অনলাইন ডেস্ক
বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর নিকটতম নক্ষত্রমণ্ডল আলফা সেন্টরিতে এক বিশাল গ্যাস গ্রহ থাকার শক্ত প্রমাণ পেয়েছেন। জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাবে সাড়ে চার আলোকবর্ষ দূরের এই প্রাণহীন গ্রহকে পৃথিবীর ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এর উপগ্রহে জীবনের উপযোগী পরিবেশ থাকার সম্ভাবনাও রয়েছে!
আজ শুক্রবার (৮ আগস্ট) বিবিসি জানিয়েছে, সম্ভাব্য এই গ্রহের অস্তিত্ব শনাক্ত করেছে শক্তিশালী জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। ২০২৪ সালের আগস্টে গ্রহটি প্রথমবারের মতো ধরা পড়লেও পরবর্তী পর্যবেক্ষণে এটি ‘অদৃশ্য’ হয়ে যায়। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এখন আবারও পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছেন এর অস্তিত্ব নিশ্চিত করতে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাকাশ যন্ত্রবিদ্যার সহযোগী অধ্যাপক ড. কার্লি হাউইট বলেছেন, ‘চার আলোকবর্ষ মহাকাশের হিসাবে খুব বেশি দূর নয়। এটি আমাদের মহাজাগতিক মহল্লায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এটি সূর্যের মতো উজ্জ্বল ও তাপমাত্রাসম্পন্ন একটি নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘুরছে।’
বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, গ্রহটি আমাদের সৌরজগতের বৃহস্পতি বা শনির মতো একটি গ্যাসদৈত্য, যা ঘন গ্যাসে আচ্ছাদিত। সরাসরি জীবনের উপযোগী না হলেও এর চারপাশে থাকা উপগ্রহগুলোতে জীবন থাকার উপযুক্ত পরিবেশ থাকতে পারে। সৌরজগতের বৃহস্পতি ও শনি গ্রহের কিছু বরফাচ্ছন্ন উপগ্রহের মতো সম্ভাব্য গ্রহটির উপগ্রহে প্রাণের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা যেতে পারে। বর্তমানে নাসার ‘ইউরোপা ক্লিপার’ ও ‘জুস মিশন’ সৌরজগতের এমন উপগ্রহে প্রাণের সম্ভাবনা নিয়ে অনুসন্ধান করছে।
গ্রহটি শনাক্ত করা জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ সরাসরি চিত্রায়ণের মাধ্যমে এ ধরনের দূরবর্তী বস্তুকে শনাক্ত করে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের কাছে যা প্রায় ‘ফটোগ্রাফ তোলার’ সমান। তবে আলফা সেন্টরির নক্ষত্রগুলো অত্যন্ত উজ্জ্বল, কাছাকাছি অবস্থান ও আকাশে দ্রুতগতি থাকার কারণে এ ধরনের পর্যবেক্ষণ ভীষণ কঠিন।
প্রথমবার শনাক্ত হওয়ার পর গ্রহটি পুনরায় দেখা না যাওয়ার কারণ হতে পারে—এটি হয়তো তখন নক্ষত্রের আড়ালে ছিল বা খুব কাছাকাছি অবস্থায় ছিল, যা শনাক্ত করা অসম্ভব করে তুলেছে। ড. হাউইটের ভাষায়, এ ধরনের পর্যবেক্ষণে খানিকটা ভাগ্যেরও প্রয়োজন হয়।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, ২০২৭ সালে কার্যক্রম শুরু করতে যাওয়া নাসার নতুন গ্রেস রোমান স্পেস টেলিস্কোপ দিয়ে এই গ্রহের বিষয়ে আরও তথ্য পাওয়া যাবে। পাশাপাশি জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের ভবিষ্যৎ স্পেকট্রাল ইমেজিং বিশ্লেষণ গ্রহটির রাসায়নিক গঠন এবং সম্ভাব্য উপগ্রহের বাসযোগ্যতা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেবে।
এই আবিষ্কার নিশ্চিত হলে এটি হবে পৃথিবীর সবচেয়ে নিকটবর্তী দৈত্যাকার গ্যাস গ্রহ, যা মহাকাশে জীবন খোঁজার নতুন দুয়ার খুলে দিতে পারে।
বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর নিকটতম নক্ষত্রমণ্ডল আলফা সেন্টরিতে এক বিশাল গ্যাস গ্রহ থাকার শক্ত প্রমাণ পেয়েছেন। জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাবে সাড়ে চার আলোকবর্ষ দূরের এই প্রাণহীন গ্রহকে পৃথিবীর ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এর উপগ্রহে জীবনের উপযোগী পরিবেশ থাকার সম্ভাবনাও রয়েছে!
আজ শুক্রবার (৮ আগস্ট) বিবিসি জানিয়েছে, সম্ভাব্য এই গ্রহের অস্তিত্ব শনাক্ত করেছে শক্তিশালী জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। ২০২৪ সালের আগস্টে গ্রহটি প্রথমবারের মতো ধরা পড়লেও পরবর্তী পর্যবেক্ষণে এটি ‘অদৃশ্য’ হয়ে যায়। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এখন আবারও পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছেন এর অস্তিত্ব নিশ্চিত করতে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাকাশ যন্ত্রবিদ্যার সহযোগী অধ্যাপক ড. কার্লি হাউইট বলেছেন, ‘চার আলোকবর্ষ মহাকাশের হিসাবে খুব বেশি দূর নয়। এটি আমাদের মহাজাগতিক মহল্লায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এটি সূর্যের মতো উজ্জ্বল ও তাপমাত্রাসম্পন্ন একটি নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘুরছে।’
বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, গ্রহটি আমাদের সৌরজগতের বৃহস্পতি বা শনির মতো একটি গ্যাসদৈত্য, যা ঘন গ্যাসে আচ্ছাদিত। সরাসরি জীবনের উপযোগী না হলেও এর চারপাশে থাকা উপগ্রহগুলোতে জীবন থাকার উপযুক্ত পরিবেশ থাকতে পারে। সৌরজগতের বৃহস্পতি ও শনি গ্রহের কিছু বরফাচ্ছন্ন উপগ্রহের মতো সম্ভাব্য গ্রহটির উপগ্রহে প্রাণের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা যেতে পারে। বর্তমানে নাসার ‘ইউরোপা ক্লিপার’ ও ‘জুস মিশন’ সৌরজগতের এমন উপগ্রহে প্রাণের সম্ভাবনা নিয়ে অনুসন্ধান করছে।
গ্রহটি শনাক্ত করা জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ সরাসরি চিত্রায়ণের মাধ্যমে এ ধরনের দূরবর্তী বস্তুকে শনাক্ত করে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের কাছে যা প্রায় ‘ফটোগ্রাফ তোলার’ সমান। তবে আলফা সেন্টরির নক্ষত্রগুলো অত্যন্ত উজ্জ্বল, কাছাকাছি অবস্থান ও আকাশে দ্রুতগতি থাকার কারণে এ ধরনের পর্যবেক্ষণ ভীষণ কঠিন।
প্রথমবার শনাক্ত হওয়ার পর গ্রহটি পুনরায় দেখা না যাওয়ার কারণ হতে পারে—এটি হয়তো তখন নক্ষত্রের আড়ালে ছিল বা খুব কাছাকাছি অবস্থায় ছিল, যা শনাক্ত করা অসম্ভব করে তুলেছে। ড. হাউইটের ভাষায়, এ ধরনের পর্যবেক্ষণে খানিকটা ভাগ্যেরও প্রয়োজন হয়।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, ২০২৭ সালে কার্যক্রম শুরু করতে যাওয়া নাসার নতুন গ্রেস রোমান স্পেস টেলিস্কোপ দিয়ে এই গ্রহের বিষয়ে আরও তথ্য পাওয়া যাবে। পাশাপাশি জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের ভবিষ্যৎ স্পেকট্রাল ইমেজিং বিশ্লেষণ গ্রহটির রাসায়নিক গঠন এবং সম্ভাব্য উপগ্রহের বাসযোগ্যতা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেবে।
এই আবিষ্কার নিশ্চিত হলে এটি হবে পৃথিবীর সবচেয়ে নিকটবর্তী দৈত্যাকার গ্যাস গ্রহ, যা মহাকাশে জীবন খোঁজার নতুন দুয়ার খুলে দিতে পারে।
ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের ‘ক্রু-১১’ মিশনের মাধ্যমে চারজন নভোচারী একটি ব্যতিক্রমধর্মী বৈজ্ঞানিক গবেষণার উদ্দেশ্যে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) পৌঁছেছেন। গত ১ আগস্ট উৎক্ষেপণ হওয়া এই অভিযানে নভোচারীরা সঙ্গে নিয়েছেন রোগ সৃষ্টিকারী কয়েকটি ব্যাকটেরিয়া।
২ দিন আগেচাঁদের মাটিতে ২০৩০ সালের মধ্যে পারমাণবিক চুল্লি স্থাপনের নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে নাসা। এই পদক্ষেপ চাঁদে মানুষের স্থায়ী বসতি গড়ার উচ্চাভিলাষের অংশ। কারণ, মানুষের বসবাসের জন্য সেখানে নিরবচ্ছিন্ন শক্তি সরবরাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
২ দিন আগেআমরা যখন ‘নাসা’ নিয়ে ভাবি, তখন আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে রকেট আর মহাকাশ অভিযান। এটিই স্বাভাবিক, কারণ মহাকাশ-সংক্রান্ত নাসার অন্যান্য অর্জনই সংবাদমাধ্যমে বেশি প্রকাশ পায়। তবে অনেকেই জানেন না, নাসার রকেট বা মহাকাশযানের পাশাপাশি নিজস্ব যুদ্ধবিমানের বহর রয়েছে।
৫ দিন আগেচেক প্রজাতন্ত্রের দক্ষিণ মোরাভিয়া অঞ্চলের এক প্রাগৈতিহাসিক খনিতে ছয় হাজার বছর আগে শ্রমজীবী দুই বোনের জীবনের রহস্য উদ্ঘাটন করেছেন প্রত্নতাত্ত্বিকেরা। নতুন গবেষণার ভিত্তিতে এই দুই নারীর ‘হাইপাররিয়েলিস্টিক’ বা ৩ডি মুখাবয়ব পুনর্গঠন করা হয়েছে।
৫ দিন আগে