ঢাবি সংবাদদাতা
নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহ্রীরের প্রকাশ্য কর্মসূচির মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টা হচ্ছে। তাদের কার্যক্রম ঠেকাতে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর ব্যর্থতার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশ করে সংগঠনটি।
সমাবেশে সংগঠনটির নেতারা দেশে যেকোনো ধরনের জঙ্গিবাদ এবং উগ্রবাদকে রুখে দিতে প্রস্তুত আছেন বলে ঘোষণা দেন। পাশাপাশি হিযবুত তাহ্রীরের ‘মার্চ ফর খেলাফত’ কর্মসূচিতে যারা অংশ নিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
সমাবেশে কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব জাহিদ আহসান বলেন, ‘নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহ্রীর আজ যে মিছিল করেছে, তার প্রচার-প্রচারণা অনেক আগে থেকেই চালানো হয়েছে। তারা নানা জায়গায় পোস্টার লাগিয়ে প্রচারণা চালিয়েছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আগে থেকে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আজকের মিছিলের সময়ও পুলিশকে হেলেদুলে হাঁটতে দেখা গেছে। অন্য সময় পুলিশ নিরীহ শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালাতে পারে কিন্তু আজ এখানে নীরব ভূমিকা পালন করেছে।’
জাহিদ বলেন, ‘অনেক দিন ধরে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ যাচ্ছে। এর জন্য সরকার, পুলিশ প্রশাসন এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দায়ী। তাদের বলতে চাই, আমরা যারা জুলাই অতিক্রম করে এসেছি তারা কখনো মাথা নোয়াব না।’
জাহিদ আরও বলেন, হিযবুত তাহ্রীরের সঙ্গে বাংলাদেশের মুসলমানদের কোনো সম্পর্ক নেই। এ সংগঠন অপতৎপরতার মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বিনষ্ট করতে চায়। একবিন্দু রক্ত থাকতে ছাত্র-জনতা আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনাকে সুযোগ করে দেয়—এমন কোনো কর্মকাণ্ড দেশে পরিচালনা করতে দেবে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ। যে বাক্স্বাধীনতার জন্য আমরা লড়েছি, উগ্রবাদী গোষ্ঠী তার অপব্যবহার করছে। হাসিনা ভারতে বসে বলছে, এ দেশ জঙ্গিবাদের দখলে। হাসিনার সে মিথ্যা ভাষ্যকে বাস্তবে রূপ দিতে এ জঙ্গিরা কাজ করে যাচ্ছে। যারা হাসিনার অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ ঘোষণা করছি।’
কাদের বলেন, ‘হিযবুত তাহ্রীর কী চায়, কেন চায়, তা স্পষ্ট নয়। তাদের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের মডেল কিংবা উদ্দেশ্য কোনোটিই পরিষ্কার নয়। আপনারা এ উগ্রবাদের পাল্লায় পড়ে কারও ঘুঁটি হবেন না।’
আজকে যারা মিছিল করেছে, তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে কাদের বলেন, অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে যারা আজকের মিছিলে অংশ নিয়েছে, তাদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে হবে। তাদের যারা মদদ দিয়েছে, তাদেরও শনাক্ত করতে হবে।
কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক তাহমিদ আল মুদাসসির চৌধুরী বলেন, ‘এত শহীদের রক্তের বিনিময়ে দেশকে মুক্ত করেছি জঙ্গিবাদের আখড়া বানানোর জন্য নয়। আমরা কখনো তা হতে দিইনি, দেবও না।’ জঙ্গিবাদ যেন কোনোভাবে মাথাচাড়া দিতে না পারে, সে বিষয়ে তিনি দেশের সবাইকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
তাহমিদ আরও বলেন, ‘আজকে আমরা দেখতে পেয়েছি পুলিশ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জঙ্গিদের সুযোগ করে দিয়েছে। পুলিশের আচরণে মনে হচ্ছিল, এ গোষ্ঠী সামাজিক কোনো সমস্যার সমাধান চেয়ে আন্দোলন করছিল। এসব নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও কোনো সদিচ্ছা দেখা যায়নি। তাদের এমন আচরণের কারণ কী, তার জবাব স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে দিতে হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার মুখ্য সংগঠক হাসিবুল ইসলাম বলেন, নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনগুলো কয়েক দিন ধরে নানা তৎপরতা চালাচ্ছে। তারা বায়তুল মোকাররমের মতো পবিত্র স্থানে উগ্রবাদের মিছিল দিয়েছে। তারা যদি বিদেশি প্রেসক্রিপশনে এটি করে থাকে তবে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা এর দাঁতভাঙা জবাব দেবে।’
এ সময় ‘উগ্রবাদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘সন্ত্রাসবাদ নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ ইত্যাদি স্লোগান দেন তাঁরা।
নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহ্রীরের প্রকাশ্য কর্মসূচির মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টা হচ্ছে। তাদের কার্যক্রম ঠেকাতে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর ব্যর্থতার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশ করে সংগঠনটি।
সমাবেশে সংগঠনটির নেতারা দেশে যেকোনো ধরনের জঙ্গিবাদ এবং উগ্রবাদকে রুখে দিতে প্রস্তুত আছেন বলে ঘোষণা দেন। পাশাপাশি হিযবুত তাহ্রীরের ‘মার্চ ফর খেলাফত’ কর্মসূচিতে যারা অংশ নিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
সমাবেশে কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব জাহিদ আহসান বলেন, ‘নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহ্রীর আজ যে মিছিল করেছে, তার প্রচার-প্রচারণা অনেক আগে থেকেই চালানো হয়েছে। তারা নানা জায়গায় পোস্টার লাগিয়ে প্রচারণা চালিয়েছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আগে থেকে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আজকের মিছিলের সময়ও পুলিশকে হেলেদুলে হাঁটতে দেখা গেছে। অন্য সময় পুলিশ নিরীহ শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালাতে পারে কিন্তু আজ এখানে নীরব ভূমিকা পালন করেছে।’
জাহিদ বলেন, ‘অনেক দিন ধরে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ যাচ্ছে। এর জন্য সরকার, পুলিশ প্রশাসন এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দায়ী। তাদের বলতে চাই, আমরা যারা জুলাই অতিক্রম করে এসেছি তারা কখনো মাথা নোয়াব না।’
জাহিদ আরও বলেন, হিযবুত তাহ্রীরের সঙ্গে বাংলাদেশের মুসলমানদের কোনো সম্পর্ক নেই। এ সংগঠন অপতৎপরতার মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বিনষ্ট করতে চায়। একবিন্দু রক্ত থাকতে ছাত্র-জনতা আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনাকে সুযোগ করে দেয়—এমন কোনো কর্মকাণ্ড দেশে পরিচালনা করতে দেবে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ। যে বাক্স্বাধীনতার জন্য আমরা লড়েছি, উগ্রবাদী গোষ্ঠী তার অপব্যবহার করছে। হাসিনা ভারতে বসে বলছে, এ দেশ জঙ্গিবাদের দখলে। হাসিনার সে মিথ্যা ভাষ্যকে বাস্তবে রূপ দিতে এ জঙ্গিরা কাজ করে যাচ্ছে। যারা হাসিনার অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ ঘোষণা করছি।’
কাদের বলেন, ‘হিযবুত তাহ্রীর কী চায়, কেন চায়, তা স্পষ্ট নয়। তাদের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের মডেল কিংবা উদ্দেশ্য কোনোটিই পরিষ্কার নয়। আপনারা এ উগ্রবাদের পাল্লায় পড়ে কারও ঘুঁটি হবেন না।’
আজকে যারা মিছিল করেছে, তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে কাদের বলেন, অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে যারা আজকের মিছিলে অংশ নিয়েছে, তাদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে হবে। তাদের যারা মদদ দিয়েছে, তাদেরও শনাক্ত করতে হবে।
কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক তাহমিদ আল মুদাসসির চৌধুরী বলেন, ‘এত শহীদের রক্তের বিনিময়ে দেশকে মুক্ত করেছি জঙ্গিবাদের আখড়া বানানোর জন্য নয়। আমরা কখনো তা হতে দিইনি, দেবও না।’ জঙ্গিবাদ যেন কোনোভাবে মাথাচাড়া দিতে না পারে, সে বিষয়ে তিনি দেশের সবাইকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
তাহমিদ আরও বলেন, ‘আজকে আমরা দেখতে পেয়েছি পুলিশ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জঙ্গিদের সুযোগ করে দিয়েছে। পুলিশের আচরণে মনে হচ্ছিল, এ গোষ্ঠী সামাজিক কোনো সমস্যার সমাধান চেয়ে আন্দোলন করছিল। এসব নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও কোনো সদিচ্ছা দেখা যায়নি। তাদের এমন আচরণের কারণ কী, তার জবাব স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে দিতে হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার মুখ্য সংগঠক হাসিবুল ইসলাম বলেন, নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনগুলো কয়েক দিন ধরে নানা তৎপরতা চালাচ্ছে। তারা বায়তুল মোকাররমের মতো পবিত্র স্থানে উগ্রবাদের মিছিল দিয়েছে। তারা যদি বিদেশি প্রেসক্রিপশনে এটি করে থাকে তবে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা এর দাঁতভাঙা জবাব দেবে।’
এ সময় ‘উগ্রবাদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘সন্ত্রাসবাদ নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ ইত্যাদি স্লোগান দেন তাঁরা।
আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘আমরা কিন্তু একটু শঙ্কিত ছিলাম। কারণ, আমাদের কাছে নানা রকম তথ্য ছিল, আমরা শুনেছি যে, হঠাৎ করে এই জুলাই সনদ স্বাক্ষরের জন্য একটা শঙ্কা তৈরি হয়েছিল, এর ভিত্তিতে আজকে এই মিটিংটা হয়েছে। পরে আমরা দেখলাম যে, না, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা...
৩ ঘণ্টা আগে‘আপনার প্রতি আমাদের সীমাহীন সমর্থন নয়, আমাদের সীমারেখা আছে। আমরা গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য এই সীমারেখার মধ্যে আপনাকে সমর্থন দিচ্ছি। আপনি দয়া করে এটা অনুধাবন করার চেষ্টা করবেন।’
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, গণভোট আর জাতীয় নির্বাচন আলাদা বিষয়; এক দিনে করার প্রস্তাব উদ্ভট আলোচনা। জুলাই সনদ বাস্তবায়নে নভেম্বরে গণভোট দিতে হবে। আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা শেষে তিনি সাংবাদিকদ
৪ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদের সঙ্গে সাংবিধানিক সংস্কার পরিষদ নিয়ে প্রস্তাব ফের তুলেছে গণসংহতি আন্দোলন। আজ বুধবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভা থেকে বের হয়ে দলটির প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, জুলাই জাতীয় সনদ ওভার-অল ঐকমত্য, নোট অব ডিসেন্টসহ এর বাস্তবায়নের পদ্ধতিসহ একটা হ্যাঁ বা না ভোটের মধ্য দিয়ে যাবে। তাহলে এই দুটো
৪ ঘণ্টা আগে