট্রফি নিয়ে উদযাপন শুরু করে দেয় ওয়াসিমের নেতৃত্বাধীন আমিরাত।

ব্যাটারদের ব্যর্থতায় বাংলাদেশ গত রাতে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচটা হেরেছে। তবে ওয়াসিম সেটা মানতে নারাজ। ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমকে আমিরাত অধিনায়ক বলেছেন, ‘দ্বিতীয় ইনিংসে শারজায় বোলিং করা অনেক কঠিন হয়ে যায়। তারা ভালোই বোলিং করেছে। কখনোই বলতে চাচ্ছি না যে বাংলাদেশ খারাপ দল অথবা তারা বাজে খেলেছে।’

আফগানিস্তান, নিউজিল্যান্ডের মতো দলকে এর আগে টি-টোয়েন্টিতে হারিয়েছে আরব আমিরাত। এমনকি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের কীর্তিও রয়েছে আমিরাতের। তবে গত রাতে বাংলাদেশকে হারিয়ে তুলনামূলক প্রথম সারির দলের বিপক্ষে সিরিজ জিতে এবার আমিরাত করল ইতিহাস। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ওয়াসিম বলেন, ‘সবার প্রথমে সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আলহামদুলিল্লাহ এই জয়ে আমি অনেক খুশি। ম্যানেজমেন্ট, বোর্ড, সাপোর্টিং স্টাফ, প্রধান কোচ, ফিজিও, ট্রেনার, অ্যানালিস্ট সবাইকে অভিনন্দন। ইতিহাস গড়ায় আমি অনেক খুশি। পুরো দলের পারফরম্যান্স নিয়ে অনেক সন্তুষ্ট। সত্যিই বলতে এই জয়ের পর ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।’

১৬৩ রানের লক্ষ্যে নেমে গত রাতে আরব আমিরাতের স্কোর এক পর্যায়ে হয়ে যায় ১০.৪ ওভারে ৩ উইকেটে ৭৯ রান। এমন অবস্থায় চতুর্থ উইকেটে আলিশান শারাফু ও আসিফ খান ৫১ বলে ৮৭ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েছেন। তাতেই সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচটা ৫ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে জেতে আমিরাত। আলিশান ৪৭ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৮ রান করে হয়েছেন ম্যাচসেরা। এছাড়া বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাটিং করে যে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬২ রান করেছে, তাতে বড় কৃতিত্ব হায়দার আলীর। ৪ ওভারে ৭ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। এক ওভার মেডেন দিয়েছেন। লিটন দাস, তাওহিদ হৃদয়, শেখ মেহেদী হাসান—বাংলাদেশের এই তিন ব্যাটারকে ড্রেসিংরুমে ফিরিয়েছেন হায়দার।

বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জয়ে আমিরাত অধিনায়ক ওয়াসিমেরও দারুণ অবদান রয়েছে। ৩ ম্যাচে ১৪৫ রান করে সিরিজের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক তিনি। জিতেছেন ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জিতে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আমিরাত অধিনায়ক বলেন, ‘এই সিরিজ (বাংলাদেশ সিরিজ) আমাদের কাছে অনেক কিছু। আমাদের জন্য ভবিষ্যতে অনেক সাহায্য করবে। ছেলেদের পারফরম্যান্স নিয়ে আমি অনেক খুশি। আসিফ, আলিশান, রাহুল চোপড়া যেভাবে খেলেছে এবং হায়দার ও অন্যান্য বোলাররা যে বোলিং করেছে, তাতে অনেক খুশি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ব্যবসায়ীকে বালুতে পুঁতে রেখে ‘৪ কোটি টাকা আদায়’

সব কমিটি থেকে নারীদের সিস্টেমেটিক্যালি সাইড করা হয়েছে: সামান্তা শারমিন

অবরোধকারীদের ‘ভুয়া’ আখ্যা দিয়ে ‘প্রকৃত জুলাই যোদ্ধাদের’ হামলা, পুলিশের লাঠিপেটায় শাহবাগ ফাঁকা

একে একে আট বিয়ে, নয়বারের বেলায় গ্রেপ্তার ‘লুটেরা দুলহান’

অদৃশ্য শর্তে বাংলাদেশের জন্য ট্রাম্পের ১৫% শুল্ক ছাড়

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত