নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মাঠের পরিবেশ সুশৃঙ্খল রাখতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কঠোর হয়েছে পাকিস্তান সিরিজ থেকেই। জুলাইয়ে মিরপুরে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজে দর্শকদের জন্য ১১টি কঠিন নিয়ম চালু করেছিল। এবার বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস সিরিজেও থাকছে বিসিবির কঠোরতা।
বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে আগামীকাল। এই সিরিজে দর্শকদের জন্য কী কী নিয়ম মানতে হবে, সেটা আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বিসিবি। চলুন জেনে নেওয়া যাক দর্শকদের জন্য বিসিবির সেই ১১ নিয়ম:
১। বিসিবির নিয়মকানুন এবং স্পনসরদের প্রতি তার বাণিজ্যিক বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে সম্মত।
২। স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণ এবং স্ট্যান্ডের ভেতরে নিম্নলিখিত জিনিসপত্র নিষিদ্ধ:
আগ্নেয়াস্ত্র, লেজার পয়েন্টার, ফ্লেয়ার, বিস্ফোরক, আতশবাজি, ম্যাচ/লাইটার, সিগারেট, ভিডিও ক্যামেরা, পেশাদার স্টিল ক্যামেরা, লাঠিসহ পতাকা, ভুভুজেলা, আয়না, ছুরি, ক্যান, ক্যাপ বা কর্কযুক্ত সব ধরনের বোতল, কাচের বোতল, বাঁশি এবং অন্য যে কোনো জিনিস যা তালিকাভুক্ত নয় কিন্তু নিরাপত্তা কর্মীদের দ্বারা খেলোয়াড়, দর্শকদের জন্য বিপজ্জনক/ হুমকিস্বরূপ বলে বিবেচিত হয়।
৩। স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণ এবং স্ট্যান্ডে কোনো ব্যক্তিগত ক্ষতি, দুর্ঘটনাজনিত আঘাত বা ক্ষতির জন্য বিসিবি দায়ী থাকবে না।
৪। দর্শক যদি খেলার মাঠের ও গ্যালারির নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ, হুমকিস্বরূপ মনে হয় অথবা দর্শকসাধারণের জন্য উপদ্রব সৃষ্টিকারী হয়, তাহলে বিসিবি এই দর্শককে ঢুকতে বাধা দেওয়া ও গ্যালারিতে প্রবেশ করে থাকলে উচ্ছেদ করার অধিকার সংরক্ষণ করে।
৫। বাইরের থেকে কোনো প্রকার খাবার ও পানীয় নিয়ে স্টেডিয়ামে ঢোকা যাবে না। স্টেডিয়ামের প্রবেশমুখে নিরাপত্তা কর্মীরা নিরাপত্তা তল্লাশি করার অধিকার রাখেন এবং নিরাপত্তার স্বার্থে খাবার ও পানীয়সহ দর্শকদের ঢুকতে দেওয়া যাবে না।
৬। স্টেডিয়ামের ভেতরে বা বাইরে অননুমোদিত যেকোনো ধরনের ব্র্যান্ডিং নিষিদ্ধ ।
৭। ক্রিকেটে দুর্নীতিমূলক যে কোনো প্রকার কার্যকলাপ প্রতিরোধ ও নির্মূল করার জন্য বিসিবি তার ক্ষমতায় থাকা প্রতিটি পদক্ষেপ নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ও দোষীকে আইনের কাছে সোপর্দ করার অধিকার রাখে।
৮। স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণে যেকোনো ধরনের বাজি নিষিদ্ধ ও আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
৯। বাজি বা এই ধরনের দুর্নীতিমূলক কার্যকলাপে জড়িত ব্যক্তি আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষ এবং বিসিবির দুর্নীতি দমন কর্মকর্তাদের নিকট এমন কার্যকলাপের জন্য শাস্তিযোগ্য অপরাধী বলে গণ্য হবে।
১০। স্টেডিয়ামের সমস্ত স্ট্যান্ড এলাকায় ধূমপান নিষিদ্ধ।
১১। প্রত্যেক দর্শক আইসিসির বৈষম্য বিরোধী নীতি মেনে চলতে বাধ্য, ব্যপ্তয়ে স্টেডিয়াম থেকে উচ্ছেদ যোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে।
১২। কেউ যদি ভাষা, অঙ্গভঙ্গি, অথবা অন্য কোনো কিছুর মাধ্যমে, জাতি, ধর্ম, সংস্কৃতি, বর্ণ, বংশ, জাতীয়তা, জাতিগত উৎস, লিঙ্গ, যৌন অভিমুখিতা, অক্ষমতা, বৈবাহিক অবস্থা অথবা মাতৃত্বের অবস্থার ভিত্তিতে অন্য কোনো ব্যক্তিকে (খেলোয়াড়, ম্যাচ কর্মকর্তা বা দর্শক) অপমান, ভয় দেখানো, হুমকি দেওয়া, অবমাননা করা বা অপমান করার সম্ভাবনা প্রদর্শনের ব্যাপার দেখা যায়, তাহলে স্টেডিয়াম থেকে বহিষ্কার করা হবে। এমন অপরাধকে ফৌজদারি মামলা যোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে।
বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস সিরিজের তিনটি টি-টোয়েন্টিই হবে সিলেটে। সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় টি-টোয়েন্টি হবে ১ ও ৩ সেপ্টেম্বর। শেষ দুই টি-টোয়েন্টিও বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে। এই সিরিজের পর এশিয়া কাপ খেলতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে উড়াল দেবে বাংলাদেশ। ১১ সেপ্টেম্বর আবুধাবিতে হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের এশিয়া কাপ অভিযান। ১৩ ও ১৬ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবেন লিটন দাস-তানজিদ হাসান তামিমরা। এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচই বাংলাদেশ খেলবে আবুধাবিতে।
আরও পড়ুন:
মিরপুরে পাকিস্তান সিরিজে কী কী নিয়ম মানতে হবে দর্শকদের
মাঠের পরিবেশ সুশৃঙ্খল রাখতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কঠোর হয়েছে পাকিস্তান সিরিজ থেকেই। জুলাইয়ে মিরপুরে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজে দর্শকদের জন্য ১১টি কঠিন নিয়ম চালু করেছিল। এবার বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস সিরিজেও থাকছে বিসিবির কঠোরতা।
বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে আগামীকাল। এই সিরিজে দর্শকদের জন্য কী কী নিয়ম মানতে হবে, সেটা আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বিসিবি। চলুন জেনে নেওয়া যাক দর্শকদের জন্য বিসিবির সেই ১১ নিয়ম:
১। বিসিবির নিয়মকানুন এবং স্পনসরদের প্রতি তার বাণিজ্যিক বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে সম্মত।
২। স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণ এবং স্ট্যান্ডের ভেতরে নিম্নলিখিত জিনিসপত্র নিষিদ্ধ:
আগ্নেয়াস্ত্র, লেজার পয়েন্টার, ফ্লেয়ার, বিস্ফোরক, আতশবাজি, ম্যাচ/লাইটার, সিগারেট, ভিডিও ক্যামেরা, পেশাদার স্টিল ক্যামেরা, লাঠিসহ পতাকা, ভুভুজেলা, আয়না, ছুরি, ক্যান, ক্যাপ বা কর্কযুক্ত সব ধরনের বোতল, কাচের বোতল, বাঁশি এবং অন্য যে কোনো জিনিস যা তালিকাভুক্ত নয় কিন্তু নিরাপত্তা কর্মীদের দ্বারা খেলোয়াড়, দর্শকদের জন্য বিপজ্জনক/ হুমকিস্বরূপ বলে বিবেচিত হয়।
৩। স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণ এবং স্ট্যান্ডে কোনো ব্যক্তিগত ক্ষতি, দুর্ঘটনাজনিত আঘাত বা ক্ষতির জন্য বিসিবি দায়ী থাকবে না।
৪। দর্শক যদি খেলার মাঠের ও গ্যালারির নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ, হুমকিস্বরূপ মনে হয় অথবা দর্শকসাধারণের জন্য উপদ্রব সৃষ্টিকারী হয়, তাহলে বিসিবি এই দর্শককে ঢুকতে বাধা দেওয়া ও গ্যালারিতে প্রবেশ করে থাকলে উচ্ছেদ করার অধিকার সংরক্ষণ করে।
৫। বাইরের থেকে কোনো প্রকার খাবার ও পানীয় নিয়ে স্টেডিয়ামে ঢোকা যাবে না। স্টেডিয়ামের প্রবেশমুখে নিরাপত্তা কর্মীরা নিরাপত্তা তল্লাশি করার অধিকার রাখেন এবং নিরাপত্তার স্বার্থে খাবার ও পানীয়সহ দর্শকদের ঢুকতে দেওয়া যাবে না।
৬। স্টেডিয়ামের ভেতরে বা বাইরে অননুমোদিত যেকোনো ধরনের ব্র্যান্ডিং নিষিদ্ধ ।
৭। ক্রিকেটে দুর্নীতিমূলক যে কোনো প্রকার কার্যকলাপ প্রতিরোধ ও নির্মূল করার জন্য বিসিবি তার ক্ষমতায় থাকা প্রতিটি পদক্ষেপ নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ও দোষীকে আইনের কাছে সোপর্দ করার অধিকার রাখে।
৮। স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণে যেকোনো ধরনের বাজি নিষিদ্ধ ও আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
৯। বাজি বা এই ধরনের দুর্নীতিমূলক কার্যকলাপে জড়িত ব্যক্তি আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষ এবং বিসিবির দুর্নীতি দমন কর্মকর্তাদের নিকট এমন কার্যকলাপের জন্য শাস্তিযোগ্য অপরাধী বলে গণ্য হবে।
১০। স্টেডিয়ামের সমস্ত স্ট্যান্ড এলাকায় ধূমপান নিষিদ্ধ।
১১। প্রত্যেক দর্শক আইসিসির বৈষম্য বিরোধী নীতি মেনে চলতে বাধ্য, ব্যপ্তয়ে স্টেডিয়াম থেকে উচ্ছেদ যোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে।
১২। কেউ যদি ভাষা, অঙ্গভঙ্গি, অথবা অন্য কোনো কিছুর মাধ্যমে, জাতি, ধর্ম, সংস্কৃতি, বর্ণ, বংশ, জাতীয়তা, জাতিগত উৎস, লিঙ্গ, যৌন অভিমুখিতা, অক্ষমতা, বৈবাহিক অবস্থা অথবা মাতৃত্বের অবস্থার ভিত্তিতে অন্য কোনো ব্যক্তিকে (খেলোয়াড়, ম্যাচ কর্মকর্তা বা দর্শক) অপমান, ভয় দেখানো, হুমকি দেওয়া, অবমাননা করা বা অপমান করার সম্ভাবনা প্রদর্শনের ব্যাপার দেখা যায়, তাহলে স্টেডিয়াম থেকে বহিষ্কার করা হবে। এমন অপরাধকে ফৌজদারি মামলা যোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে।
বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস সিরিজের তিনটি টি-টোয়েন্টিই হবে সিলেটে। সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় টি-টোয়েন্টি হবে ১ ও ৩ সেপ্টেম্বর। শেষ দুই টি-টোয়েন্টিও বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে। এই সিরিজের পর এশিয়া কাপ খেলতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে উড়াল দেবে বাংলাদেশ। ১১ সেপ্টেম্বর আবুধাবিতে হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের এশিয়া কাপ অভিযান। ১৩ ও ১৬ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবেন লিটন দাস-তানজিদ হাসান তামিমরা। এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচই বাংলাদেশ খেলবে আবুধাবিতে।
আরও পড়ুন:
মিরপুরে পাকিস্তান সিরিজে কী কী নিয়ম মানতে হবে দর্শকদের
২০২৫ এশিয়া কাপে ভুলে যাওয়ার মতো শুরু করেছে হংকং। আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে গত রাতে উদ্বোধনী ম্যাচে হংকংকে ৯৪ রানে হারিয়েছে আফগানিস্তান। বড় ব্যবধানে হারের পর এখন ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া হংকং।
২৫ মিনিট আগেটি-টোয়েন্টির বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত। ফেবারিট হিসেবেই তারা খেলতে নামছে এবারের এশিয়া কাপে। ভারত বাদে টুর্নামেন্টে খেলছে আরও ৭ দল। কিন্তু কোনো দলকেই ভারতের সমকক্ষ হিসেবে মনে করছেন না রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এমনকি বাংলাদেশও ভারতের সামনে দাঁড়াতে পারবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান তিনি।
১ ঘণ্টা আগেএশিয়া কাপ খেলতে বাংলাদেশ জাতীয় দল এখন আবুধাবিতে। একই সময়ে দেশে প্রায় দেড় শ ক্রিকেটার আসন্ন জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি–টোয়েন্টির জন্য ঘাম ঝরাচ্ছেন স্থানীয় কোচদের তত্ত্বাবধানে। দেশের ক্রিকেটে ব্যস্ততার এই সময়েও আলোচনায় বিসিবির এলিট কোচদের জন্য বিশেষজ্ঞ ব্যাটিং কোচেস এডুকেটরদের বিশেষ সেশন।
১ ঘণ্টা আগেলিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, মোস্তাফিজুর রহমানরা এশিয়া কাপ খেলতে এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতে। মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টে লিটনের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ মাঠে নামবে আগামীকাল। হংকংয়ের বিপক্ষে নামার আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) থেকে সুখবর পেলেন মোস্তাফিজ।
১ ঘণ্টা আগে