Ajker Patrika

১৪ দলীয় জোট ছাড়ল বাংলাদেশ জাসদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৩: ৪৬
১৪ দলীয় জোট ছাড়ল বাংলাদেশ জাসদ

২৩ দফার ভিত্তিতে ২০০৫ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব ১৪ দলীয় জোট গঠিত হয়েছিল। এরপর বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে সক্রিয় তারা। ২০০৯ সাল থেকে টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় তারা। জোটের দলগুলোর মধ্যে চাওয়া-পাওয়ার ক্ষোভ থাকলেও সেটা প্রশমিত করেছে ক্ষমতাসীনরা। তবে এতেও ভাঙন ঠেকানো যায়নি। আজ শনিবারই আনুষ্ঠানিকভাবে জোট ছাড়ার ঘোষণা দেন শরীফ নুরুল আম্বিয়ার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাসদ। একই সঙ্গে তিনি অন্য শরিকদেরও জোট ছাড়ার আহ্বান জানান। 

আজ শনিবার রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে সংগঠনটির প্রথম সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে এ কথা জানান শরীফ নুরুল আম্বিয়া। 

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট ছাড়ার ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘১৪ দলীয় জোট এখন সাইরাস প্ল্যাটফর্ম। ওখানে সব দল এখন আওয়ামী লীগের কাজ করে। ১৪ দলের শরিক অন্য দলকেও ওখান থেকে সরে এসে গণতন্ত্রের পথে ন্যায়সংগত সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’ 

আম্বিয়া বলেন, ‘২০০৫ সালে ২৩ দফার ভিত্তিতে আদর্শিক ১৪ দলীয় জোট গঠন হয়েছিল। এখন জোট নেতৃত্বাধীন দল যে কোনোভাবে ক্ষমতায় থাকতে চায়। এখানে আদর্শ নেই। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এখন দুর্বৃত্ত ও তাদের চাটুকাররা নিয়ন্ত্রণ করে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ নির্মাণে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দল অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।’ 

বাংলাদেশ জাসদ সভাপতি বলেন, ‘২০১৮ সালের কায়দায় নির্বাচন করার ইচ্ছা ক্ষমতাসীনদের পরিত্যাগ করতে হবে। কিছু দালাল, চাটুকার ও সুযোগসন্ধানী হয়তো ওত পেতে আছে এমন নির্বাচনে যাওয়ার জন্য। তাতে কোনো লাভ নেই। এমন নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। ক্ষমতাসীনরা যদি নির্বাচন কমিশনের সহযোগিতায় তা করতে চায় তবে তা হলে অতীত বাকশাল গঠনের চাইতেও খারাপ সিদ্ধান্ত।’ 

এ সময় ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘মেনন ভাই মাঝে মাঝে গরম কথা বলেন। কিন্তু পরে আবার ঘরের ভেতর গিয়েই বসে থাকেন।’ 

নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সৃষ্ট সংকটের স্থায়ী সমাধান হিসেবে জাতীয় সংসদকে দুই কক্ষ করার প্রস্তাব দেন তিনি। আম্বিয়া বলেন, ‘এই জন্য আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক সমাধানই উচিত হবে। সময় থাকতেই সরকারপক্ষের তা করা উচিত। উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য তারাই দায়ী। গণতন্ত্র সচল করতে আরও অনেক সংস্কার রয়েছে।’ 

শরীফ নুরুল আম্বিয়ার আহ্বান সম্পর্কে জানতে চাইলে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিনি যে জোট ছেড়ে চলে গেলেন, কাউকে বলে যাননি। তিনি নিজে গেছেন। খামোখা অন্যকে আহ্বান করে লাভ কী?’ তিনি বলেন, ‘জোটেতো আরও রাজনৈতিক দল ছিল। তাদের সঙ্গে কোন রকম আলাপ-আলোচনাই করেননি তিনি (আম্বিয়া)। কারও সঙ্গে আলোচনাই করেননি। এখন আবার আজকে আহ্বান জানাচ্ছেন। এই নিয়ে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানতে হবে, তাতো হয় না।’ 

বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা মহানগর ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে জোটের মুখপাত্র আমু ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি কথা বলবেন।’ 

জোটের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে। তিনি ব্যস্ত বলে কল কেটে দেন। 

এর আগে প্রথম অধিবেশনের আলোচনা পর্বে যোগ দেন জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মহসীন মন্টু, সিপিবি সভাপতি শাহ আলম, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান প্রমুখ। 

আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘সরকার বিরোধী সকল রাজনৈতিক শক্তি ঔপনিবেশিক কাঠামো পরিবর্তন, রাষ্ট্র সংস্কার ও মেরামতের প্রশ্নে সুস্পষ্ট কর্মসূচি বাস্তবায়নের অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি দিয়ে গণ-অভ্যুত্থানকে অনিবার্য করে তুলছে। রাষ্ট্র ও সমাজ রূপান্তরের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে কর্তৃত্ববাদী স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন রচনা করতে হবে।’ 

সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মোস্তফা মহসীন মন্টু বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় যাব এ জন্য নয় ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশ পায়। আমাদের সন্তানেরা যেন পড়ালেখার জন্য বিদেশে যেতে না হয়। আমাদের সম্পদের নিয়ন্ত্রক যাতে আমরা হতে পারি। আগামী দিনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন গড়ে তুলি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পল্টন ট্র‍্যাজেডির মামলা পুনরুজ্জীবিত করতে হবে: গোলাম পরওয়ার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। ফাইল ছবি
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। ফাইল ছবি

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ৩০-৪০ বছর আগের মিথ্যা মামলার বিচার করে যদি মিথ্যা ফাঁসি দেওয়া যায়, তাহলে ২০ বছর আগে সত্য জীবন্ত হত্যায় হাসিনা, ইনু, মেননসহ ১৪ দলের ফ্যাসিস্টদের বিচার কেন করা যাবে না? ১৪ দলের ফ্যাসিস্টদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। আইন মন্ত্রণালয়কে পল্টন ট্র‍্যাজেডির মামলা পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। এ জন্য ট্রাইব্যুনালকে দায়িত্ব দিতে হবে—এই হত্যাকাণ্ডের পুনরায় তদন্তের জন্য।

আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ফটকে ‘২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগ কর্তৃক সংঘটিত নারকীয় হত্যাকাণ্ডের’ বিচারের দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গোলাম পরওয়ার বলেন, ২৮ অক্টোবরে নৃশংস ও ইতিহাসের নজিরবিহীন বর্বরোচিত হামলা হয়েছে। সারা দেশ ও দুনিয়া সেদিন শিহরিত হয়েছে। মানুষ সেই দৃশ্য ভিডিওতে দেখতে পারেনি। হাসিনা লাশের ওপরে নাচানাচি করে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়েছিল, শেষে তারা লাশ পুড়িয়ে ছাই করে দিয়ে ভারত পালিয়ে গেছে। এই ফ্যাসিস্টকে বাংলাদেশের জনগণ আর প্রশ্রয় দিতে পারে না।

সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার উদ্দেশে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমরা শুনতে পাচ্ছি, খুনি হাসিনা দিল্লি থেকে কর্মসূচি দিচ্ছেন। আইন উপদেষ্টাসহ সকলকে বলব এই খুনিদের রাজনীতি চিরতরে বাংলাদেশ থেকে বিদায় করার জন্য। তাদের এই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।’

জুলাই সনদ প্রসঙ্গে জামায়াতের এ নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোট এবং অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আমি বলতে চাই, জুলাই সনদ অবিলম্বে আদেশ জারি করে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট দিতে হবে।’

গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমরা শুনতে পাচ্ছি, একটি দলকে খুশি করার জন্য সরকারের অভ্যন্তরের কেউ কেউ গণভোটকে উপেক্ষা করে একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের পাঁয়তারা করছেন। আমরা বলতে চাই, একই দিনে গণভোট যাঁরা করতে চাচ্ছেন, তাঁদের উদ্দেশ্য হলো জুলাই সনদকে অকার্যকর করা।’

জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, ‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে যে জুলাই সনদে বিদ্যমান রাষ্ট্রকাঠামো পরিবর্তন করে রাষ্ট্র সংস্কারের ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটেছে, একই দিনে গণভোট যাঁরা চাচ্ছেন, তাঁরা জুলাই সনদকে অকার্যকর করতে চান। এই অপরিণামদর্শী পথ থেকে ফিরে এসে আগামী নভেম্বরে গণদাবি অনুযায়ী গণভোট দিন। তার আগে রাষ্ট্রপতির আদেশে জুলাই সনদ আদেশ জারি করুন। তারপর জাতীয় নির্বাচন দিন। তাহলেই জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ, মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে।’

জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, ‘২৮ অক্টোবর যাঁরা জীবন দিয়েছিলেন, আল্লাহর কাছে তাঁদের শাহাদাত প্রার্থনা করছি। যাঁরা আহত হয়েছিলেন, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন, অসুস্থ হয়েছিলেন, রাব্বুল আলামিনের কাছে তাঁদের জন্য সুস্থতা কামনা করছি।’

ঢাকা মহানগর জামায়াতের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম, মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গণভোটের সময়ে ‘অথবা’ থাকায় পুরোপুরি সন্তুষ্ট নয় জামায়াত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
গণভোটের সময়ে ‘অথবা’ থাকায় পুরোপুরি সন্তুষ্ট নয় জামায়াত

জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে গণভোটের সময় ‘নির্বাচনের আগে বা একই দিনে’ হওয়ার সুপারিশ করেছে ঐকমত্য কমিশন। এতে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেনি জামায়াতে ইসলামী।

আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আজকের পত্রিকাকে এমনটি বলেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।

হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারছি না। কারণ, এখানে ‘‘অথবা’’ দিয়েছে। নির্বাচনের সঙ্গে একই দিনে গণভোট আয়োজনের সুপারিশ থাকায় আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট নই।’

আযাদ যোগ করেন, ‘আমাদের বক্তব্য হলো—অবিলম্বে আদেশ জারি করতে হবে এবং নভেম্বরে গণভোট আয়োজন করতে হবে।

‘নভেম্বরে গণভোট না হলে জনগণ তো বুঝবে না কী সংস্কার হবে আর ভোট দিব কাকে। জনগণ তো সংস্কার ছাড়া নির্বাচন চায় না।’

একটা দল নির্বাচনের দিন গণভোট চাচ্ছে, এতে আপনাদের প্রতিক্রিয়া কী—এমন প্রশ্নের জবাবে আযাদ বলেন, তারা চাইতেই পারে, তবে এর পেছনে সংস্কার বানচালের কোনো উদ্দেশ্য আছে কি না—এমন প্রশ্ন থেকে যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আওয়ামী লীগ এখন মরা হাতি, যে কেউ লাথি দিতে পারে: হাসনাত আবদুল্লাহ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ এখন মরা হাতি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেছেন, এই মরা হাতিকে এখন যে ইচ্ছা লাথি দিতে পারে।

আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে সংকলিত বই ‘অগ্নিঝরা বর্ষা: দেশে ও বিদেশে’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘ইতিহাসকে যেন আর ক্ষমতার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা না হয়। আওয়ামী লীগ এখন ডেড চ্যাপটার। এটা এখন মরা হাতি—এটাকে এখন যে ইচ্ছা, সে লাথি দিতে পারে। তবে আমাদের ঐক্য বজায় রাখতে হবে, না হলে ঝামেলা হতে পারে।’

আমলাতন্ত্রের সমালোচনা করে হাসনাত বলেন, ‘ব্যুরোক্রেসিকে গতিশীল করতে হবে। তারা গতিশীল না হলে যে ক্ষোভ জমছে, তাতে বিস্ফোরণ হবেই। আমলাতন্ত্র ঠিক না করতে পারলে, যেই ক্ষমতায় আসুক, ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রধান উপদেষ্টা হতে চেয়েছিলেন আসিফ নজরুল: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ২২: ৪৭
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। ছবি: সংগৃহীত
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা হতে চেয়েছিলেন আসিফ নজরুল। এখন তাঁর কোর্টে বল গেছে, দেখা যাক তিনি কেমন খেলতে পারেন।

আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুরুল হক হলে আয়োজিত ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। এনসিপি এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।

সভায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে তাঁর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ঘোষণা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পাটওয়ারী। তাঁর দাবি, ঘোষণা অনুষ্ঠানে জুলাই আন্দোলনে শহীদ পরিবার ও আহতদেরও রাখতে হবে। ওই দিন এনসিপি সনদে সই করবে বলেও জানান তিনি।

পাটওয়ারী বলেন, ‘আমরা জেনেছি, জুলাই সনদ বর্তমানে আইন কমিশনে আছে। আমরা দেখতে চাই ড. আসিফ নজরুল স্যার কোনো টালবাহানা ছাড়াই জনগণের পক্ষে থেকে দ্রুত বাস্তবায়নে কাজ করবেন। প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে শহীদ মিনারে আসবেন।’

এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের রিপোর্ট জমা দেওয়া জুলাই শহীদ ও জনগণের বড় অর্জন। জুলাই সনদ সই না করার কারণে হারিয়ে যাওয়ার ভয় ছিল। তবে রিস্ক (ঝুঁকি) নিয়ে অবস্থান নিয়েছে এনসিপি। ঐকমত্য কমিশনের রিপোর্টের মাধ্যমে এর সুফল পেয়েছে বাংলাদেশের মানুষ।’

এ বিষয়ে তিনি আরও যোগ করেন, ‘বাহাত্তরের পচা সংবিধান দিয়ে এ দেশ আর চলতে পারে না। এ সংবিধান আমাদের ভাইদের হত্যার বৈধতা দিয়েছে।’

এই নেতা বলেন, ‘রক্তের ট্যাংকার দিয়ে কেউ রাজনীতি করতে চাইলে, বুলেট রেভল্যুশনের পর ব্যালট রেভল্যুশনের মাধ্যমে মানুষ জবাব দেবে। দলীয় দাস হিসেবে কেউ সংস্কার রুখতে চাইলে সেফ এক্সিট পাবে না তারা, মানুষ তাদের বিচার করবেই।’

এনসিপি সরকার গঠন করবে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘কারণ, পেছনের দরজা দিয়ে এনসিপি ক্যান্টনমেন্টে যাবে না, কোনো অ্যাম্বাসিতেও যাবে না। তাই মানুষ এনসিপিকে ভোট দেবে।’

ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার অথর্ব নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে দাবি করে তিনি আরও বলেন, ‘যে লাউ সেই কদুর নির্বাচন চায় না এনসিপি। বিএনপি-জামায়াত বিরোধী বিরোধী নাটক করছে। তারা একদল ভারতে, আরেক দল পাকিস্তানে পা দিয়ে রেখেছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত