শাহরিয়ার নাফীস
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আজকের ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য হয়তো নিয়ম রক্ষার। তবে ম্যাচটি অস্ট্রেলিয়ার জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। গ্রুপ-১ থেকে ইংল্যান্ড সেমিফাইনালে উঠে গেছে। দক্ষিণ আফ্রিকাও সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। অস্ট্রেলিয়া যদি সেমিফাইনালে উঠতে চায়, তাহলে তাদের সব ম্যাচ জিততেই হবে। এ ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার সামনে আজ জেতা ছাড়া অন্য বিকল্প নেই।
এই ম্যাচের আগে আরও একটা বিষয় সামনে আসছে। যদিও অস্ট্রেলিয়ানরা অতীতের মলিন পাতায় সেভাবে হাত বুলায় না, তবু কিছুদিন আগে বাংলাদেশের কাছে ৪-১-এ সিরিজ হেরে যাওয়ার স্মৃতিটা কি তাদের তাড়া করবে না? প্রতিশোধ শব্দটা খেলাধুলায় যায় না। তবে ওই হারের ক্ষত মুছতেও অস্ট্রেলিয়ানরা নিশ্চয় উন্মুখ হয়েই থাকবে। এমন ম্যাচে স্বাভাবিকভাবে অস্ট্রেলিয়াই কিছুটা চাপে থাকবে। যেহেতু বাংলাদেশের হারানোর কিছু নেই, তারা এই সুযোগটা নিতে পারে। বাংলাদেশ স্বাভাবিক খেলুক, সেটিই চাইব। হার-জিত যা-ই হোক না কেন।
আমাদের আটজন ব্যাটার খেলছে। এর পরও ব্যাটিংটা ভালো হচ্ছে না। আমি মনে করি, ব্যাটিং নিয়ে আমাদের আগে থেকেই কিছুটা দুশ্চিন্তা ছিল। সে জন্যই হয়তো ব্যাটিংয়ে গভীরতা বাড়াতে এতজন ব্যাটার খেলানো হচ্ছে। যদিও তারা সুবিধা করতে পারেনি এত দিন, তবুও আমরা চাই আজ খেলাটা ফাইট হোক। যেহেতু বাংলাদেশ চাপমুক্ত হয়ে খেলতে নামবে, সর্বোচ্চ ভালো পারফরম্যান্সটাই চাইব দল থেকে। আরেকটা কথা, নিজেদের দিনে বাংলাদেশ কিন্তু সবাইকেই হারিয়েছে। আজও আমাদের সেই আশা—সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে খেলবে বাংলাদেশ।
নামিবিয়া-স্কটল্যান্ডের মতো আইসিসির সহযোগী দেশগুলোর ইতিবাচক ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। কেউ কেউ দুই দলের সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা টানছেন। আমি বলব, তারা বিশ্বকাপ খেলছে, সুপার টুয়েলভে উঠছে—এটাই তাদের কাছে বড় অর্জন। আর বাংলাদেশ সেমিফাইনাল খেলার মতোই সক্ষম দল ছিল। এই দুই দলের সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা করাটা তাই ন্যায্য হবে না। ওদের হারানোর কিছু নেই। সেখানে বাংলাদেশের ওপর প্রত্যাশার চাপটা অনেক বড়। সেই চাপটা অনেকেই নিতে পারেনি।
তাসকিন আহমেদ দুর্দান্ত বোলিং করছেন। তার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল প্রতিশ্রুতিমান পেসার হিসেবে। যদিও মাঝখানে চোট আর ফিটনেস সমস্যায় তলিয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে সে দুর্দান্ত পরিশ্রম করেছে। ওর খেলাটা ভিন্ন পর্যায়ে নিয়ে যেতে ব্যক্তিগতভাবে অনেক ঘাম ঝরিয়েছে। তাসকিনের মধ্যে যে পরিবর্তনটা দেখছি, সেটি হলো ওর ফিটনেস এবং ব্যক্তিগত জীবনে। ক্রিকেটে একটা কথা চালু আছে, যত বেশি শারীরিক পরিশ্রম করা যায়, মানুষ মানসিকভাবে তত শক্তিমান হয়। তাসকিনের ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। তাসকিনের যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে দেশের প্রধান বোলার হওয়ার। তার পেস, বাউন্স, আগ্রাসন, সুইং—সবই আছে। এখন সেটি ধরে রেখে সামনে এগিয়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ তার সামনে।
স্বাভাবিকভাবে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের যে পারফরম্যান্স, তাতে আমাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। এখানে তাই আর পড়ে থাকতে চাই না। বিশ্বকাপের পরই আমাদের সামনে পাকিস্তান। আশা করছি পাকিস্তান সিরিজের আগে ক্রিকেটাররা মানসিক ধাক্কা ও ক্লান্তি কাটিয়ে ওঠার সময় পাবে। ঘরের মাঠে দুর্দান্ত খেলে আবারও ফিরে আসবে আগের অবস্থানে।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আজকের ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য হয়তো নিয়ম রক্ষার। তবে ম্যাচটি অস্ট্রেলিয়ার জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। গ্রুপ-১ থেকে ইংল্যান্ড সেমিফাইনালে উঠে গেছে। দক্ষিণ আফ্রিকাও সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। অস্ট্রেলিয়া যদি সেমিফাইনালে উঠতে চায়, তাহলে তাদের সব ম্যাচ জিততেই হবে। এ ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার সামনে আজ জেতা ছাড়া অন্য বিকল্প নেই।
এই ম্যাচের আগে আরও একটা বিষয় সামনে আসছে। যদিও অস্ট্রেলিয়ানরা অতীতের মলিন পাতায় সেভাবে হাত বুলায় না, তবু কিছুদিন আগে বাংলাদেশের কাছে ৪-১-এ সিরিজ হেরে যাওয়ার স্মৃতিটা কি তাদের তাড়া করবে না? প্রতিশোধ শব্দটা খেলাধুলায় যায় না। তবে ওই হারের ক্ষত মুছতেও অস্ট্রেলিয়ানরা নিশ্চয় উন্মুখ হয়েই থাকবে। এমন ম্যাচে স্বাভাবিকভাবে অস্ট্রেলিয়াই কিছুটা চাপে থাকবে। যেহেতু বাংলাদেশের হারানোর কিছু নেই, তারা এই সুযোগটা নিতে পারে। বাংলাদেশ স্বাভাবিক খেলুক, সেটিই চাইব। হার-জিত যা-ই হোক না কেন।
আমাদের আটজন ব্যাটার খেলছে। এর পরও ব্যাটিংটা ভালো হচ্ছে না। আমি মনে করি, ব্যাটিং নিয়ে আমাদের আগে থেকেই কিছুটা দুশ্চিন্তা ছিল। সে জন্যই হয়তো ব্যাটিংয়ে গভীরতা বাড়াতে এতজন ব্যাটার খেলানো হচ্ছে। যদিও তারা সুবিধা করতে পারেনি এত দিন, তবুও আমরা চাই আজ খেলাটা ফাইট হোক। যেহেতু বাংলাদেশ চাপমুক্ত হয়ে খেলতে নামবে, সর্বোচ্চ ভালো পারফরম্যান্সটাই চাইব দল থেকে। আরেকটা কথা, নিজেদের দিনে বাংলাদেশ কিন্তু সবাইকেই হারিয়েছে। আজও আমাদের সেই আশা—সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে খেলবে বাংলাদেশ।
নামিবিয়া-স্কটল্যান্ডের মতো আইসিসির সহযোগী দেশগুলোর ইতিবাচক ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। কেউ কেউ দুই দলের সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা টানছেন। আমি বলব, তারা বিশ্বকাপ খেলছে, সুপার টুয়েলভে উঠছে—এটাই তাদের কাছে বড় অর্জন। আর বাংলাদেশ সেমিফাইনাল খেলার মতোই সক্ষম দল ছিল। এই দুই দলের সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা করাটা তাই ন্যায্য হবে না। ওদের হারানোর কিছু নেই। সেখানে বাংলাদেশের ওপর প্রত্যাশার চাপটা অনেক বড়। সেই চাপটা অনেকেই নিতে পারেনি।
তাসকিন আহমেদ দুর্দান্ত বোলিং করছেন। তার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল প্রতিশ্রুতিমান পেসার হিসেবে। যদিও মাঝখানে চোট আর ফিটনেস সমস্যায় তলিয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে সে দুর্দান্ত পরিশ্রম করেছে। ওর খেলাটা ভিন্ন পর্যায়ে নিয়ে যেতে ব্যক্তিগতভাবে অনেক ঘাম ঝরিয়েছে। তাসকিনের মধ্যে যে পরিবর্তনটা দেখছি, সেটি হলো ওর ফিটনেস এবং ব্যক্তিগত জীবনে। ক্রিকেটে একটা কথা চালু আছে, যত বেশি শারীরিক পরিশ্রম করা যায়, মানুষ মানসিকভাবে তত শক্তিমান হয়। তাসকিনের ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। তাসকিনের যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে দেশের প্রধান বোলার হওয়ার। তার পেস, বাউন্স, আগ্রাসন, সুইং—সবই আছে। এখন সেটি ধরে রেখে সামনে এগিয়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ তার সামনে।
স্বাভাবিকভাবে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের যে পারফরম্যান্স, তাতে আমাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। এখানে তাই আর পড়ে থাকতে চাই না। বিশ্বকাপের পরই আমাদের সামনে পাকিস্তান। আশা করছি পাকিস্তান সিরিজের আগে ক্রিকেটাররা মানসিক ধাক্কা ও ক্লান্তি কাটিয়ে ওঠার সময় পাবে। ঘরের মাঠে দুর্দান্ত খেলে আবারও ফিরে আসবে আগের অবস্থানে।
কয়েক দিন ধরেই সংঘাত চলছে পাকিস্তান–আফগানিস্তান সীমান্তে। এবার সংঘাতে নিহত হলেন আফগানিস্তানের তিন ক্রিকেটার। তাতে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে গেল। ইতিমধ্যে পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে আফগানরা।
১০ মিনিট আগেবাংলাদেশের মাঠের পারফরম্যান্স কেমন হবে, তা সময়ই বলবে; তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটি স্বাগতিক দলের ব্যর্থতার ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলে নতুন করে জেগে ওঠারই। আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ধরে গত বছর নভেম্বর থেকে টানা পাঁচটি সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ।
১৯ মিনিট আগেআফগানিস্তানের বিপক্ষে সবশেষ ওয়ানডে সিরিজটা ভুলে যেতে চাইবে বাংলাদেশ। হাশমতউল্লাহ শাহিদির দলের কাছে ৩ ম্যাচের সবকটি হেরে ধবলধোলাই হয়েছে তারা। এবার মেহেদি হাসান মিরাজদের সামনে ঘুরে দাঁড়ানোর মিশন। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এছাড়া টিভিতে আছে আরও বেশকিছু ম্যাচ।
২৬ মিনিট আগেবড়দের দেখানো পথে হাঁটতে পারলেন না অর্পিতা-প্রীতিরা। জাতীয় দল, অনূর্ধ্ব-২০ দলের মতো মূলপর্বে খেলার লক্ষ্য নিয়ে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে খেলতে নামে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ দল। প্রথম স্বাগতিক জর্ডানের বিপক্ষে ড্রয়ের পর গতকাল জয় ভিন্ন কোনো সমীকরণ ছিল না। উল্টো ভাসতে হলো গোলবন্যায়।
১০ ঘণ্টা আগে