Ajker Patrika

সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র এনে মজুত করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২৩, ১৪: ৩৩
সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র এনে মজুত করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

বিএনপি সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র আনছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে—এমন দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘সীমান্তের এপার থেকে খবর পাচ্ছি, অস্ত্র কিনছে তারা (বিএনপি)। চাঁপাইনবাবগঞ্জ তাদের (বিএনপির) অস্ত্র সরবরাহের একটি ঘাঁটি। আগ্নেয়াস্ত্র এনে তারা মজুত করছে। তারা জানে গণশক্তি জনশক্তি নয়। তারা মনে করে, অস্ত্রশক্তি হলো আসল শক্তি।’ 

আজ মঙ্গলবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সভায় এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

কাদের বলেন, এ দেশে যারা ক্ষমতায় ছিল, এই মাটি থেকে, জনগণের কাছ থেকে, জনগণের সমর্থন নিয়ে, একজন কি ক্ষমতায় এসেছে? জিয়াউর রহমান বলেন, এরশাদ বলেন, আর খালেদা জিয়া তাদেরই উত্তরাধিকার। তাদেরই লিগাস। তাদের জনগণের ওপর আস্থা নেই। তারা জানে নির্বাচনের ফলাফল কী হবে। 

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিদেশিদের কী করে বোঝাব যে বিএনপি এমন একটা দল, সেই দলকে গ্যারান্টি দিতে হবে নির্বাচন হলে তারা জিততে পারবে। তাদের জয় সুনিশ্চিত। এই গ্যারান্টি না দিলে তারা কখনো চলমান নির্বাচনব্যবস্থার প্রতি আস্থাশীল হবে না। কাজেই আমাদেরও চোখ-কান খোলা রাখতে হবে।’ 

তিনি বলেন, ‘আমরা চাই সংঘাতমুক্ত, শান্তিপূর্ণ অবাধ সুষ্ঠু একটা নির্বাচন। এটা আমাদের জাতির কাছে প্রতিশ্রুতি। সেই লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন তো ইনডিপেনডেন্ট করেছি। শেখ হাসিনার কারণে নির্বাচনব্যবস্থা আজকে প্রধানমন্ত্রীর অফিসের অধীনে সাব অফিস নয়, নির্বাচন অফিস এখন একটা স্বাধীন অফিস। স্বাধীন নির্বাচনের জন্য পার্লামেন্টে একটি আইন পাস হয়েছে। এই ইনিশিয়েটিভ প্রধানমন্ত্রীর। এই একটা বিষয়ে ২০০৯-পূর্ববর্তী এবং ২০০৯-পরবর্তী এই দুইটাকে মিলিয়ে দেখতে হবে। নির্বাচনব্যবস্থায় কারচুপি, জালিয়াতির কোনো সুযোগ নেই।’

কম্বোডিয়ার নির্বাচন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘একটা আন্তর্জাতিক সংবাদ দেখে অনেকে আনন্দিত। কম্বোডিয়ায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। কম্বোডিয়ায় বিরোধী দল অংশ নেয়নি, সে জন্য নিষেধাজ্ঞা হয়েছে। এখানেও যদি বিরোধী দল অংশ না নেয়, সেটা কার অপরাধ? এত দিন যার মুখ-চোখ শুকিয়ে গিয়েছিল, এখন আবার গলায় পানি এসেছে। ফখরুলের গলায় এখন অনেক পানি। দেখতে মনে হয় অনেক ভালো মানুষ, অথচ মুখে এত বিষ। কী বাজে ভাষায় বক্তৃতা করেন।’ 

কাদের বলেন, ‘বিএনপির সাত জেলা সমাবেশ আর আমাদের সাত উপজেলা সমাবেশ, সাত উপজেলা আর সাত জেলা, পার্থক্যটা দেখবেন। সবাই দেখেছে। এটা হলো শেখ হাসিনার উন্নয়নের প্রতি আস্থার একটা নিদর্শন।’ 

সভায় দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখন থেকে আর নিষ্ক্রিয় থাকার সুযোগ নেই। নির্বাচন পর্যন্ত সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। সংঘাত আমরা করব না। আমরা মাঠে সতর্ক থাকব। সংঘাত যারা করতে আসে, তাদের আমরা প্রতিহত করব। তারা খালি মাঠ পেলে সংঘাত করবে এটা সবাই জানে। সেই প্রস্তুতি তারা নিচ্ছে।’
 
এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, মুহাম্মদ ফারুক খান, কামরুল ইসলাম, মহিউদ্দিন জালাল, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘তেলের ক্রেতা’ হিসেবে ভারতকে আর পাবে না রাশিয়া, জানালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

শাস্তি পাচ্ছেন বিটিআরসির মহাপরিচালকসহ ৩০ জনের বেশি কর্মকর্তা

বরখাস্ত সৈনিককে অস্ত্র দিয়েছেন বিএনপি নেতা, অডিও নিয়ে তোলপাড়

ভূমি অফিসের কাণ্ড: এসি ল্যান্ড দপ্তরের নামে দেড় কোটি টাকা আদায়

হোলি আর্টিজানের ঘটনায় ‘জঙ্গি সন্দেহে’ আটক ছিলেন অনিন্দ্য, রাজশাহীর সাবেক মেয়র লিটনের চাচাতো ভাই তিনি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত