অনলাইন ডেস্ক
সরকার মূল্যস্ফীতি কমানোর চেষ্টা করছে। এটি অব্যাহত রাখতে ব্যবসায়ীদের লোভ কমাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। আজ রোববার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেল ‘খাদ্যপণ্যের যৌক্তিক দাম: বাজার তত্ত্বাবধানের কৌশল অনুসন্ধান’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এ কথা বলেন। এ সংলাপের আয়োজন করে বণিক বার্তা।
সারজিস আলম বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের বাজারব্যবস্থা অনেকটা সমঝোতা ও সহযোগিতাপূর্ণ। বড় বড় প্রতিষ্ঠান যেখানে একে অপরের প্রতিযোগী হওয়ার কথা, সেটি না হয়ে তারা নিজেদের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে টেরিটোরি বা সীমানা নির্ধারণ করে নিয়েছে। বড় বড় কিছু প্রতিষ্ঠানই আমদানি বাণিজ্যের বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মাঝারি বা ছোট ছোট আমদানিকারকেরা কোথা থেকে কী পরিমাণ আমদানি করবেন, সেটিও ঠিক করে দেন বড়রা। ফলে বাজারব্যবস্থায় প্রতিযোগিতার বদলে সমঝোতা বা সহযোগিতা ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে কিছুসংখ্যক প্রতিষ্ঠানের হাত ধরে। এই ব্যবস্থার বদলে বাজারে প্রতিযোগিতামূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা দরকার।’
এ ছাড়া বাজারে আগের মতোই চাঁদাবাজি চলছে, সিন্ডিকেটও রয়েছে বলে মন্তব্য করেন সারজিস আলম। তিনি বলেন, ‘আমরা কাজ করতে গিয়ে নিজেদের অল্প কিছুদিনের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, রাজধানীর বড় বড় পাইকারি বাজারগুলোতে এসে পণ্যের দাম কয়েক গুণ বেড়ে যায় শুধু চাঁদাবাজির কারণে। এসব চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেট আবার নিয়ন্ত্রণ করে রাজনৈতিক দলগুলো। তাই বাজারব্যবস্থায় সুস্থ ধারা ফিরিয়ে আনতে হলে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা দরকার। দেশে যে সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে, তাতে আমরা (ব্যবসায়ী সমাজ, নাগরিক সমাজ, উপদেষ্টা পরিষদ) যেভাবে যতটাই চাই না কেন, রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া বাজারে সুস্থ ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা যাবে না। রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি বাজারব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত সবারই কিছু না কিছু দায় রয়েছে। আমরা দেখেছি, ব্যবসায়ীরা সুযোগ পেলে নানাভাবে তাঁদের প্রভাব কাজে লাগান। তবে এখন সময় এসেছে, কার কী ভূমিকা ও কার কতটুকু দায়, তা নিয়ে সরাসরি কথা বলার। সেই সৎসাহস আমাদের সবার থাকা উচিত।’
নাগরিক কমিটির এ সংগঠক বলেন, ‘নানা ফোরামে ভালো ভালো অনেক কথা হয়। কিন্তু আমরা সেগুলোর বাস্তবায়ন খুব একটা দেখতে পাই না। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আমাদের যে আশা বা প্রত্যাশা ছিল, সেটিও ধীরে ধীরে কমছে। বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদে অনেক ভালো মানুষ আছেন। তাঁরা হয়তো মনে করছেন, দেশের সব মানুষ ভালো বা মনে করছেন, সবাই ভালো হয়ে যাবেন। কিন্তু এটি তো আসলে বাস্তবে সম্ভব নয়। বাজারব্যবস্থাসহ বিভিন্ন খাতে নতুন ও বড় ধরনের পরিবর্তনের জন্য যে ধরনের আইনকানুনের প্রয়োগ দরকার, সে রকম খুব বেশি কিছু আমরা সরকারের দিক থেকে দেখতে পারছি না।’
সারজিস বলেন, ‘অনিয়ম-দুর্নীতি আমাদের মধ্যে জেনেটিক্যালি ঢুকে গেছে। সে জন্য রাতারাতি এটা বদলানো যাবে না। ১৪ জন উপদেষ্টা যদি ২৪টা সংস্কার করেন, তাহলেই অনেক বড় পরিবর্তন হবে। এই প্রত্যাশা আমরা করতেই পারি। শুধু সবার সদিচ্ছা দরকার।’
সারজিস আলম আরও বলেন, ‘আমদানিকরণ প্রক্রিয়ার বিকেন্দ্রীকরণ করা জরুরি। কয়েকটি বৃহৎ কোম্পানি সবকিছু নির্ধারণ করে দেয়। সে ক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক বাজার থেকে আমাদের প্রতিযোগিতামূলক বাজারের দিকে যেতে হবে। সর্বোপরি সামগ্রিক প্রচেষ্টার মাধ্যমেই বাজারে ভারসাম্য আনা যাবে।
বড় বড় কোম্পানিগুলোর দেশের স্বার্থে অন্তত কিছু হলেও করা উচিত।’
বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কনক্লেভে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। এ ছাড়া কনক্লেভে অতিথি হিসেবে ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আবদুর রহিম খানসহ আরও অনেকে।
সরকার মূল্যস্ফীতি কমানোর চেষ্টা করছে। এটি অব্যাহত রাখতে ব্যবসায়ীদের লোভ কমাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। আজ রোববার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেল ‘খাদ্যপণ্যের যৌক্তিক দাম: বাজার তত্ত্বাবধানের কৌশল অনুসন্ধান’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এ কথা বলেন। এ সংলাপের আয়োজন করে বণিক বার্তা।
সারজিস আলম বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের বাজারব্যবস্থা অনেকটা সমঝোতা ও সহযোগিতাপূর্ণ। বড় বড় প্রতিষ্ঠান যেখানে একে অপরের প্রতিযোগী হওয়ার কথা, সেটি না হয়ে তারা নিজেদের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে টেরিটোরি বা সীমানা নির্ধারণ করে নিয়েছে। বড় বড় কিছু প্রতিষ্ঠানই আমদানি বাণিজ্যের বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মাঝারি বা ছোট ছোট আমদানিকারকেরা কোথা থেকে কী পরিমাণ আমদানি করবেন, সেটিও ঠিক করে দেন বড়রা। ফলে বাজারব্যবস্থায় প্রতিযোগিতার বদলে সমঝোতা বা সহযোগিতা ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে কিছুসংখ্যক প্রতিষ্ঠানের হাত ধরে। এই ব্যবস্থার বদলে বাজারে প্রতিযোগিতামূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা দরকার।’
এ ছাড়া বাজারে আগের মতোই চাঁদাবাজি চলছে, সিন্ডিকেটও রয়েছে বলে মন্তব্য করেন সারজিস আলম। তিনি বলেন, ‘আমরা কাজ করতে গিয়ে নিজেদের অল্প কিছুদিনের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, রাজধানীর বড় বড় পাইকারি বাজারগুলোতে এসে পণ্যের দাম কয়েক গুণ বেড়ে যায় শুধু চাঁদাবাজির কারণে। এসব চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেট আবার নিয়ন্ত্রণ করে রাজনৈতিক দলগুলো। তাই বাজারব্যবস্থায় সুস্থ ধারা ফিরিয়ে আনতে হলে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা দরকার। দেশে যে সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে, তাতে আমরা (ব্যবসায়ী সমাজ, নাগরিক সমাজ, উপদেষ্টা পরিষদ) যেভাবে যতটাই চাই না কেন, রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া বাজারে সুস্থ ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা যাবে না। রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি বাজারব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত সবারই কিছু না কিছু দায় রয়েছে। আমরা দেখেছি, ব্যবসায়ীরা সুযোগ পেলে নানাভাবে তাঁদের প্রভাব কাজে লাগান। তবে এখন সময় এসেছে, কার কী ভূমিকা ও কার কতটুকু দায়, তা নিয়ে সরাসরি কথা বলার। সেই সৎসাহস আমাদের সবার থাকা উচিত।’
নাগরিক কমিটির এ সংগঠক বলেন, ‘নানা ফোরামে ভালো ভালো অনেক কথা হয়। কিন্তু আমরা সেগুলোর বাস্তবায়ন খুব একটা দেখতে পাই না। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আমাদের যে আশা বা প্রত্যাশা ছিল, সেটিও ধীরে ধীরে কমছে। বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদে অনেক ভালো মানুষ আছেন। তাঁরা হয়তো মনে করছেন, দেশের সব মানুষ ভালো বা মনে করছেন, সবাই ভালো হয়ে যাবেন। কিন্তু এটি তো আসলে বাস্তবে সম্ভব নয়। বাজারব্যবস্থাসহ বিভিন্ন খাতে নতুন ও বড় ধরনের পরিবর্তনের জন্য যে ধরনের আইনকানুনের প্রয়োগ দরকার, সে রকম খুব বেশি কিছু আমরা সরকারের দিক থেকে দেখতে পারছি না।’
সারজিস বলেন, ‘অনিয়ম-দুর্নীতি আমাদের মধ্যে জেনেটিক্যালি ঢুকে গেছে। সে জন্য রাতারাতি এটা বদলানো যাবে না। ১৪ জন উপদেষ্টা যদি ২৪টা সংস্কার করেন, তাহলেই অনেক বড় পরিবর্তন হবে। এই প্রত্যাশা আমরা করতেই পারি। শুধু সবার সদিচ্ছা দরকার।’
সারজিস আলম আরও বলেন, ‘আমদানিকরণ প্রক্রিয়ার বিকেন্দ্রীকরণ করা জরুরি। কয়েকটি বৃহৎ কোম্পানি সবকিছু নির্ধারণ করে দেয়। সে ক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক বাজার থেকে আমাদের প্রতিযোগিতামূলক বাজারের দিকে যেতে হবে। সর্বোপরি সামগ্রিক প্রচেষ্টার মাধ্যমেই বাজারে ভারসাম্য আনা যাবে।
বড় বড় কোম্পানিগুলোর দেশের স্বার্থে অন্তত কিছু হলেও করা উচিত।’
বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কনক্লেভে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। এ ছাড়া কনক্লেভে অতিথি হিসেবে ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আবদুর রহিম খানসহ আরও অনেকে।
আমীর খসরু বলেন, ‘এখানে ইন্ডাস্ট্রির একটা বিষয় আছে। গার্মেন্টস সেক্টর একটা বড় বিষয় আছে। অ্যাপ্লায়েন্স অ্যাসোসিয়েশনের একটি বিষয় আছে। নিরাপত্তাজনিত কিছু বিষয় চলে আসছে। আবার রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের একটা বিষয় আছে। সেই বিষয়গুলো আলোচনায় এসেছে। আমরা আশা করছি, দেশের স্বার্থে আগামী দিনের অর্থনীতি
৬ ঘণ্টা আগেরাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে ট্রাকে করে ৪৩ হাজার পৃষ্ঠার ডকুমেন্ট নিয়ে এসেছিল এনসিপি। এরপরও নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হতে পারেনি দলটি। নিবন্ধন পেতে দলটিকে নতুন করে আরও কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হবে; যা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে করতে হবে।
৭ ঘণ্টা আগেঐকমত্য কমিশনের সংলাপ থেকে মৌলিক সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন না হলে গণভোটের প্রস্তাব করেছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘আমরা আশা করি, সবাই জনগণের পক্ষে থাকবে। কিন্তু যদি কেউ সংস্কার বাধাগ্রস্ত করে, তাহলে একমাত্র পথ হচ্ছে গণভোট। জনগণই ঠিক করবে তারা কোন
৮ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে ইঙ্গিত করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘যাঁরা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অনুকম্পায় এ দেশে রাজনীতি করতে পেরেছেন, এখন তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্রকে আপনারা টার্গেট করেছেন। বুক-পিঠ বলে আপনাদের কিছু নেই।’
৯ ঘণ্টা আগে