নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট থেকে
শেষ দুই ওভারে ফরচুন বরিশালের দরকার লাগে ৩৭ রান। ক্রিজে থাকা শোয়েব মালিক আর মেহেদী হাসান মিরাজের জন্য কাজটা মোটেও সহজ ছিল না। তবে ব্যাট হাতে তাঁরা যে তাণ্ডব চালালেন, তাতে কাজটা ততটা কঠিনই মনে হয়নি। ২ বল বাকি থাকতেই বরিশালের জয় নিশ্চিত করেছেন দুজনে।
বরিশালের ৫ উইকেটের জয়ে এবারের বিপিএলে প্রথম হার দেখল খুলনা টাইগার্স। ১৫৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের শুরুতেই বিদায় নেন বরিশালের ওপেনার আহমেদ শেহজাদ (০)। নাহিদুল ইসলামের বলে এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে বল মিস করে স্টাম্পড হন তিনি। ভালো শুরু পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি অধিনায়ক তামিম ইকবাল। বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে তামিম ক্যাচ হন ডিপ স্কয়ার লেগ অঞ্চলে। ফাহিম আশরাফের প্রথম শিকার হওয়ার আগে তিনি ১৮ বলে করেন ২০ রান।
তিন নম্বরে নামা সৌম্য সরকারের উইকেটও নেন ফাহিম। পরপর দুই ওভারে তামিম ও সৌম্যকে ফিরিয়ে খুলনাকে ম্যাচে ফেরান তিনি। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ২৩ বলে ২৬ করেন সৌম্য। মালিকের সঙ্গে ৩০ রানে একটি জুটি গড়ে ফেরেন মুশফিকুর রহিম (২৭)। ৪ রানে আউট মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
তারপর মিরাজ আর মালিক মিলে বরিশালকে জয়ের পথে নেওয়ার চেষ্টা চালান। শেষদিকে দুজনের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে শেষ ৬ বলে জয়ের জন্য সমীকরণ দাঁড়ায় ১৯ রানের। খুলনার অধিনায়ক বিজয় বল তুলে দেন দাসুন শানাকার হাতে। স্ট্রাইকে থাকা মিরাজ প্রথম বলেই হাঁকান ছয়। পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইক নিয়ে স্ট্রাইক দেন মালিককে। পাকিস্তানি অলরাউন্ডার পরপর দুই বলে ছক্কা ও চার মেরে ম্যাচ টাই করেন। পঞ্চম বল করতে এসে ওয়াইড দেন শানাকা। তাতেই জয় নিশ্চিত হয় বরিশালের। খুলনার হয়ে ১৮ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নিয়েছেন ফাহিম। ব্যক্তিগত কারণে বিপিএলের প্রথম তিন ম্যাচ খেলে দেশে ফিরেছিলেন মালিক। ফিরলেন এই ম্যাচ দিয়ে।
তার আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পাওয়া খুলনা ১৬ ওভারে ৮৮ রানের হারায় ৭ উইকেট। যেভাবে উইকেট পড়ছিল—খুলনার স্কোর ১০০ করাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে অষ্টম উইকেটে এসব দলকে লড়াইয়ের মতো পুঁজি এনে দেন মোহাম্মদ নওয়াজ ও ফাহিম।
বরিশালের বোলাররা শুরুর ছন্দটা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারেননি। দুই পাকিস্তানি অলরাউন্ডারের কাছে পথ হারিয়েছেন তাঁরা। অষ্টম উইকেটে ফাহিম-নওয়াজ গড়েছেন ২৪ বলে ৬৭ রানের দুর্দান্ত এক জুটি। যার সৌজন্যে ৮ উইকেটে ১৫৫ রানের সংগ্রহ পায় খুলনা। শেষ ৩ ওভারে তারা তোলে ৫৪ রান।
এভিন লুইস না থাকায় আজ বিজয়ের উদ্বোধনী সঙ্গী ছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে আকিফ জাভেদকে বোলিং আক্রমণে এনেই উইকেটের দেখা পায় বরিশাল। দারুণ ছন্দে থাকা বিজয় ব্যক্তিগত ১২ রানে হয়েছেন বোল্ড।
তিনে নামা হাবিবুর রহমান সোহান (২) দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউটে কাটা পড়েন। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন ইমন। দেখেশুনে মারছিলেন বাউন্ডারি, কিন্তু থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। শোয়েব মালিকের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেরেন ৩৩ রানে। ২৩ বলের ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ১টি ছক্কা।
পরের বলে আফিফ হোসেনের উইকেটও নেন মালিক। প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকানোর চেষ্টায় আফিফ ক্যাচ আউট রানের খাতা খোলার আগেই। এরপর তাইজুল ইসলাম তুলে নেন মাহমুদুল হাসান জয়ের উইকেট। ১৯ বল ১৩ রান করেছেন বাংলাদেশি ব্যাটার।
তাইজুল দ্বিতীয় স্পেলে এসে বিপাকে ফেলেন শানাকাকে। ১৩ বলে ৬ রানের ধীরগতির ব্যাটিং শেষে সাবেক লঙ্কান অধিনায়ক হয়েছেন বোল্ড। ইনিংসের ১৬ তম ওভারের শেষ বলে নাহিদুলকে বোল্ড করে প্যাভিলিয়নে পাঠান মোহাম্মদ ইমরান। এরপরই নওয়াজ ও ফাহিমের জুটি। ২৩ বলে ৪ ছক্কায় ৩৮ রান করেছেন নওয়াজ এবং ১৩ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩২ রান করেছেন ফাহিম।
শেষ দুই ওভারে ফরচুন বরিশালের দরকার লাগে ৩৭ রান। ক্রিজে থাকা শোয়েব মালিক আর মেহেদী হাসান মিরাজের জন্য কাজটা মোটেও সহজ ছিল না। তবে ব্যাট হাতে তাঁরা যে তাণ্ডব চালালেন, তাতে কাজটা ততটা কঠিনই মনে হয়নি। ২ বল বাকি থাকতেই বরিশালের জয় নিশ্চিত করেছেন দুজনে।
বরিশালের ৫ উইকেটের জয়ে এবারের বিপিএলে প্রথম হার দেখল খুলনা টাইগার্স। ১৫৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের শুরুতেই বিদায় নেন বরিশালের ওপেনার আহমেদ শেহজাদ (০)। নাহিদুল ইসলামের বলে এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে বল মিস করে স্টাম্পড হন তিনি। ভালো শুরু পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি অধিনায়ক তামিম ইকবাল। বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে তামিম ক্যাচ হন ডিপ স্কয়ার লেগ অঞ্চলে। ফাহিম আশরাফের প্রথম শিকার হওয়ার আগে তিনি ১৮ বলে করেন ২০ রান।
তিন নম্বরে নামা সৌম্য সরকারের উইকেটও নেন ফাহিম। পরপর দুই ওভারে তামিম ও সৌম্যকে ফিরিয়ে খুলনাকে ম্যাচে ফেরান তিনি। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ২৩ বলে ২৬ করেন সৌম্য। মালিকের সঙ্গে ৩০ রানে একটি জুটি গড়ে ফেরেন মুশফিকুর রহিম (২৭)। ৪ রানে আউট মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
তারপর মিরাজ আর মালিক মিলে বরিশালকে জয়ের পথে নেওয়ার চেষ্টা চালান। শেষদিকে দুজনের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে শেষ ৬ বলে জয়ের জন্য সমীকরণ দাঁড়ায় ১৯ রানের। খুলনার অধিনায়ক বিজয় বল তুলে দেন দাসুন শানাকার হাতে। স্ট্রাইকে থাকা মিরাজ প্রথম বলেই হাঁকান ছয়। পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইক নিয়ে স্ট্রাইক দেন মালিককে। পাকিস্তানি অলরাউন্ডার পরপর দুই বলে ছক্কা ও চার মেরে ম্যাচ টাই করেন। পঞ্চম বল করতে এসে ওয়াইড দেন শানাকা। তাতেই জয় নিশ্চিত হয় বরিশালের। খুলনার হয়ে ১৮ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নিয়েছেন ফাহিম। ব্যক্তিগত কারণে বিপিএলের প্রথম তিন ম্যাচ খেলে দেশে ফিরেছিলেন মালিক। ফিরলেন এই ম্যাচ দিয়ে।
তার আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পাওয়া খুলনা ১৬ ওভারে ৮৮ রানের হারায় ৭ উইকেট। যেভাবে উইকেট পড়ছিল—খুলনার স্কোর ১০০ করাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে অষ্টম উইকেটে এসব দলকে লড়াইয়ের মতো পুঁজি এনে দেন মোহাম্মদ নওয়াজ ও ফাহিম।
বরিশালের বোলাররা শুরুর ছন্দটা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারেননি। দুই পাকিস্তানি অলরাউন্ডারের কাছে পথ হারিয়েছেন তাঁরা। অষ্টম উইকেটে ফাহিম-নওয়াজ গড়েছেন ২৪ বলে ৬৭ রানের দুর্দান্ত এক জুটি। যার সৌজন্যে ৮ উইকেটে ১৫৫ রানের সংগ্রহ পায় খুলনা। শেষ ৩ ওভারে তারা তোলে ৫৪ রান।
এভিন লুইস না থাকায় আজ বিজয়ের উদ্বোধনী সঙ্গী ছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে আকিফ জাভেদকে বোলিং আক্রমণে এনেই উইকেটের দেখা পায় বরিশাল। দারুণ ছন্দে থাকা বিজয় ব্যক্তিগত ১২ রানে হয়েছেন বোল্ড।
তিনে নামা হাবিবুর রহমান সোহান (২) দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউটে কাটা পড়েন। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন ইমন। দেখেশুনে মারছিলেন বাউন্ডারি, কিন্তু থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। শোয়েব মালিকের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেরেন ৩৩ রানে। ২৩ বলের ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ১টি ছক্কা।
পরের বলে আফিফ হোসেনের উইকেটও নেন মালিক। প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকানোর চেষ্টায় আফিফ ক্যাচ আউট রানের খাতা খোলার আগেই। এরপর তাইজুল ইসলাম তুলে নেন মাহমুদুল হাসান জয়ের উইকেট। ১৯ বল ১৩ রান করেছেন বাংলাদেশি ব্যাটার।
তাইজুল দ্বিতীয় স্পেলে এসে বিপাকে ফেলেন শানাকাকে। ১৩ বলে ৬ রানের ধীরগতির ব্যাটিং শেষে সাবেক লঙ্কান অধিনায়ক হয়েছেন বোল্ড। ইনিংসের ১৬ তম ওভারের শেষ বলে নাহিদুলকে বোল্ড করে প্যাভিলিয়নে পাঠান মোহাম্মদ ইমরান। এরপরই নওয়াজ ও ফাহিমের জুটি। ২৩ বলে ৪ ছক্কায় ৩৮ রান করেছেন নওয়াজ এবং ১৩ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩২ রান করেছেন ফাহিম।
প্রবাসী ফুটবলারদের নিয়ে উন্মাদনার মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ছেই। বিশেষ করে হামজা চৌধুরীর অভিষেকের পর অনেক প্রবাসী ফুটবলার এখন আলোচনায়। কানাডা প্রবাসী সমিত সোমের পাশাপাশি এবার কিউবা মিচেলকে খেলানোর চেষ্টায় রয়েছে বাফুফে।
৯ ঘণ্টা আগেআগামীকাল (২০ এপ্রিল) সিলেটে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্ট। সিরিজের সম্প্রচার স্বত্ব নিয়ে বেশ ভোগান্তির মধ্যে ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে এ ভোগান্তির অবসান ঘটিয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের ম্যাচ সরাসরি দেখানোর
১০ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য ১৫ সদস্যের বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ দল ঘোষণা করেছে। আগামীকাল ঢাকা থেকে কলম্বোর উদ্দেশে রওনা দেবেন যুবারা। সফরে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে ছয় ম্যাচের যুব ওয়ানডে সিরিজ খেলবে আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন দল।
১০ ঘণ্টা আগেহামজা চৌধুরীর বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার পর থেকে আগ্রহ বেড়েছে ফুটবল নিয়ে। প্রবাসী ফুটবলারদের ঘিরে অন্যরকম উন্মাদনা কাজ করছে সমর্থকদের। হামজার প্রভাব শুধু ফুটবলেই নয় পড়েছে অন্যান্য খেলাতেও। দেশের বাইরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রবাসী ক্রীড়াবিদদের বাংলাদেশের হয়ে খেলানোর উদ্যোগ নিতে সকল ফেডারেশনকে চিঠি দিয়েছে
১১ ঘণ্টা আগে