Ajker Patrika

ভারত বধের নায়ক যিনি

ক্রীড়া ডেস্ক   
Thumbnail image
যুব এশিয়া কাপের প্লেয়ার অব দ্য ফাইনাল ও টুর্নামেন্ট-সেরার পুরস্কার হাতে ইকবাল হোসেন ইমন। ছবি: এসিসি

আজিজুল হাকিম তামিম বল করলেন, ভারতের শেষ উইকেট চেতন শর্মার সহজ ক্যাচ নিলেন কালাম সিদ্দিকী। সঙ্গে সঙ্গে কয়েকটি পতাকা নিয়ে মাঠে ছুট চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ যুবাদের। মনে হলো, আগেই লাল-সবুজের পতাকা কাছে এনে রেখেছিলেন তাঁরা। দুবাইয়ে টানা দ্বিতীয়বার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে শিরোপা জয়ের শিরোপা উদ্‌যাপন করলেন তাঁরা।

আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে বাংলাদেশের স্কোরে ছিল মাঝারি সংগ্রহ। রিজান হোসেন-শিহাব জেমসদের কার্যকর কয়েকটি ইনিংসের সৌজন্যে বাংলাদেশ তুলল ১৯৮ রান। শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে এই রানে নির্ভর করাও সহজ হওয়ার ছিল না। কিন্তু পুরো টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের ছিল আস্থার বোলিং আক্রমণ। ফাইনালেও সেই ছন্দ ধরে রাখলেন ইকবাল হোসেন ইমন-আল ফাহাদরা। ১৩৯ রানে ভারতকে থামিয়ে দেন তাঁরা।

ফাহাদ, রিজান ও মারুফ মৃধার তোপেরমুখে টপ অর্ডার এলোমেলো হয়ে যায় ভারতের। মিডল অর্ডার গুঁড়িয়ে দিলেন ইমন। ভারত বধের নায়কও বলা যায় মৌলভীবাজারের এই ক্রিকেটারকে। ফাইনালে ৭ ওভারে ২৪ রান দিয়ে শিকার করেছেন ৩ উইকেট। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে সেমিফাইনালের পর ফাইনালের ম্যাচসেরা পুরস্কারও হাতে তুলেছেন ১৮ বছর বয়সী এই পেসার। তাই নয়, যুব এশিয়া কাপের টুর্নামেন্ট-সেরার পুরস্কার উঠেছে তাঁর হাতে।

৫ ম্যাচে ৪.০৯ ইকোনমিতে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ১৩ উইকেট ইমনের। সেমিফাইনালেও পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৪ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। সে ম্যাচেও ধস নামিয়েছেন পাকিস্তানের মিডল অর্ডার। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সেই ছন্দ আজ ধরে রাখলেন ফাইনালে ভারতের বিপক্ষেও। দলীয় ৪৪ রানে টপ অর্ডারের তিন উইকেট হারায় ভারত।

চতুর্থ উইকেটে ভারতীয় অধিনায়ক মোহামেদ আমান ও কেপি কার্তিকেয় বিপর্যয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। ২৯ রানের জুটিও গড়েন তারা। কিন্তু এক ওভারে দুই উইকেট নিয়ে ভারতকে উল্টো কঠিন চাপে ফেলে দেন ইমন। ৪৩ বলে কার্তিকেয়কে ২১ রানে এবং নিখিল কুমারকে ফেরান রানের খাতা খোলার আগেই। নিজের পরের ওভারে হরবংশ পাঙ্গালিয়াকে ৬ রানে ইমন আউট করলে ৮১ রানে ৬ উইকেট হারায় ভারত। কার্যত তখনই হার প্রায় নিশ্চিত ভারতের।

নজরকাড়া গুড লেন্থের স্টাম্প থেকে দারুণ আউট সুইংয়ে বেরিয়ে যাওয়া বলেই ৩টি উইকেট নিয়েছেন ইমন। উইকেটরক্ষক ফরিদ হাসান নিয়েছে তিনটি ক্যাচই। গ্রুপ পর্বেও আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৩টি, পরের ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে নেন ২টি উইকেট। কিন্তু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১টি উইকেট নিলেও রানও দিয়েছেন ৫৬। দলও হেরেছিল সেই ম্যাচ। ইমন জ্বলে উঠলেই যেন জেতে বাংলাদেশ—এটাই যেন এশিয়া কাপের নিয়ম করেছিলেন তোপ দাগিয়ে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত