ব্যাকটেরিয়া থেকে উৎপন্ন এক বিশেষ ধরনের সেলুলোজ দিয়ে উদ্ভিদের জন্য নতুন ধরনের ব্যান্ডেজ তৈরি করছেন গবেষকেরা। এই ব্যান্ডেজ উদ্ভিদের ক্ষত সারাতে ও পুনরুৎপাদন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, যখন এই সেলুলোজের ব্যান্ডেজ ক্ষতস্থানে লাগানো হয়, তখন উদ্ভিদের ক্ষত নিরাময়ের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ে। কৃষিক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে এই আবিষ্কার।
ইতিমধ্যে এই সেলুলোজ ব্যবহার করা হচ্ছে মানব চিকিৎসায়। এটি উদ্ভিদের প্রাকৃতিক বৃদ্ধির প্রক্রিয়াও ত্বরান্বিত করতে কার্যকরী। বিজ্ঞানীরা এখন এটি ব্যবহারের সম্ভাব্য দিকগুলো নিয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছেন। যেমন: গাছের গ্রাফটিং পদ্ধতি উন্নত করা, বিভিন্ন উদ্ভিদের অংশ (যেমন—পাতা, শাখা বা ডাল) সংরক্ষণ করা এবং গবেষণাগারে শিকড় গঠনের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা।
বৈজ্ঞানিক জার্নাল ‘সায়েন্স অ্যাডভান্স’-এ গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নিকোটিয়ানা বেন্থামিয়ানা ও অ্যারাবিডোপসিস থালিয়ানা প্রজাতির গাছের পাতায় পরীক্ষা করে দেখেন গবেষকেরা। এসব পাতার ক্ষতস্থানের অর্ধেক অংশে ব্যান্ডেজ ব্যবহার করা হয় এবং বাকি অংশ উন্মুক্ত রাখা হয়।
তাঁরা লক্ষ করেন যে, এই ব্যান্ডেজ ব্যবহারের ফলে মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে ক্ষতস্থানের ৮০ শতাংশেরও বেশি নিরাময় ঘটে।
অন্যদিকে, যেসব গাছের ক্ষতস্থানে কোনো ব্যান্ডেজ ব্যবহার করা হয়নি, সেখানে গাছের ক্ষত নিরাময় হয় ২০ শতাংশেরও কম। মাইক্রোস্কোপিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, যেসব ক্ষত সেলুলোজ ব্যান্ডেজ দিয়ে ঢাকা ছিল, সেখানে স্বাস্থ্যকর টিস্যু তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে উন্মুক্ত ক্ষতস্থানে পানিশূন্যতা ও চাপের লক্ষণ প্রকাশ পেয়েছে।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে যে, উদ্ভিদের কাটা অংশগুলোতে দ্রুত শিকড় ও পাতা গঠন করতে সাহায্য করেছে সেলুলোজ ব্যান্ডেজ। এই পর্যবেক্ষণ থেকে ধারণা করা হচ্ছে যে, ব্যাকটেরিয়া-ভিত্তিক সেলুলোজ ব্যান্ডেজ উদ্ভিদের বৃদ্ধি প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করে, যা উদ্ভিদ গবেষণা এবং কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
এদিকে রাসায়নিক বিশ্লেষণে ব্যাকটেরিয়ার সেলুলোজে উদ্ভিদ হরমোনের উপস্থিতি দেখা গেছে। সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য সেলুলোজটি জীবাণুমুক্ত করা হলেও বায়োঅ্যাকটিভ অবস্থায়ই রয়ে গেছে এসব হরমোন। অর্থাৎ, জীবাণুমুক্ত করার পরেও এই হরমোনগুলো তাদের কার্যক্ষমতা বা প্রভাব হারায়নি। বার্সেলোনার কৃষি জিনোমিকস গবেষণাকেন্দ্রের উদ্ভিদ জীববিজ্ঞানী নুরিয়া সাঞ্চেজ কল বলেছেন, সেলুলোজের ঘনত্ব এসব হরমোন রক্ষা করেছে, যার ফলে এগুলো তাদের জৈবিক কার্যক্ষমতা ধরে রেখেছে।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে যে, সেলুলোজ ব্যান্ডেজ উদ্ভিদে একটি বিশেষ জেনেটিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে, যা সাধারণ ক্ষত নিরাময় প্রক্রিয়া থেকে ভিন্ন। ব্যান্ডেজ লাগানোর পর ক্ষত নিরাময়ের সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু জিনের কার্যকারিতা কমে গেছে। তবে সংক্রমণ প্রতিরোধের সঙ্গে সম্পর্কিত জিনগুলো সক্রিয় হয়েছে। গবেষকেরা মনে করেন, সেলুলোজে থাকা ব্যাকটেরিয়ার হরমোনগুলো উদ্ভিদের কোষে প্রভাব ফেলছে। উদ্ভিদটি যখন ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি অনুভব করে, তখন তার শরীর স্বাভাবিকভাবেই প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সক্রিয় করে, যেন সে সংক্রমণ থেকে রক্ষা পায়।
বার্সেলোনার ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স ইনস্টিটিউটের পদার্থবিজ্ঞানী আনা রোইগ বলেছেন, যদিও মানবচিকিৎসায় বহুদিন ধরেই ব্যাকটেরিয়া সেলুলোজ ব্যবহৃত হচ্ছে, এটি প্রথমবারের মতো উদ্ভিদের ওপর এর সরাসরি জীববৈজ্ঞানিক প্রভাব অধ্যয়ন করা হয়েছে।
আবার ভ্যালেন্সিয়ার উদ্ভিদ মলিকুলার ও সেলুলার বায়োলজি ইনস্টিটিউটের উদ্ভিদবিজ্ঞানী জাভিয়ের আগুস্টি বলেছেন, বাস্তব কৃষি পরিস্থিতিতে এর ব্যবহার মূল্যায়ন করার জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন।
গবেষক দলগুলো এখন পরীক্ষা করছে, এই প্রক্রিয়া কীভাবে অন্যান্য প্রক্রিয়াগুলোকেও উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। গবেষকেরা এখন পরীক্ষা করছেন যে, এই প্রক্রিয়া কীভাবে অন্যান্য উদ্ভিদের পুনরুৎপাদন প্রক্রিয়া উন্নত করার জন্য সহায়ক হতে পারে।
ব্যাকটেরিয়া থেকে উৎপন্ন এক বিশেষ ধরনের সেলুলোজ দিয়ে উদ্ভিদের জন্য নতুন ধরনের ব্যান্ডেজ তৈরি করছেন গবেষকেরা। এই ব্যান্ডেজ উদ্ভিদের ক্ষত সারাতে ও পুনরুৎপাদন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, যখন এই সেলুলোজের ব্যান্ডেজ ক্ষতস্থানে লাগানো হয়, তখন উদ্ভিদের ক্ষত নিরাময়ের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ে। কৃষিক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে এই আবিষ্কার।
ইতিমধ্যে এই সেলুলোজ ব্যবহার করা হচ্ছে মানব চিকিৎসায়। এটি উদ্ভিদের প্রাকৃতিক বৃদ্ধির প্রক্রিয়াও ত্বরান্বিত করতে কার্যকরী। বিজ্ঞানীরা এখন এটি ব্যবহারের সম্ভাব্য দিকগুলো নিয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছেন। যেমন: গাছের গ্রাফটিং পদ্ধতি উন্নত করা, বিভিন্ন উদ্ভিদের অংশ (যেমন—পাতা, শাখা বা ডাল) সংরক্ষণ করা এবং গবেষণাগারে শিকড় গঠনের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা।
বৈজ্ঞানিক জার্নাল ‘সায়েন্স অ্যাডভান্স’-এ গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নিকোটিয়ানা বেন্থামিয়ানা ও অ্যারাবিডোপসিস থালিয়ানা প্রজাতির গাছের পাতায় পরীক্ষা করে দেখেন গবেষকেরা। এসব পাতার ক্ষতস্থানের অর্ধেক অংশে ব্যান্ডেজ ব্যবহার করা হয় এবং বাকি অংশ উন্মুক্ত রাখা হয়।
তাঁরা লক্ষ করেন যে, এই ব্যান্ডেজ ব্যবহারের ফলে মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে ক্ষতস্থানের ৮০ শতাংশেরও বেশি নিরাময় ঘটে।
অন্যদিকে, যেসব গাছের ক্ষতস্থানে কোনো ব্যান্ডেজ ব্যবহার করা হয়নি, সেখানে গাছের ক্ষত নিরাময় হয় ২০ শতাংশেরও কম। মাইক্রোস্কোপিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, যেসব ক্ষত সেলুলোজ ব্যান্ডেজ দিয়ে ঢাকা ছিল, সেখানে স্বাস্থ্যকর টিস্যু তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে উন্মুক্ত ক্ষতস্থানে পানিশূন্যতা ও চাপের লক্ষণ প্রকাশ পেয়েছে।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে যে, উদ্ভিদের কাটা অংশগুলোতে দ্রুত শিকড় ও পাতা গঠন করতে সাহায্য করেছে সেলুলোজ ব্যান্ডেজ। এই পর্যবেক্ষণ থেকে ধারণা করা হচ্ছে যে, ব্যাকটেরিয়া-ভিত্তিক সেলুলোজ ব্যান্ডেজ উদ্ভিদের বৃদ্ধি প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করে, যা উদ্ভিদ গবেষণা এবং কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
এদিকে রাসায়নিক বিশ্লেষণে ব্যাকটেরিয়ার সেলুলোজে উদ্ভিদ হরমোনের উপস্থিতি দেখা গেছে। সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য সেলুলোজটি জীবাণুমুক্ত করা হলেও বায়োঅ্যাকটিভ অবস্থায়ই রয়ে গেছে এসব হরমোন। অর্থাৎ, জীবাণুমুক্ত করার পরেও এই হরমোনগুলো তাদের কার্যক্ষমতা বা প্রভাব হারায়নি। বার্সেলোনার কৃষি জিনোমিকস গবেষণাকেন্দ্রের উদ্ভিদ জীববিজ্ঞানী নুরিয়া সাঞ্চেজ কল বলেছেন, সেলুলোজের ঘনত্ব এসব হরমোন রক্ষা করেছে, যার ফলে এগুলো তাদের জৈবিক কার্যক্ষমতা ধরে রেখেছে।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে যে, সেলুলোজ ব্যান্ডেজ উদ্ভিদে একটি বিশেষ জেনেটিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে, যা সাধারণ ক্ষত নিরাময় প্রক্রিয়া থেকে ভিন্ন। ব্যান্ডেজ লাগানোর পর ক্ষত নিরাময়ের সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু জিনের কার্যকারিতা কমে গেছে। তবে সংক্রমণ প্রতিরোধের সঙ্গে সম্পর্কিত জিনগুলো সক্রিয় হয়েছে। গবেষকেরা মনে করেন, সেলুলোজে থাকা ব্যাকটেরিয়ার হরমোনগুলো উদ্ভিদের কোষে প্রভাব ফেলছে। উদ্ভিদটি যখন ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি অনুভব করে, তখন তার শরীর স্বাভাবিকভাবেই প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সক্রিয় করে, যেন সে সংক্রমণ থেকে রক্ষা পায়।
বার্সেলোনার ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স ইনস্টিটিউটের পদার্থবিজ্ঞানী আনা রোইগ বলেছেন, যদিও মানবচিকিৎসায় বহুদিন ধরেই ব্যাকটেরিয়া সেলুলোজ ব্যবহৃত হচ্ছে, এটি প্রথমবারের মতো উদ্ভিদের ওপর এর সরাসরি জীববৈজ্ঞানিক প্রভাব অধ্যয়ন করা হয়েছে।
আবার ভ্যালেন্সিয়ার উদ্ভিদ মলিকুলার ও সেলুলার বায়োলজি ইনস্টিটিউটের উদ্ভিদবিজ্ঞানী জাভিয়ের আগুস্টি বলেছেন, বাস্তব কৃষি পরিস্থিতিতে এর ব্যবহার মূল্যায়ন করার জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন।
গবেষক দলগুলো এখন পরীক্ষা করছে, এই প্রক্রিয়া কীভাবে অন্যান্য প্রক্রিয়াগুলোকেও উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। গবেষকেরা এখন পরীক্ষা করছেন যে, এই প্রক্রিয়া কীভাবে অন্যান্য উদ্ভিদের পুনরুৎপাদন প্রক্রিয়া উন্নত করার জন্য সহায়ক হতে পারে।
রঙের জগতে নতুন চমক নিয়ে এসেছেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার একদল বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, তারা এমন একটি রং আবিষ্কার করেছেন, যা সাধারণ চোখে আগে কখনো দেখা যায়নি। এই রঙের নাম রাখা হয়েছে ‘ওলো’, যা দেখতে একধরনের গাড় সবুজাভ নীল।
৫ ঘণ্টা আগেআইনস্টাইনের কথা উঠলেই চলে আসে আরও একজনের নাম। তিনি হলের এমি নোয়েথার। আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা তত্ত্ব সহজভাবে ব্যাখ্যা করেছিলেন এই নারী। তিনি ছিলেন জার্মান গণিতবিদ। মাত্র ৫৩ বছর বয়সে মারা যান এই নারী। কিন্তু এই অল্প কিছুদিনেই গণিতে তাঁর অবদান অসামান্য।
১ দিন আগেজলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই–অক্সাইডের মাত্রা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশসহ বিশ্বের কৃষিপ্রধান দেশগুলোর ধানে আর্সেনিকের উপস্থিতির আশঙ্কা বেড়ে গেছে। সম্প্রতি দ্য ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেলথ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় এই তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগেডলফিনেরা পৃথিবীর অন্যতম বুদ্ধিমান প্রাণী, যাদের জটিল সামাজিক আচরণ ও শিসের মাধ্যমে নিজস্ব সাংকেতিক নাম রয়েছে। তারা ঘনঘন শব্দ, ক্লিক ও স্কোয়াক ব্যবহার করে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। রহস্যময় এই যোগাযোগব্যবস্থা ভেদ করার পথেই এগোচ্ছে বিজ্ঞান।
২ দিন আগে