Ajker Patrika

গণভোট প্রয়োজন ছিল না, তারপরও জাতীয় নির্বাচনের দিন করতে রাজি হয়েছি: মির্জা ফখরুল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ০৬
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে গণভোটের প্রয়োজন ছিল না। এরপরও বিএনপি এতে রাজি হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের দিনই সেটি আয়োজনেরও দাবি জানিয়েছে দলটি। অথচ তারপরও বলা হচ্ছে বিএনপি নির্বাচন পেছানোর কথা বলছে।

আজ শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে ‘স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অপরিহার্য’ শীর্ষক মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

mirza-fakhrul
mirza-fakhrul

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সমাবেশ শেষে ৭ নভেম্বরের চেতনায় জাতীয় নির্বাচন অপরিহার্য উল্লেখ করে একটি মিছিল নিয়ে বিএনপির কার্যালয় নয়াপল্টনে এসে শেষ করেন।

সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের কোনো সুযোগ নেই। আমরা জাতীয় নির্বাচনের দিনই গণভোট করার কথা বলেছি।’

গণভোটের বিষয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘গণভোটের কথা বলা হয়েছে আমরা রাজি হয়েছি, ঠিক আছে। গণভোটের কোনো প্রয়োজন ছিল না, তারপরও রাজি হয়েছি ঠিক আছে, আমরা বলেছি যে নির্বাচনের দিনই গণভোট করতে হবে...কারণ, পৃথক গণভোট আয়োজনে খরচ আরও বেড়ে যাবে, হাজারো কোটি টাকার ওপর খরচ হবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনের দিন দুটো ব্যালট থাকবে, একটি ব্যালটে গণভোটের কথা থাকবে, আরেকটি ব্যালটে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। এটা অত্যন্ত সুন্দর কথা, কিন্তু এটা না করে এখন আবার তারা গণভোট আগে হতে হবে, তারপর নির্বাচন হবে। এটা তো আপনারাই বলছেন, আমরা তো নির্বাচন পেছানোর কথা একবারও বলিনি, আমরা বারবার বলেছি নির্বাচনটা অতি দ্রুত করতে হবে। এই কথা বলে মানুষকে মিথ্যা কথা বলে প্রতারণা করবেন না।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে একটি মহল একাত্তরকে ভুলিয়ে দিতে চায়। কিন্তু সেটি করার সুযোগ নেই। কারণ, একাত্তরেই আমাদের জন্ম। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘অভ্যুত্থানের তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন হলে অপশক্তি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠারও সাহস পেত না। জুলাই সনদের কথা আজ যা বলা হচ্ছে, তা আমাদের ৩১ দফায় সব সংস্কারের কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে।’

পিআর পদ্ধতি নিয়ে নির্বাচিত সংসদ সিদ্ধান্ত নেবে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেছেন, ‘২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তখনই নির্বাচন হতে হবে, পিআর হবে কি হবে না—ওটা আগামী পার্লামেন্ট সিদ্ধান্ত নেবে।’

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘অত্যন্ত কঠিন একটি সময় আমরা পার করছি, এ সময়টা আমাদের জন্য একটা পরীক্ষা, এখানে কতটা ধৈর্য ধরে আমরা এ সময়টা পার করতে পারি, নির্বাচনটা করতে পারি, এখানে বিভিন্ন শক্তি...প্রধান উপদেষ্টা নিজেই বলেছেন যেকোনো সময় হামলা হতে পারে, উনি পরিষ্কার করে বলা উচিত ছিল হামলা কোত্থেকে আসবে, কারা করবে, বলা উচিত ছিল জাতিকে, জাতি প্রস্তুত আছে যেকোনো হামলার প্রতিরোধ করতে। বন্ধুগণ, এ কথাগুলো আমরা এই জন্যই বলছি যে হামলাটামলার ভয় দেখিয়ে এ দেশের মানুষকে কখনো পরাজিত করা যায় না। পরিষ্কার করে বলতে চাই, এ দেশের মানুষ গণতন্ত্র চাই, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চায়।’

সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গ্রেপ্তার হয়ে অবাক ডন, বললেন—‘স্যার আমাকে কীভাবে গ্রেপ্তার করলেন’

সুদানে ‘গণহত্যা’য় আরব আমিরাতের গোপন তৎপরতা ও কলম্বিয়ার ভাড়াটে সেনা

একাত্তরের হত্যাযজ্ঞে সম্পৃক্ততার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন: জামায়াত

অবশেষে নতুন ঠিকানায় ১০০ সাজাপ্রাপ্ত বন্দী

ইসরায়েলকে খুশি করতে সাংবাদিক শিরিন হত্যাকাণ্ডের প্রতিবেদন ‘দুর্বল’ করে বাইডেন প্রশাসন

এলাকার খবর
Loading...