Ajker Patrika

হকার্স ইউনিয়নের সম্মেলনে সিপিবি নেতাদের ওপর পুলিশের হামলার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
হকার্স ইউনিয়নের সম্মেলনে সিপিবি নেতাদের ওপর পুলিশের হামলার অভিযোগ

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান খানসহ বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের নেতা–কর্মীদের ওপর হামলা ও লাঠিপেটা করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। 

আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর বাহাদুর শাহ পার্ক সংলগ্ন সড়কে হকার্স ইউনিয়নের সূত্রাপুর থানা কমিটির সম্মেলন চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এবং জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিচার দাবি করে বিবৃতি দিয়েছে সিপিবি। তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। 

গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন দাবি করেছে, শুরু থেকেই সম্মেলনে বাধা দেয় পুলিশ। তাঁরা ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে ও মাইক ভাঙচুর করে। পরে মাইক ছাড়াই বেদিতে দাঁড়িয়ে সম্মেলন শুরু করা হয়। সম্মেলন উদ্বোধনের পর প্রধান অতিথি হকার্স ইউনিয়নের উপদেষ্টা মনজুরুল আহসান খান বক্তব্য শুরু করেন। এ সময় সূত্রাপুর থানার ওসি মইনুল ইসলাম এবং অন্যান্য কর্মকর্তার নেতৃত্বে পুলিশ মনজুরুল আহসান খানসহ সম্মেলনে অংশ নেওয়া নেতাদের ওপর হামলা চালায়। তাঁদের লাঠিপেটা করে। 

হামলার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় মনজুরুল আহসান খান বলেন, ‘খাদ্য সংকট হলো দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সারসংক্ষেপ। নিম্ন আয়ের মানুষ দিনভর খেটেও স্বাভাবিক চাহিদামত খাবার জোগাড় করতে পারছে না। সরকারের তথাকথিত সব অগ্রাধিকার বাদ দিয়ে এখনই যদি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তাহলে অচিরেই পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।’ 

হামলার বিষয়ে হকার্স ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার হায়াৎ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মনজুরুল আহসান খান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ নাগরিক। তাঁর সামনে পুলিশের আক্রমণাত্মক ভূমিকা পুলিশ ও সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে।’ 

এদিকে এ ঘটনায় সিপিবির সভাপতি শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স এক বিবৃতিতে নিন্দা জানিয়ে এ ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিচার দাবি করেছেন। একই দাবিতে বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে সিপিবি ঢাকা দক্ষিণ কমিটি। 

হামলার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সূত্রাপুর থানার ওসি মইনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মারধরের অভিযোগ সত্য নয়। আমরা কাউকে মারধর করিনি। আমরা মনজুরুল আহসান খানকে বলেছিলাম, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের অনুমতি নিয়ে কর্মসূচি করার জন্য। তখন তাঁর সঙ্গে থাকা নেতা–কর্মীরা সরকার ও পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান দিলে আমরা তাঁদের সরিয়ে দেই।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত