Ajker Patrika

বিএনপির কারণে ২৫ মার্চ গণহত্যার স্বীকৃতি পায়নি: ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২৪, ১৭: ৫৭
বিএনপির কারণে ২৫ মার্চ গণহত্যার স্বীকৃতি পায়নি: ওবায়দুল কাদের

বিএনপির কারণে ২৫ মার্চ গণহত্যার স্বীকৃতি পায়নি বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ সোমবার ‘২৫ মার্চ— গণহত্যা দিবস’ স্মরণে রাজধানী গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ। সেখানে হাতে গোনা কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ছিল। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিশ্বাস করে না, তারা কিসের মুক্তিযোদ্ধা। বিএনপির কারণে ২৫ মার্চ গণহত্যার স্বীকৃতি পায়নি।’

সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বিএনপির উদ্দেশে বলেন, ‘ভারতের পেঁয়াজ দিয়ে পেঁয়াজি খায়, ভারতের গরুর মাংস দিয়ে সাহ্‌রি খায়, ভারতের শাড়ি পরে স্ত্রীরা সাজে, কিন্তু বয়কটের ডাক দেয়। তারা (বিএনপি) ভারতীয় পণ্য বয়কটের নামে মানুষের সঙ্গে তামাশা করছে। বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য তারা চেষ্টা করছে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২৫ মার্চ যে গণহত্যা হয়েছে, একদিনে এত বড় হত্যা ইতিহাসে বিরল। রিকশাচালক, পিলখানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল। যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।’

আমাদের গণহত্যা দিবস অনেক আগেই স্বীকৃত পেত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সকল গণহত্যার আলামত নষ্ট করা হয়েছিল। জিয়াউর রহমান শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিল। যিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানের প্রতিনিধিদলের প্রধান হয়ে জাতিসংঘে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছিল।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যারা বুদ্ধিজীবী হত্যা করেছিল, যারা সবুজ পতাকার বদলে পাকিস্তানি চার তারকা চেয়েছিল, বেগম খালেদা জিয়া সেই জামায়াতে ইসলামী নেতাদের মন্ত্রী বানিয়েছিল। যারা লাল-সবুজ পতাকা চায়নি, তাদের গাড়িতে লাল-সবুজ পতাকা দিয়েছিল। যেখানে ৩০ লাখের তুলনায় আরও কম মানুষ হত্যার স্বীকার হয়েছে, সেগুলোও স্বীকৃতি পেয়েছে। ’৭৫-এর পরবর্তীতে গণহত্যার প্রমাণ মুছে দিয়েছিল। জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ায় ৩০ লাখের ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের সমাবেশ করছে আজ। সেখানে খোঁজ নিলে দেখা যাবে, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, শান্তি বাহিনীর কেউ বসে আছে।’

আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির প্রয়োজনীয়তা আছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের গণহত্যার স্বীকৃতি এই জন্য দরকার, যেন ভবিষ্যতে এমন গণহত্যা পৃথিবীর কোথাও না হয়। গাজায় যে হত্যা হচ্ছে, সেখানে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বক্তব্য রাখছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। আমরা এই গণহত্যা বন্ধ চাই।’

সভায় সভাপতিত্ব করছেন দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সঞ্চালনা করেন ঢাকা উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি।

সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, কার্যনির্বাহী সদস্য সানজিদা খানম, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত