শহর কিংবা গ্রামের রাস্তায় নিরাপদে চলাচলের জন্য সড়কবাতি অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। তবে গাছের পাতার ওপর নির্ভরশীল পতঙ্গদের বিশাল ক্ষতি করছে এসব সড়কবাতি। কৃত্রিম বাতির আলো গাছের পাতাকে শক্ত করে তোলে। এর পোকামাকড় এগুলো সহজে চিবিয়ে খেতে পারে না। এ জন্য খাদ্য খুঁজে পেতে এরা অন্য জায়গায় যেতে বাধ্য হয়। এমনকি কিছু পতঙ্গকে ক্ষুধার্তও থাকতে হয়। চীনের এক গবেষণা থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
চীনের বৈজ্ঞানিক একাডেমির গবেষকদের একটি দল গবেষণাটি পরিচালনা করে। গবেষকদের মতে, সড়কবাতির ফলে বিশ্বজুড়ে পতঙ্গ আরও কমে যাবে, যা বাস্তুতন্ত্রের ওপর প্রভাব ফেলবে।
পরিবেশবিজ্ঞানী শুয়াং ঝাং বলেন, গবেষণায় দেখা যায়, প্রাকৃতিক পরিবেশের তুলনায় শহরের পরিবেশে থাকা গাছের পাতাগুলো পতঙ্গদের মাধ্যমে কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমনটি কেন হয়, তা আমরা জানতে চেয়েছিলাম।
গবেষণার জন্য গবেষক ঝাং এবং পরিবেশবিদ ইউ কাও ও কে-মিং মা বেইজিংয়ের দুটি সাধারণ গাছের প্রজাতি—জাপানি প্যাগোডা (Styphnolobium japonicum) ও গ্রিন অ্যাশ (Fraxinus pennsylvanica) এর প্রায় ৫,৫০০টি পাতা সংগ্রহ করেন। এসব গাছ সব সময় আলোকিত সড়কগুলোতে বেড়ে ওঠে। তারা প্রতিটি গাছের স্থানে আলো স্তরের পরিমাপ করেছেন এবং পাতার বৈশিষ্ট্যগুলো তুলনা করেন। পাতার আকার, পানির পরিমাণ, রাসায়নিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, পুষ্টি, দৃঢ়তা এবং পাতার ওপর পোকামাকড়ের চিহ্নগুলো পর্যবেক্ষণ করেন গবেষকেরা।
ঝাং বলেন, ‘রাতের কৃত্রিম আলো পাতার দৃঢ়তা বাড়িয়ে দেয় এবং পাতা শাখার স্তর কমিয়ে দেয়।’
এই প্রভাব উভয় গাছের প্রজাতির ক্ষেত্রেই দেখা যায়। পাতা যত বেশি শক্ত হয়, পতঙ্গ ততই কম ক্ষতি করে। এসব গাছ রাস্তার আলো থেকে প্রাপ্ত শক্তির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ পতঙ্গদের বিরুদ্ধে আরও বেশি প্রতিরক্ষা গড়তে ব্যয় করে।
পূর্ববর্তী গবেষণায় আলো পাওয়ার পরিমাণের সঙ্গে ফাইবারের মতো পাতা গঠনকারী উপাদানগুলোর শক্ত হওয়ার সম্পর্ক পাওয়া গিয়েছিল।
ঝাং সতর্ক করে বলেন, তৃণভোজী পতঙ্গ কমে গেলে অন্যান্য শিকারি পতঙ্গ এবং পতঙ্গ খাওয়া পাখির সংখ্যাও কমে যায়। তবে গবেষণাটিতে শহরের মাত্র দুটি গাছের প্রজাতির তথ্য নেওয়া হয়েছে। তাই আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।
পতঙ্গের সংখ্যা কমে যাওয়ায় খাদ্যশৃঙ্খলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় এবং বিভিন্ন স্তরের বাস্তুতন্ত্রে কম পুষ্টি প্রবাহিত হয়। শক্ত পাতা পচে যেতে বেশি সময় লাগে, যা বাস্তুতন্ত্রের পুষ্টি চক্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
আলোর তীব্রতার সঙ্গে সঙ্গে পাতার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদানও পরিবর্তন হয়। উচ্চমাত্রার কৃত্রিম আলোয় প্যাগোডা পাতায় কম নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও কষের উপস্থিতি দেখা যায়। অপরদিকে গ্রিন অ্যাশের পাতায় বেশি নাইট্রোজেনের উপস্থিতি দেখা যায়।
পতঙ্গের আকার ছোট হলেও পৃথিবীজুড়ে সব পতঙ্গের মোট ওজন গবাদিপশু ও মানুষের মোট ওজনের চেয়ে বেশি। এই সব পতঙ্গের কার্যকলাপ পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্রকে জীবন্ত রাখতে বিশাল ভূমিকা পালন করে।
আলোর দূষণ পতঙ্গদের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। এটি রাতের মথগুলোকে বিভ্রান্ত করতে পারে এবং রাতের পরাগায়নকারী পতঙ্গদের খাবার গ্রহণে বাধা দেয়। পৃথিবীর পৃষ্ঠ দিন দিন আলোকিত করায় এবং গাছ কেটে ফেলায় এসব সমস্যা আরও প্রকট হচ্ছে।
কৃত্রিম আলোতে গাছের ওপর নির্ভরশীল পতঙ্গদের শিকারিরা দীর্ঘ সময় ধরে দেখতে পায়। এ জন্য এসব পতঙ্গের সংখ্যা কমে যেতে পারে।
তথ্যসূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট
শহর কিংবা গ্রামের রাস্তায় নিরাপদে চলাচলের জন্য সড়কবাতি অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। তবে গাছের পাতার ওপর নির্ভরশীল পতঙ্গদের বিশাল ক্ষতি করছে এসব সড়কবাতি। কৃত্রিম বাতির আলো গাছের পাতাকে শক্ত করে তোলে। এর পোকামাকড় এগুলো সহজে চিবিয়ে খেতে পারে না। এ জন্য খাদ্য খুঁজে পেতে এরা অন্য জায়গায় যেতে বাধ্য হয়। এমনকি কিছু পতঙ্গকে ক্ষুধার্তও থাকতে হয়। চীনের এক গবেষণা থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
চীনের বৈজ্ঞানিক একাডেমির গবেষকদের একটি দল গবেষণাটি পরিচালনা করে। গবেষকদের মতে, সড়কবাতির ফলে বিশ্বজুড়ে পতঙ্গ আরও কমে যাবে, যা বাস্তুতন্ত্রের ওপর প্রভাব ফেলবে।
পরিবেশবিজ্ঞানী শুয়াং ঝাং বলেন, গবেষণায় দেখা যায়, প্রাকৃতিক পরিবেশের তুলনায় শহরের পরিবেশে থাকা গাছের পাতাগুলো পতঙ্গদের মাধ্যমে কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমনটি কেন হয়, তা আমরা জানতে চেয়েছিলাম।
গবেষণার জন্য গবেষক ঝাং এবং পরিবেশবিদ ইউ কাও ও কে-মিং মা বেইজিংয়ের দুটি সাধারণ গাছের প্রজাতি—জাপানি প্যাগোডা (Styphnolobium japonicum) ও গ্রিন অ্যাশ (Fraxinus pennsylvanica) এর প্রায় ৫,৫০০টি পাতা সংগ্রহ করেন। এসব গাছ সব সময় আলোকিত সড়কগুলোতে বেড়ে ওঠে। তারা প্রতিটি গাছের স্থানে আলো স্তরের পরিমাপ করেছেন এবং পাতার বৈশিষ্ট্যগুলো তুলনা করেন। পাতার আকার, পানির পরিমাণ, রাসায়নিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, পুষ্টি, দৃঢ়তা এবং পাতার ওপর পোকামাকড়ের চিহ্নগুলো পর্যবেক্ষণ করেন গবেষকেরা।
ঝাং বলেন, ‘রাতের কৃত্রিম আলো পাতার দৃঢ়তা বাড়িয়ে দেয় এবং পাতা শাখার স্তর কমিয়ে দেয়।’
এই প্রভাব উভয় গাছের প্রজাতির ক্ষেত্রেই দেখা যায়। পাতা যত বেশি শক্ত হয়, পতঙ্গ ততই কম ক্ষতি করে। এসব গাছ রাস্তার আলো থেকে প্রাপ্ত শক্তির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ পতঙ্গদের বিরুদ্ধে আরও বেশি প্রতিরক্ষা গড়তে ব্যয় করে।
পূর্ববর্তী গবেষণায় আলো পাওয়ার পরিমাণের সঙ্গে ফাইবারের মতো পাতা গঠনকারী উপাদানগুলোর শক্ত হওয়ার সম্পর্ক পাওয়া গিয়েছিল।
ঝাং সতর্ক করে বলেন, তৃণভোজী পতঙ্গ কমে গেলে অন্যান্য শিকারি পতঙ্গ এবং পতঙ্গ খাওয়া পাখির সংখ্যাও কমে যায়। তবে গবেষণাটিতে শহরের মাত্র দুটি গাছের প্রজাতির তথ্য নেওয়া হয়েছে। তাই আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।
পতঙ্গের সংখ্যা কমে যাওয়ায় খাদ্যশৃঙ্খলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় এবং বিভিন্ন স্তরের বাস্তুতন্ত্রে কম পুষ্টি প্রবাহিত হয়। শক্ত পাতা পচে যেতে বেশি সময় লাগে, যা বাস্তুতন্ত্রের পুষ্টি চক্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
আলোর তীব্রতার সঙ্গে সঙ্গে পাতার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদানও পরিবর্তন হয়। উচ্চমাত্রার কৃত্রিম আলোয় প্যাগোডা পাতায় কম নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও কষের উপস্থিতি দেখা যায়। অপরদিকে গ্রিন অ্যাশের পাতায় বেশি নাইট্রোজেনের উপস্থিতি দেখা যায়।
পতঙ্গের আকার ছোট হলেও পৃথিবীজুড়ে সব পতঙ্গের মোট ওজন গবাদিপশু ও মানুষের মোট ওজনের চেয়ে বেশি। এই সব পতঙ্গের কার্যকলাপ পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্রকে জীবন্ত রাখতে বিশাল ভূমিকা পালন করে।
আলোর দূষণ পতঙ্গদের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। এটি রাতের মথগুলোকে বিভ্রান্ত করতে পারে এবং রাতের পরাগায়নকারী পতঙ্গদের খাবার গ্রহণে বাধা দেয়। পৃথিবীর পৃষ্ঠ দিন দিন আলোকিত করায় এবং গাছ কেটে ফেলায় এসব সমস্যা আরও প্রকট হচ্ছে।
কৃত্রিম আলোতে গাছের ওপর নির্ভরশীল পতঙ্গদের শিকারিরা দীর্ঘ সময় ধরে দেখতে পায়। এ জন্য এসব পতঙ্গের সংখ্যা কমে যেতে পারে।
তথ্যসূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট
রঙের জগতে নতুন চমক নিয়ে এসেছেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার একদল বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, তারা এমন একটি রং আবিষ্কার করেছেন, যা সাধারণ চোখে আগে কখনো দেখা যায়নি। এই রঙের নাম রাখা হয়েছে ‘ওলো’, যা দেখতে একধরনের গাড় সবুজাভ নীল।
৭ মিনিট আগেআইনস্টাইনের কথা উঠলেই চলে আসে আরও একজনের নাম। তিনি হলের এমি নোয়েথার। আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা তত্ত্ব সহজভাবে ব্যাখ্যা করেছিলেন এই নারী। তিনি ছিলেন জার্মান গণিতবিদ। মাত্র ৫৩ বছর বয়সে মারা যান এই নারী। কিন্তু এই অল্প কিছুদিনেই গণিতে তাঁর অবদান অসামান্য।
২০ ঘণ্টা আগেজলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই–অক্সাইডের মাত্রা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশসহ বিশ্বের কৃষিপ্রধান দেশগুলোর ধানে আর্সেনিকের উপস্থিতির আশঙ্কা বেড়ে গেছে। সম্প্রতি দ্য ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেলথ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় এই তথ্য জানানো হয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগেডলফিনেরা পৃথিবীর অন্যতম বুদ্ধিমান প্রাণী, যাদের জটিল সামাজিক আচরণ ও শিসের মাধ্যমে নিজস্ব সাংকেতিক নাম রয়েছে। তারা ঘনঘন শব্দ, ক্লিক ও স্কোয়াক ব্যবহার করে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। রহস্যময় এই যোগাযোগব্যবস্থা ভেদ করার পথেই এগোচ্ছে বিজ্ঞান।
২ দিন আগে