Ajker Patrika

অনেকেই বিএনপিকে আমলে নিচ্ছে না: শামসুজ্জামান দুদু

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১১ জুলাই ২০২৫, ১৭: ১৩
প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। ছবি: আজকের পত্রিকা
প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘অনেকেই বিএনপিকে আমলে নিচ্ছে না। নির্বাচন হলে নাকি বোঝা যাবে, কোন দল কোনভাবে কতটা শক্তিশালী। আমরাও মনে করি, নির্বাচনটা খুব জরুরি।’ আজ শুক্রবার (১১ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নবীন দল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি আয়োজিত এক প্রতিবাদ এ মন্তব্য করেন তিনি।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘এখন অনেকেই বিএনপিকে আমলে নিতে চাচ্ছে না। নির্বাচন হলে বোঝা যাবে কোন দল কতটা শক্তিশালী। আমরাও মনে করি নির্বাচনটা খুব জরুরি। কারা দুই-তিনটা সিট পাবে, আর কার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে দেশছাড়া হবে—সেটা নির্বাচন ছাড়া তো বোঝা যাবে না। কিন্তু কায়দা-কৌশল করে সংস্কারের নামে, বিচারের নামে আরও কী কী বিষয় সামনে এনে নির্বাচনটাকে কীভাবে ঠেকানো যায়, সেই বিবেচনা সামনে এনেছে।’

শামসুজ্জামান বলেন, ‘পাগলেও বোঝে কারা আগামী দিনে ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু কিছু কিছু তথাকথিত বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদ ও বিশেষ মহল মনে করে তারাই ক্ষমতায় আসবে। বিএনপি এবারে প্রথম ক্ষমতায় যাবে তা নয়, এর আগেও একাধিকবার জনগণের সমর্থন নিয়ে ভোটে জিতে ক্ষমতায় গিয়েছে।’

তারেক রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘তারেক রহমানের সঙ্গে ড. ইউনূস যখন লন্ডনে বৈঠকে বসেছিলেন, তার আগে বাংলাদেশ একটা অস্থিরতার মধ্যে চলে গিয়েছিল। কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারত না। বৈঠকের পর একটা আশার অবস্থা তৈরি হয়েছে যে নির্বাচন হবে। আমি সরকারকে অনুরোধ করব, ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমে হোক, মাঝে হোক নির্বাচনের একটি দিন ঘোষণা করতে হবে। নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করতে হবে। তাহলে আমার মনে হয় এখন যে সংকট, সেটা অনেকাংশে কেটে যাবে।’

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘বিএনপির ওপর আক্রমণ, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মামলা এবং আমাদের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে মিথ্যা মামলা, তথাকথিত সাজা বিএনপির অসংখ্য নেতা-কর্মীকে মামলায় জড়িয়ে সাজা—এসব ঘটনার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দৈন্যতা প্রকাশিত হয়েছে। শেখ হাসিনা বিরোধী দলের ওপর নৃশংসতা চালিয়ে মনে করেছিলেন বিএনপি আর কখনো উঠে দাঁড়াতে পারবে না। শেখ হাসিনা তার জান বাঁচাতে বসতবাড়ি ভিটা সবকিছু রেখে পালিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্র-জনতা বিএনপি ছাত্রদলসহ যারা বুকের রক্ত দিয়েছে, তাদের স্মৃতির প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। যারা এখন আহত তাদের সুচিকিৎসার দায়িত্ব, যেমন—সরকার নিয়েছে, বিএনপিও নিয়েছে। আমাদের সকলকে দায়িত্ব নিতে হবে।’

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘স্বৈরতন্ত্র যেন বাংলাদেশে ফিরে না আসতে পারে তার একমাত্র পথ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। গণতন্ত্র ছাড়া বাংলাদেশকে রক্ষা করা যাবে না। গণতন্ত্র ছাড়া মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না। এই জিনিসটি বর্তমান সরকারকে মাথায় রাখতে হবে। আওয়ামী লীগের আগামী ১০০ বছরের মধ্যে ফিরে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগকে হত্যা করেছে, খুন করেছে। সেই হত্যাকারী শেখ হাসিনা।’

প্রতিবাদ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সংগঠনের সভাপতি হুমায়ূন আহমেদ তালুকদার প্রমুখ।

প্রতিবাদ সভা থেকে ২০১১ সালের ৬ জুলাই জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে তৎকালীন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবেদীন ফারুকসহ বিএনপির জনপ্রতিনিধিদের ওপর পুলিশি হামলার বিচার দাবি করা হয়। সেই হামলায় জড়িতদের বিচারেরও দাবি জানান আয়োজকেরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সারা দেশে আরও ১০ দিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা

‘আজ বুঝলাম, সময়ের কাছে মানুষ কত অসহায়’—মৃত্যুর আগে স্ট্যাটাস স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার

পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার

রামদা হাতে ভাইরাল সেই সাবেক যুবদল নেতাকে গুলি ও পায়ের রগ কেটে হত্যা

জগন্নাথপুরে এসএসসিতে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া রাইদা হতে চায় চিকিৎসক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত