নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সংবিধানের ‘স্বাধীনতার ঘোষণা’সহ চার মূলনীতি অন্তর্ভুক্ত না করলে জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে সিপিবি, বাসদসহ চার বামপন্থী রাজনৈতিক দল। সব মিলিয়ে জুলাই সনদে মোট সাতটি দাবি অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে তারা। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর পল্টনে মুক্তি ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই অবস্থান তুলে ধরা হয়।
লিখিত বক্তব্যে বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, সংবিধানের ১৫০(২) অনুচ্ছেদে ক্রান্তিকালীন বিধানে ষষ্ঠ তফসিলে থাকা স্বাধীনতার ঘোষণা ‘ডিক্লারেশন অব ইনডিপেনডেন্স’ ও সপ্তম তফসিলে থাকা ‘প্রক্লেমেশন অব ইনডিপেনডেন্স’ বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। যা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ভিত্তি, তা বাদ দিলে বাংলাদেশের অস্তিত্বই থাকে না। অথচ জুলাই সনদ সংবিধানের তফসিলে যুক্ত করার কথা বলা হচ্ছে; পটভূমিতে অভ্যুত্থানপরবর্তী সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের রেফারেন্স নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার কথা আগে পাঠানো খসড়া সনদে উল্লেখ থাকলেও চূড়ান্ত সনদে ১০৬ অনুচ্ছেদের কথা বাদ দেওয়া হয়েছে।
বজলুর রশীদ ফিরোজ আরও বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ঐকমত্য কমিশনের যাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, সব দল যেসব বিষয়ে একমত হবে, শুধু সেগুলোই ঐকমত্য হিসেবে বিবেচিত হবে। আমরাও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একমত পোষণ করেছিলাম এবং ঐকমত্য কমিশনের সব সভায় উপস্থিত থেকে আমাদের মতামত ব্যক্ত করেছি। কিন্তু জুলাই সনদের যে চূড়ান্ত কপি ১৪ অক্টোবর আমাদের কাছে পাঠিয়েছে, সেখানে দেখলাম, সর্বসম্মত বিষয় ছাড়াও নোট অব ডিসেন্ট দেওয়া প্রস্তাবগুলো সনদে যুক্ত করেছে।’
সনদ সংশোধনের বিষয়টি উল্লেখ করে বাসদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি, যেসব বিষয়ে সবার ঐকমত্য রয়েছে, কেবল সেসব বিষয়েই সবার স্বাক্ষর নেওয়া যেতে পারে। ভিন্নমতগুলো অতিরিক্ত প্রতিবেদন (অ্যানেক্স) হিসেবে সনদে সংযুক্ত থাকতে পারে। সনদের প্রথম অংশে পটভূমিতে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক আন্দোলনের ইতিহাস সঠিকভাবে উপস্থাপিত হয়নি। আমরা বারবার সংশোধনী দিলেও সেগুলো সন্নিবেশিত করা হয়নি।’
কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন বলেন, ‘আমরা কমিশনকে বলেছি, কেন স্পষ্ট করে বলছেন না যে, এই চারটা মূলনীতি থাকবে, তার সঙ্গে যুক্ত হবে সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতি। যদি এই কথাগুলো এইভাবে থাকে, তাহলে আমাদের স্বাক্ষর করতে কোনো সমস্যা নেই।’
ক্বাফী রতন আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। সেই মুক্তিযুদ্ধকে আপনি বাদ দিতে চাচ্ছেন। সেইটা কখনোই আমরা বরদাস্ত করতে পারব না। সেই কারণেই জুলাই জাতীয় সনদে আমরা স্বাক্ষর করব না।’
বাংলাদেশ জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য মুশতাক হোসেন সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমরা কমিশনকে জানিয়েছি, সংশোধন না হলে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আমরা স্বাক্ষর করতে যেতে পারছি না। আমাদের দলগুলো বাদে আরও অনেকেই নোট অব ডিসেন্টসহ স্বাক্ষর করতে রাজি না।’
বাসদের (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা বলেন, ‘আদর্শিক প্রশ্নে একমত হওয়া সম্ভব না, তাই মূলনীতির প্রশ্ন আলোচনার বাইরে রাখার কথা বলেছিলাম। কিন্তু এই আলোচনার মধ্য দিয়ে ঐকমত্য কমিশন ইচ্ছাকৃতভাবেই বিভাজন তৈরি করেছে। এখন বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে জলঘোলা করা হচ্ছে। কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে যতটুকু ঐক্যের জায়গা আছে, তা-ও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।’
সংবিধানের ‘স্বাধীনতার ঘোষণা’সহ চার মূলনীতি অন্তর্ভুক্ত না করলে জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে সিপিবি, বাসদসহ চার বামপন্থী রাজনৈতিক দল। সব মিলিয়ে জুলাই সনদে মোট সাতটি দাবি অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে তারা। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর পল্টনে মুক্তি ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই অবস্থান তুলে ধরা হয়।
লিখিত বক্তব্যে বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, সংবিধানের ১৫০(২) অনুচ্ছেদে ক্রান্তিকালীন বিধানে ষষ্ঠ তফসিলে থাকা স্বাধীনতার ঘোষণা ‘ডিক্লারেশন অব ইনডিপেনডেন্স’ ও সপ্তম তফসিলে থাকা ‘প্রক্লেমেশন অব ইনডিপেনডেন্স’ বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। যা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ভিত্তি, তা বাদ দিলে বাংলাদেশের অস্তিত্বই থাকে না। অথচ জুলাই সনদ সংবিধানের তফসিলে যুক্ত করার কথা বলা হচ্ছে; পটভূমিতে অভ্যুত্থানপরবর্তী সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের রেফারেন্স নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার কথা আগে পাঠানো খসড়া সনদে উল্লেখ থাকলেও চূড়ান্ত সনদে ১০৬ অনুচ্ছেদের কথা বাদ দেওয়া হয়েছে।
বজলুর রশীদ ফিরোজ আরও বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ঐকমত্য কমিশনের যাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, সব দল যেসব বিষয়ে একমত হবে, শুধু সেগুলোই ঐকমত্য হিসেবে বিবেচিত হবে। আমরাও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একমত পোষণ করেছিলাম এবং ঐকমত্য কমিশনের সব সভায় উপস্থিত থেকে আমাদের মতামত ব্যক্ত করেছি। কিন্তু জুলাই সনদের যে চূড়ান্ত কপি ১৪ অক্টোবর আমাদের কাছে পাঠিয়েছে, সেখানে দেখলাম, সর্বসম্মত বিষয় ছাড়াও নোট অব ডিসেন্ট দেওয়া প্রস্তাবগুলো সনদে যুক্ত করেছে।’
সনদ সংশোধনের বিষয়টি উল্লেখ করে বাসদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি, যেসব বিষয়ে সবার ঐকমত্য রয়েছে, কেবল সেসব বিষয়েই সবার স্বাক্ষর নেওয়া যেতে পারে। ভিন্নমতগুলো অতিরিক্ত প্রতিবেদন (অ্যানেক্স) হিসেবে সনদে সংযুক্ত থাকতে পারে। সনদের প্রথম অংশে পটভূমিতে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক আন্দোলনের ইতিহাস সঠিকভাবে উপস্থাপিত হয়নি। আমরা বারবার সংশোধনী দিলেও সেগুলো সন্নিবেশিত করা হয়নি।’
কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন বলেন, ‘আমরা কমিশনকে বলেছি, কেন স্পষ্ট করে বলছেন না যে, এই চারটা মূলনীতি থাকবে, তার সঙ্গে যুক্ত হবে সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতি। যদি এই কথাগুলো এইভাবে থাকে, তাহলে আমাদের স্বাক্ষর করতে কোনো সমস্যা নেই।’
ক্বাফী রতন আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। সেই মুক্তিযুদ্ধকে আপনি বাদ দিতে চাচ্ছেন। সেইটা কখনোই আমরা বরদাস্ত করতে পারব না। সেই কারণেই জুলাই জাতীয় সনদে আমরা স্বাক্ষর করব না।’
বাংলাদেশ জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য মুশতাক হোসেন সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমরা কমিশনকে জানিয়েছি, সংশোধন না হলে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আমরা স্বাক্ষর করতে যেতে পারছি না। আমাদের দলগুলো বাদে আরও অনেকেই নোট অব ডিসেন্টসহ স্বাক্ষর করতে রাজি না।’
বাসদের (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা বলেন, ‘আদর্শিক প্রশ্নে একমত হওয়া সম্ভব না, তাই মূলনীতির প্রশ্ন আলোচনার বাইরে রাখার কথা বলেছিলাম। কিন্তু এই আলোচনার মধ্য দিয়ে ঐকমত্য কমিশন ইচ্ছাকৃতভাবেই বিভাজন তৈরি করেছে। এখন বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে জলঘোলা করা হচ্ছে। কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে যতটুকু ঐক্যের জায়গা আছে, তা-ও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।’
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য শতাধিক প্রার্থীর নাম ঘোষণার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতিগত কার্যক্রম শুরু করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর তোপখানা রোডস্থ ফারইস্ট ইনস্যুরেন্স টাওয়ারের অডিটরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দলের প্রাথমিকভাবে
৩ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে জামায়াতের এ নেতা বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদের যে খসড়া তৈরি করা হয়েছে, তার মধ্যে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতির প্রস্তাবকে অন্তর্ভুক্ত করুন, সেটা গণভোটে দিন। যদি জনগণ গণভোটে এটাকে গ্রহণ করে, সেটা মেনে নিতে হবে। যদি গ্রহণ না করে, তাও মানতে হবে। কিন্তু আপনি জনগণের মতামত
৫ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বাবা হয়েছেন। তিনি পুত্রসন্তানের জনক হয়েছেন বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব রিফাত রশিদ।
৫ ঘণ্টা আগেজামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকার কানাডিয়ান হাইকমিশনার অজিত শিং। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে রাজধানী ঢাকার বসুন্ধরায় জামায়াত আমিরের কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ ও প্রাতরাশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৭ ঘণ্টা আগে