Ajker Patrika

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া, রাজনীতিতে সুবাতাসের প্রত্যাশা

  • বিশেষজ্ঞদের মতে, খালেদার উপস্থিতি মনস্তাত্ত্বিক দূরত্ব কমাবে
  • খালেদা ১২ বছর আগে সর্বশেষ এ অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন
  • খালেদার সঙ্গে সাক্ষাতের ছবি পোস্ট করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ, নাহিদ ও আসিফ
তানিম আহমেদ, ঢাকা
আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯: ৩১
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: ফেসবুক
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: ফেসবুক

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দীর্ঘ এক যুগ পর গুরুত্বপূর্ণ এ দিবসের কর্মসূচিতে তাঁর অংশগ্রহণকে রাজনীতির জন্য ইতিবাচক ঘটনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা। তাঁরা বলছেন, আওয়ামী লীগের স্বৈরশাসনের অবসানের পর অভ্যুত্থানের পক্ষের দলগুলোর মধ্যে যে মনস্তাত্ত্বিক দূরত্ব তৈরি হচ্ছিল, খালেদা জিয়ার উপস্থিতির কারণে তা কিছুটা হলেও ঘুচবে। পর্যবেক্ষকদের ধারণা, বিষয়টি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আশাবাদ জাগানোর পাশাপাশি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক সংস্কৃতির পথে হাঁটারও ইঙ্গিত বহন করে।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর তিনটি শাখা সমন্বিতভাবে যাত্রা শুরু করেছিল। সে কারণে দিনটি সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালিত হয়। প্রতিবছর সেনাকুঞ্জে এ দিবসের অনুষ্ঠানে সরকার- প্রধান ও অন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের পাশাপাশি দেশের বিশিষ্টজনদের মিলনমেলা বসে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বিরোধী দলীয় নেতা থাকার সময় সর্বশেষ ২০১২ সালে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর থেকে তাঁকে দেখা যায়নি। বিএনপির পক্ষ থেকে গত বৃহস্পতিবার দাবি করা হয়, গত ১২ বছর পরিকল্পিতভাবে সশস্ত্র বাহিনী থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দূরে রেখেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এবার খালেদা জিয়াকে সেনাবাহিনীর উচ্চপর্যায়ের দুজন কর্মকর্তা গিয়ে আমন্ত্রণ জানান। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকেও অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়ার উপস্থিতির বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছিল, যিনি একই সঙ্গে প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানের স্ত্রী। তিনি সেনাকুঞ্জে উপস্থিত হওয়ার পর বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খালেদা জিয়া অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হলে সবাই তাঁকে দাঁড়িয়ে সম্মান জানান। একপর্যায়ে তাঁকে ঘিরে জটলার সৃষ্টি হয়েছিল। উপস্থিত রাজনৈতিক নেতারা আলাদাভাবে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানেরা সস্ত্রীক আলাদা কথা বলেন। উপস্থিত বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের সদস্যরাও খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। উপস্থিত এক অতিথি বলেন, দেশের রাজনীতিতে খালেদা জিয়ার এখনো যে

একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে, তা ছিল দৃশ্যমান।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বিএনপি, জামায়াত ও অন্যান্য ইসলামি দল, সিপিবি, গণতন্ত্র মঞ্চসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে দৃশ্যত মনস্তাত্ত্বিক দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এর আলোকে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টাসহ উপদেষ্টা পরিষদ এবং রাজনৈতিক নেতাদের উপস্থিতি ও বিএনপির নেত্রীর সঙ্গে তাঁদের কুশল বিনিময় বরফ গলাতে সহায়তা করবে বলে মনে করা হচ্ছে। সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণে রাজনীতিতে ইতিবাচক ধারা সৃষ্টি হবে বলে মনে করেন কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন যে সকলের অংশগ্রহণে হবে, সে বিষয়ে এটা অর্থবহ ঘটনা বলে আমার কাছে মনে হয়।’

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অন্যতম তিন সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ। ছবি: ফেসবুক
সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অন্যতম তিন সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ। ছবি: ফেসবুক

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খালেদা জিয়া দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা। ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। তারপর তিনি এই অনুষ্ঠানে আসতে পেরেছেন। তাতে সবার মধ্যে খুশি ও স্বস্তির হাওয়া বইছে। এখন দেখতে হবে, বিষয়টি রাজনীতিতে কীভাবে আসে; কিংবা আসে কি না।’

বর্ষীয়ান, অভিজ্ঞ রাজনীতিক হিসেবে এই অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়ার উপস্থিতি দেশের রাজনীতির জন্য স্বস্তির বলে মনে করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের পর যে বিশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে, সে ক্ষেত্রে এটি কিছুটা স্বস্তি ও আস্থা তৈরি করবে। সেখানে সশস্ত্র বাহিনী, রাজনৈতিক দল, আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা ছাত্র-তরুণদের সঙ্গে যে হৃদ্যতার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, তার রাজনৈতিক গুরুত্ব আছে। খালেদা জিয়ার উপস্থিতিসমৃদ্ধ এই মিলনমেলা সবার মধ্যকার আপাত-মনস্তাত্ত্বিক দূরত্ব দূর করবে বলে মনে করি।’

গণফোরাম সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান মোস্তফা মহসীন মন্টু বলেন, ‘এ রকম অনুষ্ঠান আমাদের জাতীয় ঐক্য গড়ে দেবে। প্রতিহিংসার রাজনীতি জাতীয় ঐক্য গড়তে পারে না।’

খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, মো. নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম। সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ও আসিফও ছিলেন আন্দোলনের সমন্বয়ক। কুশলাদির একটি ছবির ক্যাপশন ছিল, ‘সোনালী অতীত, গর্বিত ভবিষ্যৎ’। উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ লেখেন, ‘আপনাকে এই সুযোগ করে দিতে পেরে আমরা গর্বিত।’ সারজিস আলম লেখেন, ‘আপনার আপসহীন মনোভাব আমাদের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।’

পর্যবেক্ষকেরা মনে করেন, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের বিষয়ে অবস্থান, নির্বাচনের সময়সহ বিভিন্ন ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলের মধ্যে মতান্তরের যে আভাস পাওয়া যাচ্ছে, তা নিরসনে ভূমিকা রাখতে পারে এদিনের আশাজাগানিয়া ছবিটি।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম । ছবি: ফেসবুক
সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম । ছবি: ফেসবুক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. মাহবুবউল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁদের স্তরের রাজনীতিকেরা যা কিছুই করেন, তার একটা প্রভাব রাজনীতিতে হয়, সমাজে হয়। ওনার ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হওয়ার কথা নয়।’

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আ ন ম মুনীরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন খালেদা জিয়াকে এসব অনুষ্ঠান থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছিল। সেখানে এবার সশস্ত্র বাহিনী এবং উপস্থিত অন্যরা তাঁকে সাদরে আমন্ত্রণ ও স্বাগত জানিয়েছেন। এর প্রভাব অবশ্যই সব জায়গায় থাকবে।’

সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়ার উপস্থিতি বিএনপির নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করবে বলে মনে করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সব রাজনৈতিক নেতৃত্ব খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছেন। এর রাজনৈতিক তাৎপর্য হচ্ছে, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগবিরোধী সবাই একত্র।’

২০১৮ সালে দুর্নীতি মামলায় কারাগারে যান বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দুই বছর কারাগারে থাকার পর ২০২০ সালের মার্চে সরকারের নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি পান তিনি। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি দণ্ড মওকুফ করে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কাপের অবশিষ্ট কফি ড্রেনে ঢেলে দেওয়ায় নারীকে ২৪ হাজার টাকা জরিমানা

এনসিপিকে ‘নাস্তিকদের সংগঠন’ বলে আমাকে মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে: মুফতি আমিনীর নাতি

নারায়ণগঞ্জে ইট দিয়ে থেঁতলে যুবককে হত্যার ভিডিও ভাইরাল, গ্রেপ্তার ৩

সোনার বড় দরপতন, একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমল ভরিতে

বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর স্টেডিয়ামের তালিকায় সিলেট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এনসিপিকে ‘নাস্তিকদের সংগঠন’ বলে আমাকে মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে: মুফতি আমিনীর নাতি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০০: ৪৪
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ মাহদীকে জামিয়া কোরআনিয়া অ্যারাবিয়া লালবাগ মাদ্রাসার শিক্ষক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ‘এনসিপি নাস্তিকদের সংগঠন’—এ কারণ দেখিয়ে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে আজ বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে অভিযোগ করেছেন তিনি।

আশরাফ মাহদী দেওবন্দ ঘরানার ইসলামি চিন্তাবিদ ও ইসলামী ঐক্যজোট নেতা এবং লালবাগ মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মরহুম মুফতি ফজলুল হক আমিনীর নাতি।

উল্লেখ্য, লালবাগ মাদ্রাসার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুরের জামাতা ছিলেন মরহুম মুফতি ফজলুল হক আমিনী। হাফেজ্জী হুজুরের ইন্তেকালের পর ১৯৮৭ সালে তিনি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও শায়খুল হাদিসের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে মৃত্যুর আগপর্যন্ত তিনি ওই মাদ্রাসার শায়খুল হাদিস ছিলেন।

অন্যদিকে মাদ্রাসার শিক্ষক মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী দাবি করেছেন, মাদ্রাসায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও ‘খুনোখুনির’ পরিস্থিতি তৈরির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকায় তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

চাকরি থেকে অব্যাহতির বিষয়ে আজ ফেসবুকে একাধিক পোস্ট দেন আশরাফ মাহদী। একটি পোস্টে তিনি বলেন, ‘লালবাগ মাদরাসা থেকে আমাকে অব্যাহতির সংবাদ পেলাম। কারণ হিসেবে বলা হলো, এনসিপি নাস্তিকদের সংগঠন। আজ দুপুরে লালবাগ মাদরাসার মজলিশে শুরা সদস্য মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ সাহেব আমাকে ফোনকলে জানালেন, গত সোমবার (২০ অক্টোবর) জরুরি মজলিসে শুরার বৈঠকে আমাকে মাদরাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ ফোনকলে এনসিপিকে ‘নাস্তিকদের সংগঠন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন আশরাফ মাহদী। মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ ফোনে মাহদীকে বলেন, ‘তুমি এনসিপি করো। এনসিপি নাস্তিকদের সংগঠন। এটা করা জায়েজ নাই। মাদ্রাসার কোনো শিক্ষক এনসিপি করতে পারে না।’

অন্যদিকে মাদ্রাসার শিক্ষক মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী এই অভিযোগ অসত্য বলে দাবি করেছেন। তিনি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘এনসিপিকে আলেম-ওলামাদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে নিজের অসৎ উদ্দেশ্য পূরণের অপচেষ্টা চালাচ্ছে সে (আশরাফ মাহদী)। লালবাগ জামিয়া থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়ার সঙ্গে এনসিপির প্রসঙ্গ নেই। এ বিষয়ে রেজুলেশন (রেজল্যুশন) খাতা বিদ্যমান রয়েছে এবং আশা করা যায়, অচিরেই মজলিসে শুরা বিষয়টি জনসম্মুখে উপস্থাপন করবেন।’

মুফতি সাখাওয়াত আরও লেখেন, ‘মূলত ফ্যাসিস্টদের দোসর ফয়জুল্লাহ-আলতাফ গংদের সঙ্গে আঁতাত করে বড় কাটারা ও লালবাগ মাদ্রাসায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও খুনাখুনির পরিস্থিতি তৈরির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকায় ছাত্র-জনতা তার বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠে। পরবর্তীতে তাকে অব্যাহতি দেওয়ার মাধ্যমে মাদ্রাসার পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। অবশ্য আগে থেকেই ছাত্রদের পড়াশোনায় খেয়ানত অর্থাৎ ক্লাসে অনুপস্থিতিসহ মাদ্রাসার নিয়ম-কানুন লঙ্ঘনের বেশ কয়েকটি অভিযোগ তার বিরুদ্ধে জমা আছে।’

মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী আরও লিখেছেন, ‘গত কয়েক মাস ধরেই সে ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসনের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। এই প্রক্রিয়ায় সে কখনো এনসিপির নাম ব্যবহার করে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে, যা এনসিপির নেতৃবৃন্দ অবগত আছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কাপের অবশিষ্ট কফি ড্রেনে ঢেলে দেওয়ায় নারীকে ২৪ হাজার টাকা জরিমানা

এনসিপিকে ‘নাস্তিকদের সংগঠন’ বলে আমাকে মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে: মুফতি আমিনীর নাতি

নারায়ণগঞ্জে ইট দিয়ে থেঁতলে যুবককে হত্যার ভিডিও ভাইরাল, গ্রেপ্তার ৩

সোনার বড় দরপতন, একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমল ভরিতে

বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর স্টেডিয়ামের তালিকায় সিলেট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনে ভরাডুবি: গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের নাম যাচ্ছে পাল্টে, ধরনেও আসছে বদল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনে ভরাডুবি: গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের নাম যাচ্ছে পাল্টে, ধরনেও আসছে বদল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভরাডুবির পর পুনর্গঠনের ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস)। সেই ঘোষণা এবার বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আদর্শিক এই ছাত্রসংগঠন নতুন নামে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। সে সঙ্গে বদলে যাচ্ছে সংগঠনটির ধরনও।

এনসিপি ও গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ সূত্রে জানা গেছে, সংগঠনটির নতুন নাম হতে যাচ্ছে জাতীয় ছাত্রশক্তি। আদর্শিক সংগঠন থেকে এনসিপির সহযোগী ছাত্রসংগঠন হিসেবে কাজ করবে এটি।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের জাতীয় সমন্বয় সভা। এ সভায় নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহসহ এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। সভায় সংগঠনের নতুন নাম, কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক কমিটি এবং রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে।

গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের জাতীয় সমন্বয় সভার আয়োজক কমিটির সদস্যসচিব মহির আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আমাদের সারা দেশের কমিটিগুলোর মধ্যে আলোচনা হচ্ছিল। গতকাল মঙ্গলবার আমাদের সাধারণ সভা হয়। সেখানে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের পুনর্গঠন নিয়ে কিছু সিদ্ধান্ত এসেছে।’

সংগঠনের নতুন নামের বিষয়ে মহির আলম বলেন, নতুন নাম হিসেবে জাতীয় ছাত্রশক্তি ও বাংলাদেশ ছাত্রশক্তি—এই দুটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে জাতীয় ছাত্রশক্তির পক্ষে সমর্থন বেশি।

গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় সমন্বয় সভায় কেন্দ্রীয় কমিটিসহ অন্তত চারটি কমিটির ঘোষণা আসবে। নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি সর্বোচ্চ ১০১ সদস্যবিশিষ্ট হতে পারে। একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটকে ‘বিশেষ শাখা’ হিসেবে ঘোষণা করা হতে পারে।

কেন্দ্রীয় সভাপতি পদে আলোচনায় রয়েছেন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার ও সদস্যসচিব জাহিদ আহসান।

কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ নেতৃত্বে আরও থাকতে পারেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্যসচিব মহির আলম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্যসচিব সিয়াম, কেন্দ্রীয় সহমুখপাত্র ফারদিন হাসান, ঢাবির যুগ্ম আহ্বায়ক লিমন আহসান এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক তাহমীদ আল মুদ্দাসসির।

২০২৩ সালের ৪ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক ও গণঅধিকার পরিষদের ছাত্রসংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি আখতার হোসেনের নেতৃত্বে যাত্রা শুরু করে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি। জুলাই অভ্যুত্থানে এই সংগঠনের নেতারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

অভ্যুত্থানের পর গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির সব কমিটি স্থগিত ঘোষণা করা হয়। পরে সংগঠনের কয়েকজন নেতা মিলে গঠন করা হয় গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। জুলাই অভ্যুত্থানের বড় শক্তি হলেও ডাকসুসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ফলাফলে এই সংগঠন-সমর্থিত নেতাদের ভরাডুবি হয়। তখনই সংগঠনটি পুনর্গঠনের দাবি ওঠে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কাপের অবশিষ্ট কফি ড্রেনে ঢেলে দেওয়ায় নারীকে ২৪ হাজার টাকা জরিমানা

এনসিপিকে ‘নাস্তিকদের সংগঠন’ বলে আমাকে মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে: মুফতি আমিনীর নাতি

নারায়ণগঞ্জে ইট দিয়ে থেঁতলে যুবককে হত্যার ভিডিও ভাইরাল, গ্রেপ্তার ৩

সোনার বড় দরপতন, একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমল ভরিতে

বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর স্টেডিয়ামের তালিকায় সিলেট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাষ্ট্রপতি নয়, প্রধান উপদেষ্টা থেকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ চায় জামায়াত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে কথা বলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে কথা বলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘এই যে রিফর্মস (জুলাই সনদ) হচ্ছে, এটার যে ডিক্লারেশনটা বা আদেশটা কে দিবে? এ নিয়ে একটা প্রশ্ন এখানে উঠেছে। আমরা বলে আসছি, যদি আইনে কাভার করে এবং আইনগতভাবে যদি কোনো ব্যত্যয় না ঘটে, তাহলে আমরা চাই, চিফ অ্যাডভাইজার (প্রধান উপদেষ্টা) এই আদেশটি দিবেন, প্রেসিডেন্ট দিবেন না। এটা আজকে আমরা মত দিয়েছি।’

আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাছুম ও রফিকুল ইসলাম খান।

‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি জানিয়ে তাহের বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যাপারে এখনো সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হচ্ছে। সুতরাং, আমরা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের অপেক্ষায় আছি। এখনই যদি বিষয়টি আলোচনা করি, তাহলে এটি ইমম্যাচিউরড হবে। আমরা মনে করি, ইন্টেরিম এখন ইন্টেরিমই থাকবে। যদি কোনো ব্যত্যয় না হয় সুপ্রিম কোর্টের অর্ডারে, তাহলে এই সরকারই কেয়ারটেকার সরকারের ভূমিকা পালন করবে।’

তাহের আরও বলেন, ‘আমরা সেখানে বলেছি, একটি আদেশের মাধ্যমে এটাকে (জুলাই সনদ) সাংবিধানিক মর্যাদা দিতে হবে। এটা কনস্টিটিউশন নয়। এটা হচ্ছে এক্সট্রা কনস্টিটিউশনাল অ্যারেঞ্জমেন্ট। যেটা কোনো সরকার এ রকম একটি পরিস্থিতিতে পড়লে দেওয়ার এখতিয়ার রাখে। এই সনদের মাঝে যেগুলো আগামী নির্বাচন সম্পৃক্ত, সেগুলোকে আগেই পাস করিয়ে তার ভিত্তিতে নির্বাচন দেওয়া হচ্ছে ইম্পর্ট্যান্ট।’

জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির বলেন, ‘কেউ কেউ বলেছেন অধ্যাদেশ দেওয়ার জন্য, অধ্যাদেশ খুব দুর্বল। অধ্যাদেশে এগুলোর সাংবিধানিক মর্যাদায় যাওয়ার মতো স্টে অধ্যাদেশ নেই। কিন্তু আদেশ ইজ ইকুইভ্যালেন্ট টু সাংবিধানিক পরিবর্তন, পাওয়ার অব অথরিটি।’

গণভোটের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে জামায়াতের এ নেতা বলেন, ‘গণভোটের ব্যাপারে বিএনপি কোনোভাবেই রাজি হচ্ছিল না প্রথম দিকে। আমরা এটাতে জোর দিয়েছিলাম, কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিএনপি গণভোটে রাজি হয়েছে। তারপরেও তারা একটা জটিলতা তৈরি করার চেষ্টা করছে। সেটা হচ্ছে, গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন এক দিনে হতে হবে। দুইটা একেবারে আলাদা জিনিস।’

তাহের বলেন, ‘একটা হচ্ছে, জাতীয় নির্বাচনে জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচিত হয়ে দেশে কারা সরকার চালাবে, সেটার সিদ্ধান্ত। আর গণভোট হচ্ছে আমাদের কতগুলো রিফর্ম, সংস্কার; যেগুলো কীভাবে সরকার পরিচালনা হবে, কীভাবে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, কীভাবে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা থাকবে—এসব মৌলিক বিষয়, এটার সঙ্গে এটার কোনো রিলেশন নেই। গণভোটের মাধ্যমে রিফর্মস আলাদাভাবে পাস করতে হবে। জনগণ যদি ‘‘হ্যাঁ’’ বলে, পাস হয়ে গেল। জনগণ যদি ‘‘না’’ বলে, পাস হবে না।’

তাহের আরও বলেন, ‘বিএনপি অজুহাত দেখাচ্ছে, গণভোটের সময় নেই। আমরা বলেছি, নভেম্বরের লাস্টে গণভোট করেন। প্রায় এক মাসের বেশি সময় আছে, তারপরে আরও আড়াই মাস থাকবে জাতীয় নির্বাচনের। সুতরাং, এখানে সময়ের কোনো সমস্যা নাই। এই গণভোট হলেই জনগণের সিদ্ধান্ত নিয়ে জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন হবে, নয়তো আগের মতোই হবে।’

নির্বাচনের আগেই প্রশাসনে রদবদল ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির বলেন, ‘ইলেকশন কমিশন, সচিবালয়, পুলিশ প্রশাসনে ৭০-৮০ শতাংশ অফিসারই একটি দলের আনুগত্য। তাদের মাধ্যমে এটা হচ্ছে। আমরা গেলে তারা বলে যে প্রচণ্ড চাপ। পুলিশে একই অবস্থা আছে। আমাদের প্রসিকিউটর যারা হয় ওখানে, পিপিএ ৮০ শতাংশ হচ্ছে একটি বিশেষ দলের। এই যে ইমব্যালেন্সটা হয়ে আছে, আপনারা নিরপেক্ষ সরকার, আপনারা এটাকে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করেন। সকলের জন্য সমতল ভূমি তৈরি করেন এবং নির্বাচনের আগে যেখানে যেখানে রদবদল করা দরকার, আপনারা তা করেন।’

প্রধান উপদেষ্টা এ বিষয়ে ইতিবাচক আশ্বাস দিয়েছেন জানিয়ে তাহের বলেন, ‘উনি আমাদের বলেছেন, উনি নিজে তত্ত্বাবধান করবেন এবং লটারি সিস্টেমে উনি পোস্টিং ঠিক করবেন। তো আমরা বলেছি, আমাদের কোনো আপত্তি নেই, আপনি লটারি টানেন, দেন। তবে লটারির পেছনে যেন কোনো একটা ভূত দাঁড়াইয়া না থাকে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কাপের অবশিষ্ট কফি ড্রেনে ঢেলে দেওয়ায় নারীকে ২৪ হাজার টাকা জরিমানা

এনসিপিকে ‘নাস্তিকদের সংগঠন’ বলে আমাকে মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে: মুফতি আমিনীর নাতি

নারায়ণগঞ্জে ইট দিয়ে থেঁতলে যুবককে হত্যার ভিডিও ভাইরাল, গ্রেপ্তার ৩

সোনার বড় দরপতন, একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমল ভরিতে

বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর স্টেডিয়ামের তালিকায় সিলেট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শাপলা ছাড়া আমরা নির্বাচনে যাব না: নাহিদ ইসলাম

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ২৩: ৫২
‘শাপলা’ প্রতীক ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: আজকের পত্রিকা
‘শাপলা’ প্রতীক ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ‘শাপলা’ প্রতীক ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘শাপলা প্রতীক না থাকলে আমরা কী নিয়ে নির্বাচন করব। শাপলা ছাড়া অন্য কোনো প্রতীকে আমরা নির্বাচনে অংশ নেব না।’

আজ বুধবার সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। নির্বাচন কমিশনের গঠনপ্রক্রিয়া ও কমিশনের বর্তমান আচরণ আমাদের কাছে নিরপেক্ষ মনে হচ্ছে না। এটা স্বচ্ছ হচ্ছে না এবং নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে যেভাবে কার্যক্রম করার কথা ছিল, সেটা করছে না। কিছু কিছু দলের প্রতি পক্ষপাত দেখা যাচ্ছে এবং কোনো কোনো দলের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করছে।’

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা বলেছি, বিগত সময়ে নির্বাচন কমিশন যে পদক্ষেপ নিয়েছে, সেখানে যেভাবে নির্বাচন হয়েছে, সেভাবে হলে দায় সরকারের ওপর আসবে। আমরা সরকারকে বিষয়টি অবগত করেছি। এই মুহূর্তে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা প্রয়োজন। উপদেষ্টা পরিষদের বিষয়েও বক্তব্য দিয়ে এসেছি। সরকারি কর্মকর্তাদের পদায়ন দেওয়া হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে যোগ্যতার ভিত্তিতে হচ্ছে কি না, বিভিন্ন জায়গায় দেখতে পাচ্ছি, শুনতে পাচ্ছি, প্রশাসনে বিভিন্ন ভাগ-বাঁটোয়ারা হচ্ছে। বড় রাজনৈতিক ব্যক্তিরা নিজেদের মধ্যে ভাগবাঁটোয়ারা করে এসপি-ডিসির জন্য তালিকা করে দিচ্ছে। উপদেষ্টা পরিষদের ভেতর থেকে সেই দলগুলোকে সহায়তা করছে। ফলে এভাবে চললে সরকার প্রশ্নবিদ্ধ হবে। অনিয়ম-দুর্নীতি ও রাজনৈতিক দলীয় পক্ষপাতের বিষয়টি যেন প্রধান উপদেষ্টা দেখেন, সে বিষয়েও আমরা জানিয়েছি।’

নাহিদ আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের বিষয়ে আমরা আমাদের বিষয়টা জানিয়েছি। সরকার বলেছে, এটি একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন যদি না হয়, সে দায় সরকারের ওপরে আসবে। ফলে বিষয়টা তাঁরা গুরুত্বসহকারে দেখবেন। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যা যা করণীয়, তা সরকারের পক্ষ থেকে করা হবে। জুলাই সনদের বিষয়ে তাঁরা আমাদের সই করার আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, আমাদের বিষয়গুলো গুরুত্বসহকারে দেখা হবে।’

এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘গণভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত হলে পরবর্তী সংসদের একটি গাঠনিক কাঠামো থাকবে। সেই কাঠামো একটি সংবিধান তৈরি করবে। এই পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে ঐকমত্য কমিশন সুপারিশ দেবে, তা নিয়ে সরকার কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেটার ওপর নির্ভর করে আমরা জুলাই সনদে সই করার বিষয়টি বিবেচনা করব। এটা সরকারের কাছে আমরা দাবি জানিয়েছি এবং এই দাবিগুলো যেন বিবেচনা করা হয়। আর সরকার যেন সেই পথে যৌক্তিকভাবে এই জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আগায়, এ বিষয়ে জোর দাবি জানিয়েছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কাপের অবশিষ্ট কফি ড্রেনে ঢেলে দেওয়ায় নারীকে ২৪ হাজার টাকা জরিমানা

এনসিপিকে ‘নাস্তিকদের সংগঠন’ বলে আমাকে মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে: মুফতি আমিনীর নাতি

নারায়ণগঞ্জে ইট দিয়ে থেঁতলে যুবককে হত্যার ভিডিও ভাইরাল, গ্রেপ্তার ৩

সোনার বড় দরপতন, একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমল ভরিতে

বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর স্টেডিয়ামের তালিকায় সিলেট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত