নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
শাপলা, সাদা শাপলা বা লাল শাপলা প্রতীক বরাদ্দের জন্য নির্বাচন কমিশনের পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮ সংশোধন করার আবেদন করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
আজ বুধবার দলটির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব বরাবর ই-মেইলের মাধ্যমে এই আবেদন পাঠানো হয়।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের সই করা আবেদনে বলা হয়, ‘রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার পর থেকেই নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আমাদের প্রতিনিধিদল নিয়মিত মতবিনিময়, বৈঠক ও যোগাযোগ রক্ষা করে আসছে। এনসিপির প্রতিনিধিদল এপ্রিল মাস থেকে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে নির্বাচনসংক্রান্ত আইন, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন প্রক্রিয়া, নিবন্ধনের সময়সীমা, প্রবাসীদের ভোটাধিকারসহ নির্বাচনকেন্দ্রিক নানা বিষয় নিয়ে নিয়মিত আলোচনায় অংশ নিচ্ছে।
‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন বিবিধ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮-এর সংশ্লিষ্ট বিধানে নতুন করে নির্বাচনী প্রতীক তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। নির্বাচন কমিশনের তালিকায় প্রতীক যুক্ত করতে কমিশন একটি কমিটি গঠন করে এবং সংশ্লিষ্ট কমিটি মোট ১৫০টি প্রতীক অন্তর্ভুক্ত করার জন্য চূড়ান্ত খসড়া প্রস্তুত করে। উক্ত কমিটির একজন সদস্যের সঙ্গে এনসিপির একটি প্রতিনিধিদল গত ৪ জুন নির্বাচন কমিশনে বৈঠক করে এবং বৈঠকে তিনি চূড়ান্ত তালিকায় ‘‘শাপলা’’ প্রতীক থাকার বিষয়টি আশ্বস্ত করেন। এ ছাড়া এ-সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমেও সংবাদ প্রকাশিত হয়।
‘এরপর ২২ জুন এনসিপি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয় কর্তৃক প্রকাশিত স্মারকের গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন দাখিল করে এবং দলের অনুকূলে ‘‘শাপলা’’ প্রতীক সংরক্ষণের জন্য আবেদন জানায়।’
আবেদনে বলা হয়, ‘এনসিপি নির্বাচন কমিশনের কাছে ‘‘শাপলা’’ প্রতীক বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করার সঙ্গে সঙ্গে সারা দেশের আপামর জনসাধারণ এনসিপির প্রতীক হিসেবে শাপলাকে চিনতে শুরু করে এবং গণমানুষের সঙ্গে এনসিপির শাপলা প্রতীককেন্দ্রিক এক অভূতপূর্ব আত্মিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। এ ছাড়া জুলাই মাসে এনসিপি দেশজুড়ে জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করে এবং উক্ত কর্মসূচিতে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ এনসিপিকে আপন করে নেয় এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে খাল-বিল-জলাশয় থেকে শাপলা সংগ্রহ করে উক্ত কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এনসিপির প্রতীক হিসেবে শাপলাকে হৃদয় থেকে বরণ করে নেয়।
‘সম্প্রতি মাঠপর্যায়ে সব যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হওয়ার পর এবং নিবন্ধনের সব শর্ত প্রতিপালন করার ফলে নির্বাচন কমিশন এনসিপিকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কিন্তু গত ২৩ সেপ্টেম্বর কমিশনের সিনিয়র সচিব সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার প্রতীক তালিকায় শাপলাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি এবং এ কারণে এনসিপিকে শাপলা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া যাবে না। নির্বাচন কমিশনের এমন স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত এবং উক্তরূপ বক্তব্য অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক। নির্বাচন কমিশনের এহেন একরোখা কার্যকলাপে তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উত্থাপিত হয় এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন এবং সব দলের ক্ষেত্রে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির ক্ষেত্রে তাদের আগ্রহ প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
‘সার্বিক বিবেচনায় আমরা আশা করি, নির্বাচন কমিশন ২০০৮ সালের নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে জাতীয় নাগরিক পার্টির অনুকূলে ১. শাপলা, ২. সাদা শাপলা এবং ৩. লাল শাপলা থেকে যেকোনো একটি প্রতীক বরাদ্দ করবে এবং এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন নিজের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ইতিপূর্বের স্বেচ্ছাচারী ও একরোখা মনোভাব পরিত্যাগ করবে এবং এমনভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে, যাতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন এবং সব দলের ক্ষেত্রে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির ক্ষেত্রে তাদের আগ্রহ জনমনে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়।’
শাপলা, সাদা শাপলা বা লাল শাপলা প্রতীক বরাদ্দের জন্য নির্বাচন কমিশনের পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮ সংশোধন করার আবেদন করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
আজ বুধবার দলটির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব বরাবর ই-মেইলের মাধ্যমে এই আবেদন পাঠানো হয়।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের সই করা আবেদনে বলা হয়, ‘রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার পর থেকেই নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আমাদের প্রতিনিধিদল নিয়মিত মতবিনিময়, বৈঠক ও যোগাযোগ রক্ষা করে আসছে। এনসিপির প্রতিনিধিদল এপ্রিল মাস থেকে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে নির্বাচনসংক্রান্ত আইন, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন প্রক্রিয়া, নিবন্ধনের সময়সীমা, প্রবাসীদের ভোটাধিকারসহ নির্বাচনকেন্দ্রিক নানা বিষয় নিয়ে নিয়মিত আলোচনায় অংশ নিচ্ছে।
‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন বিবিধ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮-এর সংশ্লিষ্ট বিধানে নতুন করে নির্বাচনী প্রতীক তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। নির্বাচন কমিশনের তালিকায় প্রতীক যুক্ত করতে কমিশন একটি কমিটি গঠন করে এবং সংশ্লিষ্ট কমিটি মোট ১৫০টি প্রতীক অন্তর্ভুক্ত করার জন্য চূড়ান্ত খসড়া প্রস্তুত করে। উক্ত কমিটির একজন সদস্যের সঙ্গে এনসিপির একটি প্রতিনিধিদল গত ৪ জুন নির্বাচন কমিশনে বৈঠক করে এবং বৈঠকে তিনি চূড়ান্ত তালিকায় ‘‘শাপলা’’ প্রতীক থাকার বিষয়টি আশ্বস্ত করেন। এ ছাড়া এ-সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমেও সংবাদ প্রকাশিত হয়।
‘এরপর ২২ জুন এনসিপি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয় কর্তৃক প্রকাশিত স্মারকের গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন দাখিল করে এবং দলের অনুকূলে ‘‘শাপলা’’ প্রতীক সংরক্ষণের জন্য আবেদন জানায়।’
আবেদনে বলা হয়, ‘এনসিপি নির্বাচন কমিশনের কাছে ‘‘শাপলা’’ প্রতীক বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করার সঙ্গে সঙ্গে সারা দেশের আপামর জনসাধারণ এনসিপির প্রতীক হিসেবে শাপলাকে চিনতে শুরু করে এবং গণমানুষের সঙ্গে এনসিপির শাপলা প্রতীককেন্দ্রিক এক অভূতপূর্ব আত্মিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। এ ছাড়া জুলাই মাসে এনসিপি দেশজুড়ে জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করে এবং উক্ত কর্মসূচিতে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ এনসিপিকে আপন করে নেয় এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে খাল-বিল-জলাশয় থেকে শাপলা সংগ্রহ করে উক্ত কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এনসিপির প্রতীক হিসেবে শাপলাকে হৃদয় থেকে বরণ করে নেয়।
‘সম্প্রতি মাঠপর্যায়ে সব যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হওয়ার পর এবং নিবন্ধনের সব শর্ত প্রতিপালন করার ফলে নির্বাচন কমিশন এনসিপিকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কিন্তু গত ২৩ সেপ্টেম্বর কমিশনের সিনিয়র সচিব সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার প্রতীক তালিকায় শাপলাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি এবং এ কারণে এনসিপিকে শাপলা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া যাবে না। নির্বাচন কমিশনের এমন স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত এবং উক্তরূপ বক্তব্য অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক। নির্বাচন কমিশনের এহেন একরোখা কার্যকলাপে তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উত্থাপিত হয় এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন এবং সব দলের ক্ষেত্রে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির ক্ষেত্রে তাদের আগ্রহ প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
‘সার্বিক বিবেচনায় আমরা আশা করি, নির্বাচন কমিশন ২০০৮ সালের নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে জাতীয় নাগরিক পার্টির অনুকূলে ১. শাপলা, ২. সাদা শাপলা এবং ৩. লাল শাপলা থেকে যেকোনো একটি প্রতীক বরাদ্দ করবে এবং এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন নিজের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ইতিপূর্বের স্বেচ্ছাচারী ও একরোখা মনোভাব পরিত্যাগ করবে এবং এমনভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে, যাতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন এবং সব দলের ক্ষেত্রে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির ক্ষেত্রে তাদের আগ্রহ জনমনে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়।’
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য শতাধিক প্রার্থীর নাম ঘোষণার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতিগত কার্যক্রম শুরু করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর তোপখানা রোডস্থ ফারইস্ট ইনস্যুরেন্স টাওয়ারের অডিটরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দলের প্রাথমিকভাবে
৪ ঘণ্টা আগেসংবিধানের ১৫০(২) অনুচ্ছেদে ক্রান্তিকালীন বিধানে ষষ্ঠ তফসিলে থাকা স্বাধীনতার ঘোষণা ‘ডিক্লারেশন অব ইনডিপেনডেন্স’ ও সপ্তম তফসিলে থাকা ‘প্রক্লেমেশন অব ইনডিপেনডেন্স’ বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। যা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ভিত্তি, তা বাদ দিলে বাংলাদেশের অস্তিত্বই থাকে না। অথচ জুলাই সনদ সংবিধানের তফসিল
৫ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে জামায়াতের এ নেতা বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদের যে খসড়া তৈরি করা হয়েছে, তার মধ্যে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতির প্রস্তাবকে অন্তর্ভুক্ত করুন, সেটা গণভোটে দিন। যদি জনগণ গণভোটে এটাকে গ্রহণ করে, সেটা মেনে নিতে হবে। যদি গ্রহণ না করে, তাও মানতে হবে। কিন্তু আপনি জনগণের মতামত
৫ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বাবা হয়েছেন। তিনি পুত্রসন্তানের জনক হয়েছেন বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব রিফাত রশিদ।
৬ ঘণ্টা আগে