Ajker Patrika

বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করে বাকশালের সদস্য হন জিয়াউর রহমান: ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৯ মে ২০২৪, ১৫: ৫৪
Thumbnail image

বাকশাল কোনো এক দল নয়, ছিল জাতীয় দল। বঙ্গবন্ধুর কাছে অফিশিয়ালি আবেদন করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান—এমন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ শনিবার আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। 

মন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব যখন বলেন বাকশালী শাসন। আমি ফখরুল সাহেবকে বলব—বাকশাল কোনো এক দল নয়। এটা ছিল জাতীয় দল। কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ। এখন এটাকে বাকশাল বলে একটা গালিতে পরিণত করার দুরভিসন্ধি অনেকেরই ছিল। ফখরুল সাহেবকে বলব—বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, আপনাদের নেতা জিয়াউর রহমান অফিশিয়ালি বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন। সেটার কি জবাব দেবেন? এটা আরও দু-একবার বলেছিলাম জবাব পাইনি। অহেতুক ঘাঁটাঘাঁটি করলে আপনাদের চেহারাটাই উন্মোচিত হবে।’

এ সময় বিএনপির ভারতবিরোধী অবস্থান নিয়ে কাদের বলেন, গণমাধ্যমে দেখলাম বিএনপির ভারতবিরোধিতার বিষয় পুনর্বিবেচনা করে দেখবে। বিরোধিতা না করে মধ্যপন্থা অবলম্বন করা যায় কি না। তাদের সামনে কোনো ইস্যু নেই, তারা আছে এটা বোঝানোর জন্য কিছু একটা সামনে আছে। শেষ পর্যন্ত গণ-অভ্যুত্থান থেকে লিফলেট বিতরণে তাদের আসতে হলো। 

আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ওবায়দুল কাদেরএ সময় বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ঘাটতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গণতন্ত্রের ঘাটতিটা কোথায়? কী কী কারণে ঘাটতি? বাংলাদেশ বাংলাদেশের মতোই চলবে। বাংলাদেশে একটা নির্বাচন হয়েছে, বিএনপি সে নির্বাচনে নেই, সেটা অনেকেরই আজকে মেনে নেওয়া কঠিন। নির্বাচনে যে বাস্তবতা—নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। ভোটার টার্নআউট ৪২ শতাংশের বেশি। সংসদে বিরোধী দল সমালোচনা করছে, তাদের মুখ তো আমরা বন্ধ করিনি। সংসদের বাইরে যারা বিরোধী আছে—বিএনপি যখন যা ইচ্ছে ফ্রি স্টাইলে বক্তব্য দিচ্ছে, সভা-সমাবেশ করছে। ২৮ অক্টোবর তারা যা করে গেছে। নির্বাচন বয়কটের পর তাদের ওপর দমন-পীড়ন সেটা তো হয়নি।

আজকে অনেক দেশে গণতন্ত্রের দাবি আছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিশ্বের অনেক নামীদামি দেশ গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রবক্তা কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলন দমন করতে গিয়ে কীভাবে মেরে হাত-পা বেঁধে আটক করা হয়েছে। একজন প্রফেসরও এই নির্মমতার শিকার হয়েছেন। এক শিক্ষার্থী গণমাধ্যমে বলেছেন, তাদের ওপর কেমিক্যাল স্প্রে করা হয়েছে। এ কারণে অনেক ছাত্রছাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল, তাদের হাসপাতালে নিতে হয়েছে। আওয়ামী লীগ তো বিএনপির সঙ্গে এমন আচরণ করেনি। বিএনপি যখন যেখানে সভা-সমাবেশ করতে চেয়েছে করেছে। সরকার তো কোনো হস্তক্ষেপ করেনি। তাহলে গণতন্ত্রের ঘাটতিটা কোথায়? আমি যদি বলি আমরা অনেক দেশের তুলনায় গণতন্ত্রে সারপ্লাস আছি।’

এ সময় র‍্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তিনি ডিনারের পর সাংবাদিকদের সামনে এ নিয়ে যে বক্তব্য রেখেছেন, সে বক্তব্য যথাযথভাবে প্রকাশিত হয়েছে কি না তার সঙ্গে আলাপ করলে বুঝতে পারব। তিনি হয়তো মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করতে পারেন এটা তুলে নিতে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত