নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর শিক্ষা খাত, ব্যবসা খাত, বিচার বিভাগ, গোয়েন্দা সংস্থায় কোনো ধরনের সংস্কার উদ্যোগ না নেওয়ার কড়া সমালোচনা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। প্ল্যাটফর্মটির সদস্যরা বলছেন, এসব উদ্যোগের অভাবই দেশের বর্তমান সংকটের মূল উৎস।
আজ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তাঁরা এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
আলোচনা সভায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘যে শিক্ষাক্ষেত্র থেকে জুলাই অভ্যুত্থানের সূচনা, সেই শিক্ষা খাতে আজ পর্যন্ত কোনো সংস্কার কমিশনই গঠিত হয়নি। রাজনৈতিক সংস্কারের কথা বললে এখন সেটা বিরাজনীতিকরণের চেষ্টা হিসেবে তুলে ধরা হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমলাতন্ত্র সংস্কারের নামে লোক দেখানো কিছু উদ্যোগ নেওয়া হলেও ব্যবসা খাত, গোয়েন্দা সংস্থা বা সেনাবাহিনী—এই শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার নিয়ে কোনো সংলাপই নেই। অথচ এই খাতগুলোই রাষ্ট্রক্ষমতার পেছনের চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে।’
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক অভিযোগ করে বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার অতি ক্ষমতাশালী রাজনৈতিক গোষ্ঠীর চাপে পড়ে কার্যত আত্মসমর্পণ করেছে। সকালে এক কথা, বিকেলে আরেক কথা বলছে সরকার। কারণ, তাদের নীতিগত অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়েছে।’
আদিবাসীদের অধিকার এবং পার্বত্য অঞ্চলে সেনাবাহিনীর আধিপত্য নিয়েও এ সময় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করা সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষিত সদস্যরা দেশে মানবাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সভায় সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘বিচার বিভাগ এখনো রাজনৈতিকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিচারব্যবস্থার পচন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে এটি ঠিক না করলে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানও কার্যকরভাবে কাজ করতে পারবে না।’
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা আজও প্রাসঙ্গিক। কারণ, আমরা এখনো সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পথ পাইনি।’
সভায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের পক্ষে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতি: গণতান্ত্রিক রূপান্তরে ঝুঁকি ও সম্ভাবনা’ এবং ‘সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বর্তমান পরিস্থিতি’ শীর্ষক দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর শিক্ষা খাত, ব্যবসা খাত, বিচার বিভাগ, গোয়েন্দা সংস্থায় কোনো ধরনের সংস্কার উদ্যোগ না নেওয়ার কড়া সমালোচনা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। প্ল্যাটফর্মটির সদস্যরা বলছেন, এসব উদ্যোগের অভাবই দেশের বর্তমান সংকটের মূল উৎস।
আজ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তাঁরা এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
আলোচনা সভায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘যে শিক্ষাক্ষেত্র থেকে জুলাই অভ্যুত্থানের সূচনা, সেই শিক্ষা খাতে আজ পর্যন্ত কোনো সংস্কার কমিশনই গঠিত হয়নি। রাজনৈতিক সংস্কারের কথা বললে এখন সেটা বিরাজনীতিকরণের চেষ্টা হিসেবে তুলে ধরা হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমলাতন্ত্র সংস্কারের নামে লোক দেখানো কিছু উদ্যোগ নেওয়া হলেও ব্যবসা খাত, গোয়েন্দা সংস্থা বা সেনাবাহিনী—এই শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার নিয়ে কোনো সংলাপই নেই। অথচ এই খাতগুলোই রাষ্ট্রক্ষমতার পেছনের চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে।’
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক অভিযোগ করে বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার অতি ক্ষমতাশালী রাজনৈতিক গোষ্ঠীর চাপে পড়ে কার্যত আত্মসমর্পণ করেছে। সকালে এক কথা, বিকেলে আরেক কথা বলছে সরকার। কারণ, তাদের নীতিগত অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়েছে।’
আদিবাসীদের অধিকার এবং পার্বত্য অঞ্চলে সেনাবাহিনীর আধিপত্য নিয়েও এ সময় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করা সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষিত সদস্যরা দেশে মানবাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সভায় সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘বিচার বিভাগ এখনো রাজনৈতিকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিচারব্যবস্থার পচন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে এটি ঠিক না করলে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানও কার্যকরভাবে কাজ করতে পারবে না।’
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা আজও প্রাসঙ্গিক। কারণ, আমরা এখনো সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পথ পাইনি।’
সভায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের পক্ষে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতি: গণতান্ত্রিক রূপান্তরে ঝুঁকি ও সম্ভাবনা’ এবং ‘সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বর্তমান পরিস্থিতি’ শীর্ষক দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।
বিবৃতিতে ছাত্রদল নেতারা বলেন, ‘হঠাৎ গজিয়ে ওঠা এই হাইব্রিড নেতা প্রায়শই দেশের সম্মানিত জাতীয় নেতাদের বিষয়ে চরম অশ্রদ্ধাপূর্ণ, রাজনৈতিক শিষ্টাচারবিরোধী অসংলগ্ন বক্তব্য দিয়ে থাকেন। তাঁর আচরণগত ও বক্তব্যের অসংলগ্নতার কারণে অনেকে তাঁর সুস্থতা ও স্বাভাবিকতার বিষয়ে সন্দিহান।
২৯ মিনিট আগেআজ রাত ১১টার দিকে ডা. শফিকুর রহমান তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়ে নিজের স্বাস্থ্যগত অবস্থার কথা জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, তাঁর অসুস্থতার কারণে সমাবেশে যে বিঘ্ন ঘটেছে, সে জন্য তিনি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
১ ঘণ্টা আগেসংসদের নিম্নকক্ষ, উচ্চকক্ষ ও সংরক্ষিত নারী আসন—সব ক্ষেত্রেই ভোটের সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতি চায় জামায়াতে ইসলামী। কিন্তু বিএনপিসহ কয়েকটি দলের অবস্থান এর বিপক্ষে। এই অবস্থায় পিআর পদ্ধতিতে ভোটের ঘোষণা দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জামায়াত। সেই দাবি মানা না হলে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে
২ ঘণ্টা আগেসোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়া জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ছেড়েছেন। আজ শনিবার (১৯ জুলাই) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতাল থেকে হেঁটে বের হন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে