Ajker Patrika

সংঘাত সৃষ্টি করবেন না: দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২২, ১৪: ২১
সংঘাত সৃষ্টি করবেন না: দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল

নিজেদের মধ্যে সংঘাত সৃষ্টি না করে নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একই সঙ্গে সংঘাত সৃষ্টিকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বহিষ্কার করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

আজ রোববার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক দোয়া মাহফিলে তিনি এমন নির্দেশ দেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে বিএনপি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

এর আগে সকালে ভোলা জেলা যুবদলের কমিটি গঠন নিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুই গ্রুপের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় চরম ক্ষোভ জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘ছোটখাটো বিষয় নিয়ে দয়া করে এখন নিজেদের মধ্যে সংঘাত সৃষ্টি করবেন না। খুব কষ্ট হয় একদিকে আমার বুলেটবিদ্ধ ভাইয়ের মরদেহ পড়ে আছে মর্গে, আর আপনারা এখানে কমিটি নিয়ে নিজেদের মধ্যে সংঘাত তৈরি করছেন।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমরা জীবনপণ লড়াই করছি। এই লড়াইয়ে আমাদের বিজয়ী হতে হবে। এর বিকল্প কোনো রাস্তা নেই। সবাইকে জীবন বাজি রেখে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গুলিতে ছাত্রদল নেতা নয়নের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, নয়নের মতো আরও অনেকে গণতন্ত্রের লড়াইয়ে প্রাণ দিয়েছে। তারা জীবন উৎসর্গ করেছে বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির জন্য।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, হত্যা করা হচ্ছে, গুম করা হচ্ছে। তার পরেও মানুষের মুক্তির জন্য কতটা আবেগ, কতটা আকুতি। মানুষ শত বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে মুক্তির আন্দোলনে একাত্মতা ঘোষণা করেছে। বিগত গণসমাবেশগুলো থেকে আমরা উপলব্ধি করেছি, গণতন্ত্র ফিরে পেতে জনগণের মধ্যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচন পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তারা বিদেশ যেতে পারবেন না

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন: জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাহিল ৫ অ্যান্টিবায়োটিক

এবার তেলের খনি নাইজেরিয়াতে নজর ট্রাম্পের, অজুহাত—খ্রিষ্টানরা ভালো নেই

আজকের রাশিফল: সহকর্মীকে জ্ঞান দিতে যাবেন না, প্রাপ্তিযোগে বাল্যকালের প্রেমপত্র

সকালে নাশতা না খাওয়ার পাঁচ ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এই মুহূর্তে গণভোট সংবিধানসম্মত নয়: সিপিবি সভাপতি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সিপিবি সভাপতি সাজ্জাদ জহির চন্দন। ছবি: সংগৃহীত
সিপিবি সভাপতি সাজ্জাদ জহির চন্দন। ছবি: সংগৃহীত

বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ী গণভোটের কোনো বিধান নেই মন্তব্য করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি সাজ্জাদ জহির চন্দন বলেছেন, এই মুহূর্তে গণভোট সংবিধানসম্মত নয়।

আজ শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে জার্মান ফাউন্ডেশন ফ্রেডরিখ এবার্ট স্টিফটুং (এফইএস)-এর সহযোগিতায় ‘পলিটিকস ল্যাব’ শিরোনামে চলমান চার পর্বের ধারাবাহিক কর্মশালার শেষ দিনে আয়োজিত ‘পলিটিকস ল্যাব: পাবলিক ডায়ালগ’ শীর্ষক সংলাপে এ কথা বলেন তিনি। এ সংলাপের আয়োজন করে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)।

সাজ্জাদ জহির চন্দন বলেন, ‘সংবিধানে কোথাও গণভোটের কোনো বিধান নেই। একটা আছে, যেটা ১৪২ ধারা। যেটা নির্বাচিত সংসদে যদি কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে মতভেদ তীব্রতর হয়, তাহলে সেই বিষয়ের ওপরে নির্বাচিত সংসদ জনগণের মতামত আহ্বান করতে পারে। কিন্তু এই মুহূর্তে গণভোট সংবিধানসম্মত নয়।’

আট মাস আলোচনার পর জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের পর পরিস্থিতি জটিলতার দিকে মোড় নেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আট মাস আলোচনার পর একটা অশ্বডিম্বের মতো একটা অবস্থা।’

এই সংকট তৈরির জন্য ঐকমত্য কমিশনকে দায়ী করে তিনি বলেন, ‘এটার সমাধানটা কী? এই গণভোটের সমাধানটা কী? জুলাই সনদ কীভাবে বাস্তবায়ন হবে? সে বিষয়ে কোনো দিকনির্দেশনা কিন্তু নেই। মানে এক ধরনের হাওয়ার ওপরে সবকিছু চলছে। এখানে ৮৪টা পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ২০টাতে একমত হয়েছে, বাকিগুলোতে একমত হয়নি। তাহলে কোন বিষয়ে ভোটটা হবে।’

সাজ্জাদ জহির চন্দন আরও বলেন, ‘আমরা দেখলাম জুলাই সনদে স্বাক্ষর হলো। এরপর সর্বশেষ সংস্কার কমিশন তারা আবার আরেকটা খেলা খেলল এখানে। দেখেন কী অবস্থা! তারা বলছে যে নোট অব ডিসেন্ট কিছুই থাকবে না। ভিন্নমত থাকবে না। আমার তো ভিন্নমত আছে, কেন থাকবে না?’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচন পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তারা বিদেশ যেতে পারবেন না

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন: জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাহিল ৫ অ্যান্টিবায়োটিক

এবার তেলের খনি নাইজেরিয়াতে নজর ট্রাম্পের, অজুহাত—খ্রিষ্টানরা ভালো নেই

আজকের রাশিফল: সহকর্মীকে জ্ঞান দিতে যাবেন না, প্রাপ্তিযোগে বাল্যকালের প্রেমপত্র

সকালে নাশতা না খাওয়ার পাঁচ ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গণভোট প্রয়োজন ছিল না, তারপরও জাতীয় নির্বাচনের দিন করতে রাজি হয়েছি: মির্জা ফখরুল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ০৬
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে গণভোটের প্রয়োজন ছিল না। এরপরও বিএনপি এতে রাজি হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের দিনই সেটি আয়োজনেরও দাবি জানিয়েছে দলটি। অথচ তারপরও বলা হচ্ছে বিএনপি নির্বাচন পেছানোর কথা বলছে।

আজ শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে ‘স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অপরিহার্য’ শীর্ষক মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

mirza-fakhrul
mirza-fakhrul

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সমাবেশ শেষে ৭ নভেম্বরের চেতনায় জাতীয় নির্বাচন অপরিহার্য উল্লেখ করে একটি মিছিল নিয়ে বিএনপির কার্যালয় নয়াপল্টনে এসে শেষ করেন।

সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের কোনো সুযোগ নেই। আমরা জাতীয় নির্বাচনের দিনই গণভোট করার কথা বলেছি।’

গণভোটের বিষয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘গণভোটের কথা বলা হয়েছে আমরা রাজি হয়েছি, ঠিক আছে। গণভোটের কোনো প্রয়োজন ছিল না, তারপরও রাজি হয়েছি ঠিক আছে, আমরা বলেছি যে নির্বাচনের দিনই গণভোট করতে হবে...কারণ, পৃথক গণভোট আয়োজনে খরচ আরও বেড়ে যাবে, হাজারো কোটি টাকার ওপর খরচ হবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনের দিন দুটো ব্যালট থাকবে, একটি ব্যালটে গণভোটের কথা থাকবে, আরেকটি ব্যালটে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। এটা অত্যন্ত সুন্দর কথা, কিন্তু এটা না করে এখন আবার তারা গণভোট আগে হতে হবে, তারপর নির্বাচন হবে। এটা তো আপনারাই বলছেন, আমরা তো নির্বাচন পেছানোর কথা একবারও বলিনি, আমরা বারবার বলেছি নির্বাচনটা অতি দ্রুত করতে হবে। এই কথা বলে মানুষকে মিথ্যা কথা বলে প্রতারণা করবেন না।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে একটি মহল একাত্তরকে ভুলিয়ে দিতে চায়। কিন্তু সেটি করার সুযোগ নেই। কারণ, একাত্তরেই আমাদের জন্ম। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘অভ্যুত্থানের তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন হলে অপশক্তি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠারও সাহস পেত না। জুলাই সনদের কথা আজ যা বলা হচ্ছে, তা আমাদের ৩১ দফায় সব সংস্কারের কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে।’

পিআর পদ্ধতি নিয়ে নির্বাচিত সংসদ সিদ্ধান্ত নেবে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেছেন, ‘২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তখনই নির্বাচন হতে হবে, পিআর হবে কি হবে না—ওটা আগামী পার্লামেন্ট সিদ্ধান্ত নেবে।’

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘অত্যন্ত কঠিন একটি সময় আমরা পার করছি, এ সময়টা আমাদের জন্য একটা পরীক্ষা, এখানে কতটা ধৈর্য ধরে আমরা এ সময়টা পার করতে পারি, নির্বাচনটা করতে পারি, এখানে বিভিন্ন শক্তি...প্রধান উপদেষ্টা নিজেই বলেছেন যেকোনো সময় হামলা হতে পারে, উনি পরিষ্কার করে বলা উচিত ছিল হামলা কোত্থেকে আসবে, কারা করবে, বলা উচিত ছিল জাতিকে, জাতি প্রস্তুত আছে যেকোনো হামলার প্রতিরোধ করতে। বন্ধুগণ, এ কথাগুলো আমরা এই জন্যই বলছি যে হামলাটামলার ভয় দেখিয়ে এ দেশের মানুষকে কখনো পরাজিত করা যায় না। পরিষ্কার করে বলতে চাই, এ দেশের মানুষ গণতন্ত্র চাই, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চায়।’

সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচন পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তারা বিদেশ যেতে পারবেন না

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন: জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাহিল ৫ অ্যান্টিবায়োটিক

এবার তেলের খনি নাইজেরিয়াতে নজর ট্রাম্পের, অজুহাত—খ্রিষ্টানরা ভালো নেই

আজকের রাশিফল: সহকর্মীকে জ্ঞান দিতে যাবেন না, প্রাপ্তিযোগে বাল্যকালের প্রেমপত্র

সকালে নাশতা না খাওয়ার পাঁচ ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আরপিও সংশোধনের সিদ্ধান্ত একটি দলের অযৌক্তিক দাবির প্রতি নতি স্বীকার: তাহের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৬: ২০
নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ফাইল ছবি
নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ফাইল ছবি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে এক ভিডিও বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। ওই বার্তায় তিনি নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বা আরপিও সংশোধনের সিদ্ধান্তে সরকারের নিরক্ষেপতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। পাশাপাশি নির্বাচনের প্রতীক ব্যবহার, জুলাই সনদের বিষয়েও কথা বলেছেন তিনি।

আজ শনিবার (১ নভেম্বর) গণমাধ্যমকে পাঠানো ভিডিও বার্তায় আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘গত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এর আগের সপ্তাহে গৃহীত আরপিও সংশোধনের সিদ্ধান্ত একটি দলের অযৌক্তিক দাবির কাছে নতি স্বীকারের শামিল। এর মাধ্যমে সরকারের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।’

এই সরকারের কর্মকাণ্ড অতীতেও একটি বিশেষ দলের প্রতি আনুগত্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে—এমন অভিযোগ করে তাহের বলেন, প্রধান উপদেষ্টা লন্ডনে গিয়ে একটি দলের চাপে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ও সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তে পরিষদের পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত পরিবর্তন তারই উদাহরণ।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতীক ব্যবহারের বিষয়ে পরিষদের গৃহীত সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা সরকারের নিরপেক্ষতার ক্ষতি করেছে বলে মনে করেন এই জামায়াত নেতা। তিনি বলেন, ‘আমরা এই সিদ্ধান্ত মানি না এবং এর নিন্দা জানাই।’

জামায়াতের এই নায়েবে আমির বলেন, ‘ইতিপূর্বে নির্বাচন কমিশন ও উপদেষ্টা পরিষদ উভয়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, প্রতিটি দল নিজ নিজ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেবে। আমরা সেই সিদ্ধান্তের পক্ষেই আছি এবং জাতিও এর সঙ্গে একমত। তাই আমরা আগের সিদ্ধান্ত পুনর্বহালের দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় এর বিরুদ্ধে রাজপথে প্রতিবাদ হবে।’

সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে বিএনপি যে পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, তা একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত—মন্তব্য করে তাহের বলেন, ‘জনগণ ফেব্রুয়ারিতে একটি জাতীয় নির্বাচন চায়। নির্বাচনের ঠিক আগে এ ধরনের অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করা নির্বাচনপ্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করবে। আমরা আশা করি, প্রধান উপদেষ্টা কোনো চাপে নতি স্বীকার করবেন না।’

জামায়াত নেতা বলেন, ‘জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে যাওয়া মানে হবে নিজেরই সংস্কার কর্মসূচি পরিত্যাগ করা। প্রধান উপদেষ্টা নিজের পরিকল্পনাকে নিজ হাতে ধ্বংস করবেন, এটা জাতি বিশ্বাস করে না। আমরা আশা করি, প্রধান উপদেষ্টা দৃঢ় অবস্থান নেবেন, সংস্কার বাস্তবায়নে সঠিক ও সাহসী সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচন পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তারা বিদেশ যেতে পারবেন না

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন: জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাহিল ৫ অ্যান্টিবায়োটিক

এবার তেলের খনি নাইজেরিয়াতে নজর ট্রাম্পের, অজুহাত—খ্রিষ্টানরা ভালো নেই

আজকের রাশিফল: সহকর্মীকে জ্ঞান দিতে যাবেন না, প্রাপ্তিযোগে বাল্যকালের প্রেমপত্র

সকালে নাশতা না খাওয়ার পাঁচ ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সম্মেলনের তিন মাস পর রাজশাহী মহানগর কমিটি ঘোষণা বিএনপির

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৫: ২১
মামুনুর রশিদ মামুন এবং মাহফুজুর রহমান রিটন। ছবি: সংগৃহীত
মামুনুর রশিদ মামুন এবং মাহফুজুর রহমান রিটন। ছবি: সংগৃহীত

মামুনুর রশিদ মামুনকে সভাপতি এবং মাহফুজুর রহমান রিটনকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৪ সদস্যের নাম উল্লেখ করে দলের রাজশাহী মহানগরের আংশিক কমিটি গঠন করেছে বিএনপি।

আজ শনিবার দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

সম্প্রতি রাজশাহী মহানগর বিএনপির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। মামুনুর রশিদ মামুন সদ্য বিলুপ্ত মহানগর কমিটির সদস্যসচিব ছিলেন। মাহফুজুর রহমান রিটন যুবদল মহানগরের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

নতুন কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সিনিয়র সহসভাপতি নজরুল হুদা, সহসভাপতি আসলাম সরকার, ওলিউল হক রানা, মো. আলী আশরাফ মাসুম, সফিকুল ইসলাম সাফিক, আবুল কালাম আজাদ সুইট, মুক্তার হোসেন, জয়নাল আবেদিন শিবলী এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বজলুল হুদা মন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম মিলু, ১ নম্বর সদস্য এরশাদ আলী ঈসা ও ২ নম্বর সদস্য মো. মাইনুল আহসান (পান্না)।

রুহুল কবির রিজভী জানান, মামুনুর রশিদ মামুনকে সভাপতি এবং মাহফুজুর রহমান রিটনকে সাধারণ সম্পাদক করে রাজশাহী মহানগর বিএনপির ১৪ সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কমিটি গঠিত হয়েছে। পরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচন পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তারা বিদেশ যেতে পারবেন না

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন: জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাহিল ৫ অ্যান্টিবায়োটিক

এবার তেলের খনি নাইজেরিয়াতে নজর ট্রাম্পের, অজুহাত—খ্রিষ্টানরা ভালো নেই

আজকের রাশিফল: সহকর্মীকে জ্ঞান দিতে যাবেন না, প্রাপ্তিযোগে বাল্যকালের প্রেমপত্র

সকালে নাশতা না খাওয়ার পাঁচ ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত