Ajker Patrika

জাপা জনগণের রাজনীতি করতে চাইলেই সরকার দল ভাঙার চেষ্টা করে: জি এম কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬: ৫৯
জাপা জনগণের রাজনীতি করতে চাইলেই সরকার দল ভাঙার চেষ্টা করে: জি এম কাদের

জাতীয় পার্টি (জাপা) যখনই জনগণের জন্য রাজনীতি করতে চায়, তখনই সরকার দল ভাঙার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করেছেন দলের চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের। 

আজ শনিবার রাজধানীর বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ অভিযোগ করেন। 

জি এম কাদের বলেন, ‘দলকে বাঁচাতে হলে গৃহপালিত হওয়া থেকে বেরিয়ে আসতে হবে, গৃহপালিত দলের প্রয়োজনীয়তা দেশ ও জাতির কাছে নাই। সরকার আমাদের দুর্বল করার জন্য সব সময় আমাদের পেছনে একটি জোট বানিয়ে রাখবে। আমরা যখনই জনগণের জন্য রাজনীতি করতে চাই, তখনই সরকার আমাদের দলকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করে।’ 

জি এম কাদের আরও বলেন, ‘এর থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আমাদের যারা জাতীয় পার্টি করে, তাদের জাতীয় পার্টিই করতে হবে। আর যারা জাতীয় পার্টির প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অন্য কোনো দল করতে চায়, তাদের জাতীয় পার্টি থেকে বের করে দিতে হবে। যদি এসব করা যায় তাহলে এই দল টিকবে। এসব করতে না পারলে দল টিকবে না। গৃহপালিত দলের প্রয়োজনীয়তা দেশ ও জাতির কাছে নাই। পরজীবী দল হিসেবে জাতীয় পার্টির থাকার প্রয়োজন আছে, কিন্তু গৃহপালিত দল হিসেবে নয়।’ 

আমরা এখন আছি গৃহপালিত রাজনৈতিক দল—এমনটা জানিয়ে জি এম কাদের বলেন, ‘আমরা এখন আছি গৃহপালিত রাজনৈতিক দল হিসেবে, এটাই বাস্তবতা। কারণ হচ্ছে, সরকারি দল থেকে বিভিন্ন এজেন্ট আমাদের ভেতরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরা আমাদের দল করে, কিন্তু রাজনীতি করে সরকারি দলের। এরা কিন্তু ঠিকই আমাদের দল করে, বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নেয়, কিন্তু বার্গিনিংয়ের সময় সরকারের পক্ষে চলে যায়। ফলে আমরা যখনই কোনো সিদ্ধান্ত নিতে যাই, তখনই তারা দল ভেঙে আরেকটা রাজনৈতিক দল করার চেষ্টা করে। আর এ সবকিছু সরকার প্রতিনিয়ত করে এসেছে। যাতে আমরা স্বাধীনভাবে রাজনীতি করতে না পারি এবং সরকারের গৃহপালিত দল হিসেবে থাকি।’ 

জাতীয় পার্টি এখন বন্দী হয়ে আছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘আগে আমরা পরজীবী হলেও আমাদের একটা চয়েজ ছিল। আমরা এখানে যেতে পারি বা চাইলে অন্য খানেও যেতে পারি। আর এখন আমরা বন্দী হয়ে গেছি। একজন ছাড়া অন্য কারও কাছে যেতে পারব না।’

বন্দী থাকার কারণ হিসেবে রওশন এরশাদকে ইঙ্গিত করে কাদের বলেন, ‘আমাদের আরেকজন লোক সরকারের পাশে বসে থাকেন। তিনি যখন ডাক দেবেন, সরকার তাঁকে মদদ দেবে। মিডিয়া তাঁকে বিভিন্নভাবে কাভারেজ দেবে। আর আমাদের দল ভেঙে যাচ্ছে, ভেঙে যাচ্ছে বলে ভেঙে দেওয়া হবে এবং আইন প্রণয়নের মাধ্যমে আমাদের লাঙ্গল প্রতীক সব নিয়ে যাওয়া হবে; এই ধরনের ধমকি দেওয়া হবে। এই ধরনের সমস্যায় জাতীয় পার্টি ভঙ্গুর হয়ে যাচ্ছে। আর এসবের কারণ হচ্ছে আমাদের দুর্বলতা।’ 

একুশে ফেব্রুয়ারি পর তিনি কোথাও বক্তব্য দিতে পারেননি জানিয়ে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল দেশের মানুষের মধ্যে বৈষম্য দূর করার জন্য। তবে বৈষম্য দূর করার জন্য শহীদেরা যে রক্ত দিয়েছিলেন, তার মূল লক্ষ্য এখনো পূরণ হয়নি। 

সরকার সমাজে বৈষম্য দিন দিন বাড়িয়ে তুলছে অভিযোগ করে কাদের আরও বলেন, ‘সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে বৈষম্য সৃষ্টি করছে। কোনো চাকরি করতে গেলে জিজ্ঞাসা করা হয়, সেই প্রার্থী বা পরিবারের কেউ কি আওয়ামী লীগ করছেন কি না। এই ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমাদের এই একুশের সংগ্রাম।’ 

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আবদুস সবুর, জাতীয় পার্টির নারী সংসদ সদস্য নাজমা আক্তার, জামালপুর জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা আল মাহমুদ, জাপা ঢাকা মহানগর উত্তর আহ্বায়ক তৈয়বুর রহমান, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম ও জি এম কাদেরের স্ত্রী শেরীফা কাদের প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে এনসিপি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১১: ৫৮
শনিবার সকাল ১০টার পর ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক শুরু হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
শনিবার সকাল ১০টার পর ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক শুরু হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শনিবার সকাল ১০টার পরে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই বৈঠক শুরু হয়।

বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিদলে রয়েছেন সদস্যসচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ, কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য) মনির হায়দার উপস্থিত আছেন।

১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। জুলাই সনদে আইনি ভিত্তির নিশ্চয়তা না পেয়ে ওই দিন স্বাক্ষর করেনি এনসিপি। দলটিকে সনদে স্বাক্ষর করাতে সরকার ও কমিশন কয়েক দফা অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেও সমাধান হয়নি। এর মধ্যে আজ কমিশনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসেছে এনসিপি।

এদিকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নির্ধারণে কমিশন কয়েক দফা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। আজই সরকারকে সনদ বাস্তবায়নের চূড়ান্ত রূপরেখা-সংবলিত সুপারিশ জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আজ এনসিপির সাক্ষাৎ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০: ৩১
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধিদল। আজ শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।

প্রতিনিধিদলে থাকবেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।

সাক্ষাৎকালে এনসিপির প্রতিনিধিদল জুলাই সনদের বাস্তবায়ন আদেশ, আইনি ভিত্তিসহ সনদের নানা বিষয়ে আলোচনা করবে বলে জানা গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে আস্থা-সংশয়ের দোলাচলে বিএনপি

  • প্রধান উপদেষ্টার প্রতিশ্রুতিতে এখনো আস্থা আছে।
  • তবে কথা ও কাজে কিছু গরমিল দেখছে বিএনপি।
  • সরকারের দিক থেকে বারবার বলায় বাড়ছে সন্দেহ।
রেজা করিম, ঢাকা 
আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১১: ২৭
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে আস্থা-সংশয়ের দোলাচলে বিএনপি

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে এখনো আস্থায় রেখেছে বিএনপি। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঘোষিত সময়ের মধ্যেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করবেন বলে বিশ্বাস করেন দলটির নেতারা। তবে এর মধ্যেও কিছু ঘটনা, কয়েকটি রাজনৈতিক দলের তৎপরতা ও হঠাৎ করে নির্বাচন নিয়ে সরকারের দায়িত্বশীলদের সরব ভূমিকায় সন্দেহ দেখা দিয়েছে তাদের মনে।

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন যাতে না হয়, সে নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে—বিএনপির তরফ থেকে এই অভিযোগ আসছে বারবার। গত বৃহস্পতিবারও রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কোনো কোনো রাজনৈতিক দল চেষ্টা করছে নির্বাচন যেন পিছিয়ে যায়, নির্বাচন যেন সঠিক সময়ে না হয়।

বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, ফেব্রুয়ারিতে ঘোষিত সময়ের মধ্যে সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে চায়—এ বিষয়ে সরকারের ওপর বিএনপির আস্থা আছে। কিন্তু অনেক দলই নির্বাচন পেছানোর জন্য চেষ্টা করছে, নানা রকম কলাকৌশল অবলম্বন করছে বলে বিএনপির কাছে মনে হচ্ছে। ওই সব দলের এ চেষ্টায় একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তখন সরকার বাধ্য হবে নির্বাচন পেছাতে। এ বিষয়টিই বিএনপির চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সরকারের ওপর আস্থা রাখলেও নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে যে খানিকটা ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে, সেটাই বললেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারের ওপর এখনো আমাদের আস্থা আছে, বিশ্বাস আছে এবং সমর্থনও আছে। নির্বাচন পেছাবে, এখনই আমরা এটা মনে করি না। তবে কিছু মহল কিছু ঘটনা সামনে নিয়ে আসছে, যেগুলো এখন সামনে আসার কথা নয়। স্বাভাবিক কারণে একধরনের ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।’

বিএনপি যখন বারবার নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র দেখছে, তখন ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের জোরালো অবস্থান জানান দিচ্ছেন সরকারের দায়িত্বশীল লোকেরা। তাঁরাও বারবার জোর দিয়েই বলে চলেছেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে। এমন কোনো শক্তি নেই, এটি প্রতিহত করবে।

গতকাল শুক্রবার মাগুরায় এক অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের বিষয়ে সব দল ঐকমত্য পোষণ করেছে। নির্বাচন নিয়ে সরকারের ওপর কোনো চাপ নেই। জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবার।’

সরকারের দিক থেকে বারবার জোর দিয়ে একই কথা বলাতেও আবার খটকা লাগছে বিএনপির নেতাদের মনে। তাঁরা বলছেন, প্রশাসনে এখনো একটি বিশেষ দলের লোকেরা জায়গা করে নিয়ে আছে, সরকারের মধ্যে সন্দেহভাজন উপদেষ্টা আছে। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন নিয়েও বিএনপির কিছু সুপারিশ আছে। এসব নিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। কিন্তু সরকারের দিক থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। কেবল মাঠপর্যায়ে নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তুতির কিছু কাজ করতে দেখা যাচ্ছে। কাজেই নির্বাচন নিয়ে সরকারের লোকজনদের বক্তৃতায় আর কাজে কোনো মিল পাওয়া যাচ্ছে না। নির্বাচন বিলম্বে সরকারের ভেতরেই ইন্ধন রয়েছে কি না, সেটাও একটা সন্দেহের বিষয়।

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘সরকারের দিক থেকে বেশি বেশি বলায় মনে হচ্ছে, হঠাৎ করে এত গতি বেড়ে গেল কেন!’ নির্বাচন বিলম্বের আশঙ্কার কথা জানিয়ে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে কেউ কেউ। সরকারের ভেতর থেকেও সেটায় ইন্ধন আছে। এ রকম ইঙ্গিত আমরা তো পাচ্ছি।’

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি। ২০২৫-এর ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে একপর্যায়ে কঠোর অবস্থান নেয় তারা। বিএনপির এই দাবির বিপরীতে ২০২৬-এর জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি আসে সরকারের দিক থেকে। এরপর গত জুনে লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকের পর ২০২৬-এর ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা আসে।

জানতে চাইলে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান গতকাল বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা নিজেই বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে বাংলাদেশে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কাজেই আমরাও প্রত্যাশা করি, সঠিক সময়ে সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন হবে। আমরা আস্থা রাখছি এবং বিশ্বাস করি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এনসিপির সঙ্গে যোগাযোগ আছে, তবে জোট গঠন নিয়ে আগেই বলা যাচ্ছে না: সালাহউদ্দিন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সালাহউদ্দিন আহমদ। ফাইল ছবি
সালাহউদ্দিন আহমদ। ফাইল ছবি

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে আলাপ-আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ আছে বলেও জানান তিনি।

আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে তাঁর নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

সালাহউদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে আলাপ-আলোচনা চলছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত জোট কোন জায়গায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেটা দেখার জন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দলটির সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক যোগাযোগ আছে। তবে জোটবদ্ধ হব কি হব না, তারা হবে কি হবে না—রাজনীতির মাঠে কোনো কিছুই আগে থেকে বলে দেওয়া যায় না।’

জাতীয় সরকার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের প্রতিশ্রুতি আছে, যাতে করে আমরা যুগপৎ সঙ্গী এবং অন্যান্য গণতান্ত্রিক শক্তিকে নিয়ে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন এবং সরকার গঠন করতে পারি। সেটাই হচ্ছে ঐকমত্যের জাতীয় সরকার। সাধারণ জাতীয় সরকার বলতে যেটা বোঝায় সেটা নয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত