নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ব্যাটিং ব্যর্থতা থেকে বেরই হতে পারছে না বাংলাদেশ। বিশেষ করে টেস্টে। ভেন্যু বদলায়, প্রতিপক্ষ বদলায় তবে বাংলাদেশের ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার চিত্র হয়ে গেছে খুবই পরিচিত। চট্টগ্রামে আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনে ভয়াবহ ধস নেমেছে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপে।
চট্টগ্রামে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় টেস্টে পাল্লা দিয়ে চলছে ক্যাচ মিস। বাংলাদেশের ফিল্ডারদের ক্যাচ মিসের সুযোগ নিয়ে লঙ্কানরা প্রথম ইনিংসে ৫৩১ রানের পাহাড় গড়েছে। স্বাগতিকদের মতো আজ ক্যাচ মিস করেছেন শ্রীলঙ্কার ফিল্ডাররা। লঙ্কান ফিল্ডারদের ক্যাচ মিস অবশ্য বাংলাদেশকে উপকার করেনি। বাংলাদেশ তাদের প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছে ১৭৮ রানে।
তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনের শুরুটা বাংলাদেশ আজ ভালো করলেও ধস নেমেছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। ১ উইকেটে ৯৬ থেকে মুহূর্তেই বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ৪ উইকেটে ১০৫ রান। এমন পরিস্থিতিতে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার মুমিনুল হক ও সাকিব আল হাসানের যেখানে হাল ধরার কথা, সেখানে তাঁদের পঞ্চম উইকেট জুটিতে যোগ হয়েছে ২১ রান। হাত খুলে খেলতে গিয়ে মধ্যাহ্নভোজের পর যখন খেলা শুরু হয়, তখন দ্রুতই আউট হন সাকিব। ৪৫তম ওভারের প্রথম বলে আসিথা ফার্নান্দোকে গ্ল্যান্স করে ফাইন লেগ দিয়ে চার মারেন সাকিব। ঠিক তার পরের বলেই আসিথার ফুল লেংথ ডেলিভারি ফ্লিক করতে গিয়ে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন সাকিব। রিভিউ নিলেও আম্পায়ার্স কলে আউট হয়েছেন বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনিং অলরাউন্ডার। ২৩ বলে ১৫ রান করেছেন তিনি।
সাকিবের বিদায়ে বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ৪৪.২ ওভারে ৫ উইকেটে ১২৬ রান। সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে লিটন লেগ সাইডে ফ্লিক করেও রান নিতে পারেননি। নিজের মুখোমুখি হওয়া দ্বিতীয় বলেই লিটন কাভার ড্রাইভে দারুণ চারে ইনিংস শুরু করেন। ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খেতে থাকা বাংলাদেশের এই ব্যাটার কিছুটা হলেও যেন আশা বাড়িয়েছিলেন এরকম শটে। তবে সেটা ছিল অতটুকুই। ৪৫তম ওভারের পঞ্চম বলে আসিথার অফস্টাম্পের বাইরের বল খোঁচা দেন লিটন। শ্রীলঙ্কার উইকেটরক্ষক কুশল মেন্ডিস তা তালুবন্দী করেন। ৩ বলে ৪ রানেই শেষ লিটনের ইনিংস।
১৩০ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর ব্যাটিংয়ে নামেন শাহাদাত হোসেন দীপু। দীপুও আউট হতে হতে একবার বেঁচে গেছেন। ৫০ তম ওভারের চতুর্থ বলে প্রবাথ জয়াসুরিয়ার হাতে ক্যাচ তুলে দেন দীপু। তবে সহজ সেই ক্যাচ হাতছাড়া করেন জয়াসুরিয়া। ৭ রানে বেঁচে যাওয়া দীপু অবশ্য দুই অঙ্কও ছুঁতে পারেননি। ৫৩তম ওভারের শেষ বলে লাহিরু কুমারার শর্ট লেংথের ডেলিভারিতে হতবুদ্ধি হয়ে যান দীপু। আউটসাইড এজ হওয়া বল দ্বিতীয় স্লিপে বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে ক্যাচ ধরেন কামিন্দু মেন্ডিস। ক্যাচ নিয়ে একটু সংশয় থাকায় সিদ্ধান্ত চলে যায় তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে। তৃতীয় আম্পায়ার দীপুকে আউট ঘোষণা করেন। ৩৬ বলে ১ চারে ৮ রান করেন বাংলাদেশের এই মিডল অর্ডার ব্যাটার।
দীপু আউট হলে বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ৫৩ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪৮ রান। ৯ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজ অবশ্য দ্রুতই আউট হতে পারতেন। ৫৮ তম ওভারের চতুর্থ বলে জয়াসুরিয়কে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে যান মিরাজ। এজ হওয়া বল আকাশে অনেকক্ষণ ভেসে ছিল। তবে কাভারে দাঁড়িয়ে থাকা সাদিরা সামারাবিক্রমা সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করেছেন। সাদিরা অবশ্য নেমেছেন বদলি ফিল্ডার হিসেবে। মিরাজ অবশ্য আউট হয়েছেন জয়াসুরিয়ার বলেই। ৬২তম ওভারের শেষ বলে মিরাজকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন জয়াসুরিয়া। রিভিউ নিয়ে উল্টো সেটা নষ্ট করেছেন মিরাজ।
মিরাজের আউটে যখন ৮ উইকেটে ১৬৫ রান হয়ে যায় বাংলাদেশের, তখন এক পাশে ধরে খেলতে থাকেন মুমিনুল। সেই মুমিনুলের প্রতিরোধ ভেঙে যায় দ্রুতই। ৬৭তম ওভারের চতুর্থ বলে বাংলাদেশের বাঁহাতি ব্যাটারকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন আসিথা। মুমিনুল রিভিউ নিলেও আম্পায়ার্স কলে আউট হয়েছেন। ৮৪ বলে ৩ চারে ৩৩ রান করেন তিনি। বাংলাদেশের ইনিংসের ইতি টেনেছেন আসিথাই। ৬৯তম ওভারের চতুর্থ বলে খালেদ আহমেদকে বোল্ড করেন আসিথা। জাকিরের ৫৪ রানই বাংলাদেশের ইনিংসের সর্বোচ্চ স্কোর। লঙ্কান বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন আসিথা। ২টি করে উইকেট নেন বিশ্ব, লাহিরু ও জয়াসুরিয়া।
আরও পড়ুন:
ব্যাটিং ব্যর্থতা থেকে বেরই হতে পারছে না বাংলাদেশ। বিশেষ করে টেস্টে। ভেন্যু বদলায়, প্রতিপক্ষ বদলায় তবে বাংলাদেশের ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার চিত্র হয়ে গেছে খুবই পরিচিত। চট্টগ্রামে আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনে ভয়াবহ ধস নেমেছে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপে।
চট্টগ্রামে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় টেস্টে পাল্লা দিয়ে চলছে ক্যাচ মিস। বাংলাদেশের ফিল্ডারদের ক্যাচ মিসের সুযোগ নিয়ে লঙ্কানরা প্রথম ইনিংসে ৫৩১ রানের পাহাড় গড়েছে। স্বাগতিকদের মতো আজ ক্যাচ মিস করেছেন শ্রীলঙ্কার ফিল্ডাররা। লঙ্কান ফিল্ডারদের ক্যাচ মিস অবশ্য বাংলাদেশকে উপকার করেনি। বাংলাদেশ তাদের প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছে ১৭৮ রানে।
তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনের শুরুটা বাংলাদেশ আজ ভালো করলেও ধস নেমেছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। ১ উইকেটে ৯৬ থেকে মুহূর্তেই বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ৪ উইকেটে ১০৫ রান। এমন পরিস্থিতিতে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার মুমিনুল হক ও সাকিব আল হাসানের যেখানে হাল ধরার কথা, সেখানে তাঁদের পঞ্চম উইকেট জুটিতে যোগ হয়েছে ২১ রান। হাত খুলে খেলতে গিয়ে মধ্যাহ্নভোজের পর যখন খেলা শুরু হয়, তখন দ্রুতই আউট হন সাকিব। ৪৫তম ওভারের প্রথম বলে আসিথা ফার্নান্দোকে গ্ল্যান্স করে ফাইন লেগ দিয়ে চার মারেন সাকিব। ঠিক তার পরের বলেই আসিথার ফুল লেংথ ডেলিভারি ফ্লিক করতে গিয়ে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন সাকিব। রিভিউ নিলেও আম্পায়ার্স কলে আউট হয়েছেন বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনিং অলরাউন্ডার। ২৩ বলে ১৫ রান করেছেন তিনি।
সাকিবের বিদায়ে বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ৪৪.২ ওভারে ৫ উইকেটে ১২৬ রান। সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে লিটন লেগ সাইডে ফ্লিক করেও রান নিতে পারেননি। নিজের মুখোমুখি হওয়া দ্বিতীয় বলেই লিটন কাভার ড্রাইভে দারুণ চারে ইনিংস শুরু করেন। ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খেতে থাকা বাংলাদেশের এই ব্যাটার কিছুটা হলেও যেন আশা বাড়িয়েছিলেন এরকম শটে। তবে সেটা ছিল অতটুকুই। ৪৫তম ওভারের পঞ্চম বলে আসিথার অফস্টাম্পের বাইরের বল খোঁচা দেন লিটন। শ্রীলঙ্কার উইকেটরক্ষক কুশল মেন্ডিস তা তালুবন্দী করেন। ৩ বলে ৪ রানেই শেষ লিটনের ইনিংস।
১৩০ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর ব্যাটিংয়ে নামেন শাহাদাত হোসেন দীপু। দীপুও আউট হতে হতে একবার বেঁচে গেছেন। ৫০ তম ওভারের চতুর্থ বলে প্রবাথ জয়াসুরিয়ার হাতে ক্যাচ তুলে দেন দীপু। তবে সহজ সেই ক্যাচ হাতছাড়া করেন জয়াসুরিয়া। ৭ রানে বেঁচে যাওয়া দীপু অবশ্য দুই অঙ্কও ছুঁতে পারেননি। ৫৩তম ওভারের শেষ বলে লাহিরু কুমারার শর্ট লেংথের ডেলিভারিতে হতবুদ্ধি হয়ে যান দীপু। আউটসাইড এজ হওয়া বল দ্বিতীয় স্লিপে বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে ক্যাচ ধরেন কামিন্দু মেন্ডিস। ক্যাচ নিয়ে একটু সংশয় থাকায় সিদ্ধান্ত চলে যায় তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে। তৃতীয় আম্পায়ার দীপুকে আউট ঘোষণা করেন। ৩৬ বলে ১ চারে ৮ রান করেন বাংলাদেশের এই মিডল অর্ডার ব্যাটার।
দীপু আউট হলে বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ৫৩ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪৮ রান। ৯ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজ অবশ্য দ্রুতই আউট হতে পারতেন। ৫৮ তম ওভারের চতুর্থ বলে জয়াসুরিয়কে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে যান মিরাজ। এজ হওয়া বল আকাশে অনেকক্ষণ ভেসে ছিল। তবে কাভারে দাঁড়িয়ে থাকা সাদিরা সামারাবিক্রমা সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করেছেন। সাদিরা অবশ্য নেমেছেন বদলি ফিল্ডার হিসেবে। মিরাজ অবশ্য আউট হয়েছেন জয়াসুরিয়ার বলেই। ৬২তম ওভারের শেষ বলে মিরাজকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন জয়াসুরিয়া। রিভিউ নিয়ে উল্টো সেটা নষ্ট করেছেন মিরাজ।
মিরাজের আউটে যখন ৮ উইকেটে ১৬৫ রান হয়ে যায় বাংলাদেশের, তখন এক পাশে ধরে খেলতে থাকেন মুমিনুল। সেই মুমিনুলের প্রতিরোধ ভেঙে যায় দ্রুতই। ৬৭তম ওভারের চতুর্থ বলে বাংলাদেশের বাঁহাতি ব্যাটারকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন আসিথা। মুমিনুল রিভিউ নিলেও আম্পায়ার্স কলে আউট হয়েছেন। ৮৪ বলে ৩ চারে ৩৩ রান করেন তিনি। বাংলাদেশের ইনিংসের ইতি টেনেছেন আসিথাই। ৬৯তম ওভারের চতুর্থ বলে খালেদ আহমেদকে বোল্ড করেন আসিথা। জাকিরের ৫৪ রানই বাংলাদেশের ইনিংসের সর্বোচ্চ স্কোর। লঙ্কান বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন আসিথা। ২টি করে উইকেট নেন বিশ্ব, লাহিরু ও জয়াসুরিয়া।
আরও পড়ুন:
এবারের আইপিএলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এবার ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে এবং সায়মন ডুল। পিচ নিয়ে সমালোচনার কারণে এবার তাঁরা কলকাতার ঘরের মাঠের ম্যাচগুলোতে নিষিদ্ধ হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেবেশির ভাগ সময় বিদেশিরা আইপিএলে ছড়ি ঘোরালেও এবারেরটা একটু ব্যতিক্রম। ১৮তম আইপিএলে ভারতীয় ক্রিকেটাররা খেলছেন দাপট দেখিয়েছেন। ব্যাটিং, বোলিং দুই বিভাগেই ভারতীয়দের জয়জয়কার। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পুরস্কার হাতেনাতে পেয়েছেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগেসিলেটে সিরিজের প্রথম টেস্টে প্রথম দিন থেকেই ছড়ি ঘোরাচ্ছে জিম্বাবুয়ে। সফরকারীদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ২০০-এর আগেই। দ্বিতীয় দিনে আজ বাংলাদেশের বোলিং তুলনামূলক ভালো হলেও জিম্বাবুয়ের লিড আটকানো যায়নি।
২ ঘণ্টা আগেহামজা চৌধুরীর অভিষেক হয়েছে, সমিত সোমও দুয়ারে কড়া নাড়ছেন। এবার আলোচনায় আরেক প্রবাসী ফুটবলার কিউবা মিচেল। জুনে বাংলাদেশের জার্সিতে তাঁকে খেলানোর চেষ্টা করছে বাফুফে। কিউবাও খেলার জন্য সম্মতি দিয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে