অনলাইন ডেস্ক
চলতি সপ্তাহে একটি মাইক্রোওভেন আকারের রোবটিক মহাকাশযান অ্যাস্টেরয়েড বা গ্রহাণুর দিকে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে বেসরকারি কোম্পানি অ্যাস্ট্রোফোর্জ। এর মাধ্যমে গ্রহাণুটির মূল্যবান ধাতু সন্ধান করা হবে। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো ভবিষ্যতে সৌরজগৎজুড়ে বিভিন্ন গ্রহ ও গ্রহাণুর মূল্যবান ধাতু খনন করা, যা পৃথিবীতে বিশাল সম্পদ সৃষ্টিতে সাহায্য করবে।
কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ম্যাট গিয়ালিচ বলেন, যদি এটি সফল হয়, তাহলে এটি সম্ভবত পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যবসা হতে পারে। এই কোম্পানিটি একটি রোবোটিক প্রোব তৈরি ও পরিচালনা করছে।
এর আগেও এমন পরিকল্পনা করেছিল ডিপ স্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ নামক এক অ্যাস্টেরয়েড মাইনিং কোম্পানি। তবে সেই পরিকল্পনা তেমন সফল হয়নি। অর্থায়ন কমে যাওয়ায় ২০১৯ সালে বিক্রি হয়ে যায় কোম্পানিটি এবং কখনোই গ্রহাণুতে পৌঁছাতে পারেনি। এই কোম্পানির প্রধান নির্বাহী ছিলেন ডেভিড গাম্প।
তবে অ্যাস্ট্রোফোর্জ এবার কিছু আলাদা করার চেষ্টা করছে। ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক এই কোম্পানিটি ইতিমধ্যে একটি প্রদর্শনী মহাকাশযান পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠিয়েছে এবং ৫৫ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন সংগ্রহ করেছে। এখন তারা একটি নিকটবর্তী গ্রহাণুর দিকে যাত্রা শুরু করার জন্য প্রস্তুত।
এই মিশনে ব্যবহার করা হবে অ্যাস্ট্রোফোর্জের দ্বিতীয় রোবোটিক মহাকাশযান ‘ওডিন’। এটি স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ রকেটে রয়েছে। আগামী বুধবার ফ্লোরিডা থেকে উৎক্ষেপণ হবে রোবটটি। উৎক্ষেপণের প্রায় ৪৫ মিনিট পর ওডিন আলাদা হয়ে তার একক মহাকাশযাত্রা শুরু করবে। তবে এটি প্রথমে একটি গ্রহাণুর দিকে না গিয়ে চাঁদের দিকে যাত্রা করবে।
অ্যাস্ট্রোফোর্জ-ই মহাকাশে প্রথম বাণিজ্যিক মিশন চালু করতে যাচ্ছে, যা চাঁদ ছাড়াও মহাকাশে পরিচালিত হবে। এটিই প্রথম কোম্পানি, যা গভীর মহাকাশ থেকে তথ্য পাঠানোর জন্য ফেডারেল কমিউনিকেশন কমিশন থেকে অনুমতি পেয়েছে।
প্রথমে, অ্যাস্ট্রোফোর্জ তাদের লক্ষ্য অ্যাস্টেরয়েডটি গোপন রেখেছিল। তবে জানুয়ারিতে তারা জানিয়েছে, তাদের লক্ষ্য হল ‘২০২২ ওবি ৫’ নামক একটি অ্যাস্টেরয়েড বা গ্রহাণুতে পৌঁছানো এবং এতে খনিজ খনন করা। গিয়ালিচ বলছে, এখন তারা আরও আত্মবিশ্বাসী। কারণ, তারা একমাত্র কোম্পানি যারা আসলেই কিছু করতে যাচ্ছে।
প্রায় ১০০ মিটার (ফুটবল মাঠের সমান) আকারের অ্যাস্টেরয়েড হলো—২০২২ ওবি ৫। এটি একটি এম-টাইপ গ্রহাণু হতে পারে, যা উচ্চ পরিমাণে ধাতু ধারণ করে। তবে এই অ্যাস্টেরয়েডের বিশ্লেষণ এখনো প্রকাশিত হয়নি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এম-টাইপ অ্যাস্টেরয়েডগুলোতে লোহা, নিকেল এবং এমনকি প্লাটিনাম গ্রুপ ধাতু থাকতে পারে, যা স্মার্টফোনের মতো ডিভাইস তৈরিতে ব্যবহার হয়। এমন অ্যাস্টেরয়েড খনন করলে তা পৃথিবীতে প্রচুর মূল্যবান ধাতু নিয়ে আসতে পারে।
যুক্তরাজ্যের অ্যাস্টেরয়েড মাইনিং করপোরেশনের প্রতিষ্ঠাতা মিচ হান্টার-স্কুলিয়ন বলেন, একটি এক কিলোমিটার ব্যাসার্ধের অ্যাস্টেরয়েড প্লাটিনাম ধারণ করলে এতে প্রায় ১ লাখ ১৭ হাজার টন প্লাটিনাম থাকতে পারে। তার কোম্পানি ধীরে ধীরে এগোচ্ছে এবং এই দশকের শেষের দিকে চাঁদে প্রযুক্তি প্রদর্শন করার পরিকল্পনা করেছে।
হান্টার-স্কুলিয়ন আরও বলেন, এটি প্রায় ৬৮০ বছরের বৈশ্বিক প্লাটিনাম সরবরাহ। একটি গ্রহাণু থেকে শতাব্দীভর প্লাটিনামের চাহিদার কথা বলছেন। এমনকি এক হাজার টন প্লাটিনাম পাওয়ায় গেলেও এর মাধ্যমে পরবর্তী অর্ধশতাব্দী ধরে মোবাইল ফোনের জন্য উপকরণ সরবরাহ করা যাবে।
তবে, এম-টাইপ অ্যাস্টেরয়েডগুলোর মধ্যে এত মূল্যবান ধাতু পাওয়া যাবে তা নিয়ে সবাই নিশ্চিত নয়।
অ্যাস্ট্রা কোম্পানির প্রধান নির্বাহী জোয়েল সেরসেল বলেন, অ্যাস্টেরয়েডগুলোতে এত পরিমাণ প্লাটিনাম গ্রুপ মেটালস বা পিএমজি থাকবে না, যা ব্যবসায়িক দিক দিয়ে লাভজনক হবে।
মহাকাশের অ্যাস্টেরয়েড খনন ও এর সম্পদ পৃথিবীতে বিক্রির আইন এখনো অস্পষ্ট। ২০১৫ সালে, প্রেসিডেন্ট ওবামা একটি আইন পাস করেছিলেন, যা অ্যাস্টেরয়েড সম্পদ বিক্রি করার অনুমতি দেয়, তবে এখনো কেউ এই আইনটি পরীক্ষা করেনি।
এখন, অ্যাস্ট্রোফোর্জ তাদের মিশনের জন্য প্রস্তুত। তারা আশা করছে, এই অভিযান থেকে যা কিছু পাওয়া যাবে, তা পৃথিবীকে এক নতুন সম্পদ দেবে।
২০২৫ সালের শেষের দিকে প্রায় ৩০০ দিনের দীর্ঘ যাত্রার পর। ২০২২ ওবি ৫ অ্যাস্টেরয়েডে পৌঁছাবে ওডিন এই অ্যাস্টেরয়েড সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর মতো একই কক্ষপথে ঘোরে। মহাকাশযানটি অ্যাস্টেরয়েডটির খুব কাছ দিয়ে যাবে। প্রায় এক কিলোমিটার (শূন্য ৬ মাইল) দূরত্বে থেকে দুটি সাদা-কালো ক্যামেরা ব্যবহার করে ছবি তুলবে। এই ঘটনাটি মাত্র ৫ ঘণ্টা ৩০ মিনিট স্থায়ী হবে। আর শেষ ৫ মিনিটে ভালো ছবিগুলো পাওয়া যাবে।
এই ছবিগুলো বিশ্লেষণ করে জানা যাবে গ্রহাণুতে এসব ধাতু রয়েছে কি না।
অ্যাস্ট্রোফোর্জের প্রথম মিশন ছিল ব্রোকক্র-১, যা এপ্রিল ২০২৩-এ পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠানো হয়েছিল। মিশনটির উদ্দেশ্য ছিল অ্যাস্টেরয়েড পরিশোধন প্রযুক্তি পরীক্ষা করা। এটি কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয় এবং বায়ুমণ্ডলেই পুড়ে যায়। তবে, এই মিশনের মাধ্যমে অ্যাস্ট্রোফোর্জ তাদের প্রযুক্তি উন্নত করেছে, যা পরবর্তী মিশনগুলোর সফলতার জন্য সহায়ক হতে পারে।
ভেস্ট্রি মিশনটি অ্যাস্ট্রোফোর্জের সবচেয়ে বড় এবং প্রতিশ্রুতিশীল মিশন হবে, যা ২০২৬ সালের দিকে উৎক্ষেপণ করা হবে। মিশনটির লক্ষ্য হলো অ্যাস্টেরয়েডে অবতরণ এবং সেখানে ধাতব উপাদান পরিমাপ করা। ভেস্ট্রি মহাকাশযানটি ফ্রিজারের আকারের হবে এবং এর অবতরণের জন্য নিয়োজিত পা গুলোতে চুম্বক থাকবে, যা অ্যাস্টেরয়েডের পৃষ্ঠে আটকে যেতে সাহায্য করবে। এই মিশনের মাধ্যমে প্লাটিনাম গ্রুপ মেটালস এর পরিমাণও নির্ণয় করা হবে।
আর নাসার পসাইকি মিশন ২০২৯ সালে শুরু হবে এবং এটি অ্যাস্টেরয়েড পসাইকি অভিমুখে যাত্রা করবে। পসাইকি অ্যাস্টেরয়েডটি একটি সম্ভাব্য ধাতব টুকরা হতে পারে। নাসা এই মিশনের মাধ্যমে এ বিষয়টি বিশ্লেষণ করা হবে। এটি এমন একটি মিশন যা অ্যাস্টেরয়েডের মেটালিক উপাদান সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহ করব এবং যদি এটি একটি ক্ষতিগ্রস্ত প্ল্যানেটের কোরের অংশ হয়, তবে তা আরও স্পষ্ট হবে।
অ্যাস্ট্রোফোর্জের প্রধান পরামর্শদাতা লিন্ডি এলকিন্স-ট্যান্টন বলেছেন, ‘গভীর মহাকাশে বাণিজ্যিক মিশনগুলোর সুযোগ অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ এবং এটি ছোট ও দ্রুত মিশন পরিচালনা করতে সহায়ক হবে। এটি একটি গেম-চেঞ্জার হতে পারে।’
চলতি সপ্তাহে একটি মাইক্রোওভেন আকারের রোবটিক মহাকাশযান অ্যাস্টেরয়েড বা গ্রহাণুর দিকে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে বেসরকারি কোম্পানি অ্যাস্ট্রোফোর্জ। এর মাধ্যমে গ্রহাণুটির মূল্যবান ধাতু সন্ধান করা হবে। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো ভবিষ্যতে সৌরজগৎজুড়ে বিভিন্ন গ্রহ ও গ্রহাণুর মূল্যবান ধাতু খনন করা, যা পৃথিবীতে বিশাল সম্পদ সৃষ্টিতে সাহায্য করবে।
কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ম্যাট গিয়ালিচ বলেন, যদি এটি সফল হয়, তাহলে এটি সম্ভবত পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যবসা হতে পারে। এই কোম্পানিটি একটি রোবোটিক প্রোব তৈরি ও পরিচালনা করছে।
এর আগেও এমন পরিকল্পনা করেছিল ডিপ স্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ নামক এক অ্যাস্টেরয়েড মাইনিং কোম্পানি। তবে সেই পরিকল্পনা তেমন সফল হয়নি। অর্থায়ন কমে যাওয়ায় ২০১৯ সালে বিক্রি হয়ে যায় কোম্পানিটি এবং কখনোই গ্রহাণুতে পৌঁছাতে পারেনি। এই কোম্পানির প্রধান নির্বাহী ছিলেন ডেভিড গাম্প।
তবে অ্যাস্ট্রোফোর্জ এবার কিছু আলাদা করার চেষ্টা করছে। ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক এই কোম্পানিটি ইতিমধ্যে একটি প্রদর্শনী মহাকাশযান পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠিয়েছে এবং ৫৫ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন সংগ্রহ করেছে। এখন তারা একটি নিকটবর্তী গ্রহাণুর দিকে যাত্রা শুরু করার জন্য প্রস্তুত।
এই মিশনে ব্যবহার করা হবে অ্যাস্ট্রোফোর্জের দ্বিতীয় রোবোটিক মহাকাশযান ‘ওডিন’। এটি স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ রকেটে রয়েছে। আগামী বুধবার ফ্লোরিডা থেকে উৎক্ষেপণ হবে রোবটটি। উৎক্ষেপণের প্রায় ৪৫ মিনিট পর ওডিন আলাদা হয়ে তার একক মহাকাশযাত্রা শুরু করবে। তবে এটি প্রথমে একটি গ্রহাণুর দিকে না গিয়ে চাঁদের দিকে যাত্রা করবে।
অ্যাস্ট্রোফোর্জ-ই মহাকাশে প্রথম বাণিজ্যিক মিশন চালু করতে যাচ্ছে, যা চাঁদ ছাড়াও মহাকাশে পরিচালিত হবে। এটিই প্রথম কোম্পানি, যা গভীর মহাকাশ থেকে তথ্য পাঠানোর জন্য ফেডারেল কমিউনিকেশন কমিশন থেকে অনুমতি পেয়েছে।
প্রথমে, অ্যাস্ট্রোফোর্জ তাদের লক্ষ্য অ্যাস্টেরয়েডটি গোপন রেখেছিল। তবে জানুয়ারিতে তারা জানিয়েছে, তাদের লক্ষ্য হল ‘২০২২ ওবি ৫’ নামক একটি অ্যাস্টেরয়েড বা গ্রহাণুতে পৌঁছানো এবং এতে খনিজ খনন করা। গিয়ালিচ বলছে, এখন তারা আরও আত্মবিশ্বাসী। কারণ, তারা একমাত্র কোম্পানি যারা আসলেই কিছু করতে যাচ্ছে।
প্রায় ১০০ মিটার (ফুটবল মাঠের সমান) আকারের অ্যাস্টেরয়েড হলো—২০২২ ওবি ৫। এটি একটি এম-টাইপ গ্রহাণু হতে পারে, যা উচ্চ পরিমাণে ধাতু ধারণ করে। তবে এই অ্যাস্টেরয়েডের বিশ্লেষণ এখনো প্রকাশিত হয়নি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এম-টাইপ অ্যাস্টেরয়েডগুলোতে লোহা, নিকেল এবং এমনকি প্লাটিনাম গ্রুপ ধাতু থাকতে পারে, যা স্মার্টফোনের মতো ডিভাইস তৈরিতে ব্যবহার হয়। এমন অ্যাস্টেরয়েড খনন করলে তা পৃথিবীতে প্রচুর মূল্যবান ধাতু নিয়ে আসতে পারে।
যুক্তরাজ্যের অ্যাস্টেরয়েড মাইনিং করপোরেশনের প্রতিষ্ঠাতা মিচ হান্টার-স্কুলিয়ন বলেন, একটি এক কিলোমিটার ব্যাসার্ধের অ্যাস্টেরয়েড প্লাটিনাম ধারণ করলে এতে প্রায় ১ লাখ ১৭ হাজার টন প্লাটিনাম থাকতে পারে। তার কোম্পানি ধীরে ধীরে এগোচ্ছে এবং এই দশকের শেষের দিকে চাঁদে প্রযুক্তি প্রদর্শন করার পরিকল্পনা করেছে।
হান্টার-স্কুলিয়ন আরও বলেন, এটি প্রায় ৬৮০ বছরের বৈশ্বিক প্লাটিনাম সরবরাহ। একটি গ্রহাণু থেকে শতাব্দীভর প্লাটিনামের চাহিদার কথা বলছেন। এমনকি এক হাজার টন প্লাটিনাম পাওয়ায় গেলেও এর মাধ্যমে পরবর্তী অর্ধশতাব্দী ধরে মোবাইল ফোনের জন্য উপকরণ সরবরাহ করা যাবে।
তবে, এম-টাইপ অ্যাস্টেরয়েডগুলোর মধ্যে এত মূল্যবান ধাতু পাওয়া যাবে তা নিয়ে সবাই নিশ্চিত নয়।
অ্যাস্ট্রা কোম্পানির প্রধান নির্বাহী জোয়েল সেরসেল বলেন, অ্যাস্টেরয়েডগুলোতে এত পরিমাণ প্লাটিনাম গ্রুপ মেটালস বা পিএমজি থাকবে না, যা ব্যবসায়িক দিক দিয়ে লাভজনক হবে।
মহাকাশের অ্যাস্টেরয়েড খনন ও এর সম্পদ পৃথিবীতে বিক্রির আইন এখনো অস্পষ্ট। ২০১৫ সালে, প্রেসিডেন্ট ওবামা একটি আইন পাস করেছিলেন, যা অ্যাস্টেরয়েড সম্পদ বিক্রি করার অনুমতি দেয়, তবে এখনো কেউ এই আইনটি পরীক্ষা করেনি।
এখন, অ্যাস্ট্রোফোর্জ তাদের মিশনের জন্য প্রস্তুত। তারা আশা করছে, এই অভিযান থেকে যা কিছু পাওয়া যাবে, তা পৃথিবীকে এক নতুন সম্পদ দেবে।
২০২৫ সালের শেষের দিকে প্রায় ৩০০ দিনের দীর্ঘ যাত্রার পর। ২০২২ ওবি ৫ অ্যাস্টেরয়েডে পৌঁছাবে ওডিন এই অ্যাস্টেরয়েড সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর মতো একই কক্ষপথে ঘোরে। মহাকাশযানটি অ্যাস্টেরয়েডটির খুব কাছ দিয়ে যাবে। প্রায় এক কিলোমিটার (শূন্য ৬ মাইল) দূরত্বে থেকে দুটি সাদা-কালো ক্যামেরা ব্যবহার করে ছবি তুলবে। এই ঘটনাটি মাত্র ৫ ঘণ্টা ৩০ মিনিট স্থায়ী হবে। আর শেষ ৫ মিনিটে ভালো ছবিগুলো পাওয়া যাবে।
এই ছবিগুলো বিশ্লেষণ করে জানা যাবে গ্রহাণুতে এসব ধাতু রয়েছে কি না।
অ্যাস্ট্রোফোর্জের প্রথম মিশন ছিল ব্রোকক্র-১, যা এপ্রিল ২০২৩-এ পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠানো হয়েছিল। মিশনটির উদ্দেশ্য ছিল অ্যাস্টেরয়েড পরিশোধন প্রযুক্তি পরীক্ষা করা। এটি কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয় এবং বায়ুমণ্ডলেই পুড়ে যায়। তবে, এই মিশনের মাধ্যমে অ্যাস্ট্রোফোর্জ তাদের প্রযুক্তি উন্নত করেছে, যা পরবর্তী মিশনগুলোর সফলতার জন্য সহায়ক হতে পারে।
ভেস্ট্রি মিশনটি অ্যাস্ট্রোফোর্জের সবচেয়ে বড় এবং প্রতিশ্রুতিশীল মিশন হবে, যা ২০২৬ সালের দিকে উৎক্ষেপণ করা হবে। মিশনটির লক্ষ্য হলো অ্যাস্টেরয়েডে অবতরণ এবং সেখানে ধাতব উপাদান পরিমাপ করা। ভেস্ট্রি মহাকাশযানটি ফ্রিজারের আকারের হবে এবং এর অবতরণের জন্য নিয়োজিত পা গুলোতে চুম্বক থাকবে, যা অ্যাস্টেরয়েডের পৃষ্ঠে আটকে যেতে সাহায্য করবে। এই মিশনের মাধ্যমে প্লাটিনাম গ্রুপ মেটালস এর পরিমাণও নির্ণয় করা হবে।
আর নাসার পসাইকি মিশন ২০২৯ সালে শুরু হবে এবং এটি অ্যাস্টেরয়েড পসাইকি অভিমুখে যাত্রা করবে। পসাইকি অ্যাস্টেরয়েডটি একটি সম্ভাব্য ধাতব টুকরা হতে পারে। নাসা এই মিশনের মাধ্যমে এ বিষয়টি বিশ্লেষণ করা হবে। এটি এমন একটি মিশন যা অ্যাস্টেরয়েডের মেটালিক উপাদান সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহ করব এবং যদি এটি একটি ক্ষতিগ্রস্ত প্ল্যানেটের কোরের অংশ হয়, তবে তা আরও স্পষ্ট হবে।
অ্যাস্ট্রোফোর্জের প্রধান পরামর্শদাতা লিন্ডি এলকিন্স-ট্যান্টন বলেছেন, ‘গভীর মহাকাশে বাণিজ্যিক মিশনগুলোর সুযোগ অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ এবং এটি ছোট ও দ্রুত মিশন পরিচালনা করতে সহায়ক হবে। এটি একটি গেম-চেঞ্জার হতে পারে।’
অতীতের দিকে তাকালে পৃথিবীর জলবায়ুর পরিবর্তনকে রোলার কোস্টারের সঙ্গে তুলনা করা যায়। সময়ে সময়ে এই গ্রহের তাপমাত্রার পরিবর্তন ঘটেছে। একবার উষ্ণ হয়ে উঠেছে, আবার বরফযুগ শুরু হয়েছে। এই পরিবর্তনগুলো কখনোই স্থায়ী নয়। কিছু সময় পর পৃথিবী বর্তমানে উষ্ণ পরিবেশে ফিরে আসে। তবে নতুন এক গবেষণায় জানা যায়, আজ থেকে ১১
৫ মিনিট আগেবিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক দল। তারা একটি নতুন পরমাণু ব্যাটারি উদ্ভাবন করেছেন, যা পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের বর্জ্য ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে। এটি একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার। কারণ এই ধরনের পরমাণু ব্যাটারি কোনো চার্জ বা রক্ষণাবেক্ষণ...
১ দিন আগেহিমশীতল বরফে আচ্ছাদিত প্রত্যন্ত আর্কটিক অঞ্চলে বসবাস করে বিশালদেহী সাদা লোমের পোলার বিয়ার বা মেরু ভালুক। এই তীব্র ঠান্ডায় থাকলেও তাদের লোমে বরফ জমে না। তাই মেরু ভালুকের লোম নিয়ে বেশ আগ্রহী হন বিজ্ঞানীরা। প্রাণীটির লোম নিয়ে গবেষণা করে এর কারণ খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা। মূলত তৈলাক্ত হওয়ায় লোমগুলো জমে যায়
২ দিন আগেনরওয়ের মূল ভূখণ্ডের ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে আর্কটিক সার্কেলের ওপরে এবং উত্তর মেরুর কাছাকাছি মানবজাতির ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সম্পদ লুকিয়ে রয়েছে। এটি কয়লা, তেল বা মূল্যবান খনিজ নয়, বরং বীজ।
৩ দিন আগে