অনলাইন ডেস্ক
শিশুদের বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পর্দার সামনে রাখলে তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ কমে যায় বলে কথা প্রচলিত রয়েছে। নানা গবেষণাও রয়েছে এই দাবির পক্ষে। তবে নতুন ফরাসি এক গবেষণায় দেখা গেছে, লোকে এটাকে যতটা খারাপ বলে—আসলে এটি তেমন কিছু নয়। তফাতটা আসলে খুবই সীমিত।
শিশুর বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে পর্দার প্রভাব নিয়ে চলমান বিতর্কে ঘি ঢালল নতুন এই ফরাসি গবেষণা। অনেক বিশ্লেষকই এ গবেষণাকে সতর্কতার সঙ্গে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন।
ফরাসি গবেষণা সংস্থা ইনসার্মের তত্ত্বাবধানে এ গবেষণা পরিচালিত হয়েছে। তরুণদের জ্ঞান বিকাশে স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, গেম কনসোল এবং অন্যান্য স্ক্রিনের ভূমিকা গবেষণার বিষয়বস্তু ছিল। কতক্ষণ মোবাইল ফোনের পর্দার সামনে শিশু কতক্ষণ আছে তার চেয়ে পর্দায় কী দেখছে এবং কেমন পরিবেশে দেখছে—সেটাই গুরুত্বপূর্ণ বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
গবেষণাটি জার্নাল অব চাইল্ড সাইকোলজি অ্যান্ড সাইকিয়াট্রিতে প্রকাশিত হয়েছে। ফ্রান্সের দুই, সাড়ে তিন ও সাড়ে পাঁচ বছর বয়সী ১৪ হাজার শিশুর ওপর এই গবেষণা চালানো হয়েছে। সাক্ষাৎকার দেওয়া শিশুদের অভিভাবকদের কাছে পারিবারিক নিয়মকানুন জানতে চাওয়া হয়েছিল, যেমন খাবারের সময় টেলিভিশন চালু বা বন্ধ করা হয় কি না ইত্যাদি।
গবেষণার মূল পর্যবেক্ষণ: পর্দার সামনে থাকার সঙ্গে শিশুর বিকাশের নেতিবাচক সম্পর্ক থাকলেও তা খুবই সীমিত। বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে গবেষণার নেতৃত্বদানকারী সেন্টার ফর রিসার্চ ইন এপিডেমিওলজি অ্যান্ড স্ট্যাটিস্টিকসের গবেষক জোনাথন বার্নার্ড বলেন, ‘একটি শিশু টেলিভিশনের সামনে সময় কাটালে সেটি তার জন্য বড় ধরনের সমস্যা হবে না, চরম পর্যায় ছাড়া। ২০১৩ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে সংগৃহীত তথ্যে এমনটি দেখা গেছে। এসব তথ্য এক দীর্ঘ বিতর্কের মধ্যস্থতা করেছে। যেখানে একপক্ষ এটিকে ভীতিকর এবং অন্যপক্ষ এটি কোনো বিষয়ই নয় বলে উড়িয়ে দেয়।’
তবে বানার্ড আরও বলেন, ‘কতক্ষণ ইলেট্রনিক পর্দার সামনে শিশু রয়েছে তার চেয়ে কেমন পরিবেশে স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ ব্যবহার করছে সেটিই অধিক গুরুত্বপূর্ণ।’
টেলিভিশনের সামনে খাবার গ্রহণ ও ভাষাগত দক্ষতার ওপর প্রভাব
গবেষকেরা নিখুঁতভাবে দুই বছর বয়সী শিশুদের ভাষা বিকাশ ও তিন থেকে সাড়ে তিন বছর বয়সীদের ভাষাগত বিষয় ছাড়া বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করা এবং নিজেকে চিনতে পারার ক্ষমতা মূল্যায়ন করেছেন। আর পাঁচ বছর বয়সীদের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের দিকে মনোনিবেশ করেছেন। অন্য সামাজিক, সাংস্কৃতিক বিষয়গুলোও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছিল, যেমন—মা, বাবার শিক্ষাগত যোগ্যতা, তাঁদের আয়, টিভি বা মোবাইল ফোনের পর্দার বাইরে পরিবারের অন্যান্য যৌথ কার্যকলাপ।
এতে দেখা গেছে, সামগ্রিকভাবে শিশুদের মস্তিষ্কের ওপর পর্দার ক্ষতিকারক প্রভাব খুবই সীমিত। তবে এই প্রভাব পরিবারের অন্যান্য অভ্যাসের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। অন্য কথায়, যেই শিশু নিয়মিত বই পড়ে তার মানসিক বিকাশ যে শিশুটি পড়ে না তার চেয়ে ভালো হবে। এমনকি কার্টুন দেখার বেলাতেও একই পার্থক্য ঘটবে।
শিশুদের সঙ্গে মা-বাবার সময় কাটানোর বিশেষ মুহূর্ত খাবারের টেবিল। এই সময় টেলিভিশন দেখা হয় কি না সে বিষয়েও আগ্রহী ছিলেন গবেষকেরা। এতে দেখা গেছে, ৪০ শতাংশ পরিবার খাবার খাওয়ার সময় টিভি চালু রাখে। এসব পরিবার আবার সুবিধাবঞ্চিত।
জোনাথন বার্নার্ড আরও বলেন, ‘টেলিভিশন বাড়িতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে, এটি শিশুর ভাষাগত বিকাশে প্রভাব ফেলে। যখন সবাই পর্দায় আচ্ছন্ন থাকে তখন সন্তানের সঙ্গে সময় কাটানো বিরল হয়ে যায়। এটি শিশুর শব্দভান্ডার সীমিত ও বোধগম্যতা হ্রাস করতে পারে।’
‘আমাদের ইলেকট্রনিক পর্দাকে দোষারোপ করা উচিত নয়’
পারিবারিক আলোচনার সময় টেলিভিশন চালিয়ে রাখলে বাচ্চাদের জন্য শব্দের পাঠোদ্ধার করা আরও কঠিন হতে পারে। পর্দার সামনে খাওয়ার অভ্যাস তৈরি হলে তা দীর্ঘ মেয়াদে চলতে পারে। তবে যেসব বাচ্চারা টিভি সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখে, তাদের মধ্যে টিভি দেখার প্রবণতা কমতে থাকে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা।
তাহলে কি আমাদের বাসার ভেতর টিভি বা মোবাইলের পর্দা নিষিদ্ধ করা উচিত? বিষয়টিকে ভালোভাবে বোঝার জন্য আমাদের অবশ্যই পর্দার সামনে কতক্ষণ সময় কাটাচ্ছি—এমন প্রশ্নের বাইরে যেতে হবে, বলছেন গবেষকেরা।
এ ক্ষেত্রে কী ধরনের প্রোগ্রাম বা অনুষ্ঠান শিশুরা দেখছে তার গুণমান বিবেচনায় নেওয়া উচিত। অর্থাৎ, কার্টুন বা ডকুমেন্টারি দেখার সঙ্গে শিশু নিষ্ক্রিয় হয়ে ওঠার কোনো সম্পর্ক নেই।
জোনাথন বার্নার্ড বলেন, ‘টিভি দেখার সময় প্রাপ্তবয়স্করা শিশুর সঙ্গে থাকতে পারে, তারা কী দেখছে সে সম্পর্কে প্রশ্ন করতে পারে, আলোচনা করতে পারে এবং তাদের বোঝাপড়াকে উদ্দীপিত করতে পারে। আমাদের অবশ্যই পর্দার দোষারোপ করা উচিত নয়। টেলিভিশন শিশুদের শেখার এবং তাদের কৌতূহলকে বিকশিত করার একটি উপায় হতে পারে।’
সাম্প্রতিক সময়ে ঘরে টিভি পর্দার সামনে শিশুদের ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে অভিভাবকদের যেই অপরাধবোধ—তা থেকে বের হয়ে আসতে বলেছেন গবেষকেরা।
সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে গবেষক বার্নার্ড আরও বলেন, ‘আমরা বাসায় টেলিভিশন নিষিদ্ধ না করে এর প্রতি যুক্তিসঙ্গত মনোভাব রাখতে পারি।’
ফ্রান্সে টেলিভিশন বা স্মার্টফোনের সামনে শিশুরা নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি থাকে। দুই বছর বয়সে শিশুরা গড়ে ৫৬ মিনিট টিভি বা মোবাইল ফোনের পর্দায় কাটায়। যদিও ফ্রান্সের জনস্বাস্থ্য বিভাগ এই বয়সে পর্দায় শিশুদের সময় না কাটানোর সুপারিশ করে।
তথ্যসূত্র: লা মোঁদে, লা পারিজেন
শিশুদের বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পর্দার সামনে রাখলে তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ কমে যায় বলে কথা প্রচলিত রয়েছে। নানা গবেষণাও রয়েছে এই দাবির পক্ষে। তবে নতুন ফরাসি এক গবেষণায় দেখা গেছে, লোকে এটাকে যতটা খারাপ বলে—আসলে এটি তেমন কিছু নয়। তফাতটা আসলে খুবই সীমিত।
শিশুর বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে পর্দার প্রভাব নিয়ে চলমান বিতর্কে ঘি ঢালল নতুন এই ফরাসি গবেষণা। অনেক বিশ্লেষকই এ গবেষণাকে সতর্কতার সঙ্গে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন।
ফরাসি গবেষণা সংস্থা ইনসার্মের তত্ত্বাবধানে এ গবেষণা পরিচালিত হয়েছে। তরুণদের জ্ঞান বিকাশে স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, গেম কনসোল এবং অন্যান্য স্ক্রিনের ভূমিকা গবেষণার বিষয়বস্তু ছিল। কতক্ষণ মোবাইল ফোনের পর্দার সামনে শিশু কতক্ষণ আছে তার চেয়ে পর্দায় কী দেখছে এবং কেমন পরিবেশে দেখছে—সেটাই গুরুত্বপূর্ণ বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
গবেষণাটি জার্নাল অব চাইল্ড সাইকোলজি অ্যান্ড সাইকিয়াট্রিতে প্রকাশিত হয়েছে। ফ্রান্সের দুই, সাড়ে তিন ও সাড়ে পাঁচ বছর বয়সী ১৪ হাজার শিশুর ওপর এই গবেষণা চালানো হয়েছে। সাক্ষাৎকার দেওয়া শিশুদের অভিভাবকদের কাছে পারিবারিক নিয়মকানুন জানতে চাওয়া হয়েছিল, যেমন খাবারের সময় টেলিভিশন চালু বা বন্ধ করা হয় কি না ইত্যাদি।
গবেষণার মূল পর্যবেক্ষণ: পর্দার সামনে থাকার সঙ্গে শিশুর বিকাশের নেতিবাচক সম্পর্ক থাকলেও তা খুবই সীমিত। বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে গবেষণার নেতৃত্বদানকারী সেন্টার ফর রিসার্চ ইন এপিডেমিওলজি অ্যান্ড স্ট্যাটিস্টিকসের গবেষক জোনাথন বার্নার্ড বলেন, ‘একটি শিশু টেলিভিশনের সামনে সময় কাটালে সেটি তার জন্য বড় ধরনের সমস্যা হবে না, চরম পর্যায় ছাড়া। ২০১৩ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে সংগৃহীত তথ্যে এমনটি দেখা গেছে। এসব তথ্য এক দীর্ঘ বিতর্কের মধ্যস্থতা করেছে। যেখানে একপক্ষ এটিকে ভীতিকর এবং অন্যপক্ষ এটি কোনো বিষয়ই নয় বলে উড়িয়ে দেয়।’
তবে বানার্ড আরও বলেন, ‘কতক্ষণ ইলেট্রনিক পর্দার সামনে শিশু রয়েছে তার চেয়ে কেমন পরিবেশে স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ ব্যবহার করছে সেটিই অধিক গুরুত্বপূর্ণ।’
টেলিভিশনের সামনে খাবার গ্রহণ ও ভাষাগত দক্ষতার ওপর প্রভাব
গবেষকেরা নিখুঁতভাবে দুই বছর বয়সী শিশুদের ভাষা বিকাশ ও তিন থেকে সাড়ে তিন বছর বয়সীদের ভাষাগত বিষয় ছাড়া বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করা এবং নিজেকে চিনতে পারার ক্ষমতা মূল্যায়ন করেছেন। আর পাঁচ বছর বয়সীদের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের দিকে মনোনিবেশ করেছেন। অন্য সামাজিক, সাংস্কৃতিক বিষয়গুলোও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছিল, যেমন—মা, বাবার শিক্ষাগত যোগ্যতা, তাঁদের আয়, টিভি বা মোবাইল ফোনের পর্দার বাইরে পরিবারের অন্যান্য যৌথ কার্যকলাপ।
এতে দেখা গেছে, সামগ্রিকভাবে শিশুদের মস্তিষ্কের ওপর পর্দার ক্ষতিকারক প্রভাব খুবই সীমিত। তবে এই প্রভাব পরিবারের অন্যান্য অভ্যাসের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। অন্য কথায়, যেই শিশু নিয়মিত বই পড়ে তার মানসিক বিকাশ যে শিশুটি পড়ে না তার চেয়ে ভালো হবে। এমনকি কার্টুন দেখার বেলাতেও একই পার্থক্য ঘটবে।
শিশুদের সঙ্গে মা-বাবার সময় কাটানোর বিশেষ মুহূর্ত খাবারের টেবিল। এই সময় টেলিভিশন দেখা হয় কি না সে বিষয়েও আগ্রহী ছিলেন গবেষকেরা। এতে দেখা গেছে, ৪০ শতাংশ পরিবার খাবার খাওয়ার সময় টিভি চালু রাখে। এসব পরিবার আবার সুবিধাবঞ্চিত।
জোনাথন বার্নার্ড আরও বলেন, ‘টেলিভিশন বাড়িতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে, এটি শিশুর ভাষাগত বিকাশে প্রভাব ফেলে। যখন সবাই পর্দায় আচ্ছন্ন থাকে তখন সন্তানের সঙ্গে সময় কাটানো বিরল হয়ে যায়। এটি শিশুর শব্দভান্ডার সীমিত ও বোধগম্যতা হ্রাস করতে পারে।’
‘আমাদের ইলেকট্রনিক পর্দাকে দোষারোপ করা উচিত নয়’
পারিবারিক আলোচনার সময় টেলিভিশন চালিয়ে রাখলে বাচ্চাদের জন্য শব্দের পাঠোদ্ধার করা আরও কঠিন হতে পারে। পর্দার সামনে খাওয়ার অভ্যাস তৈরি হলে তা দীর্ঘ মেয়াদে চলতে পারে। তবে যেসব বাচ্চারা টিভি সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখে, তাদের মধ্যে টিভি দেখার প্রবণতা কমতে থাকে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা।
তাহলে কি আমাদের বাসার ভেতর টিভি বা মোবাইলের পর্দা নিষিদ্ধ করা উচিত? বিষয়টিকে ভালোভাবে বোঝার জন্য আমাদের অবশ্যই পর্দার সামনে কতক্ষণ সময় কাটাচ্ছি—এমন প্রশ্নের বাইরে যেতে হবে, বলছেন গবেষকেরা।
এ ক্ষেত্রে কী ধরনের প্রোগ্রাম বা অনুষ্ঠান শিশুরা দেখছে তার গুণমান বিবেচনায় নেওয়া উচিত। অর্থাৎ, কার্টুন বা ডকুমেন্টারি দেখার সঙ্গে শিশু নিষ্ক্রিয় হয়ে ওঠার কোনো সম্পর্ক নেই।
জোনাথন বার্নার্ড বলেন, ‘টিভি দেখার সময় প্রাপ্তবয়স্করা শিশুর সঙ্গে থাকতে পারে, তারা কী দেখছে সে সম্পর্কে প্রশ্ন করতে পারে, আলোচনা করতে পারে এবং তাদের বোঝাপড়াকে উদ্দীপিত করতে পারে। আমাদের অবশ্যই পর্দার দোষারোপ করা উচিত নয়। টেলিভিশন শিশুদের শেখার এবং তাদের কৌতূহলকে বিকশিত করার একটি উপায় হতে পারে।’
সাম্প্রতিক সময়ে ঘরে টিভি পর্দার সামনে শিশুদের ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে অভিভাবকদের যেই অপরাধবোধ—তা থেকে বের হয়ে আসতে বলেছেন গবেষকেরা।
সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে গবেষক বার্নার্ড আরও বলেন, ‘আমরা বাসায় টেলিভিশন নিষিদ্ধ না করে এর প্রতি যুক্তিসঙ্গত মনোভাব রাখতে পারি।’
ফ্রান্সে টেলিভিশন বা স্মার্টফোনের সামনে শিশুরা নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি থাকে। দুই বছর বয়সে শিশুরা গড়ে ৫৬ মিনিট টিভি বা মোবাইল ফোনের পর্দায় কাটায়। যদিও ফ্রান্সের জনস্বাস্থ্য বিভাগ এই বয়সে পর্দায় শিশুদের সময় না কাটানোর সুপারিশ করে।
তথ্যসূত্র: লা মোঁদে, লা পারিজেন
আমাদের গ্রহের অভ্যন্তরে ঘটছে অসংখ্য জটিল প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়াটি পৃথিবীর উপরিভাগের চেয়ে অনেক বেশি রহস্যময়। ভূপৃষ্ঠের পাতলা স্তর এবং উত্তপ্ত কেন্দ্রের মাঝখানে অবস্থিত ম্যান্টল অঞ্চলটি প্রায় ২ হাজার ৯০০ কিলোমিটার গভীর পর্যন্ত বিস্তৃত।
৮ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) প্রায় সাত মাস ধরে আটকে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস এবং তাঁর সঙ্গী বুচ উইলমোর। এত দীর্ঘ সময় মহাকাশে থাকার কারণে সুনিতা এখন বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন। তিনি ভুলে গেছেন কীভাবে হাঁটতে হয়! এই চ্যালেঞ্জটি তাঁর শরীরের ওপর দীর্ঘ মহাকাশ অভিযানের প্র
১০ ঘণ্টা আগেমহাকাশ স্টেশনে আটকে পড়া নভোচারী বাচ উইলমোর এবং সুনি উইলিয়ামসকে দ্রুত ফিরিয়ে আনতে ইলন মাস্ককে নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত মঙ্গলবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এ তথ্য জানান মাস্ক। তবে এই ঘোষণার ফলে নাসার...
১ দিন আগেচাঁদে গিয়ে অক্সিজেনের সংকটে পড়েন নভোচারীরা। এই সংকট কাটিয়ে ওঠা যায় কীভাবে, সেই উদ্যোগ নিয়েছেন একদল প্রকৌশলী। তাঁরা চাইছেন, সেখানে যে অক্সিজেন পাওয়া যায়, এ জন্য একটি যন্ত্রের নকশা তৈরি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়েরা স্পেসের প্রকৌশলীরা। তাঁরা আশা করছেন
৪ দিন আগে