নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে লিখিত মতামতে দলটি এ প্রস্তাব দিয়েছে। দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন জানান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নাম ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ পরিবর্তন করে ‘পিপলস ওয়েলফেয়ার স্টেট অব বাংলাদেশ’ নামকরণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই নামের মধ্যে জনকল্যাণ নিশ্চিত করার কথা বলা আছে বলে মনে করেন তাঁরা।
জাতীয় সংসদে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের হাতে মতামত তুলে দেয় দলটি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন—প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। ইসলামী আন্দোলনের পক্ষে দলটির মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহম্মেদ সেখ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব প্রকৌশলী মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম ও মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের বর্তমান নাম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের পরিবর্তে নাগরিকতন্ত্র ও জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ চালুর প্রস্তাব করেছিল সংবিধান সংস্কার কমিশন। এর পরিবর্তে আজ নতুন একটি নাম প্রস্তাব করে ইসলামী আন্দোলন। নাম প্রস্তাবের পাশাপাশি দলটি সর্বজনীন শরীয়াহ পূর্ণাঙ্গ আইনসহ চারটি ‘মৌলিক প্রস্তাব’ দিয়েছে—আত্মশুদ্ধি, জবাবদিহি, শরীয়াহ আইন এবং সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে দলটি ১৩০টি প্রস্তাবে একমত, ২৫ টিতে দ্বিমত এবং ১১ টিতে আংশিকভাবে একমত। এছাড়া দলটি ৪১টি নতুন প্রস্তাব এবং ৪টি মৌলিক প্রস্তাব দিয়েছে।
চারটি মৌলিক প্রস্তাবের কথা তুলে ধরে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন বলেন, জাতীয় পর্যায়ে আত্মশুদ্ধি না থাকলে মানুষ সৎ, যোগ্য ও দেশপ্রেমিক হতে পারে। এ জন্য সব পর্যায়ে আত্মশুদ্ধি বা শুদ্ধাচারের কথা বলেছি।
তিনি আরও বলেন, চারটি ক্ষেত্রে জবাবদিহি থাকতে হবে—আল্লাহর কাছে, বিবেকের কাছে, জনগণের কাছে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে।
বিদ্যমান আইনে দুর্নীতি, দুঃশাসন, চুরি, ধর্ষণসহ অন্যায়-অনাচার বন্ধ করা যায়নি জানিয়ে তা বন্ধে শরীয়াহ করার দাবি করেছে দলটি। আশরাফ আলী আকন বলেন, শরীয়াহ আইন সর্বজনীন এবং এতে সব ধর্মের বিষয়ে বিধান আছে। যা দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনে অত্যন্ত কার্যকর। বিএনপিও শরীয়াহ আইনে একমত করে আমাদের সঙ্গে স্বাক্ষর করেছে। তারা শরীয়াহ বিরোধী আইন করবে না বলে আমাদের জানিয়েছে।
সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সব নির্বাচন সংখ্যানুপাতিক হারে চাই। স্থায়ীভাবে স্বৈরাচার প্রতিরোধ কার্যকর পদ্ধতি।
ইসলামী আন্দোলন সংসদ নির্বাচনের পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি পদেও জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচনের প্রস্তাব করেছে বলে জানিয়েছেন আশরাফ আলী আকন।
ইসলামী আন্দোলনের মতামত গ্রহণ করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, স্বাধীনতার পরে সবার অংশগ্রহণে রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো এ কাজে সহযোগিতা করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করতে পারব। আমাদের সব প্রস্তাবে সবাই একমত হবে বলে আমরা মনে করি না। কমিশনের পক্ষ থেকে মতামতগুলো পর্যালোচনা করব, কোথায় একমত নয় সেগুলো নিয়ে আলোচনা করব।’
আগামী শনিবার থেকে প্রতিদিনই জাতীয় ঐকমত্য কমিশন একাধিক দলের সঙ্গে সংলাপ করবে বলে জানান আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে আগামী মে মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা শেষ করব। তারপরও দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা করব। দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের সব দলের সঙ্গে যুক্ত থেকে একটা ঐকমত্যের জায়গায় যেতে চাই। পাশাপাশি নাগরিকদের মতামত নেব। সেই প্রক্রিয়াটা দ্রুতই করতে হবে আমাদের। কারণ, সময় স্বল্পতা আছে। আশা করছি কমিশনের নির্ধারিত ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারব।’
প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে ৩৮টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। এ পর্যন্ত ৩২টি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে কমিশন মতামত পেয়েছে কমিশন।
বাংলাদেশের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে লিখিত মতামতে দলটি এ প্রস্তাব দিয়েছে। দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন জানান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নাম ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ পরিবর্তন করে ‘পিপলস ওয়েলফেয়ার স্টেট অব বাংলাদেশ’ নামকরণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই নামের মধ্যে জনকল্যাণ নিশ্চিত করার কথা বলা আছে বলে মনে করেন তাঁরা।
জাতীয় সংসদে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের হাতে মতামত তুলে দেয় দলটি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন—প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। ইসলামী আন্দোলনের পক্ষে দলটির মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহম্মেদ সেখ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব প্রকৌশলী মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম ও মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের বর্তমান নাম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের পরিবর্তে নাগরিকতন্ত্র ও জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ চালুর প্রস্তাব করেছিল সংবিধান সংস্কার কমিশন। এর পরিবর্তে আজ নতুন একটি নাম প্রস্তাব করে ইসলামী আন্দোলন। নাম প্রস্তাবের পাশাপাশি দলটি সর্বজনীন শরীয়াহ পূর্ণাঙ্গ আইনসহ চারটি ‘মৌলিক প্রস্তাব’ দিয়েছে—আত্মশুদ্ধি, জবাবদিহি, শরীয়াহ আইন এবং সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে দলটি ১৩০টি প্রস্তাবে একমত, ২৫ টিতে দ্বিমত এবং ১১ টিতে আংশিকভাবে একমত। এছাড়া দলটি ৪১টি নতুন প্রস্তাব এবং ৪টি মৌলিক প্রস্তাব দিয়েছে।
চারটি মৌলিক প্রস্তাবের কথা তুলে ধরে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন বলেন, জাতীয় পর্যায়ে আত্মশুদ্ধি না থাকলে মানুষ সৎ, যোগ্য ও দেশপ্রেমিক হতে পারে। এ জন্য সব পর্যায়ে আত্মশুদ্ধি বা শুদ্ধাচারের কথা বলেছি।
তিনি আরও বলেন, চারটি ক্ষেত্রে জবাবদিহি থাকতে হবে—আল্লাহর কাছে, বিবেকের কাছে, জনগণের কাছে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে।
বিদ্যমান আইনে দুর্নীতি, দুঃশাসন, চুরি, ধর্ষণসহ অন্যায়-অনাচার বন্ধ করা যায়নি জানিয়ে তা বন্ধে শরীয়াহ করার দাবি করেছে দলটি। আশরাফ আলী আকন বলেন, শরীয়াহ আইন সর্বজনীন এবং এতে সব ধর্মের বিষয়ে বিধান আছে। যা দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনে অত্যন্ত কার্যকর। বিএনপিও শরীয়াহ আইনে একমত করে আমাদের সঙ্গে স্বাক্ষর করেছে। তারা শরীয়াহ বিরোধী আইন করবে না বলে আমাদের জানিয়েছে।
সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সব নির্বাচন সংখ্যানুপাতিক হারে চাই। স্থায়ীভাবে স্বৈরাচার প্রতিরোধ কার্যকর পদ্ধতি।
ইসলামী আন্দোলন সংসদ নির্বাচনের পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি পদেও জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচনের প্রস্তাব করেছে বলে জানিয়েছেন আশরাফ আলী আকন।
ইসলামী আন্দোলনের মতামত গ্রহণ করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, স্বাধীনতার পরে সবার অংশগ্রহণে রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো এ কাজে সহযোগিতা করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করতে পারব। আমাদের সব প্রস্তাবে সবাই একমত হবে বলে আমরা মনে করি না। কমিশনের পক্ষ থেকে মতামতগুলো পর্যালোচনা করব, কোথায় একমত নয় সেগুলো নিয়ে আলোচনা করব।’
আগামী শনিবার থেকে প্রতিদিনই জাতীয় ঐকমত্য কমিশন একাধিক দলের সঙ্গে সংলাপ করবে বলে জানান আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে আগামী মে মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা শেষ করব। তারপরও দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা করব। দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের সব দলের সঙ্গে যুক্ত থেকে একটা ঐকমত্যের জায়গায় যেতে চাই। পাশাপাশি নাগরিকদের মতামত নেব। সেই প্রক্রিয়াটা দ্রুতই করতে হবে আমাদের। কারণ, সময় স্বল্পতা আছে। আশা করছি কমিশনের নির্ধারিত ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারব।’
প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে ৩৮টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। এ পর্যন্ত ৩২টি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে কমিশন মতামত পেয়েছে কমিশন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আলোচনা ও ঐক্যের মধ্য দিয়ে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ তৈরি করতে চাই। আজ সোমবার সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে দেশে ফেরার পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
১৭ ঘণ্টা আগেড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ বৃদ্ধির চেয়ে চলমান প্রচারের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘নির্বাচিত সরকারের বিকল্প তো আপনারা হতে পারেন না। আপনারা অবশ্যই অনির্বাচিত। সেটা প্রতিদিন আপনাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হবে।’
২ দিন আগেসংস্কার কোনো চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। এখন যতটুকু করা সম্ভব, তা করা উচিত। বাকিটা নির্বাচিত সরকার এসে সম্পন্ন করবে। এটাই হওয়া উচিত।
২ দিন আগেজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে ৭৮টি প্রস্তাবেই দ্বিমত জানিয়ে মতামত জমা দিয়েছে গণফোরাম। দলটি কমিশনের ৫৮ প্রস্তাবে একমত এবং ২৪টি প্রস্তাবে আংশিকভাবে একমত। অন্যদিকে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম কমিশনের ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে ১০৯টি প্রস্তাবে একমত, ২২টিতে দ্বিমত এবং ৩৪টিতে আংশিকভাবে একমত।
২ দিন আগে