প্রমিতি কিবরিয়া ইসলাম, ঢাকা
রাতের আকাশে তারাগুলো মিটমিট করে জ্বলতে থাকে। তবে টেলিস্কোপে চোখ রেখে দেখলে আকাশে কোটি কোটি আলোর উৎস দেখা যায়। এই আলোগুলোর সবই কিন্তু তারা নয়। শুধু তারা বা নক্ষত্রই মিটমিট করে জ্বলে। খালি চোখেও কিন্তু তারাগুলোকে মিটমিট করে জ্বলতে দেখা যায়, এর কারণ কী?
আমরা যে তারাগুলো মিটমিট করতে দেখতে পাই, এটি আসলে তারার নিজস্ব প্রকৃতি বা বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। বরং এটি পৃথিবী থেকে আমাদের দেখার কারণে ঘটে।
তারাগুলো এত দূরে অবস্থিত যে, সেগুলোকে রাতের আকাশে ছোট ছোট আলোর বিন্দুর মতো দেখা যায়।
যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের সৌর পদার্থবিদ রায়ান ফ্রেঞ্চ বলেন, তারাগুলোর আলো চোখে পৌঁছাতে বিশাল দূরত্ব অতিক্রম করে। যেমন: পৃথিবী থেকে আমাদের সৌরজগতের তারকা সূর্যের গড় দূরত্ব ৯৩ মিলিয়ন মাইল (১৫ কোটি কিলোমিটার)। সৌর জগতের বাইরে আমাদের কাছে সবচেয়ে কাছের তারাটি হলো প্রক্সিমা সেঞ্চুরি, যা পৃথিবী থেকে ৪ আলোকবর্ষেরও (এক আলোকবর্ষ প্রায় ৫.৮ ট্রিলিয়ন মাইল বা প্রায় ৯.৫ ট্রিলিয়ন কিলোমিটারের সমান) বেশি দূরে অবস্থিত।
এর চেয়েও দূরবর্তী তারা থেকে আসা আলো আমাদের চোখে পৌঁছানোর পথে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মুখোমুখি হয়, যা এই মিটমিট আলো দেখার মূল কারণ।
যখন একটি আলোর রশ্মি এক মাধ্যম থেকে অন্য মাধ্যমে প্রবেশ করে তখন এটি ‘বেঁকে’ যায় বা প্রতিসরণ ঘটে। এখন নক্ষত্র বা তারকা থেকে আসা আলোর ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে। কারণ আলো মহাশূন্য থেকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় মাধ্যমের পরিবর্তন হয়। অর্থাৎ শূন্য মাধ্যম থেকে বায়বীয় মাধ্যমে প্রবেশ করে।
বায়ুমণ্ডলে অনেক রকম গ্যাস থাকে। তাই বায়ু মাধ্যমেও ঘনত্বের পার্থক্য দেখা যায়। সে জন্য তারার আলো বারবার দিক পরিবর্তন করে বা এর প্রতিসরণ ঘটে। এসব আলো আমাদের চোখে এসে পৌঁছালে মনে হয় তারা কখনো জ্বলছে, কখনো নিভছে।
আলোর প্রতিসরণের বিষয়টি প্রিজমের মাধ্যমে আরও ভালোভাবে বোঝা যায়।
পদার্থবিদ রায়ান ফ্রেঞ্চ বলেন, তারার আলো যদি অনেক দূর পথ অতিক্রম করে তখন এগুলো বেশি মিটমিট করে। আবার কিছু কিছু তারা এত দূরে অবস্থিত যে, সেগুলোর আলো পৃথিবীতে এসে পৌঁছানোর আগেই তারকাটির মৃত্যু ঘটে। অর্থাৎ আকাশে এমন অনেক তারার আলো দেখা যায় যেগুলোর অস্তিত্ব অনেক আগেই বিলীন হয়ে গেছে!
এ ছাড়া আবহাওয়ার সঙ্গে তারার মিটমিট করে জ্বলার সম্পর্ক রয়েছে। আর্দ্র বাতাস আরও ঘন হয়ে ওঠে, ফলে তারাগুলো আরও বেশি মিটমিট করে।
বিশ্বের বড় বড় টেলিস্কোপ স্থাপনে স্থান নির্ধারণের জন্য এসব বিষয় জ্যোতির্বিদদের মাথায় রাখতে হয়।
ফ্রেঞ্চ বলেন, ‘তারকা পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রগুলো বা অবজার্ভেটারিগুরো উঁচু, শুষ্ক স্থানে স্থাপন করা হয়, যাতে তারকা ও টেলিস্কোপের মধ্যে যতটা সম্ভব কম বায়ুমণ্ডল থাকে।’
তবে কিছু তারা মিটমিট করলেও কিছু তারকা একনাগাড়ে জ্বলতে দেখা যায়। কারণ সেগুলো আসলে তারকা বা নক্ষত্র নয়, বরং গ্রহ।
গ্রহগুলো তারকার চেয়ে পৃথিবীর কাছাকাছি থাকে এবং বায়ুমণ্ডল দিয়ে একটি অনেক ঘন আলোক রশ্মি হিসেবে পৃথিবী পৃষ্ঠে আসে। তাই এটি বায়ুমণ্ডলের মাধ্যমে বেশি প্রভাবিত হয় না।
রাতের আকাশে একটি উজ্জ্বল বিন্দু দেখে তা মিটমিট না করলে বোঝা যাবে এটি একটি গ্রহ।
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স ও বিবিসি স্কাই অ্যাট নাইট
রাতের আকাশে তারাগুলো মিটমিট করে জ্বলতে থাকে। তবে টেলিস্কোপে চোখ রেখে দেখলে আকাশে কোটি কোটি আলোর উৎস দেখা যায়। এই আলোগুলোর সবই কিন্তু তারা নয়। শুধু তারা বা নক্ষত্রই মিটমিট করে জ্বলে। খালি চোখেও কিন্তু তারাগুলোকে মিটমিট করে জ্বলতে দেখা যায়, এর কারণ কী?
আমরা যে তারাগুলো মিটমিট করতে দেখতে পাই, এটি আসলে তারার নিজস্ব প্রকৃতি বা বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। বরং এটি পৃথিবী থেকে আমাদের দেখার কারণে ঘটে।
তারাগুলো এত দূরে অবস্থিত যে, সেগুলোকে রাতের আকাশে ছোট ছোট আলোর বিন্দুর মতো দেখা যায়।
যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের সৌর পদার্থবিদ রায়ান ফ্রেঞ্চ বলেন, তারাগুলোর আলো চোখে পৌঁছাতে বিশাল দূরত্ব অতিক্রম করে। যেমন: পৃথিবী থেকে আমাদের সৌরজগতের তারকা সূর্যের গড় দূরত্ব ৯৩ মিলিয়ন মাইল (১৫ কোটি কিলোমিটার)। সৌর জগতের বাইরে আমাদের কাছে সবচেয়ে কাছের তারাটি হলো প্রক্সিমা সেঞ্চুরি, যা পৃথিবী থেকে ৪ আলোকবর্ষেরও (এক আলোকবর্ষ প্রায় ৫.৮ ট্রিলিয়ন মাইল বা প্রায় ৯.৫ ট্রিলিয়ন কিলোমিটারের সমান) বেশি দূরে অবস্থিত।
এর চেয়েও দূরবর্তী তারা থেকে আসা আলো আমাদের চোখে পৌঁছানোর পথে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মুখোমুখি হয়, যা এই মিটমিট আলো দেখার মূল কারণ।
যখন একটি আলোর রশ্মি এক মাধ্যম থেকে অন্য মাধ্যমে প্রবেশ করে তখন এটি ‘বেঁকে’ যায় বা প্রতিসরণ ঘটে। এখন নক্ষত্র বা তারকা থেকে আসা আলোর ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে। কারণ আলো মহাশূন্য থেকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় মাধ্যমের পরিবর্তন হয়। অর্থাৎ শূন্য মাধ্যম থেকে বায়বীয় মাধ্যমে প্রবেশ করে।
বায়ুমণ্ডলে অনেক রকম গ্যাস থাকে। তাই বায়ু মাধ্যমেও ঘনত্বের পার্থক্য দেখা যায়। সে জন্য তারার আলো বারবার দিক পরিবর্তন করে বা এর প্রতিসরণ ঘটে। এসব আলো আমাদের চোখে এসে পৌঁছালে মনে হয় তারা কখনো জ্বলছে, কখনো নিভছে।
আলোর প্রতিসরণের বিষয়টি প্রিজমের মাধ্যমে আরও ভালোভাবে বোঝা যায়।
পদার্থবিদ রায়ান ফ্রেঞ্চ বলেন, তারার আলো যদি অনেক দূর পথ অতিক্রম করে তখন এগুলো বেশি মিটমিট করে। আবার কিছু কিছু তারা এত দূরে অবস্থিত যে, সেগুলোর আলো পৃথিবীতে এসে পৌঁছানোর আগেই তারকাটির মৃত্যু ঘটে। অর্থাৎ আকাশে এমন অনেক তারার আলো দেখা যায় যেগুলোর অস্তিত্ব অনেক আগেই বিলীন হয়ে গেছে!
এ ছাড়া আবহাওয়ার সঙ্গে তারার মিটমিট করে জ্বলার সম্পর্ক রয়েছে। আর্দ্র বাতাস আরও ঘন হয়ে ওঠে, ফলে তারাগুলো আরও বেশি মিটমিট করে।
বিশ্বের বড় বড় টেলিস্কোপ স্থাপনে স্থান নির্ধারণের জন্য এসব বিষয় জ্যোতির্বিদদের মাথায় রাখতে হয়।
ফ্রেঞ্চ বলেন, ‘তারকা পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রগুলো বা অবজার্ভেটারিগুরো উঁচু, শুষ্ক স্থানে স্থাপন করা হয়, যাতে তারকা ও টেলিস্কোপের মধ্যে যতটা সম্ভব কম বায়ুমণ্ডল থাকে।’
তবে কিছু তারা মিটমিট করলেও কিছু তারকা একনাগাড়ে জ্বলতে দেখা যায়। কারণ সেগুলো আসলে তারকা বা নক্ষত্র নয়, বরং গ্রহ।
গ্রহগুলো তারকার চেয়ে পৃথিবীর কাছাকাছি থাকে এবং বায়ুমণ্ডল দিয়ে একটি অনেক ঘন আলোক রশ্মি হিসেবে পৃথিবী পৃষ্ঠে আসে। তাই এটি বায়ুমণ্ডলের মাধ্যমে বেশি প্রভাবিত হয় না।
রাতের আকাশে একটি উজ্জ্বল বিন্দু দেখে তা মিটমিট না করলে বোঝা যাবে এটি একটি গ্রহ।
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স ও বিবিসি স্কাই অ্যাট নাইট
রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর প্রতিভা ও বিতর্কিত কর্মজীবনের জন্য পরিচিত ছিলেন। বিশ্ব ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এক আবিষ্কার করেছিলেন এই প্রত্নতত্ত্ববিদ। কিন্তু ইতিহাসের পাতায় আজও উপেক্ষিত।
১২ ঘণ্টা আগেরঙের জগতে নতুন চমক নিয়ে এসেছেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার একদল বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, তারা এমন একটি রং আবিষ্কার করেছেন, যা সাধারণ চোখে আগে কখনো দেখা যায়নি। এই রঙের নাম রাখা হয়েছে ‘ওলো’, যা দেখতে একধরনের গাড় সবুজাভ নীল।
১৮ ঘণ্টা আগেআইনস্টাইনের কথা উঠলেই চলে আসে আরও একজনের নাম। তিনি হলের এমি নোয়েথার। আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা তত্ত্ব সহজভাবে ব্যাখ্যা করেছিলেন এই নারী। তিনি ছিলেন জার্মান গণিতবিদ। মাত্র ৫৩ বছর বয়সে মারা যান এই নারী। কিন্তু এই অল্প কিছুদিনেই গণিতে তাঁর অবদান অসামান্য।
২ দিন আগেজলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই–অক্সাইডের মাত্রা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশসহ বিশ্বের কৃষিপ্রধান দেশগুলোর ধানে আর্সেনিকের উপস্থিতির আশঙ্কা বেড়ে গেছে। সম্প্রতি দ্য ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেলথ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় এই তথ্য জানানো হয়েছে।
২ দিন আগে