Ajker Patrika

ছক্কা মারতে না পারা জাকেরই যখন ফিনিশার

ক্রীড়া ডেস্ক    
এবারের এশিয়া কাপে জাকের আলী অনিক একটা ছক্কাও মারতে পারেননি। ছবি: ক্রিকইনফো
এবারের এশিয়া কাপে জাকের আলী অনিক একটা ছক্কাও মারতে পারেননি। ছবি: ক্রিকইনফো

বাংলাদেশের জার্সিতে টি-টোয়েন্টিতে জাকের আলী অনিক মেরেছেন ৩৮ ছক্কা। চারের সংখ্যা ৩৪। তাহলে তাঁর ছক্কা মারার সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার কারণ কী? কারণ, এই ছক্কাগুলোর বেশির ভাগ তিনি মেরেছেন দ্বিপক্ষীয় সিরিজে। কিন্তু মেজর টুর্নামেন্টের সময় যে ছক্কা মারতেই পারেন না ‘ফিনিশার’ তকমা পাওয়া জাকের।

২০২৩ সালে হাংজুতে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমস নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলা শুরু জাকেরের। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে অভিষেক হওয়ার পর তাঁর মনে রাখার মতো সিরিজ গেছে ২০২৪ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৬০ গড় ও ১৩৬.৬৬ গড়ে করেছিলেন ১২০ রান। মেরেছিলেন ৯ ছক্কা ও ৪ চার। বাংলাদেশের জার্সিতে ২ বছর হতে যাওয়া জাকেরকে আর নতুন বলার সুযোগ নেই। এশিয়ান গেমস ক্রিকেট, ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এ বছরের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ—চারটি মেজর টুর্নামেন্ট খেলে ফেলেছেন। এসব টুর্নামেন্টে যখনই ছক্কা মারতে গেছেন, তখনই তাঁকে ফিরতে হয়েছে ড্রেসিংরুমে।

চারটি মেজর টুর্নামেন্ট জাকের যে এখন পর্যন্ত খেলেছেন, সেগুলোর মধ্যে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিকে একপাশে সরিয়ে রাখা যাক। কারণ, এ বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হয়েছে ওয়ানডে সংস্করণে। বাকি তিন টি-টোয়েন্টি সংস্করণের টুর্নামেন্ট মিলে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে কেবল এক ছক্কা। সেই ছক্কা এসেছে ২০২৩ এশিয়ান গেমস ক্রিকেটে। জাকেরকে নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে এবারের এশিয়া কাপে তাঁর হতশ্রী পারফরম্যান্স নিয়ে। এমনকি লিটন দাসের অনুপস্থিতিতে ভারত-পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের কাজ করেছেন জাকের, সেই দুই ম্যাচই হেরেছে বাংলাদেশ। ছয় ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতে তিনি ব্যাটিং করেছেন ৬ নম্বরে। একটিতে খেলেছেন সাত নম্বরে। টুর্নামেন্টে তিন ম্যাচে তিনি অপরাজিত ছিলেন। কিন্তু তাঁর ব্যাটিংয়ের ধরন নিয়ে মূলত প্রশ্ন উঠেছে। ফিনিশার হিসেবে নামলেও এবারের টুর্নামেন্টে তাঁর স্ট্রাইকরেট ১০৭.৫৭।

জাকেরের স্ট্রাইকরেটই প্রমাণ করে দিচ্ছে, এবারের এশিয়া কাপে তিনি কতটা বাজে খেলেছেন। টুর্নামেন্টে সব মিলিয়ে করেছেন ৭১ রান। যার মধ্যে সর্বোচ্চ ৪১ রান এসেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আবুধাবিতে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেও খেলেছেন ৩৪ বল। মেরেছেন কেবল ২ চার। এই ম্যাচে তাঁর স্ট্রাইকরেট তবু ১০০ ছাড়িয়েছে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে বাঁচা-মরার ম্যাচে তিনি ব্যাটিং করেন ১০০-এর কম স্ট্রাইকরেটে। বিশেষ করে, ১৯তম ওভারের শেষ তিন বলে যা করেছেন, সেটা চোখের জন্য পীড়াদায়ক। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের সেই তিন বলেই লেগ সাইডে ঘোরাতে গিয়ে ব্যাটে বলে সংযোগ করতে পারেননি। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তিনটি ডট খেলে জাকের রানের চাকা কমিয়ে দিয়েছেন।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সুপার ফোরে দুবাইয়ে ২২৫ স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করলেও জাকের ছক্কা মারতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে তিনি রান আউটের শিকার হয়েছেন। সব ছাপিয়ে গতকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে অলিখিত সেমিফাইনালে জাকের কী করেছেন! খন্ডকালীন স্পিনার সায়েম আইয়ুবকে ছক্কা মারতে গিয়ে জাকের যেভাবে মোহাম্মদ নাওয়াজকে ক্যাচিং অনুশীলন করিয়েছেন, পাড়ার ক্রিকেটেও এমন ভুল খুব কমই হয়। উপরন্তু জাকের যখন অধিনায়ক, তখন তাঁর একটু দায়িত্ব নিয়ে খেলা উচিত ছিল। শামীম হোসেন পাটোয়ারীর সঙ্গে ধৈর্য ধরে জাকের একটা জুটি গড়লে বাংলাদেশ হয়তো ১৩৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে পারত পাকিস্তানের বিপক্ষে। তখন ফাইনালে মুখোমুখি হতো বাংলাদেশ-ভারত। কিন্তু বাংলাদেশ ১১ রানে হেরে যাওয়ায় এবার প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপে হতে যাচ্ছে ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল।

জাকের যে ওয়ানডে সংস্করণের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলেছেন, সেখানে তুলনামূলক ভালো খেলছেন। ২ ম্যাচে ৫৬.৫০ গড়ে করেছেন ১১৩ রান। ৬৬.৮৬ স্ট্রাইকরেট নিয়ে প্রশ্ন করার সুযোগ থাকলেও সেবার সতীর্থদের ব্যর্থতায় তাঁকে একটু সময় নিয়ে খেলতে হয়েছে। কিন্তু এবার টি-টোয়েন্টি সংস্করণে এশিয়া কাপে তাঁর পারফরম্যান্স ছাপিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা কথাগুলো নিয়েও চলছে সমালোচনা। ভারতের বিপক্ষে পরশু রাতে হারের পর জাকের বলেছিলেন, ‘খালি ছক্কা মারলেই হবে না। রানও বের করতে হবে।’ এমনকি টুর্নামেন্টের মাঝে তিনি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশার কথাও শুনিয়েছিলেন। সেই বাংলাদেশকে বিদায় নিতে হলো সুপার ফোর থেকে।

এশিয়া কাপ মিশন শেষ হলেও বাংলাদেশের যে বসে থাকার সুযোগ নেই। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। এরপর ঘরের মাঠে বাংলাদেশ আতিথেয়তা দেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। ব্যস্ততার মধ্যে পার করা বাংলাদেশ আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে খেলবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ভারত-শ্রীলঙ্কায় হতে যাওয়া আইসিসির এই ইভেন্টে জাকের কি নতুন গল্প লিখতে পারেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আফিফের হ্যাটট্রিকের দিনে নাঈম–রনির সেঞ্চুরি

ক্রীড়া ডেস্ক    
হ্যাটট্রিকসহ ৬ উইকেট নিয়েছেন আফিফ। ছবি: বিসিবি
হ্যাটট্রিকসহ ৬ উইকেট নিয়েছেন আফিফ। ছবি: বিসিবি

জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) প্রথম রাউন্ডের দ্বিতীয় দিনে দাপট দেখালেন বোলাররা। আলাদাভাবে বলতে হয় আফিফ হোসেন ধ্রুবর কথা। বরিশালের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছেন তিনি। বোলারদের দাপটের দিনে ব্যাটিংয়ে আলো ছড়িয়েছেন নাঈম ইসলাম ও আবু হায়দার রনি। সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই দুজন।

আজ দিনের শুরুতেই ৩১৩ রানে অলআউট হয় খুলনা। জবাবে আফিফের হ্যাটট্রিকে ১২৬ রানে গুটিয়ে যায় বরিশাল। ৪২ তম ওভারের প্রথম বলে শামসুল ইসলামকে এলবিডব্লু করেন আফিফ। পরের দুই বলে ইয়াসির আরাফাত মিশু ও রুয়েল মিয়াকে ফেরান তিনি। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ১৯ তম বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিক করলেন আফিফ।

সব মিলিয়ে বরিশালকে অলআউট করা পথে ৩১ রানে নেন ৬ উইকেট। ফলোঅনে পড়ে আবার ব্যাট করতে নামে বরিশাল। এ যাত্রায় ১১৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে তারা। এখনো ৬৮ রানে পিছিয়ে দলটি।

ঢাকার করা ২২১ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ৮ উইকেটে ৩০৮ রান করেছে রংপুর। ১১১ রানে অপরাজিত আছেন নাঈম। তানভীর হায়দারের ব্যাট থেকে আসে ৪৫ রান। ৮৭ রানের লিড নিয়েছে রংপুর। সিলেটের বিপক্ষে ৪০১ রানে থেমেছে ময়মনসিংহের ইনিংস। দলটির হয়ে গতকাল সেঞ্চুরি তুলে নেন আরিফুল ইসলাম। আজ সে পথে হাঁটলেন রনি। ১০৭ রান করেন এই বাঁ হাতি পেসার। জবাবে ৫ উইকেটে ১৯৮ রানে দিনের খেলা শেষ করেছে সিলেট। ৫ উইকেট হাতে রেখে ২০৩ রানে পিছিয়ে তারা।

রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিন ১৪ উইকেট পড়েছে। চট্টগ্রামের ৪০১ রানের জবাব দিতে নেমে স্বাগতিকরা থামে ১৯৬ রানে। সফরকারীদের হয়ে ৩৯ রানে ৬ উইকেট নেন হাসান মুরাদ। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৩৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দিনের খেলা শেষ করেছে চট্টগ্রাম। ৩৩৮ রানের লিড পেয়েছে তারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসায় বসে ক্রিকেট দেখাও কষ্টদায়ক: লিটন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
চোট নিয়ে বাসায় বসে খেলা দেখাটাকে কষ্টদায়ক বলছেন লিটন।
চোট নিয়ে বাসায় বসে খেলা দেখাটাকে কষ্টদায়ক বলছেন লিটন।

হংকং আর আফগানিস্তানকে হারিয়ে প্রত্যাশামতোই সুপার ফোরে উঠেছিল বাংলাদেশ। এই রাউন্ডেও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে হয়েছিল দুর্দান্ত শুরু। কিন্তু শেষ দুই ম্যাচে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে বোলাররা ভালো করলেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় হারে বাংলাদেশ। আর চোটের কারণে গুরুত্বপূর্ণ এই দুই ম্যাচের একটিতেও খেলা হয়নি অধিনায়ক লিটন দাসের। এরপর আরব আমিরাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজটিও টিভিতে দেখেছেন বাসায় বসে। তাঁর অনুপস্থিতিতে এই সিরিজে ধবলধোলাই হয়েছে বাংলাদেশ।

অনেকেই বলেছেন অধিনায়ক লিটন থাকলে হয়তো এই সিরিজে ধবলধোলাই হতে হতো না বাংলাদেশকে। হতো কিনা, সে প্রশ্নে না গিয়ে খেলা মিস করার যন্ত্রণার কথা জানালেন বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বললেন, ‘খেলোয়াড় হিসেবে যখন আপনি ম্যাচ খেলতে পারবেন না এটা, কষ্টদায়ক। এটা শুধু এশিয়া কাপেই নয়, আমি যখন বাসা থেকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজও দেখেছি, সেটাও ছিল আমার জন্য কষ্টদায়ক।’

কেন কষ্টদায়ক চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলনে তাঁর ব্যাখ্যাও দিলেন লিটন, ‘কষ্টদায়ক এ জন্য যে একজন প্লেয়ার ভালো ফর্মে ছিল, টুকটাক ভালো পারফর্ম করছিল এবং দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছিল। সেখান থেকে (সরে এসে) বাসায় বসে খেলা দেখাটাও কষ্টদায়ক ব্যাপার।’ তবে লিটন এটাও বলছে ইনজুরির ওপর কারও নিয়ন্ত্রণ নেই। বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের ভাষায়, ‘এটা আপনাকে মেনে নিতেই হবে যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনার নিয়ন্ত্রণ নেই, বিশেষ করে ইনজুরি। তাই যে কোনো সময় যে কেউ ইনজুরিতে পড়তে পারে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

লিটন কি টেস্ট অধিনায়কত্ব করবেন

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ৪৪
লিটনের অধীনে চারটি টি–টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। ছবি: বিসিবি
লিটনের অধীনে চারটি টি–টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। ছবি: বিসিবি

গত জুনে টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত। এর পর থেকেই সাদা পোশাকের নেতৃত্ব কে পাচ্ছেন, সেটা নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়। সম্ভাব্য অধিনায়ক হিসেবে যে কয়েকজনের নাম শোনা যাচ্ছে, তাঁদের মধ্যে লিটন দাস অন্যতম।

টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে শুরুটা দারুণ হয়েছে লিটনের। তাঁর অধীনে সবশেষ চারটি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি মতো টেস্টেও পূর্ণকালীন অধিনায়ক হওয়ার ইচ্ছা আছে লিটনের। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে কথা হয়নি বলে জানালেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।

২০২৩ সালের জুনে মিরপুর টেস্টে আফগানিস্তানকে রেকর্ড ৫৪৬ রানে হারায় বাংলাদেশ। সে ম্যাচে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন লিটন। আফগানদের বিপক্ষে রেকর্ড জয়ের পর তাঁর পূর্ণকালীন অধিনায়ক নিয়ে আলোচনা তৈরি হয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত শান্তর ওপরই ভরসা রাখে বিসিবি। আড়াই বছর পর আবার সম্ভাব্য টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে শোনা যাচ্ছে লিটনের নাম।

টেস্ট অধিনায়ক খুঁজে নেওয়ার জন্য খুব বেশি সময় পাচ্ছে না বিসিবি। আগামী মাসে ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। তার আগেই শান্তর উত্তরসূরি খুঁজে নিতে হবে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে।

৩ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আগামীকাল চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। তার আগে আজ সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন স্বাগতিকদের অধিনায়ক লিটন। সেখানেই টেস্ট অধিনায়ক প্রসঙ্গে প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হয় লিটনকে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে নিয়ে আমি কিছু জানি না। তারা (বিসিবি) যদি যোগ্য মনে করে, অবশ্যই আমার সঙ্গে কথা বলবে। দেখা যাক কী সিদ্ধান্ত হয়।’

বিসিবি প্রস্তাব দিলে না করবেন না লিটন, ‘খেলোয়াড় হিসেবে আপনি যখন খেলবেন, টেস্ট ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব অনেক বড় পাওয়া। আমার মনে হয় না কেউ না করবে। কিন্তু তাদের (বিসিবি) পক্ষ থেকে এখনো কিছু বলা হয়নি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারতকে হারালে সাড়ে ৮ কোটি টাকা পাবে বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ৫১
নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত। ছবি: সংগৃহীত (আটে আছে বাংলাদেশ)
নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত। ছবি: সংগৃহীত (আটে আছে বাংলাদেশ)

নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের লাইনআপ চূড়ান্ত হয়ে গেছে। লিগ পর্ব থেকে বাংলাদেশের বিদায়ও নিশ্চিত হয়েছে আগেই। তাই আজ ভারতের বিপক্ষে নিগার সুলতানা জ্যোতিদের শেষ ম্যাচটি কেবল আনুষ্ঠানিকতার। পয়েন্ট টেবিলের জন্য না হলেও একটি দিক থেকে ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের জন্য।

৮ দলের বিশ্বকাপে টেবিলের তলানিতে আছে বাংলাদেশ। ৬ ম্যাচ শেষে তাদের সংগ্রহ ২ পয়েন্ট। ছয়ে থেকে টুর্নামেন্টে শেষ করার সুযোগ আছে বাংলাদেশের সামনে। সে ক্ষেত্রে প্রাইজমানি হিসেবে ৭ লাখ ডলার পাবে দলটি। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

ছয়ে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করা মোটেও সহজ হবে না বাংলাদেশের জন্য। লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে জিততে হবে তাদের। একই সঙ্গে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড ম্যাচের সমীকরণও পক্ষে আসতে হবে। ইংলিশদের কাছে হারতে হবে কিউইদের। দুটি সমীকরণ মিলে গেলেই কেবল মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে ফিরতে পারবে বাংলাদেশ। ৪ পয়েন্ট নিয়ে বর্তমানে টেবিলের ছয়ে আছে নিউজিল্যান্ড।

দুই সমীকরণের একটি না মিললেই সাত কিংবা আটে থেকে বিশ্বকাপ শেষ করবে বাংলাদেশ। টেবিলের শেষ দুটি স্থানের জন্য ২ লাখ ৮০ হাজার ডলার প্রাইজমানি রেখেছে আইসিসি। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

লিগ পর্ব থেকে বিদায় নিলেও বিশ্বকাপের বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে হারায় তারা। এরপর হেরে যায় টানা ৫ ম্যাচে। এর মধ্যে ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও হেরে যায় জ্যোতিরা। হতাশা ভুলে শুরুর মতো শেষটাও জয়ে রাঙাতে চাইবে বাংলাদেশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত