নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিতে টানা দুই দিনের কর্মসূচি শেষে বিজয়ের দেখা পেলেন আন্দোলনকারীরা। গতকাল শনিবার রাত ১১টার দিকে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে দলটিকে নিষিদ্ধের ঘোষণার পর শাহবাগে উল্লাসে ফেটে পড়েন তাঁরা।
তবে আন্দোলনের সংগঠকদের নেতা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ জানান, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করাসহ ছাত্র-জনতা ঘোষিত তিন দফার একটি দফা বাকি থাকা পর্যন্ত ছাত্র-জনতা রাজপথ ছাড়বে না।
সরকারের ঘোষণার পর রাতে ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে হাসনাত বলেন, তিন দফার একটি দফাও বাস্তবায়ন বাকি থাকলে তাঁরা রাজপথ ছাড়বেন না। ৫ আগস্টের অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে এসেছেন বলে জানান তিনি।
আন্দোলনকারীদের তিন দফার মধ্যে আছে, আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী ও রাষ্ট্রদ্রোহী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করতে হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের বিধান যুক্ত করা এবং ‘জুলাই বিপ্লব’-এর ঘোষণাপত্র অবিলম্বে জারি করা।
হাসনাত বলেন, ‘এই দাবিগুলো আমাদের সংগ্রামের মূলমন্ত্র। এগুলো কোনো রাজনৈতিক ছক নয়, এটি শহীদের রক্তের বিনিময়ে গঠিত দাবি।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রিয় সংগ্রামী সহযোদ্ধারা, আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকুন। কোনো ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দেবেন না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।’
এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তী সরকারকে এক ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। কিন্তু সেই সময়ের মধ্যে দাবি পূরণের কোনো আশ্বাস না পেয়ে রাজধানীর শাহবাগের জমায়েত থেকে ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি।
রাত ৯টার দিকে হাসনাত শাহবাগ থেকে ঘোষণা করেন, যেহেতু আগের দেওয়া সময়সীমার মধ্যে সরকারের ঘোষণা আসেনি, তাই শাহবাগ থেকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে রাজসিক মোড়ে এখন অবস্থান নেবেন তাঁরা। হাসনাতের এই ঘোষণার পরপরই শাহবাগে অবস্থান করা জমায়েত যমুনার অদূরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের দিকে এগোতে থাকে।
এর আগে আওয়ামী লীগের বিচার, নিবন্ধন বাতিল এবং রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে গতকাল দিনভর শাহবাগ ব্লকেড কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারীরা। সেখানে গণজমায়েতে বিভিন্ন দলের নেতারা জানান, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের আইনি বিধান যুক্ত করা এবং জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে। শিগগির এসব বিষয়ে সুস্পষ্ট ঘোষণা না দেওয়া হলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন বিভিন্ন দলের নেতারা।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে শাহবাগে মোড়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে অবস্থান শুরু হয়। তার ধারাবাহিকতায় গতকাল বেলা ৩টায় গণজমায়েত কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়। এতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী ছাত্রশিবির, প্ল্যাটফর্ম ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জামায়াতে ইসলামী, আমার বাংলাদেশ পার্টি, হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতা-কর্মীরা জমায়েতে যোগ দেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, শনিবার সকাল থেকে শাহবাগ মোড়ে জড়ো হতে শুরু করেন বিভিন্ন দল ও সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। দুপুর পর্যন্ত নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম থাকলেও বিকেলের দিকে তা বাড়তে থাকে। এ সময় মাইকে ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ, করতে হবে করতে হবে’; ‘লীগ ধর, জেলে ভর’; ‘ব্যান ব্যান, আওয়ামী লীগ’; ‘দফা এক দাবি এক, লীগ নট কাম ব্যাক’; ‘এক দুই তিন চার, চুপ্পু তুই গদি ছাড়’; ‘আওয়ামী লীগের নিবন্ধন, বাতিল করো করতে হবে’; ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’ প্রভৃতি স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
গণজমায়েতে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ দুই ভাগে বিভক্ত—বাংলাদেশপন্থী আর ফ্যাসিবাদপন্থী। যারা আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ চায়, তারা বাংলাদেশপন্থী; আর যারা চায় না, তারা ফ্যাসিবাদের পক্ষের শক্তি।’
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে উল্লেখ করে হাসনাত আরও বলেন, ‘কোনো ষড়যন্ত্রে বা চাপে যদি আমার মুখ থেকে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ানো হয়, আপনারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। পরবর্তী সময়ে আমি যদি কোনো ঘোষণা না-ও দিই; মনে রাখবেন, আপনাদের মঞ্জিলে মকসুদ হচ্ছে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা।’
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় হাসনাত ঘোষণা করে বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার থেকে এখন পর্যন্ত আমরা কোনো রোডম্যাপ পাই নাই। আর এক ঘণ্টার মধ্যে আমরা যদি কোনো ধরনের সুস্পষ্ট ঘোষণা না পাই, তাহলে আমরা মার্চ টু যমুনা ঘোষণা করছি।’
গণজমায়েতে জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। তারা এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার রাখে না। এটি কোনো দল নয়, এটি সন্ত্রাসী ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী।’
গণজমায়েত থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী। তিনি বলেন, ‘আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। যদি না হয়, বাংলাদেশ থেকে ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে হবে।’
শাহবাগের বাইরে অন্য কোথাও ‘ব্লকেড’ না করার কথা বলা হলেও শ্যামলীতে ব্যারিকেড দিয়ে ব্লকেড কর্মসূচি শুরু করে ছাত্র-জনতা। এ ছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। গতকাল বেলা ১১টার দিকে যাত্রাবাড়ীর দনিয়া কলেজের সামনে সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। সেখানে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি), ইসলামী ছাত্রশিবির, খেলাফত মজলিস, ইসলামী ঐক্যজোট, খেলাফত আন্দোলনসহ বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীরা জড়ো হন।
গত বৃহস্পতিবার সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দেশত্যাগের খবর নিয়ে আলোচনার মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে সরকারপ্রধানের বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নেন এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর নেতৃত্বাধীন একদল বিক্ষোভকারী। তাতে সংহতি প্রকাশ করেন জামায়াতে ইসলামী, এবি পার্টি, ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, হেফাজতে ইসলাম এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। শুক্রবার জুমার নামাজের পর তাঁরা মিন্টো রোডের প্রবেশমুখে মঞ্চ বানিয়ে সমাবেশ করেন। সেখান থেকে হাসনাত আবদুল্লাহ শাহবাগ অবরোধের ঘোষণা দেন।
আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিতে টানা দুই দিনের কর্মসূচি শেষে বিজয়ের দেখা পেলেন আন্দোলনকারীরা। গতকাল শনিবার রাত ১১টার দিকে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে দলটিকে নিষিদ্ধের ঘোষণার পর শাহবাগে উল্লাসে ফেটে পড়েন তাঁরা।
তবে আন্দোলনের সংগঠকদের নেতা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ জানান, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করাসহ ছাত্র-জনতা ঘোষিত তিন দফার একটি দফা বাকি থাকা পর্যন্ত ছাত্র-জনতা রাজপথ ছাড়বে না।
সরকারের ঘোষণার পর রাতে ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে হাসনাত বলেন, তিন দফার একটি দফাও বাস্তবায়ন বাকি থাকলে তাঁরা রাজপথ ছাড়বেন না। ৫ আগস্টের অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে এসেছেন বলে জানান তিনি।
আন্দোলনকারীদের তিন দফার মধ্যে আছে, আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী ও রাষ্ট্রদ্রোহী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করতে হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের বিধান যুক্ত করা এবং ‘জুলাই বিপ্লব’-এর ঘোষণাপত্র অবিলম্বে জারি করা।
হাসনাত বলেন, ‘এই দাবিগুলো আমাদের সংগ্রামের মূলমন্ত্র। এগুলো কোনো রাজনৈতিক ছক নয়, এটি শহীদের রক্তের বিনিময়ে গঠিত দাবি।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রিয় সংগ্রামী সহযোদ্ধারা, আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকুন। কোনো ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দেবেন না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।’
এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তী সরকারকে এক ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। কিন্তু সেই সময়ের মধ্যে দাবি পূরণের কোনো আশ্বাস না পেয়ে রাজধানীর শাহবাগের জমায়েত থেকে ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি।
রাত ৯টার দিকে হাসনাত শাহবাগ থেকে ঘোষণা করেন, যেহেতু আগের দেওয়া সময়সীমার মধ্যে সরকারের ঘোষণা আসেনি, তাই শাহবাগ থেকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে রাজসিক মোড়ে এখন অবস্থান নেবেন তাঁরা। হাসনাতের এই ঘোষণার পরপরই শাহবাগে অবস্থান করা জমায়েত যমুনার অদূরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের দিকে এগোতে থাকে।
এর আগে আওয়ামী লীগের বিচার, নিবন্ধন বাতিল এবং রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে গতকাল দিনভর শাহবাগ ব্লকেড কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারীরা। সেখানে গণজমায়েতে বিভিন্ন দলের নেতারা জানান, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের আইনি বিধান যুক্ত করা এবং জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে। শিগগির এসব বিষয়ে সুস্পষ্ট ঘোষণা না দেওয়া হলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন বিভিন্ন দলের নেতারা।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে শাহবাগে মোড়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে অবস্থান শুরু হয়। তার ধারাবাহিকতায় গতকাল বেলা ৩টায় গণজমায়েত কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়। এতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী ছাত্রশিবির, প্ল্যাটফর্ম ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জামায়াতে ইসলামী, আমার বাংলাদেশ পার্টি, হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতা-কর্মীরা জমায়েতে যোগ দেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, শনিবার সকাল থেকে শাহবাগ মোড়ে জড়ো হতে শুরু করেন বিভিন্ন দল ও সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। দুপুর পর্যন্ত নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম থাকলেও বিকেলের দিকে তা বাড়তে থাকে। এ সময় মাইকে ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ, করতে হবে করতে হবে’; ‘লীগ ধর, জেলে ভর’; ‘ব্যান ব্যান, আওয়ামী লীগ’; ‘দফা এক দাবি এক, লীগ নট কাম ব্যাক’; ‘এক দুই তিন চার, চুপ্পু তুই গদি ছাড়’; ‘আওয়ামী লীগের নিবন্ধন, বাতিল করো করতে হবে’; ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’ প্রভৃতি স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
গণজমায়েতে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ দুই ভাগে বিভক্ত—বাংলাদেশপন্থী আর ফ্যাসিবাদপন্থী। যারা আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ চায়, তারা বাংলাদেশপন্থী; আর যারা চায় না, তারা ফ্যাসিবাদের পক্ষের শক্তি।’
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে উল্লেখ করে হাসনাত আরও বলেন, ‘কোনো ষড়যন্ত্রে বা চাপে যদি আমার মুখ থেকে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ানো হয়, আপনারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। পরবর্তী সময়ে আমি যদি কোনো ঘোষণা না-ও দিই; মনে রাখবেন, আপনাদের মঞ্জিলে মকসুদ হচ্ছে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা।’
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় হাসনাত ঘোষণা করে বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার থেকে এখন পর্যন্ত আমরা কোনো রোডম্যাপ পাই নাই। আর এক ঘণ্টার মধ্যে আমরা যদি কোনো ধরনের সুস্পষ্ট ঘোষণা না পাই, তাহলে আমরা মার্চ টু যমুনা ঘোষণা করছি।’
গণজমায়েতে জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। তারা এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার রাখে না। এটি কোনো দল নয়, এটি সন্ত্রাসী ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী।’
গণজমায়েত থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী। তিনি বলেন, ‘আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। যদি না হয়, বাংলাদেশ থেকে ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে হবে।’
শাহবাগের বাইরে অন্য কোথাও ‘ব্লকেড’ না করার কথা বলা হলেও শ্যামলীতে ব্যারিকেড দিয়ে ব্লকেড কর্মসূচি শুরু করে ছাত্র-জনতা। এ ছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। গতকাল বেলা ১১টার দিকে যাত্রাবাড়ীর দনিয়া কলেজের সামনে সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। সেখানে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি), ইসলামী ছাত্রশিবির, খেলাফত মজলিস, ইসলামী ঐক্যজোট, খেলাফত আন্দোলনসহ বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীরা জড়ো হন।
গত বৃহস্পতিবার সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দেশত্যাগের খবর নিয়ে আলোচনার মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে সরকারপ্রধানের বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নেন এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর নেতৃত্বাধীন একদল বিক্ষোভকারী। তাতে সংহতি প্রকাশ করেন জামায়াতে ইসলামী, এবি পার্টি, ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, হেফাজতে ইসলাম এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। শুক্রবার জুমার নামাজের পর তাঁরা মিন্টো রোডের প্রবেশমুখে মঞ্চ বানিয়ে সমাবেশ করেন। সেখান থেকে হাসনাত আবদুল্লাহ শাহবাগ অবরোধের ঘোষণা দেন।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ শনিবার রাতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।
১০ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ (পথনকশা) না পাওয়ায় ‘মার্চ টু যমুনা’ ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
১১ ঘণ্টা আগেবিদ্যমান সংবিধান লাখো মুক্তিযোদ্ধার রক্তের বিনিময়ে পাওয়া, তাই নতুন করে সংবিধান লেখার পক্ষে নয় গণফোরাম। তবে জনআকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে সংশোধনের পক্ষে দলটি। আজ শনিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে এসব কথা বলে দলটি।
১২ ঘণ্টা আগেক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে ইঙ্গিত করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, যারা বারবার সংবিধান লঙ্ঘন করেছে, দেশে অবৈধ সংসদ বা সরকার গঠন করেছে, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশের জনগণ কোনোভাবেই দুর্নীতি, গুম-খুন-অপহরণ, টাকা পাচারকারী, বর্বর
১২ ঘণ্টা আগে