বিভিন্ন পশু-পাখির আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়ার কথা অনেক দেশের উপকথাতেই পাওয়া যায়। তবে কথা হলো, সত্যিই কি পশু-পাখি বা উদ্ভিদের এমন কোনো ক্ষমতা আছে? এ বিষয়ে বিজ্ঞানই বা কী বলে?
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় গ্রাউন্ড হগ’স ডে নামে পরিচিত শীতের শেষ বা বসন্তের আগমনের একটি বার্ষিক অনুষ্ঠান হয়। এতে মূল চরিত্র পোনসেটনি ফিল নামের একটি গ্রাউন্ড হগ বা ইঁদুরজাতীয় প্রাণী।
২ ফেব্রুয়ারি সূর্যোদয়ের আগে শুরু হয় উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। তখন পোনসেটনি শহরের প্রায় দুই মাইল দক্ষিণ-পূর্বের গ্রামীণ এলাকায় অবস্থিত নিজের গর্ত থেকে বেরিয়ে আসে পোনসেটনি ফিল। ঐতিহ্য অনুসারে, সে যদি তার ছায়া দেখে এবং তার গর্তে ফিরে যায়, তবে আরও ছয় সপ্তাহ শীত পড়ার পূর্বাভাস দিচ্ছে। আর ফিল নিজের ছায়া দেখতে না পাওয়ার অর্থ তাড়াতাড়ি বসন্তের ভবিষ্যদ্বাণী করছে সে।
তবে তার ভবিষ্যদ্বাণীগুলো সঠিক হওয়ার চেয়ে ভুলই হয় বেশি। গত ১০ বছরে তার সফলতার হার কেবল ৪০ শতাংশ।
লোককাহিনি অনুসারে, আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়ার অদ্ভুত ক্ষমতার অধিকারী অসংখ্য প্রাণীর মধ্যে কেবল একটি গ্রাউন্ড হগ। যেমন—বৃষ্টির আগে গরুর শুয়ে পড়া কিংবা ওলি বিয়ার কেটারপিলার কিংবা শুঁয়োপোকাগুলোর শরীরের রং শীতের আগে নিষ্প্রভ হয়ে যাওয়া।
তবে এসব দাবির বেশির ভাগ সম্পর্কেই আধুনিক বিজ্ঞানের ধারণা নেতিবাচক। অবশ্য কিংবদন্তি বা লোককথার মধ্যে কিছু কিছু সত্যতাও পেয়েছে বিজ্ঞান। এসব তথ্য জানা যায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে।
ফিনোলজি হলো এমন একটি বিদ্যা, যেখানে আবহাওয়া ও জলবায়ুর পরিবর্তনের সঙ্গে কীভাবে গাছপালা ও প্রাণীদের জীবনের মৌসুমি ঘটনাপ্রবাহ পরিবর্তিত হয় তা নিয়ে গবেষণা করা হয়। যেমন—মাছ বা পরিযায়ী পাখিরা পানি ও বাতাসের তাপমাত্রার সঙ্গে কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ফিনোলজি নেটওয়র্কের পরিচালক থেরেসা ক্রিমিনস বলেন, পোনসেটনি ফিল বসন্তের আগমনী সংকেত দেওয়ায় সফলতা না পেলেও প্রাকৃতিক বিশ্বের আপাতদৃষ্টিতে কুসংস্কারপূর্ণ অনেক বিষয়ে বৈজ্ঞানিক সমর্থন মেলে।
ধারণা করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে এই গ্রাউন্ড হগ’স দিনটি আসে জার্মানি থেকে। তবে সেখানে শীতের অবস্থা নির্ণয় করা প্রাণীটি ব্যাজার। সত্যি মিলে যায় এমন প্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু প্রবাদ এসেছে উত্তর আমেরিকান বিভিন্ন আদিবাসী জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে।
ক্রিমিনস উল্লেখ করেন যে গাছের পাতা এবং ফুলও বিভিন্ন সময় পরিবেশগতভাবে বিভিন্ন ঘটনার ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারে।
‘একটি উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। প্রবাদ অনুসারে ভুট্টা তখন বুনতে হয়, যখন পাতা কাঠবিড়ালীর কানের আকারের হয়।’ উইসকনসিন-ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেনোলজির ওপর একটি নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়, ‘আপনি জানেন যে ভুট্টা রোপণের সঙ্গে ওক পাতা বা কাঠবিড়ালীর সম্পর্ক নেই। তবে স্থানীয় আমেরিকানরা কয়েক শতাব্দী আগেই পর্যবেক্ষণ করেছিলেন যে বীজের পচন রোধ করার জন্য মাটি যথেষ্ট উষ্ণ থাকে ওই সময়। যদিও এটা ধরে এখন ভুট্টা রোপণ করা হলে ফসল কাটার জন্য সময়টা একটু তাড়াতাড়ি হয়ে যায়।
ওল্ড ফার্মার্স অ্যালমানাকে পোকামাকড়, বন্য প্রাণীদের আবহাওয়ার ধরন সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করার ক্ষমতা সম্পর্কে কয়েক ডজন প্রবাদ রয়েছে।
এমন গবেষণা রয়েছে যেখানে বলা হয়, কিছু প্রাণীর একটি সহজাত বোধ থাকতে পারে, যা কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ এগিয়ে আসার আগে তা অনুমান করতে সহায়তা করে এদের।
কারেন্ট বায়োলজি জার্নালে প্রকাশিত ২০১৪ সালের ডিসেম্বরের একটি গবেষণা অনুসারে, গোল্ডেন-উইংড ওয়রব্লার পাখিরা একটি প্রবল টর্নেডো আঘাত হানার ২৪ ঘণ্টা আগে টেনেসির ওই এলাকা খালি করে চলে যায়।
গবেষণার লেখকেরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে এই পাখিরা ইনফ্রাসাউন্ড শোনে, মানুষের শোনার জন্য যার তরঙ্গদৈর্ঘ্য কম। আর এর মাধ্যমে আগেই ঝড়ের সঙ্গে সম্পর্কিত শব্দ কানে আসায় এলাকা ছাড়ে তারা।
জার্মানির বিজ্ঞানীরা ভূমিকম্পের আগেই কোনো কোনো প্রাণী এর পূর্বাভাস দেয় কি না, তা জানতে গবেষণা করেন। গবেষণা প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স প্লাংক সোসাইটির ওই গবেষণায় দেখা যায়, একটি ভূমিকম্পের ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত আগে গরু, ভেড়া কিংবা কুকুরদের মধ্যে চাঞ্চল্য দেখা যায়।
এদিকে ঝিঁঝি পোকা প্রকৃতির থার্মোমিটার হিসেবে কাজ করে বলে যে কথা প্রচলিত আছে, তারও কিন্তু সত্যতা মিলেছে গবেষণায়। পোকামাকড় হলো ইক্টোথার্ম, অর্থাৎ তাদের শরীরের তাপমাত্রা আশপাশের পরিবেশের সঙ্গে পরিবর্তিত হয় এবং উষ্ণ আবহাওয়ায় নিয়মিত ও দ্রুত কিচিরমিচির করে।
বৃষ্টির আগে ব্যাঙও অন্যরকম শব্দে ডাকতে থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজ বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. গর্ডন মিলার বলেন, এদের ডাকাডাকি ‘সম্ভবত বৃষ্টিপাতের আগে আর্দ্রতা বৃদ্ধির কারণে শুরু হয়।’
এদিকে ঋতুগত অবস্থা সম্পর্কে প্রাণীদের অনেক ভবিষ্যদ্বাণীই ভুল। ওলি বিয়ার শুঁয়োপোকার কথা যদি ধরেন, অনেকে বলেন আসন্ন শীতের তীব্রতার পূর্বাভাস তারা দেয় শরীরের রঙিন বন্ধনীর মাধ্যমে।
তবে ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিসের সূত্রে জানা যায়, বাস্তবতা হলো, শুয়োপোকাদের শরীরের রং নির্ভর করে কেমন সময় ধরে এরা খায়, বয়স এবং প্রজাতির ওপর।
ক্রিমিনস জানান, প্রাণীদের অস্বাভাবিক ব্যবহার জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব হিসেবেও ঘটে।
জলবায়ু সমস্যা ও মানুষের উন্নতি নানা ধরনের সমস্যা তৈরি করছে প্রকৃতিতে। ভালুকেরা এ কারণে দেরিতে শীতনিদ্রায় যাচ্ছে। তেমনি উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে তাড়াতাড়ি জগে যাচ্ছে। আর ভালুক খাবারের খোঁজে বের হওয়ায় মানুষ ও ভালুকের সংঘাত বাড়ছে। তেমনি শীতনিদ্রায় কম থাকাটা ভালুকদের সন্তান ধারণেও সমস্যা তৈরি করতে পারে।
বিভিন্ন পশু-পাখির আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়ার কথা অনেক দেশের উপকথাতেই পাওয়া যায়। তবে কথা হলো, সত্যিই কি পশু-পাখি বা উদ্ভিদের এমন কোনো ক্ষমতা আছে? এ বিষয়ে বিজ্ঞানই বা কী বলে?
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় গ্রাউন্ড হগ’স ডে নামে পরিচিত শীতের শেষ বা বসন্তের আগমনের একটি বার্ষিক অনুষ্ঠান হয়। এতে মূল চরিত্র পোনসেটনি ফিল নামের একটি গ্রাউন্ড হগ বা ইঁদুরজাতীয় প্রাণী।
২ ফেব্রুয়ারি সূর্যোদয়ের আগে শুরু হয় উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। তখন পোনসেটনি শহরের প্রায় দুই মাইল দক্ষিণ-পূর্বের গ্রামীণ এলাকায় অবস্থিত নিজের গর্ত থেকে বেরিয়ে আসে পোনসেটনি ফিল। ঐতিহ্য অনুসারে, সে যদি তার ছায়া দেখে এবং তার গর্তে ফিরে যায়, তবে আরও ছয় সপ্তাহ শীত পড়ার পূর্বাভাস দিচ্ছে। আর ফিল নিজের ছায়া দেখতে না পাওয়ার অর্থ তাড়াতাড়ি বসন্তের ভবিষ্যদ্বাণী করছে সে।
তবে তার ভবিষ্যদ্বাণীগুলো সঠিক হওয়ার চেয়ে ভুলই হয় বেশি। গত ১০ বছরে তার সফলতার হার কেবল ৪০ শতাংশ।
লোককাহিনি অনুসারে, আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়ার অদ্ভুত ক্ষমতার অধিকারী অসংখ্য প্রাণীর মধ্যে কেবল একটি গ্রাউন্ড হগ। যেমন—বৃষ্টির আগে গরুর শুয়ে পড়া কিংবা ওলি বিয়ার কেটারপিলার কিংবা শুঁয়োপোকাগুলোর শরীরের রং শীতের আগে নিষ্প্রভ হয়ে যাওয়া।
তবে এসব দাবির বেশির ভাগ সম্পর্কেই আধুনিক বিজ্ঞানের ধারণা নেতিবাচক। অবশ্য কিংবদন্তি বা লোককথার মধ্যে কিছু কিছু সত্যতাও পেয়েছে বিজ্ঞান। এসব তথ্য জানা যায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে।
ফিনোলজি হলো এমন একটি বিদ্যা, যেখানে আবহাওয়া ও জলবায়ুর পরিবর্তনের সঙ্গে কীভাবে গাছপালা ও প্রাণীদের জীবনের মৌসুমি ঘটনাপ্রবাহ পরিবর্তিত হয় তা নিয়ে গবেষণা করা হয়। যেমন—মাছ বা পরিযায়ী পাখিরা পানি ও বাতাসের তাপমাত্রার সঙ্গে কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ফিনোলজি নেটওয়র্কের পরিচালক থেরেসা ক্রিমিনস বলেন, পোনসেটনি ফিল বসন্তের আগমনী সংকেত দেওয়ায় সফলতা না পেলেও প্রাকৃতিক বিশ্বের আপাতদৃষ্টিতে কুসংস্কারপূর্ণ অনেক বিষয়ে বৈজ্ঞানিক সমর্থন মেলে।
ধারণা করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে এই গ্রাউন্ড হগ’স দিনটি আসে জার্মানি থেকে। তবে সেখানে শীতের অবস্থা নির্ণয় করা প্রাণীটি ব্যাজার। সত্যি মিলে যায় এমন প্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু প্রবাদ এসেছে উত্তর আমেরিকান বিভিন্ন আদিবাসী জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে।
ক্রিমিনস উল্লেখ করেন যে গাছের পাতা এবং ফুলও বিভিন্ন সময় পরিবেশগতভাবে বিভিন্ন ঘটনার ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারে।
‘একটি উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। প্রবাদ অনুসারে ভুট্টা তখন বুনতে হয়, যখন পাতা কাঠবিড়ালীর কানের আকারের হয়।’ উইসকনসিন-ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেনোলজির ওপর একটি নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়, ‘আপনি জানেন যে ভুট্টা রোপণের সঙ্গে ওক পাতা বা কাঠবিড়ালীর সম্পর্ক নেই। তবে স্থানীয় আমেরিকানরা কয়েক শতাব্দী আগেই পর্যবেক্ষণ করেছিলেন যে বীজের পচন রোধ করার জন্য মাটি যথেষ্ট উষ্ণ থাকে ওই সময়। যদিও এটা ধরে এখন ভুট্টা রোপণ করা হলে ফসল কাটার জন্য সময়টা একটু তাড়াতাড়ি হয়ে যায়।
ওল্ড ফার্মার্স অ্যালমানাকে পোকামাকড়, বন্য প্রাণীদের আবহাওয়ার ধরন সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করার ক্ষমতা সম্পর্কে কয়েক ডজন প্রবাদ রয়েছে।
এমন গবেষণা রয়েছে যেখানে বলা হয়, কিছু প্রাণীর একটি সহজাত বোধ থাকতে পারে, যা কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ এগিয়ে আসার আগে তা অনুমান করতে সহায়তা করে এদের।
কারেন্ট বায়োলজি জার্নালে প্রকাশিত ২০১৪ সালের ডিসেম্বরের একটি গবেষণা অনুসারে, গোল্ডেন-উইংড ওয়রব্লার পাখিরা একটি প্রবল টর্নেডো আঘাত হানার ২৪ ঘণ্টা আগে টেনেসির ওই এলাকা খালি করে চলে যায়।
গবেষণার লেখকেরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে এই পাখিরা ইনফ্রাসাউন্ড শোনে, মানুষের শোনার জন্য যার তরঙ্গদৈর্ঘ্য কম। আর এর মাধ্যমে আগেই ঝড়ের সঙ্গে সম্পর্কিত শব্দ কানে আসায় এলাকা ছাড়ে তারা।
জার্মানির বিজ্ঞানীরা ভূমিকম্পের আগেই কোনো কোনো প্রাণী এর পূর্বাভাস দেয় কি না, তা জানতে গবেষণা করেন। গবেষণা প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স প্লাংক সোসাইটির ওই গবেষণায় দেখা যায়, একটি ভূমিকম্পের ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত আগে গরু, ভেড়া কিংবা কুকুরদের মধ্যে চাঞ্চল্য দেখা যায়।
এদিকে ঝিঁঝি পোকা প্রকৃতির থার্মোমিটার হিসেবে কাজ করে বলে যে কথা প্রচলিত আছে, তারও কিন্তু সত্যতা মিলেছে গবেষণায়। পোকামাকড় হলো ইক্টোথার্ম, অর্থাৎ তাদের শরীরের তাপমাত্রা আশপাশের পরিবেশের সঙ্গে পরিবর্তিত হয় এবং উষ্ণ আবহাওয়ায় নিয়মিত ও দ্রুত কিচিরমিচির করে।
বৃষ্টির আগে ব্যাঙও অন্যরকম শব্দে ডাকতে থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজ বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. গর্ডন মিলার বলেন, এদের ডাকাডাকি ‘সম্ভবত বৃষ্টিপাতের আগে আর্দ্রতা বৃদ্ধির কারণে শুরু হয়।’
এদিকে ঋতুগত অবস্থা সম্পর্কে প্রাণীদের অনেক ভবিষ্যদ্বাণীই ভুল। ওলি বিয়ার শুঁয়োপোকার কথা যদি ধরেন, অনেকে বলেন আসন্ন শীতের তীব্রতার পূর্বাভাস তারা দেয় শরীরের রঙিন বন্ধনীর মাধ্যমে।
তবে ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিসের সূত্রে জানা যায়, বাস্তবতা হলো, শুয়োপোকাদের শরীরের রং নির্ভর করে কেমন সময় ধরে এরা খায়, বয়স এবং প্রজাতির ওপর।
ক্রিমিনস জানান, প্রাণীদের অস্বাভাবিক ব্যবহার জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব হিসেবেও ঘটে।
জলবায়ু সমস্যা ও মানুষের উন্নতি নানা ধরনের সমস্যা তৈরি করছে প্রকৃতিতে। ভালুকেরা এ কারণে দেরিতে শীতনিদ্রায় যাচ্ছে। তেমনি উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে তাড়াতাড়ি জগে যাচ্ছে। আর ভালুক খাবারের খোঁজে বের হওয়ায় মানুষ ও ভালুকের সংঘাত বাড়ছে। তেমনি শীতনিদ্রায় কম থাকাটা ভালুকদের সন্তান ধারণেও সমস্যা তৈরি করতে পারে।
নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের (জেডব্লিউএসটি) মাধ্যমে মহাবিশ্বের সবচেয়ে বড় মানচিত্র তৈরি করলেন করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই মানচিত্রটি মহাবিশ্বের একটি ছোট অংশজুড়ে বিস্তৃত, যেখানে প্রায় আট লাখ গ্যালাক্সি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে এমন গ্যালাক্সিও আছে, যা এত দূরে অবস্থিত যে সেগুলো মহাবিশ্বের শৈশবের সময়কার,
৮ ঘণ্টা আগেআধুনিক জীবনে প্লাস্টিকের ব্যবহার এড়িয়ে চলা প্রায় অসম্ভব। তবে এই বহুল ব্যবহৃত উপাদানটিই আজ পরিবেশের জন্য এক ভয়াবহ হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বছরের পর বছর ধরে এই প্লাস্টিক জমে থাকছে নদী-নালা, সাগর ও মাটির গভীরে, যা জলজ প্রাণী থেকে শুরু করে মানবস্বাস্থ্যের ওপর ফেলছে মারাত্মক প্রভাব। বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা
১ দিন আগেবিশ্বব্রহ্মাণ্ডে প্রতি মুহূর্তে ঘটছে অসংখ্য শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটছে। নক্ষত্রগুলো জ্বলছে বিশাল পরমাণু বিক্রিয়ার শক্তিতে, আর বিশাল উল্কাপিণ্ড ছুটে এসে ধাক্কা দিচ্ছে গ্রহে গ্রহে। তবে সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এমন এক ধরনের মহাজাগতিক বিস্ফোরণ শনাক্ত করেছেন, যা এই সব কিছুকেই পেছনে ফেলে দিয়েছে। তাদের দাবি, মহাকা
২ দিন আগেআমাদের গ্রহে প্রাণের বিকাশ ও প্রাচুর্য টিকে আছে অক্সিজেনের কল্যাণে। কিন্তু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল সব সময় এমন ছিল না। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, ভবিষ্যতে আমাদের বায়ুমণ্ডলে আবারও মিথেনের আধিক্য হবে এবং অক্সিজেনবিহীন অবস্থায় ফিরে যাবে। তবে এখনই ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
৩ দিন আগে