নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পদ্মা সেতু নির্মাণের কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ। নিজস্ব অর্থায়নে এ সেতু নির্মাণ করা গৌরবের বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
আজ রোববার জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন এমপি হারুন।
পদ্মা সেতুর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে হারুন বলেন, ‘পদ্মা সেতু উদ্বোধন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এই সেতু উদ্বোধন করেছেন। জনগণ আজ থেকে সেতু পার হচ্ছেন। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।’
এমপি হারুন বলেন, ‘পদ্মা সেতু আমাদের গৌরবের। নিজস্ব অর্থায়নে চেষ্টা করে সেতু করেছেন। এটা আমাদের গৌরবের। কিন্তু এটা নিয়ে তির্যক কথাবার্তা (হচ্ছে)।’
এর আগে সাধারণ আলোচনায় আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য শাজাহান খান বিএনপিকে পদ্মা সেতুতে না ওঠার পরামর্শ দেন। পদ্মা সেতু জোড়াতালি দিয়ে তৈরি হচ্ছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে শাজাহান খান বলেন, ‘বিএনপি নেতৃবৃন্দ এখানে আছেন। দয়াকরে আপনারা কেউ পদ্মা সেতু পার হইয়েন না। আপনাদের নেত্রীর নির্দেশ অমান্য করবেন না। আপনাদের জন্য আমরা নদীর পারে নৌকা রেখে দেব। সেই নৌকায় দরকার হলে আপনাদের পার করব।’
শাজাহান খানের এ বক্তব্যের জবাবে হারুন বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী পদ্মা ব্রিজ উদ্বোধনের জন্য দাওয়াত দিলেন। সংসদে পদ্মা ব্রিজ নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। প্রায় একশ জন সংসদ সদস্য বক্তব্য দিয়েছেন। আজকে (রোববার) একজন সংসদ সদস্য— শাজাহান খান, আমাদের বললেন পদ্মা সেতুতে উঠবেন না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দাওয়াত দিচ্ছেন আর আরেকজন সংসদ সদস্য বলছেন পদ্মা সেতুতে উঠবেন না। তাহলে আমরা কী করব? এখানে পাশে ফিরোজ রশীদ, পেছনে নিক্সন চৌধুরী আছেন। তাঁরা আমাদের কয়েক দিন আগে দাওয়াত দিলেন। বললেন, উদ্বোধনের পরে আমাদের বাড়িতে যাবেন। দাওয়াত দিলাম।’
এ সময় স্পিকারের দায়িত্বে থাকা আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবি তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সর্বোচ্চ ব্যক্তিত্বের দাওয়াতকে গ্রহণ করতে হবে।’ হারুন বলেন, ‘একদিনে দাওয়াত দেবেন ওদিকে আরেকজন ভয় দেখাবেন। আমি তো আতঙ্কে আছি। পদ্মা সেতু পার হতে গেলে ফেলে দেবেন কি না? ডুবিয়ে দেবেন কি না? এ ধরনের একটি ভয়ের মধ্যে আছি।’
হারুনের এই বক্তব্য দেওয়ার সময় উপস্থিত সংসদ নেতা শেখ হাসিনাকে হাসতে দেখা গেছে।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরে বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে বিএনপির এই এমপি বলেন, ‘কাল দেখলাম একজন মন্ত্রী বক্তব্য দিচ্ছেন যে বিএনপির মন খারাপ পদ্মা সেতু হওয়ার জন্য। না আমাদের মন খারাপ নয় স্পিকার। আমাদের মন কেন খারাপ হবে? আমরা আনন্দে আছি।
তিনি বলেন, ‘আমরা মুজিব বর্ষ পালন করলাম। পদ্মা সেতু উদ্বোধন করলাম। কিন্তু গুম ও খুনের যে সংস্কৃতি হয়ে গেছে, আমরা এখান থেকে বেরোতে পারব? ভোটের অধিকার যে হারিয়ে ফেলেছি সেটা কি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারব? প্রধানমন্ত্রীকে বলব, এদিকে দৃষ্টি দেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। যতই পদ্মা সেতুর স্বপ্ন দেখান আর মেট্রোরেলের স্বপ্ন দেখান মানুষের পেটে খাদ্য চাই। মানুষ দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে আছে। মানুষ বাঁচতে চায়।’
পদ্মা সেতু নির্মাণের কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ। নিজস্ব অর্থায়নে এ সেতু নির্মাণ করা গৌরবের বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
আজ রোববার জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন এমপি হারুন।
পদ্মা সেতুর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে হারুন বলেন, ‘পদ্মা সেতু উদ্বোধন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এই সেতু উদ্বোধন করেছেন। জনগণ আজ থেকে সেতু পার হচ্ছেন। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।’
এমপি হারুন বলেন, ‘পদ্মা সেতু আমাদের গৌরবের। নিজস্ব অর্থায়নে চেষ্টা করে সেতু করেছেন। এটা আমাদের গৌরবের। কিন্তু এটা নিয়ে তির্যক কথাবার্তা (হচ্ছে)।’
এর আগে সাধারণ আলোচনায় আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য শাজাহান খান বিএনপিকে পদ্মা সেতুতে না ওঠার পরামর্শ দেন। পদ্মা সেতু জোড়াতালি দিয়ে তৈরি হচ্ছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে শাজাহান খান বলেন, ‘বিএনপি নেতৃবৃন্দ এখানে আছেন। দয়াকরে আপনারা কেউ পদ্মা সেতু পার হইয়েন না। আপনাদের নেত্রীর নির্দেশ অমান্য করবেন না। আপনাদের জন্য আমরা নদীর পারে নৌকা রেখে দেব। সেই নৌকায় দরকার হলে আপনাদের পার করব।’
শাজাহান খানের এ বক্তব্যের জবাবে হারুন বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী পদ্মা ব্রিজ উদ্বোধনের জন্য দাওয়াত দিলেন। সংসদে পদ্মা ব্রিজ নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। প্রায় একশ জন সংসদ সদস্য বক্তব্য দিয়েছেন। আজকে (রোববার) একজন সংসদ সদস্য— শাজাহান খান, আমাদের বললেন পদ্মা সেতুতে উঠবেন না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দাওয়াত দিচ্ছেন আর আরেকজন সংসদ সদস্য বলছেন পদ্মা সেতুতে উঠবেন না। তাহলে আমরা কী করব? এখানে পাশে ফিরোজ রশীদ, পেছনে নিক্সন চৌধুরী আছেন। তাঁরা আমাদের কয়েক দিন আগে দাওয়াত দিলেন। বললেন, উদ্বোধনের পরে আমাদের বাড়িতে যাবেন। দাওয়াত দিলাম।’
এ সময় স্পিকারের দায়িত্বে থাকা আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবি তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সর্বোচ্চ ব্যক্তিত্বের দাওয়াতকে গ্রহণ করতে হবে।’ হারুন বলেন, ‘একদিনে দাওয়াত দেবেন ওদিকে আরেকজন ভয় দেখাবেন। আমি তো আতঙ্কে আছি। পদ্মা সেতু পার হতে গেলে ফেলে দেবেন কি না? ডুবিয়ে দেবেন কি না? এ ধরনের একটি ভয়ের মধ্যে আছি।’
হারুনের এই বক্তব্য দেওয়ার সময় উপস্থিত সংসদ নেতা শেখ হাসিনাকে হাসতে দেখা গেছে।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরে বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে বিএনপির এই এমপি বলেন, ‘কাল দেখলাম একজন মন্ত্রী বক্তব্য দিচ্ছেন যে বিএনপির মন খারাপ পদ্মা সেতু হওয়ার জন্য। না আমাদের মন খারাপ নয় স্পিকার। আমাদের মন কেন খারাপ হবে? আমরা আনন্দে আছি।
তিনি বলেন, ‘আমরা মুজিব বর্ষ পালন করলাম। পদ্মা সেতু উদ্বোধন করলাম। কিন্তু গুম ও খুনের যে সংস্কৃতি হয়ে গেছে, আমরা এখান থেকে বেরোতে পারব? ভোটের অধিকার যে হারিয়ে ফেলেছি সেটা কি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারব? প্রধানমন্ত্রীকে বলব, এদিকে দৃষ্টি দেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। যতই পদ্মা সেতুর স্বপ্ন দেখান আর মেট্রোরেলের স্বপ্ন দেখান মানুষের পেটে খাদ্য চাই। মানুষ দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে আছে। মানুষ বাঁচতে চায়।’
শফিকুর রহমান বলেন, ‘পরপর তিনবার মানুষ ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়নি। এবার নতুন ভোটার যুব সমাজকে ভোটের সুযোগ করে দিতে হবে। প্রধান উপদেষ্টা আমাদের কোনো সহযোগিতা চাইলে আমরা সহযোগিতা করব। তবে দেশের সংকট দূর হওয়া খুবই জরুরি।’
৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় নির্বাচনের জন্য ‘এপ্রিল মাস কোনোভাবেই উপযোগী নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার ঈদের দিন বেলা সাড়ে ১১টায় শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণের পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগেবিচার, সংস্কার, জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র এবং ভোটের সমতল মাঠ তৈরি হলে রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচন সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শনিবার (৭ জুন) ঈদের নামাজ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগেএকটি বিশেষ রাজনৈতিক গোষ্ঠীর প্রভাবাধীন হয়ে অন্তর্বর্তী সরকার আগামী বছরের এপ্রিল মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছে—এমন অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। দলটি এপ্রিল পর্যন্ত সময় দিতে রাজি নয়, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে বরাবরের মতো অনড় অবস্থান ব্যক্ত করেছে।
১৭ ঘণ্টা আগে