Ajker Patrika

৫০ বছরে কোথায় দাঁড়িয়ে আমাদের ক্রীড়াঙ্গন

তানভীর মাজহার ইসলাম তান্না
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩: ৫৯
৫০ বছরে কোথায় দাঁড়িয়ে আমাদের ক্রীড়াঙ্গন

তানভীর মাজহার ইসলাম তান্না স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের ম্যানেজার ছিলেন। পরে দেশের ক্রিকেট-ফুটবলের একজন দক্ষ সংগঠক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রথম বিশ্বকাপ যাত্রায়ও ম্যানেজার হিসেবে ছিলেন তিনি। সব্যসাচী এই ক্রীড়া সংগঠক ফিরে দেখলেন, গত ৫০ বছরে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের সাফল্য-ব্যর্থতা এবং চোখ রাখলেন ভবিষ্যতেও। 

৫০ বছরে আমরা অনেক কিছু অর্জন করেছি। শুরুতে সবকিছু ভালোভাবে চললেও এখন কিছুটা মন্থর হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ক্রিকেটে আমরা অনেক কিছু অর্জন করেছি। অন্য খেলায় খুব বেশি যদিও এগোতে পারিনি। খেলাগুলো অবশ্য হচ্ছে। এখন হকির টুর্নামেন্ট হচ্ছে। তবে এগুলো মাঝেমধ্যে হচ্ছে। খেলাধুলায় কিছু দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা লাগে। কিন্তু এখানে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার পরেও কিছু হচ্ছে না। 

আমি যখন ক্রিকেট বোর্ডে ছিলাম, আমাদের পরিকল্পনা বিভাগ ছিল। আমরা লম্বা সময়ের জন্য পরিকল্পনা করতাম। আমরা স্কুল ও কলেজকে টার্গেট করেছিলাম। এর বাইরে ঢাকা লিগ, চট্টগ্রাম লিগও ছিল। এমন নয় যে আমরা শুধু খেলোয়াড়দের ওপরই মনোযোগ দিয়েছি, আমরা আম্পায়ারদেরও প্রশিক্ষণ দিয়েছি। এমনকি জাতীয় দলের খেলোয়াড়দেরও আম্পায়ারিংয়ের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। মনি (এনামুল হক), নাদির শাহ এরা পরে ভালো আম্পায়ার হয়েছে। এসব করতে লম্বা সময়ের পরিকল্পনা লাগে। খেলাটা যেভাবে চলছে, সেটা যথেষ্ট ভালো নয়। এখন সেখানে চুরি চলে এসেছে। এখানে যে লিগের খেলা হয়, সেটা ক্রিকেট বলেন কিংবা ফুটবল, আমার কাছে যে খবর আসে তাতে বলা হয় বেশির ভাগ ম্যাচই পাতানো। আমি নিশ্চিতভাবে বলছি না, তবে এ রকম শুনেছি। এখন প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগের খেলা যদি এ রকম পাতানো হয়, তবে সেই মানের খেলোয়াড় কখনো পাবেন না। 

এখানে ক্রিকেট বোর্ডের দোষ আছে। বোর্ড বিষয়টাকে ভালোভাবে দেখভাল করছে না। শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে তাদের আরও কঠোর হওয়া উচিত। তাদের আরও দৃঢ়চেতা লোক দরকার সিদ্ধান্ত নিতে, যারা স্পষ্টভাবে কথা বলতে পারবে। নিচের স্তরে যদি শৃঙ্খলা না থাকে, তবে ওপরের স্তর কখনো ভালো হবে না। যেমন একজন খেলোয়াড় আজ সেঞ্চুরি করল, আমি সেটা পত্রিকায় দেখছি কিন্তু খেলার মধ্যে তো দেখছি না। খেলার মধ্যে এলবিডব্লু দিচ্ছে কি দিচ্ছে না, রানআউট দিচ্ছে কি দিচ্ছে না, ক্যাচ আউট দিচ্ছে কি দিচ্ছে না, আমরা দেখছি না। খেলার মাঠে এ রকম অনেক কিছুই ঘটছে। আমরা টেস্ট মর্যাদা পেয়েছি আরও অনেক আগে—এই বিষয়গুলো আরও স্বচ্ছ হওয়া জরুরি ছিল। 

আপনি ভারত বা ইংল্যান্ডের দিকে তাকান, সেখানে যে লিগ খেলা হয় তা কিন্তু খুব সুন্দরভাবে খেলা হয়। এগুলো এমনই হওয়া উচিত। এখানে কেউ চুরির ভেতর নেই! কেউ কাউকে চুরি করে চ্যাম্পিয়ন বানাচ্ছে না। এগুলো খুব বাজে জিনিস। 
সবকিছু বিবেচনা করে আমার মনে হয় পরের ১০ বছর কী হবে এমন পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত। এটা করতে হলে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মিলে ফেডারেশনকে করতে হবে। কীভাবে আম্পায়ার বের করবেন, কীভাবে কোচ বের করবেন যোগ্য লোককে সঙ্গে নিয়ে, এগুলো ঠিক করতে হবে। এই ভিত্তিগুলো যদি না থাকে তবে আপনি কখনোই ওপরে যেতে পারবেন না। 

ফুটবলে আন্তস্কুল খেলা নিয়ে আরও মনোযোগী হতে হবে। কিছু কিছু স্কুল বাছাই করে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া। ১০-১২ বছরের বাচ্চাদের নিয়ে কীভাবে বল ধরতে হবে, কীভাবে বল ছাড়তে হবে এগুলো শেখাতে হবে। এভাবেই সঠিক ছেলেটিকে খুঁজে বের করতে হবে। আপনার তো রেফারিও দরকার। তাদেরও অনুশীলন দরকার। কোচদেরও প্রশিক্ষণ দরকার। এগুলো হচ্ছে মাস্টারপ্ল্যান। এগুলো কিন্তু মুখে মুখে বললে হবে না। পরিকল্পনা করে করতে হবে। বিচ্ছিন্নভাবে করলেও হবে না। 

আলাদাভাবে খেলাগুলোকে শিক্ষা ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এই কাজগুলো করতে হবে। অ্যাথলেটিক, শুটিং, আর্চারি সবগুলো খেলা এভাবে চলবে। সবাইকে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করতে হবে। ঠিকঠাক বাজেটও করতে হবে। নির্দিষ্ট কাঠামো মেনেই আপনাকে এগিয়ে যেতে হবে। একবার করে ভুলে গেলে হবে না। এটা নিয়মিতভাবেই চালিয়ে যেতে হবে। আগামী ১০ বছরে কী করবেন, ২০ বছরের কী করবেন, ৩০ বছরে কী করবেন, সেটা ঠিক করতে হবে। এভাবে না করলে এখন যেভাবে চলছে সেভাবেই সব চলবে। কখনো হয়তো ভালো করবে, আবার কিছুদিন খারাপ করবে। কোনো বিকল্প তৈরি হবে না। হঠাৎ একটা মোস্তাফিজ বেরোবে, হঠাৎ সাকিব আল হাসান বেরোবে—সে জন্য আপনাকে অপেক্ষা করে থাকতে হবে। কিন্তু সেটাতে কোনো লাভ হবে না। সামগ্রিকভাবে কোনো লাভ হবে না। পরিকল্পনা নেই বলেই আমরা এগোতে পারছি না। আপনাকে মৌলিক বিষয়গুলো ঠিকঠাক করতে হবে। 

তানভীর মাজহার ইসলাম তান্নাপূর্ব পাকিস্তানের সময় ফুটবল সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল। পূর্ব পাকিস্তানে তখন তিন-চারটা ক্লাব ছিল। মোহামেডান, ভিক্টোরিয়া, ওয়ান্ডারার্স—এই ক্লাবগুলো এশিয়ান পর্যায়ে প্রতিযোগিতা করত। ইরানের সঙ্গে তখন একটা প্রতিযোগিতা হতো, তাদেরও হারানোর মতো দল ছিলাম। 

আমাদের খুব ভালো দল ছিল। যুদ্ধের পরও সেটা থেকে গিয়েছিল। এরপর তো স্বাধীন বাংলা দল হলো। ওই সময় আমাদের পাঁচ-ছয়টা খেলোয়াড় ছিল, যারা পাকিস্তান দলে খেলত। পরে আবার সালাউদ্দিন ভাই, এনায়েত ভাই, তসলিম ভাইয়েরা আসল। এরা সবাই অসাধারণ খেলোয়াড় ছিল। সমর্থকদেরও অনেক সমর্থন ছিল। 

২০০০ সালের পর আবার ক্রিকেটের সঙ্গে বেশি যুক্ত হই। আমার যেটা মনে হয়, পরে যারা ফুটবলে এসেছে তারা ঠিক করে নেয় যে, ফুটবলারদের নির্দিষ্ট টাকার বেশি দেব না। আমি শেষবার ২০০০ সালে মুন্নাকে ২০ লাখ টাকা দিয়েছিলাম। অন্য অনেককে ১২ লাখ, ১৩ লাখ টাকা করে দিয়েছি। বেতন বাড়ছিল, এখানে জনসমর্থনও ছিল। পরে যারা আসল তারা এটা কমাতে শুরু করে। পাঁচ-ছয় বছর পর সেটা ২ লাখ টাকায় নেমে আসে। এরপর বিএনপির সময় খেলাই বন্ধ ছিল। সে সময় আমি ক্রিকেটেই বেশি ব্যস্ত ছিলাম। 

বিপরীতে এই সময়ের মধ্যে ক্রিকেটে আমরা শক্তি অর্জন করলাম। আইসিসিও আমাদের নিয়ে ইতিবাচকভাবে ভাবতে শুরু করে। কোচিংয়ের দিকে আমরা মনোযোগ দিলাম। লিগ ম্যাচেও আমরা বাইরে থেকে ভালো খেলোয়াড়দের নিয়ে আসা শুরু করি। লিগ ম্যাচেও ঢাকা স্টেডিয়াম দর্শকে ভর্তি ছিল। আইসিসি ট্রফিতে ভালো করলাম। তারপর টেস্ট স্ট্যাটাস পেলাম। স্বীকৃতি পাওয়ার আগে আমরা তিন, চার দিন বা পাঁচ দিনের ম্যাচ নিয়মিত করতাম। কিন্তু এরপর যারা এল তারা এদিকটায় মনোযোগ দিল না। এখন ভালো করতে হলে আপনাকে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করতেই হবে। প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে বেশি জোর দিতে হবে। নয়তো হবে না। ১০-২০ জন খেলোয়াড় দিয়ে তো হবে না, অনেক খেলোয়াড় বের করে আনতে হবে। কিন্তু এগুলো কিছুই হচ্ছে না। টেস্ট ম্যাচে জোর দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু এটাই আসল খেলা। পরিকল্পনা তাই খুব দরকার। 

অন্য ফেডারেশনগুলোর অবস্থা আরও খারাপ। আমাকে ৫০ লাখ টাকা দিয়ে ফেডারেশন চালাতে বলবেন, সেটা হয় না। সবকিছুর জন্য সঠিক পরিকল্পনা ও কোচিং দরকার। সঠিক বাজেট নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিয়ে করেছেন ক্রিকেটার রুমানা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
স্বামী আল মামুনের সঙ্গে রুমানা আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
স্বামী আল মামুনের সঙ্গে রুমানা আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

বিয়ে করেছেন নারী ক্রিকেটার রুমানা আহমেদ। খুলনায় আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন ইনিংস শুরু করলেন বাংলাদেশ নারী দলের সাবেক অধিনায়ক। তাঁর স্বামীর নাম আল মামুন। মামুন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মহাপরিচালক হিসেবে কর্মরত।

রুমানা জানান, খুব সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে তাঁদের বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল অনুষ্ঠান হয়েছে খুলনার টাইগার গার্ডেনে। খুলনা থেকে ফোনে আজকের পত্রিকাকে রুমানা বললেন, ‘নতুন জীবন, একটা অদ্ভুত অনুভূতিই হচ্ছে। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’

বাংলাদেশের হয়ে ৫০ ওয়ানডে ও ৮৭ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন রুমানা। জিতেছেন ২০১৮ এশিয়া কাপ। রুমানা সর্বশেষ বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন ২০২৪ সালের জুলাইয়ে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আফগানিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপ শুরু যুবাদের

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯: ২৯
৯৬ রানেরে ইনিংস খেলে জয়ের ভিত গড়ে দেন জাওয়াদ আবরার। ছবি: এসিসি
৯৬ রানেরে ইনিংস খেলে জয়ের ভিত গড়ে দেন জাওয়াদ আবরার। ছবি: এসিসি

যুব এশিয়া কাপে বাংলাদেশ টানা দুবারের চ্যাম্পিয়ন। আজ সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ‘চ্যাম্পিয়নে’র মতোই খেলল বাংলাদেশ। আফগানদের হারাল ৩ উইকেটে।

আইসিসির একাডেমি মাঠে টস জিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৮৩ রান তোলে আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল। লক্ষ্য তাড়ায় ৭ উইকেট হারিয়ে ৭ বল হাতে রেখেই জিতে যায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল (২৮৪/৭)।

বড় লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশ দলকে দুর্দান্ত শুরু এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার জাওয়াদ আবরার ও রিফাত বেগ। ১০৬ বলে ১৫১ রান করেন তাঁরা। রিফাতের বিদায়ে ছিন্ন হয় এই জুটি। আউট হওয়ার আগে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬৮ বলে ৬২ রান করেন তিনি। রিফাত আউট হয়ে গেলেও সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন আবরার। কিন্তু নড়বড়ে নব্বুইয়ে আউট হয়ে যান তিনি। আফগান বোলার রুহুল্লাহ আরবের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে ৯টি চার ও ছয়টি ছয়ে ১১২ বলে ৯৬ রান করেন তিনি।

দুই ওপেনারের বিদায়ের পর উইকেটে জুটি বাঁধেন আজিজুল হাকিম ও কালাম সিদ্দিকী। ৭১ বলে তারা ৬৬ রান যোগ করেন। তাতে ২ উইকেট হারিয়েই ২৩৫ রান তুলে ফেলে বাংলাদেশ। কিন্তু এরপরই ‘মিনি’ মোড়ক লাগে বাংলাদেশ ইনিংসে। ২৩৬ থেকে ২৬৪—এই ২৮ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। যার মধ্যে আছে ৪৮ বলে ৪৭ রান করা অধিনায়ক আজিজুল হাকিম ও ৩৬ বলে ২৯ রান করা কালাম সিদ্দিকীর উইকেটও।

এরপর দলের ওপর চাপ সৃষ্টি হলেও দল লক্ষ্যের কাছাকাছি থাকায় কোনো অসুবিধা হয়নি। ১৬ বলে ২৬ রান করে দল জয় দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন আবদুল আজিজ। তাঁর এই ইনিংসে আছে ৩টি ছক্কা।

এর আগে প্রথমে ব্যাট করে ফয়সাল শিনোজাদার সেঞ্চুরির সুবাদে ৭ উইকেটে ৮৩ রান তোলে আফগানিস্তান। ১৬ রানে ওপেনার খালিদ আহমেদজাইয়ের (৩) বিদায়ের পর উইকেটে এসে দলের হাল ধরেন শিনোজাদা। ৮টি চার ও ৪টি ছয়ে ৯৪ বলে ১০৩ রান করেন তিনি।

শিনোজাদার বাইরে আর বলার মতোন তেমন রান করতে পারেনি কেউ। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে খেললে সতীর্থদের ছোট-মাঝারি অবদানেই ৭ উইকেটে আফগানদের স্কোর ২৮০ ছাড়িয়ে যায়। শিনোজাদার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৪ রান আসে উজাইরুল্লাহ নিয়াজাইয়ের ব্যাটে। বল হাতে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন ইকবাল হোসেন ইমন ও শাহরিয়ার আহমেদ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শতভাগ ফিট হয়ে নির্বাচকেদের দিকে তাকিয়ে খাজা

ক্রীড়া ডেস্ক    
উসমান খাজা। ছবি: এক্স
উসমান খাজা। ছবি: এক্স

পার্থ টেস্টেই চোট পান উসমান খাজা। এজন্য ব্রিজবেনের গ্যাবায় অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামতে পারেননি। তবে অ্যাশেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্টের আগে শতভাগ ফিট এই ব্যাটার। এরপরও একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন তিনি। সব সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিচ্ছেন নির্বাচকেদের ওপর।

পার্থ টেস্টে ফিল্ডিংয়ের শেষের দিকে মাঠের বাইরে ছিলেন খাজা। এজন্য ওপেনিংয়ে নামতে পারেননি। ব্যাট করতে নামেন ৪ নম্বরে। মাত্র ২ রান করে ফেরেন তিনি। তাঁর পরিবর্তে ওপেনিং করতে নেমে ১২৩ রানের ইনিংস খেলেন হেড।

ব্রিজবেনের গোলাপি টেস্টেও ওপেনিং করতে নামেন তিনি। এ যাত্রায় দুই ইনিংসে এই মারকুটে ব্যাটার করেন ৩৩ ও ২২ রান। অ্যাডিলেড টেস্টের আগে সুস্থ হওয়ায় ওপেনিংয়ে ফেরার সুযোগ থাকছে খাজার। তবে সেটা নির্ভর করছে নির্বাচক এবং ম্যানেজমেন্টের ওপর।

খাজা বলেন, ‘আমি একাদশে ফিরতে চাই। কিন্তু বাস্তবতা হলো আমি জানি না কী হবে। এটা আমার সিদ্ধান্ত নয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি বুঝেছি—কোন বিষয়গুলো আমার নিয়ন্ত্রণে, আর কোনগুলো নয়। ফিটনেসের দিক থেকে আমি বর্তমানে খুব ভালো অনুভব করছি। আমি খেলার জন্য প্রস্তুত। এছাড়া আর আমার নিয়ন্ত্রণে নেই। তাই দেখা যাক কী হয়।’

সুস্থ হওয়ার জন্য গত সপ্তাহে প্রচুর পরিশ্রম করেছেন খাজা, ‘আমি এখন খেলার জন্য শতভাগ ফিট আছি। পার্থ টেস্টের আগেও আমি নিজেকে শতভাগই মনে করেছিলাম। কিছু বিষয় এমনই হয়। ফিট হওয়ার জন্য যা করা দরকার আমি ঠিক তাই করেছি। গত এক সপ্তাহ কঠোর পরিশ্রম করেছি। আসলে তখন শুধু রিহ্যাবই করতে হয়েছে। এটা আমার কাছে বিরক্তিকর মনে হয়। কারণ ইনজুরিতে পড়লে কাজটা আরও বেশি করতে হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জয়ে ফিরল আবাহনী

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জয়ে ফিরেছে আবাহনী। ছবি: বাফুফে
জয়ে ফিরেছে আবাহনী। ছবি: বাফুফে

এই ভালো, এই খারাপ। ঘরোয়া ফুটবলে এমনই সময় কাটছে আবাহনী লিমিটেডের। আজ ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবকে ৫-০ গোলে হারিয়ে লিগে জয়ে ফিরেছে তারা। জোড়া গোল করেছেন সুলেমান দিয়াবাতে।

কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধেই ৩ গোল আদায় করে আবাহনী। ৩২ মিনিটে কাজেম শাহর পাস থেকে দলকে এগিয়ে দেন দিয়াবাতে। ৪১ মিনিটে মিরাজুল  মিরাজুল ইসলামের সহায়তায় এক ডিফেন্ডারের পায়ের ফাঁক দিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এই ফরোয়ার্।

প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে মিরাজুল নিজেও নাম লেখান গোলের খাতায়। তাঁর সাইড ভলিতে গতি না থাকলেও ফকিরেরপুল গোলরক্ষক সঞ্জু আহমেদ বলকে জালে যাওয়া থেকে আটকাতে পারেননি।

দ্বিতীয়ার্ধে গোল পেতে অবশ্য বেশি সময় অপেক্ষা করা লাগে আকাশি-নীল সমর্থকদের। ৭৯ মিনিটে ব্যবধান ৪-০ করেন শেখ মোরসালিন। বক্সে ঢুকে নিচু শটে জাল কাঁপান তিনি। ৮৬ মিনিটে ফকিরেরপুলের কফিনে শেষ পেরেকটি মারেন আল আমিন।

বড় জয়ে ৬ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে উঠে এসেছে আবাহনী। পেছনে ফেলেছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে। ৭ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে আছে সাদা কালোরা। আর ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বসুন্ধরা কিংস।

দিনের অপর ম্যাচে মাঠে নিয়েই যত আলোচনা। বাংলাদেশ পুলিশ ও পিডব্লিউডি’র মধ্যকার খেলা হওয়ার কথা ছিল গাজীপুরের শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে। দুই দলেরই এটি হোম ভেন্যু। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ভেন্যু বদলে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় হয়েছে ম্যাচটি। যদিও গোলশূন্য ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে দুই দল। এই ড্রয়ে পুলিশ ৭ পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে। পিডব্লিউডি ৬ পয়েন্ট নিয়ে আটে উঠে এসেছে।

ভেন্যু বদলের কারণ হিসেবে লিগ কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘ম্যাচের নির্ধারিত ভেন্যু ছিল গাজীপুর। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান উপলক্ষে স্থানীয় প্রশাসনের প্রস্তুতিমূলক কাজ রয়েছে। আমরা অনুরোধ করেছিলাম খেলার সময় প্রয়োজনে এগিয়ে, দ্রুত মাঠ ছেড়ে দেয়ার। জেলা প্রশাসন আমাদের মাঠ দিতে পারেনি এজন্য ভেন্যু পরিবর্তন হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত