সাখাওয়াত ফাহাদ, ঢাকা

দশম জাতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আবারও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে জাতীয় পার্টিতে (জাপা)। সম্মেলনের আয়োজন, চেয়ারম্যানের ক্ষমতা কমানো, আর্থিক স্বচ্ছতা আনাসহ নানা ইস্যুতে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন দলটির প্রথম সারির নেতারা। তাঁদের মধ্যে বিভক্তি আরও প্রকট হয়েছে গত ২৮ জুনের সম্মেলন স্থগিত হওয়াকে ঘিরে।
জানা গেছে, জাতীয় পার্টি এখন দুই পক্ষে বিভক্ত। এক পক্ষে আছেন দলের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের) ও তাঁর অনুসারীরা, অন্য পক্ষে রয়েছেন দলের জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুসহ শীর্ষ নেতাদের একটি অংশ। জি এম কাদেরবিরোধী এই অংশের দাবি, নেতৃত্ব হারানোর আশঙ্কায় সম্মেলন করতে চাইছেন না চেয়ারম্যান। কিন্তু তাঁরা দল ভাঙতে চান না; বরং সম্মেলনের জন্য চেয়ারম্যানের ওপর ক্রমাগত চাপ অব্যাহত রাখতে চান।
জাতীয় পার্টির নেতারা বলছেন, ২৮ জুন বাংলাদেশ-চীন-মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে দলটির দশম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই মিলনায়তনটি বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে না উল্লেখ করে ১৬ জুন সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করেন জি এম কাদের। চেয়ারম্যানের এ সিদ্ধান্তে বেশ চটে যান দলের জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার। একপর্যায়ে তাঁরা দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় কাকরাইলে আলাদা সম্মেলন আহ্বান করেন। পরে জি এম কাদেরের অনুসারীরা সেখানে সমাবেশ করার ঘোষণা দিলে সংঘাত এড়াতে আপাতত কাউন্সিল না করার সিদ্ধান্ত নেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। এসব ঘটনায় দলটির নেতা-কর্মীদের মধ্যে দ্বিধাবিভক্তি সৃষ্টি হয়েছে। অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে দলের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে।
সম্মেলন স্থগিত করার ঘটনা নেতৃত্বের স্বৈরাচারী প্রবণতার প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেছেন জাপার শীর্ষ নেতারা। দলের গঠনতন্ত্রের ২০/১/ক ধারা চেয়ারম্যানকে এমন ক্ষমতা দিয়েছে, যার মাধ্যমে তিনি যেকোনো নেতাকে বহিষ্কার বা পদচ্যুত করতে পারেন, আবার পদোন্নতিও দিতে পারেন। এ কারণে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং রুহুল আমিন হাওলাদারের নেতৃত্বে জ্যেষ্ঠ নেতারা এ ধারার বিলোপ এবং প্রেসিডিয়ামের ক্ষমতা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে চেয়ারম্যান এ ধারার অপপ্রয়োগ করছেন বলে অভিযোগ নেতাদের।
দলটির সঙ্গে জড়িত একাধিক শীর্ষ পর্যায়ের নেতা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই জি এম কাদেরের নেতৃত্বশৈলী দলে প্রশ্নবিদ্ধ। প্রেসিডিয়ামের সম্মতি ছাড়াই বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া, দলের গণতান্ত্রিক চর্চা ক্ষুণ্ন করা ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ রয়েছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এসব কারণে দলের অধিকাংশ নেতা চেয়ারম্যানের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। জুলাই অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগের সঙ্গে দলটির ঘনিষ্ঠতা এবং জি এম কাদেরের অন্তর্বর্তী সরকারবিরোধী অবস্থান দলকে রাজনৈতিকভাবে আরও কোণঠাসা করে তুলেছে বলে মনে করেন নেতারা।
দলে নেতৃত্বের পরিবর্তনের পক্ষে থাকা নেতারা বলছেন, ইতিমধ্যে জি এম কাদেরসহ দলটির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও হয়েছে। জি এম কাদের নেতৃত্বে থাকলে সামনে দলের পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। এমনকি নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়েও শঙ্কা দেখা দিতে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। তাই জি এম কাদেরকে বাইরে রেখে দলের নেতৃত্ব তৈরির চেষ্টা করছেন তাঁরা।
দলের জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম, ২০-এর ‘ক’ যদি গঠনতন্ত্রে থাকে তাহলে পার্টি নিজস্ব সম্পত্তিতে পরিণত হয়। উনার (চেয়ারম্যান) বিপক্ষে যে কথা বলবে তাঁকে বের করে দেবে, কারও কোনো অনুমোদন নেওয়ার দরকার নেই, এভাবে পার্টি করা যায় না। এই যে রাজার ক্ষমতা, এইটা আমরা পরিবর্তন করতে বলেছিলাম। এ ছাড়া ফাইন্যান্সিয়াল ট্রান্সপারেন্সির (আর্থিক স্বচ্ছতা) এবং দলে বৃহত্তর ঐক্যের কথা বলেছি। কিন্তু তিনি আমাদের সঙ্গে একমত হননি।’
বিরোধী পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসতে জি এম কাদের রাজি নন জানিয়ে আনিসুল ইসলাম বলেন, ‘উনি আমাদেরকে নিয়ে বসবেন না। সম্মেলন ডাকার পর প্রেসিডিয়াম পাল্লা ভারী করতে তিনি ওখানে সাতজনকে অলরেডি বের করেছেন। তাঁর পক্ষের পাঁচজনকে নিয়েছেন। এভাবে উনি কোরাম করার চেষ্টা করছেন। একটা মেজরিটি করার চেষ্টা করছেন।’
এদিকে গত বুধবার জাতীয় পার্টির জেলা ও মহানগর কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবদের সঙ্গে এক জরুরি সভায় আগত নেতারা বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। কঠোর হওয়ার বার্তা দিয়েছেন জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরও। তিনি বলেন, ‘যাঁরা জাতীয় পার্টি নিয়ে এতদিন বেচাকেনার রাজনীতি করেছেন, তাঁদের সঙ্গে নিয়ে আর রাজনীতি করব না।’
সভায় উপস্থিত জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘চেয়ারম্যানের সম্মতি ছাড়া কাউন্সিলের কোনো স্থান কখনো নির্ধারণ করা যাবে না। এটা আমাদের গঠনতন্ত্রে আছে। আর কাউন্সিল মিটিংয়ে সভাপতিত্ব করবেন চেয়ারম্যান। এটাও আমাদের গঠনতন্ত্রে আছে। এসব বিষয়ে আলোচনা হয়নি। আমরা সামনে আবার মিটিং ডাকব এবং আবার কাউন্সিলের ব্যাপারে আলাপ করব। পাশাপাশি আমাদের হলরুম পাওয়া সাপেক্ষে নিরাপত্তার কোনো সমস্যা যদি না থাকে, আমরা অবশ্যই স্বল্প সময়ে কাউন্সিল করতে আগ্রহী।’
গঠনতন্ত্রের ‘স্বৈরতান্ত্রিক’ ধারা প্রসঙ্গে এই জাপা নেতা বলেন, এ রকম একটি ধারা অনেক দিন আগে থেকেই আছে, এ ধারার অধীনে যে খুব বেশি কাজ হয়, এমনটিও নয়। যদি জরুরি অবস্থায় প্রেসিডিয়াম মিটিং করা না যায় সে ক্ষেত্রে এই ‘এক্সেপশনাল সেফটিনেস পাওয়ারটা’ চেয়ারম্যানের কাছে আছে, যেটা খুব কমই ব্যবহার করা হয়।
এদিকে জেলা ও মহানগর কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবদের সঙ্গে জরুরি সভায় ছিলেন না দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেন, ‘সেই মিটিংয়ে আসলে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে আমি জানি না, আমি মিটিংয়ে ছিলাম না। আমার দেখামতে দলে কোনো বিশৃঙ্খলা আমি দেখতে পাই না। তাঁরা (অন্যা নেতারা) বরং চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেছেন প্রেসিডিয়াম মিটিং ডেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে যাতে কাউন্সিলটা করা হয়। এটা তো আর বিশৃঙ্খল নয়, এটা তো অধিকার। কাউন্সিল যে সময় হবে, তাঁরা সে সময় অনুযায়ী কাউন্সিলের জন্য দাবি জানাইছেন। এটাকে যদি উনি (চেয়ারম্যান) বিশৃঙ্খলা হিসেবে নেন, এটা উনার বিষয়, নিতে পারেন।’

দশম জাতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আবারও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে জাতীয় পার্টিতে (জাপা)। সম্মেলনের আয়োজন, চেয়ারম্যানের ক্ষমতা কমানো, আর্থিক স্বচ্ছতা আনাসহ নানা ইস্যুতে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন দলটির প্রথম সারির নেতারা। তাঁদের মধ্যে বিভক্তি আরও প্রকট হয়েছে গত ২৮ জুনের সম্মেলন স্থগিত হওয়াকে ঘিরে।
জানা গেছে, জাতীয় পার্টি এখন দুই পক্ষে বিভক্ত। এক পক্ষে আছেন দলের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের) ও তাঁর অনুসারীরা, অন্য পক্ষে রয়েছেন দলের জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুসহ শীর্ষ নেতাদের একটি অংশ। জি এম কাদেরবিরোধী এই অংশের দাবি, নেতৃত্ব হারানোর আশঙ্কায় সম্মেলন করতে চাইছেন না চেয়ারম্যান। কিন্তু তাঁরা দল ভাঙতে চান না; বরং সম্মেলনের জন্য চেয়ারম্যানের ওপর ক্রমাগত চাপ অব্যাহত রাখতে চান।
জাতীয় পার্টির নেতারা বলছেন, ২৮ জুন বাংলাদেশ-চীন-মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে দলটির দশম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই মিলনায়তনটি বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে না উল্লেখ করে ১৬ জুন সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করেন জি এম কাদের। চেয়ারম্যানের এ সিদ্ধান্তে বেশ চটে যান দলের জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার। একপর্যায়ে তাঁরা দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় কাকরাইলে আলাদা সম্মেলন আহ্বান করেন। পরে জি এম কাদেরের অনুসারীরা সেখানে সমাবেশ করার ঘোষণা দিলে সংঘাত এড়াতে আপাতত কাউন্সিল না করার সিদ্ধান্ত নেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। এসব ঘটনায় দলটির নেতা-কর্মীদের মধ্যে দ্বিধাবিভক্তি সৃষ্টি হয়েছে। অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে দলের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে।
সম্মেলন স্থগিত করার ঘটনা নেতৃত্বের স্বৈরাচারী প্রবণতার প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেছেন জাপার শীর্ষ নেতারা। দলের গঠনতন্ত্রের ২০/১/ক ধারা চেয়ারম্যানকে এমন ক্ষমতা দিয়েছে, যার মাধ্যমে তিনি যেকোনো নেতাকে বহিষ্কার বা পদচ্যুত করতে পারেন, আবার পদোন্নতিও দিতে পারেন। এ কারণে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং রুহুল আমিন হাওলাদারের নেতৃত্বে জ্যেষ্ঠ নেতারা এ ধারার বিলোপ এবং প্রেসিডিয়ামের ক্ষমতা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে চেয়ারম্যান এ ধারার অপপ্রয়োগ করছেন বলে অভিযোগ নেতাদের।
দলটির সঙ্গে জড়িত একাধিক শীর্ষ পর্যায়ের নেতা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই জি এম কাদেরের নেতৃত্বশৈলী দলে প্রশ্নবিদ্ধ। প্রেসিডিয়ামের সম্মতি ছাড়াই বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া, দলের গণতান্ত্রিক চর্চা ক্ষুণ্ন করা ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ রয়েছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এসব কারণে দলের অধিকাংশ নেতা চেয়ারম্যানের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। জুলাই অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগের সঙ্গে দলটির ঘনিষ্ঠতা এবং জি এম কাদেরের অন্তর্বর্তী সরকারবিরোধী অবস্থান দলকে রাজনৈতিকভাবে আরও কোণঠাসা করে তুলেছে বলে মনে করেন নেতারা।
দলে নেতৃত্বের পরিবর্তনের পক্ষে থাকা নেতারা বলছেন, ইতিমধ্যে জি এম কাদেরসহ দলটির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও হয়েছে। জি এম কাদের নেতৃত্বে থাকলে সামনে দলের পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। এমনকি নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়েও শঙ্কা দেখা দিতে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। তাই জি এম কাদেরকে বাইরে রেখে দলের নেতৃত্ব তৈরির চেষ্টা করছেন তাঁরা।
দলের জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম, ২০-এর ‘ক’ যদি গঠনতন্ত্রে থাকে তাহলে পার্টি নিজস্ব সম্পত্তিতে পরিণত হয়। উনার (চেয়ারম্যান) বিপক্ষে যে কথা বলবে তাঁকে বের করে দেবে, কারও কোনো অনুমোদন নেওয়ার দরকার নেই, এভাবে পার্টি করা যায় না। এই যে রাজার ক্ষমতা, এইটা আমরা পরিবর্তন করতে বলেছিলাম। এ ছাড়া ফাইন্যান্সিয়াল ট্রান্সপারেন্সির (আর্থিক স্বচ্ছতা) এবং দলে বৃহত্তর ঐক্যের কথা বলেছি। কিন্তু তিনি আমাদের সঙ্গে একমত হননি।’
বিরোধী পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসতে জি এম কাদের রাজি নন জানিয়ে আনিসুল ইসলাম বলেন, ‘উনি আমাদেরকে নিয়ে বসবেন না। সম্মেলন ডাকার পর প্রেসিডিয়াম পাল্লা ভারী করতে তিনি ওখানে সাতজনকে অলরেডি বের করেছেন। তাঁর পক্ষের পাঁচজনকে নিয়েছেন। এভাবে উনি কোরাম করার চেষ্টা করছেন। একটা মেজরিটি করার চেষ্টা করছেন।’
এদিকে গত বুধবার জাতীয় পার্টির জেলা ও মহানগর কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবদের সঙ্গে এক জরুরি সভায় আগত নেতারা বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। কঠোর হওয়ার বার্তা দিয়েছেন জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরও। তিনি বলেন, ‘যাঁরা জাতীয় পার্টি নিয়ে এতদিন বেচাকেনার রাজনীতি করেছেন, তাঁদের সঙ্গে নিয়ে আর রাজনীতি করব না।’
সভায় উপস্থিত জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘চেয়ারম্যানের সম্মতি ছাড়া কাউন্সিলের কোনো স্থান কখনো নির্ধারণ করা যাবে না। এটা আমাদের গঠনতন্ত্রে আছে। আর কাউন্সিল মিটিংয়ে সভাপতিত্ব করবেন চেয়ারম্যান। এটাও আমাদের গঠনতন্ত্রে আছে। এসব বিষয়ে আলোচনা হয়নি। আমরা সামনে আবার মিটিং ডাকব এবং আবার কাউন্সিলের ব্যাপারে আলাপ করব। পাশাপাশি আমাদের হলরুম পাওয়া সাপেক্ষে নিরাপত্তার কোনো সমস্যা যদি না থাকে, আমরা অবশ্যই স্বল্প সময়ে কাউন্সিল করতে আগ্রহী।’
গঠনতন্ত্রের ‘স্বৈরতান্ত্রিক’ ধারা প্রসঙ্গে এই জাপা নেতা বলেন, এ রকম একটি ধারা অনেক দিন আগে থেকেই আছে, এ ধারার অধীনে যে খুব বেশি কাজ হয়, এমনটিও নয়। যদি জরুরি অবস্থায় প্রেসিডিয়াম মিটিং করা না যায় সে ক্ষেত্রে এই ‘এক্সেপশনাল সেফটিনেস পাওয়ারটা’ চেয়ারম্যানের কাছে আছে, যেটা খুব কমই ব্যবহার করা হয়।
এদিকে জেলা ও মহানগর কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবদের সঙ্গে জরুরি সভায় ছিলেন না দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেন, ‘সেই মিটিংয়ে আসলে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে আমি জানি না, আমি মিটিংয়ে ছিলাম না। আমার দেখামতে দলে কোনো বিশৃঙ্খলা আমি দেখতে পাই না। তাঁরা (অন্যা নেতারা) বরং চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেছেন প্রেসিডিয়াম মিটিং ডেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে যাতে কাউন্সিলটা করা হয়। এটা তো আর বিশৃঙ্খল নয়, এটা তো অধিকার। কাউন্সিল যে সময় হবে, তাঁরা সে সময় অনুযায়ী কাউন্সিলের জন্য দাবি জানাইছেন। এটাকে যদি উনি (চেয়ারম্যান) বিশৃঙ্খলা হিসেবে নেন, এটা উনার বিষয়, নিতে পারেন।’
সাখাওয়াত ফাহাদ, ঢাকা

দশম জাতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আবারও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে জাতীয় পার্টিতে (জাপা)। সম্মেলনের আয়োজন, চেয়ারম্যানের ক্ষমতা কমানো, আর্থিক স্বচ্ছতা আনাসহ নানা ইস্যুতে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন দলটির প্রথম সারির নেতারা। তাঁদের মধ্যে বিভক্তি আরও প্রকট হয়েছে গত ২৮ জুনের সম্মেলন স্থগিত হওয়াকে ঘিরে।
জানা গেছে, জাতীয় পার্টি এখন দুই পক্ষে বিভক্ত। এক পক্ষে আছেন দলের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের) ও তাঁর অনুসারীরা, অন্য পক্ষে রয়েছেন দলের জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুসহ শীর্ষ নেতাদের একটি অংশ। জি এম কাদেরবিরোধী এই অংশের দাবি, নেতৃত্ব হারানোর আশঙ্কায় সম্মেলন করতে চাইছেন না চেয়ারম্যান। কিন্তু তাঁরা দল ভাঙতে চান না; বরং সম্মেলনের জন্য চেয়ারম্যানের ওপর ক্রমাগত চাপ অব্যাহত রাখতে চান।
জাতীয় পার্টির নেতারা বলছেন, ২৮ জুন বাংলাদেশ-চীন-মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে দলটির দশম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই মিলনায়তনটি বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে না উল্লেখ করে ১৬ জুন সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করেন জি এম কাদের। চেয়ারম্যানের এ সিদ্ধান্তে বেশ চটে যান দলের জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার। একপর্যায়ে তাঁরা দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় কাকরাইলে আলাদা সম্মেলন আহ্বান করেন। পরে জি এম কাদেরের অনুসারীরা সেখানে সমাবেশ করার ঘোষণা দিলে সংঘাত এড়াতে আপাতত কাউন্সিল না করার সিদ্ধান্ত নেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। এসব ঘটনায় দলটির নেতা-কর্মীদের মধ্যে দ্বিধাবিভক্তি সৃষ্টি হয়েছে। অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে দলের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে।
সম্মেলন স্থগিত করার ঘটনা নেতৃত্বের স্বৈরাচারী প্রবণতার প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেছেন জাপার শীর্ষ নেতারা। দলের গঠনতন্ত্রের ২০/১/ক ধারা চেয়ারম্যানকে এমন ক্ষমতা দিয়েছে, যার মাধ্যমে তিনি যেকোনো নেতাকে বহিষ্কার বা পদচ্যুত করতে পারেন, আবার পদোন্নতিও দিতে পারেন। এ কারণে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং রুহুল আমিন হাওলাদারের নেতৃত্বে জ্যেষ্ঠ নেতারা এ ধারার বিলোপ এবং প্রেসিডিয়ামের ক্ষমতা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে চেয়ারম্যান এ ধারার অপপ্রয়োগ করছেন বলে অভিযোগ নেতাদের।
দলটির সঙ্গে জড়িত একাধিক শীর্ষ পর্যায়ের নেতা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই জি এম কাদেরের নেতৃত্বশৈলী দলে প্রশ্নবিদ্ধ। প্রেসিডিয়ামের সম্মতি ছাড়াই বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া, দলের গণতান্ত্রিক চর্চা ক্ষুণ্ন করা ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ রয়েছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এসব কারণে দলের অধিকাংশ নেতা চেয়ারম্যানের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। জুলাই অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগের সঙ্গে দলটির ঘনিষ্ঠতা এবং জি এম কাদেরের অন্তর্বর্তী সরকারবিরোধী অবস্থান দলকে রাজনৈতিকভাবে আরও কোণঠাসা করে তুলেছে বলে মনে করেন নেতারা।
দলে নেতৃত্বের পরিবর্তনের পক্ষে থাকা নেতারা বলছেন, ইতিমধ্যে জি এম কাদেরসহ দলটির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও হয়েছে। জি এম কাদের নেতৃত্বে থাকলে সামনে দলের পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। এমনকি নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়েও শঙ্কা দেখা দিতে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। তাই জি এম কাদেরকে বাইরে রেখে দলের নেতৃত্ব তৈরির চেষ্টা করছেন তাঁরা।
দলের জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম, ২০-এর ‘ক’ যদি গঠনতন্ত্রে থাকে তাহলে পার্টি নিজস্ব সম্পত্তিতে পরিণত হয়। উনার (চেয়ারম্যান) বিপক্ষে যে কথা বলবে তাঁকে বের করে দেবে, কারও কোনো অনুমোদন নেওয়ার দরকার নেই, এভাবে পার্টি করা যায় না। এই যে রাজার ক্ষমতা, এইটা আমরা পরিবর্তন করতে বলেছিলাম। এ ছাড়া ফাইন্যান্সিয়াল ট্রান্সপারেন্সির (আর্থিক স্বচ্ছতা) এবং দলে বৃহত্তর ঐক্যের কথা বলেছি। কিন্তু তিনি আমাদের সঙ্গে একমত হননি।’
বিরোধী পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসতে জি এম কাদের রাজি নন জানিয়ে আনিসুল ইসলাম বলেন, ‘উনি আমাদেরকে নিয়ে বসবেন না। সম্মেলন ডাকার পর প্রেসিডিয়াম পাল্লা ভারী করতে তিনি ওখানে সাতজনকে অলরেডি বের করেছেন। তাঁর পক্ষের পাঁচজনকে নিয়েছেন। এভাবে উনি কোরাম করার চেষ্টা করছেন। একটা মেজরিটি করার চেষ্টা করছেন।’
এদিকে গত বুধবার জাতীয় পার্টির জেলা ও মহানগর কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবদের সঙ্গে এক জরুরি সভায় আগত নেতারা বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। কঠোর হওয়ার বার্তা দিয়েছেন জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরও। তিনি বলেন, ‘যাঁরা জাতীয় পার্টি নিয়ে এতদিন বেচাকেনার রাজনীতি করেছেন, তাঁদের সঙ্গে নিয়ে আর রাজনীতি করব না।’
সভায় উপস্থিত জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘চেয়ারম্যানের সম্মতি ছাড়া কাউন্সিলের কোনো স্থান কখনো নির্ধারণ করা যাবে না। এটা আমাদের গঠনতন্ত্রে আছে। আর কাউন্সিল মিটিংয়ে সভাপতিত্ব করবেন চেয়ারম্যান। এটাও আমাদের গঠনতন্ত্রে আছে। এসব বিষয়ে আলোচনা হয়নি। আমরা সামনে আবার মিটিং ডাকব এবং আবার কাউন্সিলের ব্যাপারে আলাপ করব। পাশাপাশি আমাদের হলরুম পাওয়া সাপেক্ষে নিরাপত্তার কোনো সমস্যা যদি না থাকে, আমরা অবশ্যই স্বল্প সময়ে কাউন্সিল করতে আগ্রহী।’
গঠনতন্ত্রের ‘স্বৈরতান্ত্রিক’ ধারা প্রসঙ্গে এই জাপা নেতা বলেন, এ রকম একটি ধারা অনেক দিন আগে থেকেই আছে, এ ধারার অধীনে যে খুব বেশি কাজ হয়, এমনটিও নয়। যদি জরুরি অবস্থায় প্রেসিডিয়াম মিটিং করা না যায় সে ক্ষেত্রে এই ‘এক্সেপশনাল সেফটিনেস পাওয়ারটা’ চেয়ারম্যানের কাছে আছে, যেটা খুব কমই ব্যবহার করা হয়।
এদিকে জেলা ও মহানগর কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবদের সঙ্গে জরুরি সভায় ছিলেন না দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেন, ‘সেই মিটিংয়ে আসলে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে আমি জানি না, আমি মিটিংয়ে ছিলাম না। আমার দেখামতে দলে কোনো বিশৃঙ্খলা আমি দেখতে পাই না। তাঁরা (অন্যা নেতারা) বরং চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেছেন প্রেসিডিয়াম মিটিং ডেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে যাতে কাউন্সিলটা করা হয়। এটা তো আর বিশৃঙ্খল নয়, এটা তো অধিকার। কাউন্সিল যে সময় হবে, তাঁরা সে সময় অনুযায়ী কাউন্সিলের জন্য দাবি জানাইছেন। এটাকে যদি উনি (চেয়ারম্যান) বিশৃঙ্খলা হিসেবে নেন, এটা উনার বিষয়, নিতে পারেন।’

দশম জাতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আবারও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে জাতীয় পার্টিতে (জাপা)। সম্মেলনের আয়োজন, চেয়ারম্যানের ক্ষমতা কমানো, আর্থিক স্বচ্ছতা আনাসহ নানা ইস্যুতে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন দলটির প্রথম সারির নেতারা। তাঁদের মধ্যে বিভক্তি আরও প্রকট হয়েছে গত ২৮ জুনের সম্মেলন স্থগিত হওয়াকে ঘিরে।
জানা গেছে, জাতীয় পার্টি এখন দুই পক্ষে বিভক্ত। এক পক্ষে আছেন দলের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের) ও তাঁর অনুসারীরা, অন্য পক্ষে রয়েছেন দলের জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুসহ শীর্ষ নেতাদের একটি অংশ। জি এম কাদেরবিরোধী এই অংশের দাবি, নেতৃত্ব হারানোর আশঙ্কায় সম্মেলন করতে চাইছেন না চেয়ারম্যান। কিন্তু তাঁরা দল ভাঙতে চান না; বরং সম্মেলনের জন্য চেয়ারম্যানের ওপর ক্রমাগত চাপ অব্যাহত রাখতে চান।
জাতীয় পার্টির নেতারা বলছেন, ২৮ জুন বাংলাদেশ-চীন-মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে দলটির দশম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই মিলনায়তনটি বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে না উল্লেখ করে ১৬ জুন সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করেন জি এম কাদের। চেয়ারম্যানের এ সিদ্ধান্তে বেশ চটে যান দলের জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার। একপর্যায়ে তাঁরা দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় কাকরাইলে আলাদা সম্মেলন আহ্বান করেন। পরে জি এম কাদেরের অনুসারীরা সেখানে সমাবেশ করার ঘোষণা দিলে সংঘাত এড়াতে আপাতত কাউন্সিল না করার সিদ্ধান্ত নেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। এসব ঘটনায় দলটির নেতা-কর্মীদের মধ্যে দ্বিধাবিভক্তি সৃষ্টি হয়েছে। অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে দলের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে।
সম্মেলন স্থগিত করার ঘটনা নেতৃত্বের স্বৈরাচারী প্রবণতার প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেছেন জাপার শীর্ষ নেতারা। দলের গঠনতন্ত্রের ২০/১/ক ধারা চেয়ারম্যানকে এমন ক্ষমতা দিয়েছে, যার মাধ্যমে তিনি যেকোনো নেতাকে বহিষ্কার বা পদচ্যুত করতে পারেন, আবার পদোন্নতিও দিতে পারেন। এ কারণে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং রুহুল আমিন হাওলাদারের নেতৃত্বে জ্যেষ্ঠ নেতারা এ ধারার বিলোপ এবং প্রেসিডিয়ামের ক্ষমতা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে চেয়ারম্যান এ ধারার অপপ্রয়োগ করছেন বলে অভিযোগ নেতাদের।
দলটির সঙ্গে জড়িত একাধিক শীর্ষ পর্যায়ের নেতা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই জি এম কাদেরের নেতৃত্বশৈলী দলে প্রশ্নবিদ্ধ। প্রেসিডিয়ামের সম্মতি ছাড়াই বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া, দলের গণতান্ত্রিক চর্চা ক্ষুণ্ন করা ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ রয়েছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এসব কারণে দলের অধিকাংশ নেতা চেয়ারম্যানের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। জুলাই অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগের সঙ্গে দলটির ঘনিষ্ঠতা এবং জি এম কাদেরের অন্তর্বর্তী সরকারবিরোধী অবস্থান দলকে রাজনৈতিকভাবে আরও কোণঠাসা করে তুলেছে বলে মনে করেন নেতারা।
দলে নেতৃত্বের পরিবর্তনের পক্ষে থাকা নেতারা বলছেন, ইতিমধ্যে জি এম কাদেরসহ দলটির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও হয়েছে। জি এম কাদের নেতৃত্বে থাকলে সামনে দলের পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। এমনকি নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়েও শঙ্কা দেখা দিতে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। তাই জি এম কাদেরকে বাইরে রেখে দলের নেতৃত্ব তৈরির চেষ্টা করছেন তাঁরা।
দলের জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম, ২০-এর ‘ক’ যদি গঠনতন্ত্রে থাকে তাহলে পার্টি নিজস্ব সম্পত্তিতে পরিণত হয়। উনার (চেয়ারম্যান) বিপক্ষে যে কথা বলবে তাঁকে বের করে দেবে, কারও কোনো অনুমোদন নেওয়ার দরকার নেই, এভাবে পার্টি করা যায় না। এই যে রাজার ক্ষমতা, এইটা আমরা পরিবর্তন করতে বলেছিলাম। এ ছাড়া ফাইন্যান্সিয়াল ট্রান্সপারেন্সির (আর্থিক স্বচ্ছতা) এবং দলে বৃহত্তর ঐক্যের কথা বলেছি। কিন্তু তিনি আমাদের সঙ্গে একমত হননি।’
বিরোধী পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসতে জি এম কাদের রাজি নন জানিয়ে আনিসুল ইসলাম বলেন, ‘উনি আমাদেরকে নিয়ে বসবেন না। সম্মেলন ডাকার পর প্রেসিডিয়াম পাল্লা ভারী করতে তিনি ওখানে সাতজনকে অলরেডি বের করেছেন। তাঁর পক্ষের পাঁচজনকে নিয়েছেন। এভাবে উনি কোরাম করার চেষ্টা করছেন। একটা মেজরিটি করার চেষ্টা করছেন।’
এদিকে গত বুধবার জাতীয় পার্টির জেলা ও মহানগর কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবদের সঙ্গে এক জরুরি সভায় আগত নেতারা বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। কঠোর হওয়ার বার্তা দিয়েছেন জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরও। তিনি বলেন, ‘যাঁরা জাতীয় পার্টি নিয়ে এতদিন বেচাকেনার রাজনীতি করেছেন, তাঁদের সঙ্গে নিয়ে আর রাজনীতি করব না।’
সভায় উপস্থিত জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘চেয়ারম্যানের সম্মতি ছাড়া কাউন্সিলের কোনো স্থান কখনো নির্ধারণ করা যাবে না। এটা আমাদের গঠনতন্ত্রে আছে। আর কাউন্সিল মিটিংয়ে সভাপতিত্ব করবেন চেয়ারম্যান। এটাও আমাদের গঠনতন্ত্রে আছে। এসব বিষয়ে আলোচনা হয়নি। আমরা সামনে আবার মিটিং ডাকব এবং আবার কাউন্সিলের ব্যাপারে আলাপ করব। পাশাপাশি আমাদের হলরুম পাওয়া সাপেক্ষে নিরাপত্তার কোনো সমস্যা যদি না থাকে, আমরা অবশ্যই স্বল্প সময়ে কাউন্সিল করতে আগ্রহী।’
গঠনতন্ত্রের ‘স্বৈরতান্ত্রিক’ ধারা প্রসঙ্গে এই জাপা নেতা বলেন, এ রকম একটি ধারা অনেক দিন আগে থেকেই আছে, এ ধারার অধীনে যে খুব বেশি কাজ হয়, এমনটিও নয়। যদি জরুরি অবস্থায় প্রেসিডিয়াম মিটিং করা না যায় সে ক্ষেত্রে এই ‘এক্সেপশনাল সেফটিনেস পাওয়ারটা’ চেয়ারম্যানের কাছে আছে, যেটা খুব কমই ব্যবহার করা হয়।
এদিকে জেলা ও মহানগর কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবদের সঙ্গে জরুরি সভায় ছিলেন না দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেন, ‘সেই মিটিংয়ে আসলে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে আমি জানি না, আমি মিটিংয়ে ছিলাম না। আমার দেখামতে দলে কোনো বিশৃঙ্খলা আমি দেখতে পাই না। তাঁরা (অন্যা নেতারা) বরং চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেছেন প্রেসিডিয়াম মিটিং ডেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে যাতে কাউন্সিলটা করা হয়। এটা তো আর বিশৃঙ্খল নয়, এটা তো অধিকার। কাউন্সিল যে সময় হবে, তাঁরা সে সময় অনুযায়ী কাউন্সিলের জন্য দাবি জানাইছেন। এটাকে যদি উনি (চেয়ারম্যান) বিশৃঙ্খলা হিসেবে নেন, এটা উনার বিষয়, নিতে পারেন।’

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো আড়ালের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেছেন, কিছু রাজনৈতিক শক্তি জুলাই সনদের মূল অর্জনগুলোকে শুধু ‘কাগুজে দলিলে’ পরিণত করার প্রবণতা দেখাচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে
‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধিত প্রস্তাব থেকে সরে এলে, সরকার লন্ডনের বৈঠকের ধারাবাহিকতায় বিএনপির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হবে।’
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শনিবার সকাল ১০টার পরে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিদলে রয়েছেন সদস্যসচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
৭ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধিদল। আজ শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো আড়ালের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেছেন, কিছু রাজনৈতিক শক্তি জুলাই সনদের মূল অর্জনগুলোকে শুধু ‘কাগুজে দলিলে’ পরিণত করার প্রবণতা দেখাচ্ছে।
গত ১৭ অক্টোবর জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এনসিপি অংশগ্রহণ থেকে বিরত ছিল। এ প্রসঙ্গে আখতার হোসেন বলেন, ‘বাস্তবায়ন ব্যতিরেকে এই সনদ স্বাক্ষরিত হলে তা কেবল “আনুষ্ঠানিকতা” হয়ে থাকবে এবং জনগণের অর্জন ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাবে।’
তিনি স্পষ্ট করেন, জুলাই সনদ স্বাক্ষরকে তাঁরা মূল বিষয়বস্তু মনে করেন না, বরং এটি একটি আনুষ্ঠানিকতা। এনসিপি মনে করে, জনগণের কাছে বাস্তবায়নের আদেশ সম্পর্কে পরিষ্কার বার্তা উপস্থাপন করাই মূল লক্ষ্য।
আজ শনিবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আখতার হোসেন।
আখতার হোসেন দাবি করেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলো একটি আদেশ জারি, গণভোট এবং সামনের সংসদকে জনগণ কর্তৃক ন্যস্ত ক্ষমতা (Constituent Power) প্রদানের মাধ্যমে একটি সংস্কারকৃত সংবিধান প্রণয়নের বিষয়ে একমত হয়েছিল।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘আইনি ভিত্তি দেওয়ার ব্যাপারে একমত হওয়া সত্ত্বেও সে আইনি ভিত্তি কীভাবে অর্জিত হবে? সেটা কখন থেকে কার্যকর হবে? সেই জায়গা জনগণের কাছে এখনো পর্যন্ত খোলাসা করা হয় নাই।’
আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতারতিনি যোগ করেন, জুলাই সনদকে পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নের জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকার প্রধান হিসেবে এই সনদ জারি করবেন এবং গণভোটের মাধ্যমে আগামীর সংসদকে ‘কনস্টিটিউয়েন্ট পাওয়ার’ প্রয়োগের সুযোগ দিতে হবে। এরপর সেই সংসদ সংস্কারগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করে ২০২৬ সালের সংস্কারকৃত সংবিধান ঘোষণা করবে।
সনদ বাস্তবায়নের পথরেখা জাতির কাছে পরিষ্কার করার লক্ষ্যে এনসিপি ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সদস্যসচিব জানান, অনানুষ্ঠানিকভাবে কমিশনের সঙ্গে তাঁদের দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হয়েছে, যেখানে তাঁরা তাঁদের দাবিগুলো পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
এনসিপি কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশের খসড়া, বিষয়বস্তু ও পরিধি—প্রত্যেকটি জিনিস জাতির কাছে অবিলম্বে উপস্থাপন করতে হবে।
কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁরা জুলাই সনদ বাস্তবায়নের একটি আদেশ প্রস্তুত করছেন, যা এনসিপি অগ্রগতি হিসেবে দেখলেও, সে আদেশের মধ্যকার বক্তব্য এখনো পর্যন্ত উপস্থাপন করতে অপারগতা প্রকাশ করায় তাঁরা পুরোপুরি আশাবাদী হতে পারেননি বলে জানান আখতার হোসেন।
আখতার হোসেন সতর্ক বলেন, কমিশন আন্তরিকতা থেকে কাজ শুরু করলেও, এটি যেন কোনোভাবে ‘জুলাই ঘোষণাপত্রের’ মতো করে কোনো দলের চাপে পড়ে কেবল একটি কাগুজে দলিল হিসেবে বাস্তবায়ন পরিপন্থীভাবে উপস্থাপিত না হয়।
আখতার হোসেন আরও বলেন, ‘জুলাই সনদকে আমরা শুধু রাজনৈতিক দলিল হিসেবে দেখি না। এটি জনগণের সার্বভৌম অভিপ্রায়ের প্রতিফলন।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, আদেশের স্পষ্ট ধারণা না থাকলে শুধু গণভোট সংস্কারের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে পারবে না। তাই কমিশনকে সর্বাধিক সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে এনসিপি।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো আড়ালের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেছেন, কিছু রাজনৈতিক শক্তি জুলাই সনদের মূল অর্জনগুলোকে শুধু ‘কাগুজে দলিলে’ পরিণত করার প্রবণতা দেখাচ্ছে।
গত ১৭ অক্টোবর জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এনসিপি অংশগ্রহণ থেকে বিরত ছিল। এ প্রসঙ্গে আখতার হোসেন বলেন, ‘বাস্তবায়ন ব্যতিরেকে এই সনদ স্বাক্ষরিত হলে তা কেবল “আনুষ্ঠানিকতা” হয়ে থাকবে এবং জনগণের অর্জন ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাবে।’
তিনি স্পষ্ট করেন, জুলাই সনদ স্বাক্ষরকে তাঁরা মূল বিষয়বস্তু মনে করেন না, বরং এটি একটি আনুষ্ঠানিকতা। এনসিপি মনে করে, জনগণের কাছে বাস্তবায়নের আদেশ সম্পর্কে পরিষ্কার বার্তা উপস্থাপন করাই মূল লক্ষ্য।
আজ শনিবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আখতার হোসেন।
আখতার হোসেন দাবি করেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলো একটি আদেশ জারি, গণভোট এবং সামনের সংসদকে জনগণ কর্তৃক ন্যস্ত ক্ষমতা (Constituent Power) প্রদানের মাধ্যমে একটি সংস্কারকৃত সংবিধান প্রণয়নের বিষয়ে একমত হয়েছিল।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘আইনি ভিত্তি দেওয়ার ব্যাপারে একমত হওয়া সত্ত্বেও সে আইনি ভিত্তি কীভাবে অর্জিত হবে? সেটা কখন থেকে কার্যকর হবে? সেই জায়গা জনগণের কাছে এখনো পর্যন্ত খোলাসা করা হয় নাই।’
আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতারতিনি যোগ করেন, জুলাই সনদকে পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নের জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকার প্রধান হিসেবে এই সনদ জারি করবেন এবং গণভোটের মাধ্যমে আগামীর সংসদকে ‘কনস্টিটিউয়েন্ট পাওয়ার’ প্রয়োগের সুযোগ দিতে হবে। এরপর সেই সংসদ সংস্কারগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করে ২০২৬ সালের সংস্কারকৃত সংবিধান ঘোষণা করবে।
সনদ বাস্তবায়নের পথরেখা জাতির কাছে পরিষ্কার করার লক্ষ্যে এনসিপি ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সদস্যসচিব জানান, অনানুষ্ঠানিকভাবে কমিশনের সঙ্গে তাঁদের দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হয়েছে, যেখানে তাঁরা তাঁদের দাবিগুলো পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
এনসিপি কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশের খসড়া, বিষয়বস্তু ও পরিধি—প্রত্যেকটি জিনিস জাতির কাছে অবিলম্বে উপস্থাপন করতে হবে।
কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁরা জুলাই সনদ বাস্তবায়নের একটি আদেশ প্রস্তুত করছেন, যা এনসিপি অগ্রগতি হিসেবে দেখলেও, সে আদেশের মধ্যকার বক্তব্য এখনো পর্যন্ত উপস্থাপন করতে অপারগতা প্রকাশ করায় তাঁরা পুরোপুরি আশাবাদী হতে পারেননি বলে জানান আখতার হোসেন।
আখতার হোসেন সতর্ক বলেন, কমিশন আন্তরিকতা থেকে কাজ শুরু করলেও, এটি যেন কোনোভাবে ‘জুলাই ঘোষণাপত্রের’ মতো করে কোনো দলের চাপে পড়ে কেবল একটি কাগুজে দলিল হিসেবে বাস্তবায়ন পরিপন্থীভাবে উপস্থাপিত না হয়।
আখতার হোসেন আরও বলেন, ‘জুলাই সনদকে আমরা শুধু রাজনৈতিক দলিল হিসেবে দেখি না। এটি জনগণের সার্বভৌম অভিপ্রায়ের প্রতিফলন।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, আদেশের স্পষ্ট ধারণা না থাকলে শুধু গণভোট সংস্কারের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে পারবে না। তাই কমিশনকে সর্বাধিক সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে এনসিপি।

দশম জাতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আবারও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে জাতীয় পার্টিতে (জাপা)। সম্মেলনের আয়োজন, চেয়ারম্যানের ক্ষমতা কমানো, আর্থিক স্বচ্ছতা আনাসহ নানা ইস্যুতে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন দলটির প্রথম সারির নেতারা।
০৫ জুলাই ২০২৫
‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধিত প্রস্তাব থেকে সরে এলে, সরকার লন্ডনের বৈঠকের ধারাবাহিকতায় বিএনপির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হবে।’
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শনিবার সকাল ১০টার পরে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিদলে রয়েছেন সদস্যসচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
৭ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধিদল। আজ শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধিত প্রস্তাব থেকে সরে এলে, সরকার লন্ডনের বৈঠকের ধারাবাহিকতায় বিএনপির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হবে।’
এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। আজ শনিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। আজ সকাল ১০টার পরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসে এনসিপি, দুপুর ১টার দিকে শেষ হয়।
উল্লেখ্য, সংশোধিত আরপিও প্রস্তাবে বলা হয়েছে, নির্বাচনী জোট হলেও প্রার্থীদের নিজ দলের প্রতীকে জাতীয় নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করতে হবে। তবে এতে দ্বিমত করেছে বিএনপি। এছাড়া জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রশ্নে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে ‘সংবিধান আদেশ’ জারির প্রস্তাবেও বিএনপিসহ কয়েকটি দল রাজি হয়নি।
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে গতকাল শুক্রবার এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘গণভোটের প্রস্তাব বিএনপিই দিয়েছে। নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজনের কথা বলা হয়েছে। এই প্রস্তাবে দুটি রাজনৈতিক দল ছাড়া সবাই একমত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়েই আমরা সিদ্ধান্ত নেব—জুলাই জাতীয় সনদের প্রজ্ঞাপন বা গেজেট নোটিফিকেশন কীভাবে করা যায়। কারণ, যেভাবেই হোক, সেটি শেষ পর্যন্ত জনগণের গণভোটের মাধ্যমেই আইনি রূপ পাবে।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারির বিষয়ে আখতার বলেন, ‘সে আদেশের কনটেন্ট কী হবে, টেক্সট কী হবে, তার কার্যকারিতার জায়গাগুলো কী হবে? সেটা পরিষ্কার করা। যদি আদেশের বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা না থাকে, তাহলে শুধু গণভোট আমাদের সংস্কারের বাস্তবায়নকে সিকিউর করতে পারবে না। এই কারণে আমরা আদেশের বিষয়টাতে সরকারের তরফ থেকে পরিপূর্ণভাবে আশ্বস্ত হয়ে তারপরেই গণভোট এবং স্বাক্ষরের মতো বিষয়গুলোতে অগ্রসর হতে চাই।’
আরপিও সংশোধনীতে বিএনপির আপত্তি প্রসঙ্গে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, ‘আরপিওতে যে সংশোধনীর বিষয়গুলো নিয়ে আসা হয়েছে, সেগুলোকে আমরা ইতিবাচক হিসেবে দেখি। আমরা খেয়াল করেছি যে আরপিওতে সংশোধনী আনার পরে বিএনপি তাদের পূর্বতন বক্তব্য থেকে সরে এসেছে। আরপিও সংশোধনী বাতিল করার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে দরখাস্ত দেবেন বলে তাঁরা বলেছেন। কিন্তু আইন উপদেষ্টা এই প্রক্রিয়ার অংশ নন।’
আখতার বলেন, ‘আইন উপদেষ্টার কাছে দরখাস্ত দিয়ে আরপিও সংশোধনীকে আটকে দেওয়ার যে মানসিকতার কথা বলা হচ্ছে তাতে করে মনে হয়, সরকার কোনো বিশেষ বিশেষ উপদেষ্টার মধ্য থেকে কারও কারও সঙ্গে কোনো কোনো দলের সম্পর্কের জায়গা থেকে, সেই ব্যক্তিগত সম্পর্কের জায়গা থেকে, তারা কোনো একটা বিষয়কে বাস্তবায়ন করতে চান। যেটাকে আমরা ইনঅ্যাপ্রোপ্রিয়েট (যথোপযুক্ত নয়) মনে করি।’
তিনি বলেন, ‘একই সঙ্গে এটাও মনে হয়, যদি কোনো দলের কারণে সরকার এই সংশোধনী প্রস্তাবগুলো থেকে সরে আসে, তাহলে আমাদের কাছে আবারও প্রতীয়মান হবে যে, সরকার লন্ডনে যে বৈঠক করেছিল তার ধারাবাহিকতায়, সেভাবেই তারা ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এটা কোনোভাবেই জাতির জন্য কোনো সুস্থ প্রক্রিয়া হতে পারে না।’
বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ, কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড.ইফতেখারুজ্জামান, আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য) মনির হায়দার উপস্থিত আছেন।
আরও খবর পড়ুন:

‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধিত প্রস্তাব থেকে সরে এলে, সরকার লন্ডনের বৈঠকের ধারাবাহিকতায় বিএনপির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হবে।’
এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। আজ শনিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। আজ সকাল ১০টার পরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসে এনসিপি, দুপুর ১টার দিকে শেষ হয়।
উল্লেখ্য, সংশোধিত আরপিও প্রস্তাবে বলা হয়েছে, নির্বাচনী জোট হলেও প্রার্থীদের নিজ দলের প্রতীকে জাতীয় নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করতে হবে। তবে এতে দ্বিমত করেছে বিএনপি। এছাড়া জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রশ্নে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে ‘সংবিধান আদেশ’ জারির প্রস্তাবেও বিএনপিসহ কয়েকটি দল রাজি হয়নি।
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে গতকাল শুক্রবার এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘গণভোটের প্রস্তাব বিএনপিই দিয়েছে। নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজনের কথা বলা হয়েছে। এই প্রস্তাবে দুটি রাজনৈতিক দল ছাড়া সবাই একমত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়েই আমরা সিদ্ধান্ত নেব—জুলাই জাতীয় সনদের প্রজ্ঞাপন বা গেজেট নোটিফিকেশন কীভাবে করা যায়। কারণ, যেভাবেই হোক, সেটি শেষ পর্যন্ত জনগণের গণভোটের মাধ্যমেই আইনি রূপ পাবে।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারির বিষয়ে আখতার বলেন, ‘সে আদেশের কনটেন্ট কী হবে, টেক্সট কী হবে, তার কার্যকারিতার জায়গাগুলো কী হবে? সেটা পরিষ্কার করা। যদি আদেশের বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা না থাকে, তাহলে শুধু গণভোট আমাদের সংস্কারের বাস্তবায়নকে সিকিউর করতে পারবে না। এই কারণে আমরা আদেশের বিষয়টাতে সরকারের তরফ থেকে পরিপূর্ণভাবে আশ্বস্ত হয়ে তারপরেই গণভোট এবং স্বাক্ষরের মতো বিষয়গুলোতে অগ্রসর হতে চাই।’
আরপিও সংশোধনীতে বিএনপির আপত্তি প্রসঙ্গে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, ‘আরপিওতে যে সংশোধনীর বিষয়গুলো নিয়ে আসা হয়েছে, সেগুলোকে আমরা ইতিবাচক হিসেবে দেখি। আমরা খেয়াল করেছি যে আরপিওতে সংশোধনী আনার পরে বিএনপি তাদের পূর্বতন বক্তব্য থেকে সরে এসেছে। আরপিও সংশোধনী বাতিল করার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে দরখাস্ত দেবেন বলে তাঁরা বলেছেন। কিন্তু আইন উপদেষ্টা এই প্রক্রিয়ার অংশ নন।’
আখতার বলেন, ‘আইন উপদেষ্টার কাছে দরখাস্ত দিয়ে আরপিও সংশোধনীকে আটকে দেওয়ার যে মানসিকতার কথা বলা হচ্ছে তাতে করে মনে হয়, সরকার কোনো বিশেষ বিশেষ উপদেষ্টার মধ্য থেকে কারও কারও সঙ্গে কোনো কোনো দলের সম্পর্কের জায়গা থেকে, সেই ব্যক্তিগত সম্পর্কের জায়গা থেকে, তারা কোনো একটা বিষয়কে বাস্তবায়ন করতে চান। যেটাকে আমরা ইনঅ্যাপ্রোপ্রিয়েট (যথোপযুক্ত নয়) মনে করি।’
তিনি বলেন, ‘একই সঙ্গে এটাও মনে হয়, যদি কোনো দলের কারণে সরকার এই সংশোধনী প্রস্তাবগুলো থেকে সরে আসে, তাহলে আমাদের কাছে আবারও প্রতীয়মান হবে যে, সরকার লন্ডনে যে বৈঠক করেছিল তার ধারাবাহিকতায়, সেভাবেই তারা ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এটা কোনোভাবেই জাতির জন্য কোনো সুস্থ প্রক্রিয়া হতে পারে না।’
বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ, কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড.ইফতেখারুজ্জামান, আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য) মনির হায়দার উপস্থিত আছেন।
আরও খবর পড়ুন:

দশম জাতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আবারও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে জাতীয় পার্টিতে (জাপা)। সম্মেলনের আয়োজন, চেয়ারম্যানের ক্ষমতা কমানো, আর্থিক স্বচ্ছতা আনাসহ নানা ইস্যুতে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন দলটির প্রথম সারির নেতারা।
০৫ জুলাই ২০২৫
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো আড়ালের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেছেন, কিছু রাজনৈতিক শক্তি জুলাই সনদের মূল অর্জনগুলোকে শুধু ‘কাগুজে দলিলে’ পরিণত করার প্রবণতা দেখাচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শনিবার সকাল ১০টার পরে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিদলে রয়েছেন সদস্যসচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
৭ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধিদল। আজ শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শনিবার সকাল ১০টার পরে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিদলে রয়েছেন সদস্যসচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ, কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য) মনির হায়দার উপস্থিত আছেন।
১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। জুলাই সনদে আইনি ভিত্তির নিশ্চয়তা না পেয়ে ওই দিন স্বাক্ষর করেনি এনসিপি। দলটিকে সনদে স্বাক্ষর করাতে সরকার ও কমিশন কয়েক দফা অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেও সমাধান হয়নি। এর মধ্যে আজ কমিশনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসেছে এনসিপি।
এদিকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নির্ধারণে কমিশন কয়েক দফা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। আজই সরকারকে সনদ বাস্তবায়নের চূড়ান্ত রূপরেখা-সংবলিত সুপারিশ জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শনিবার সকাল ১০টার পরে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিদলে রয়েছেন সদস্যসচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ, কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য) মনির হায়দার উপস্থিত আছেন।
১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। জুলাই সনদে আইনি ভিত্তির নিশ্চয়তা না পেয়ে ওই দিন স্বাক্ষর করেনি এনসিপি। দলটিকে সনদে স্বাক্ষর করাতে সরকার ও কমিশন কয়েক দফা অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেও সমাধান হয়নি। এর মধ্যে আজ কমিশনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসেছে এনসিপি।
এদিকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নির্ধারণে কমিশন কয়েক দফা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। আজই সরকারকে সনদ বাস্তবায়নের চূড়ান্ত রূপরেখা-সংবলিত সুপারিশ জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।

দশম জাতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আবারও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে জাতীয় পার্টিতে (জাপা)। সম্মেলনের আয়োজন, চেয়ারম্যানের ক্ষমতা কমানো, আর্থিক স্বচ্ছতা আনাসহ নানা ইস্যুতে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন দলটির প্রথম সারির নেতারা।
০৫ জুলাই ২০২৫
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো আড়ালের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেছেন, কিছু রাজনৈতিক শক্তি জুলাই সনদের মূল অর্জনগুলোকে শুধু ‘কাগুজে দলিলে’ পরিণত করার প্রবণতা দেখাচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে
‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধিত প্রস্তাব থেকে সরে এলে, সরকার লন্ডনের বৈঠকের ধারাবাহিকতায় বিএনপির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হবে।’
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধিদল। আজ শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধিদল। আজ শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রতিনিধিদলে থাকবেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
সাক্ষাৎকালে এনসিপির প্রতিনিধিদল জুলাই সনদের বাস্তবায়ন আদেশ, আইনি ভিত্তিসহ সনদের নানা বিষয়ে আলোচনা করবে বলে জানা গেছে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধিদল। আজ শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রতিনিধিদলে থাকবেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
সাক্ষাৎকালে এনসিপির প্রতিনিধিদল জুলাই সনদের বাস্তবায়ন আদেশ, আইনি ভিত্তিসহ সনদের নানা বিষয়ে আলোচনা করবে বলে জানা গেছে।

দশম জাতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আবারও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে জাতীয় পার্টিতে (জাপা)। সম্মেলনের আয়োজন, চেয়ারম্যানের ক্ষমতা কমানো, আর্থিক স্বচ্ছতা আনাসহ নানা ইস্যুতে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন দলটির প্রথম সারির নেতারা।
০৫ জুলাই ২০২৫
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো আড়ালের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেছেন, কিছু রাজনৈতিক শক্তি জুলাই সনদের মূল অর্জনগুলোকে শুধু ‘কাগুজে দলিলে’ পরিণত করার প্রবণতা দেখাচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে
‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধিত প্রস্তাব থেকে সরে এলে, সরকার লন্ডনের বৈঠকের ধারাবাহিকতায় বিএনপির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হবে।’
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শনিবার সকাল ১০টার পরে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিদলে রয়েছেন সদস্যসচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
৭ ঘণ্টা আগে