নিজস্ব প্রতিবেদক, দুবাই
সময়, টুর্নামেন্ট, সংস্করণ–সবই ভিন্ন। সেটি ছিল ৫০ ওভারের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের মঞ্চ। এবার লড়াইটা ২০ ওভারের। সে মহারণ হয়েছিল লর্ডসে, এবার খেলাটা আবুধাবিতে। তবু লর্ডসের সেই ফাইনালটা ঘুরেফিরে এল এউইন মরগান আর কেন উইলিয়ামসনের সংবাদ সম্মেলনে। গতকাল দুই অধিনায়ককে একাধিকবার বলতে হলো ২০১৯ বিশ্বকাপের সেই ফাইনাল নিয়ে।
নখ কামড়ানো সেই শ্বাসরুদ্ধকর, রোমাঞ্চকর ফাইনাল ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা শিরোপার লড়াইয়ের মর্যাদা দিয়েছেন অনেকেই। বিশ্বকাপের ৪৪ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ম্যাচ গিয়েছিল সুপার ওভারে। সেখানেও কেউ কারও নাহি ছাড়ে—সুপার ওভারেও সমানে সমান লড়াইয়ের পর ম্যাচ টাই! আরও অনেক ঘটনার ঘনঘটায় শিরোপা জয়ের হাসি শেষ পর্যন্ত হাসতে পেরেছিল ইংল্যান্ডই। ওই ফাইনালে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের ক্রিকেটীয় চেতনাও বিশেষ প্রশংসিত হয়েছিল। লর্ডসের সেই ফাইনালের রোমাঞ্চ, উত্তাপ কি মিলবে আজ আবুধাবিতে হতে যাওয়া এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও?
নিউজিল্যান্ড শুধু ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালেই হারেনি; ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও হেরেছে ইংলিশদের কাছে। কেন উইলিয়ামসন অবশ্য পুরোনো হিসাব-নিকাশ মেটানোর কথা এড়িয়ে গেলেন সংবাদ সম্মেলনে। স্বভাবসুলভ কূটনৈতিক উত্তরই দিলেন কিউই অধিনায়ক, ‘দেখুন আমরা অনেকবারই খেলেছি একে অপরের বিপক্ষে। ভালো কিছু সিরিজে আমাদের ভালো কিছু ম্যাচ আছে। ইংল্যান্ড দলের যে বিবর্তনটা হয়েছে গত কয়েক বছরে, বিশেষ করে সাদা বলের ক্রিকেটে। অনেক অভিজ্ঞ টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড় তারা পেয়েছে। দল হিসেবেই তারা ভালো করছে। দুই দল কাল (আজ) তাদের সামর্থ্যের সেরাটা দিয়েই চেষ্টা করবে। সেরা ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করবে।’
উইলিয়ামসন হয়তো নতুন অভিযানের আগে হৃদয় খুঁড়ে পুরোনো বেদনা জাগাতে চাননি। তবে ইংল্যান্ড অধিনায়কের কাছে সেটিই এক সুখের স্মৃতি। আরেকটি নিউজিল্যান্ড-চ্যালেঞ্জ নিতে তাই যেন তর সইছিল না মরগানের। ইংলিশ অধিনায়ক বললেন, ‘অপেক্ষা করতে পারছি না! সুপার টুয়েলভে যেভাবে খেলে এসেছি, পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকেছি, এটা অবশ্যই বড় অর্জন। যতটা পারা যায় নিজেদের সেরাটা দিয়েই চেষ্টা করতে হবে। জানি, নিউজিল্যান্ড কতটা ভালো দল। জানি, গত কয়েকটি বিশ্বকাপে তারা কতটা ধারাবাহিক। শুধু সাম্প্রতিকই ফর্মই নয়, যদি দেখেন অধিনায়ক হিসেবে কেনের অবদান—সেমিফাইনাল, ফাইনালে নিউজিল্যান্ড সব সময়ই ভীষণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দল। আমরা এই চ্যালেঞ্জ নিতে উন্মুখ হয়ে আছি।’
দুই দলই দুর্দান্ত ছন্দে আছে। দুই দলই পাওয়ার প্লে ব্যবহারে পটু। এই টুর্নামেন্টে পাওয়ার প্লেতে ইংল্যান্ড রান তুলেছে ওভারপ্রতি ৮.৩৩ করে (টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ)। নিউজিল্যান্ড ৭.৫৩ করে। বোলিংয়ে আবার পাওয়ার প্লেতে সবচেয়ে নিয়ন্ত্রিত বোলিং এ দুই দলেরই। ইংল্যান্ডের ৫.৩০ আর নিউজিল্যান্ডের ৫.৭৩। তবে ডেথ ওভারে ইংল্যান্ডের বোলাররা খুব একটা ভালো করতে পারেননি—বেশির ভাগেরই ইকোনমি দশের ওপরে। এই সুযোগটা নিশ্চিতভাবে আজ কিউই ব্যাটাররা নিতে চাইবেন। দুই দলের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক—চোখ ধাঁধানো ফিল্ডিং।
টি-টোয়েন্টিতে দুই দলের ২১ সাক্ষাতের ১২ জয় ইংল্যান্ডের,৭ টিতে জিতেছে নিউজিল্যান্ড। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে চোখ রাখলে অবশ্য এ পরিসংখ্যান আপাতত দূরেই রাখতে হচ্ছে। লর্ডসের পর আইসিসির টুর্নামেন্টে আরেকটা রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের আগে ইংলিশদের বড় চিন্তা চোটে পড়ে ওপেনার জেসন রয়ের ছিটকে পড়া। রয়ের জায়গায় আজ সুযোগ মিলতে পারে জনি বেয়ারস্টোর।
দুদিন আগে পিচ কিউরেটর মোহন সিংয়ের মৃত্যুতে একটু যেন গুমোট পরিবেশ আবুধাবির জায়েদ স্টেডিয়াম ঘিরে। এ ধাক্কা কাটিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার বড় উপলক্ষ হতে পারে আজকের ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের ম্যাচটা। ইংলিশরা চেষ্টা করবে টানা দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল নিশ্চিত করতে আর কিউইদের চ্যালেঞ্জ প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠা।
সময়, টুর্নামেন্ট, সংস্করণ–সবই ভিন্ন। সেটি ছিল ৫০ ওভারের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের মঞ্চ। এবার লড়াইটা ২০ ওভারের। সে মহারণ হয়েছিল লর্ডসে, এবার খেলাটা আবুধাবিতে। তবু লর্ডসের সেই ফাইনালটা ঘুরেফিরে এল এউইন মরগান আর কেন উইলিয়ামসনের সংবাদ সম্মেলনে। গতকাল দুই অধিনায়ককে একাধিকবার বলতে হলো ২০১৯ বিশ্বকাপের সেই ফাইনাল নিয়ে।
নখ কামড়ানো সেই শ্বাসরুদ্ধকর, রোমাঞ্চকর ফাইনাল ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা শিরোপার লড়াইয়ের মর্যাদা দিয়েছেন অনেকেই। বিশ্বকাপের ৪৪ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ম্যাচ গিয়েছিল সুপার ওভারে। সেখানেও কেউ কারও নাহি ছাড়ে—সুপার ওভারেও সমানে সমান লড়াইয়ের পর ম্যাচ টাই! আরও অনেক ঘটনার ঘনঘটায় শিরোপা জয়ের হাসি শেষ পর্যন্ত হাসতে পেরেছিল ইংল্যান্ডই। ওই ফাইনালে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের ক্রিকেটীয় চেতনাও বিশেষ প্রশংসিত হয়েছিল। লর্ডসের সেই ফাইনালের রোমাঞ্চ, উত্তাপ কি মিলবে আজ আবুধাবিতে হতে যাওয়া এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও?
নিউজিল্যান্ড শুধু ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালেই হারেনি; ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও হেরেছে ইংলিশদের কাছে। কেন উইলিয়ামসন অবশ্য পুরোনো হিসাব-নিকাশ মেটানোর কথা এড়িয়ে গেলেন সংবাদ সম্মেলনে। স্বভাবসুলভ কূটনৈতিক উত্তরই দিলেন কিউই অধিনায়ক, ‘দেখুন আমরা অনেকবারই খেলেছি একে অপরের বিপক্ষে। ভালো কিছু সিরিজে আমাদের ভালো কিছু ম্যাচ আছে। ইংল্যান্ড দলের যে বিবর্তনটা হয়েছে গত কয়েক বছরে, বিশেষ করে সাদা বলের ক্রিকেটে। অনেক অভিজ্ঞ টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড় তারা পেয়েছে। দল হিসেবেই তারা ভালো করছে। দুই দল কাল (আজ) তাদের সামর্থ্যের সেরাটা দিয়েই চেষ্টা করবে। সেরা ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করবে।’
উইলিয়ামসন হয়তো নতুন অভিযানের আগে হৃদয় খুঁড়ে পুরোনো বেদনা জাগাতে চাননি। তবে ইংল্যান্ড অধিনায়কের কাছে সেটিই এক সুখের স্মৃতি। আরেকটি নিউজিল্যান্ড-চ্যালেঞ্জ নিতে তাই যেন তর সইছিল না মরগানের। ইংলিশ অধিনায়ক বললেন, ‘অপেক্ষা করতে পারছি না! সুপার টুয়েলভে যেভাবে খেলে এসেছি, পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকেছি, এটা অবশ্যই বড় অর্জন। যতটা পারা যায় নিজেদের সেরাটা দিয়েই চেষ্টা করতে হবে। জানি, নিউজিল্যান্ড কতটা ভালো দল। জানি, গত কয়েকটি বিশ্বকাপে তারা কতটা ধারাবাহিক। শুধু সাম্প্রতিকই ফর্মই নয়, যদি দেখেন অধিনায়ক হিসেবে কেনের অবদান—সেমিফাইনাল, ফাইনালে নিউজিল্যান্ড সব সময়ই ভীষণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দল। আমরা এই চ্যালেঞ্জ নিতে উন্মুখ হয়ে আছি।’
দুই দলই দুর্দান্ত ছন্দে আছে। দুই দলই পাওয়ার প্লে ব্যবহারে পটু। এই টুর্নামেন্টে পাওয়ার প্লেতে ইংল্যান্ড রান তুলেছে ওভারপ্রতি ৮.৩৩ করে (টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ)। নিউজিল্যান্ড ৭.৫৩ করে। বোলিংয়ে আবার পাওয়ার প্লেতে সবচেয়ে নিয়ন্ত্রিত বোলিং এ দুই দলেরই। ইংল্যান্ডের ৫.৩০ আর নিউজিল্যান্ডের ৫.৭৩। তবে ডেথ ওভারে ইংল্যান্ডের বোলাররা খুব একটা ভালো করতে পারেননি—বেশির ভাগেরই ইকোনমি দশের ওপরে। এই সুযোগটা নিশ্চিতভাবে আজ কিউই ব্যাটাররা নিতে চাইবেন। দুই দলের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক—চোখ ধাঁধানো ফিল্ডিং।
টি-টোয়েন্টিতে দুই দলের ২১ সাক্ষাতের ১২ জয় ইংল্যান্ডের,৭ টিতে জিতেছে নিউজিল্যান্ড। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে চোখ রাখলে অবশ্য এ পরিসংখ্যান আপাতত দূরেই রাখতে হচ্ছে। লর্ডসের পর আইসিসির টুর্নামেন্টে আরেকটা রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের আগে ইংলিশদের বড় চিন্তা চোটে পড়ে ওপেনার জেসন রয়ের ছিটকে পড়া। রয়ের জায়গায় আজ সুযোগ মিলতে পারে জনি বেয়ারস্টোর।
দুদিন আগে পিচ কিউরেটর মোহন সিংয়ের মৃত্যুতে একটু যেন গুমোট পরিবেশ আবুধাবির জায়েদ স্টেডিয়াম ঘিরে। এ ধাক্কা কাটিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার বড় উপলক্ষ হতে পারে আজকের ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের ম্যাচটা। ইংলিশরা চেষ্টা করবে টানা দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল নিশ্চিত করতে আর কিউইদের চ্যালেঞ্জ প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠা।
প্রবাসী ফুটবলারদের নিয়ে উন্মাদনার মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ছেই। বিশেষ করে হামজা চৌধুরীর অভিষেকের পর অনেক প্রবাসী ফুটবলার এখন আলোচনায়। কানাডা প্রবাসী সমিত সোমের পাশাপাশি এবার কিউবা মিচেলকে খেলানোর চেষ্টায় রয়েছে বাফুফে।
৯ ঘণ্টা আগেআগামীকাল (২০ এপ্রিল) সিলেটে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্ট। সিরিজের সম্প্রচার স্বত্ব নিয়ে বেশ ভোগান্তির মধ্যে ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে এ ভোগান্তির অবসান ঘটিয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের ম্যাচ সরাসরি দেখানোর
১০ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য ১৫ সদস্যের বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ দল ঘোষণা করেছে। আগামীকাল ঢাকা থেকে কলম্বোর উদ্দেশে রওনা দেবেন যুবারা। সফরে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে ছয় ম্যাচের যুব ওয়ানডে সিরিজ খেলবে আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন দল।
১০ ঘণ্টা আগেহামজা চৌধুরীর বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার পর থেকে আগ্রহ বেড়েছে ফুটবল নিয়ে। প্রবাসী ফুটবলারদের ঘিরে অন্যরকম উন্মাদনা কাজ করছে সমর্থকদের। হামজার প্রভাব শুধু ফুটবলেই নয় পড়েছে অন্যান্য খেলাতেও। দেশের বাইরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রবাসী ক্রীড়াবিদদের বাংলাদেশের হয়ে খেলানোর উদ্যোগ নিতে সকল ফেডারেশনকে চিঠি দিয়েছে
১১ ঘণ্টা আগে