ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, ‘তিন তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশের উন্নয়নের প্রতীক বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। আমরা তাঁর মুক্তির জন্য আন্দোলন করে আসছি, কিন্তু তাতে সরকারের টনক নড়ছে না। আমরা খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আরেকটি যুদ্ধ করতে চাই; আমাদের পরিষ্কার কথা আন্দোলনের মাধ্যমে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনব। আমাদের নেত্রীকে আর কারাগারে আবদ্ধ থাকতে দেব না।’
আজ সোমবার বিকেলে ময়মনসিংহে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। লড়াই করেছিল দেশের মানুষ। তাই বলতে চাই, খালেদা জিয়ার মুক্তির লড়াই হবে আরেকটি যুদ্ধ। কারণ আজ দেশ পরাধীন হতে চলছে, দেশের স্বাধীনতা আজ প্রশ্নবিদ্ধ।’
সেলিমা রহমান বলেন, ‘দেশনেত্রী মানেই আমাদের জনগণের মুক্তি, দেশের স্বাধীনতা রক্ষার মুক্তি। এই আন্দোলনের মধ্যে আমাদের যদি আবার লড়াই করতে হয় নতুন করে লড়াই করব। বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকারের কোনো জবাবদিহি নাই। প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে জোর করে আরেকটি দেশের সহায়তায় ক্ষমতা দখল করে আছে। দেশের মানুষের বুকে পা দিয়ে একের পর এক উন্নয়নের নামে কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। প্রশাসন-পুলিশ সবাইকে দুর্নীতিবাজ করে তাদের কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে।’
সেলিমা রহমান আরও বলেন, দেশের মানুষকে নির্যাতন করে সার্বভৌমত্ব নষ্ট করছে। আপনারা দেখেছেন সম্প্রতি আমাদের প্রধানমন্ত্রী দুইবার ভারতে ছুটে গেছেন। সেখানে গিয়ে তিনি কি করেছেন? তার বোধ হয় চুক্তি ছিল ক্ষমতায় বসানোর, বাংলাদেশের সবকিছু দিয়ে দিক তাদের। তাই অসম চুক্তি করে দেশকে নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে, দেশের স্বার্থের বাইরে দেশকে অন্য দেশের দাশে পরিণত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আপনারা দেশের সেই জনগণ, যারা স্বাধীনতার সময় স্বামী হারিয়েছেন, সন্তান হারিয়েছেন। আমাদের রক্ত দিয়ে অর্জিত স্বাধীনতা কখনো ধ্বংস হতে দেব না।’
সোমবার বিকেলে নগরীর হরি কিশোর রায় রোডের বিএনপি কার্যালয়ের সামনের সড়কে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে উত্তর-দক্ষিণ ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ওয়ারেস আলী মামুন, বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. মাহাবুবুর রহমান লিটন ও উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলু।
সমাবেশ সঞ্চালনা করেন ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর মাহমুদ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর প্রথমবারের মতো নগরীতে বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে চাঙা ভাব দেখা যায়। নেতা–কর্মীরা বৃষ্টি উপেক্ষা করে মিছিলে মিছিলে যোগ দেন সমাবেশে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, ‘তিন তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশের উন্নয়নের প্রতীক বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। আমরা তাঁর মুক্তির জন্য আন্দোলন করে আসছি, কিন্তু তাতে সরকারের টনক নড়ছে না। আমরা খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আরেকটি যুদ্ধ করতে চাই; আমাদের পরিষ্কার কথা আন্দোলনের মাধ্যমে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনব। আমাদের নেত্রীকে আর কারাগারে আবদ্ধ থাকতে দেব না।’
আজ সোমবার বিকেলে ময়মনসিংহে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। লড়াই করেছিল দেশের মানুষ। তাই বলতে চাই, খালেদা জিয়ার মুক্তির লড়াই হবে আরেকটি যুদ্ধ। কারণ আজ দেশ পরাধীন হতে চলছে, দেশের স্বাধীনতা আজ প্রশ্নবিদ্ধ।’
সেলিমা রহমান বলেন, ‘দেশনেত্রী মানেই আমাদের জনগণের মুক্তি, দেশের স্বাধীনতা রক্ষার মুক্তি। এই আন্দোলনের মধ্যে আমাদের যদি আবার লড়াই করতে হয় নতুন করে লড়াই করব। বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকারের কোনো জবাবদিহি নাই। প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে জোর করে আরেকটি দেশের সহায়তায় ক্ষমতা দখল করে আছে। দেশের মানুষের বুকে পা দিয়ে একের পর এক উন্নয়নের নামে কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। প্রশাসন-পুলিশ সবাইকে দুর্নীতিবাজ করে তাদের কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে।’
সেলিমা রহমান আরও বলেন, দেশের মানুষকে নির্যাতন করে সার্বভৌমত্ব নষ্ট করছে। আপনারা দেখেছেন সম্প্রতি আমাদের প্রধানমন্ত্রী দুইবার ভারতে ছুটে গেছেন। সেখানে গিয়ে তিনি কি করেছেন? তার বোধ হয় চুক্তি ছিল ক্ষমতায় বসানোর, বাংলাদেশের সবকিছু দিয়ে দিক তাদের। তাই অসম চুক্তি করে দেশকে নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে, দেশের স্বার্থের বাইরে দেশকে অন্য দেশের দাশে পরিণত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আপনারা দেশের সেই জনগণ, যারা স্বাধীনতার সময় স্বামী হারিয়েছেন, সন্তান হারিয়েছেন। আমাদের রক্ত দিয়ে অর্জিত স্বাধীনতা কখনো ধ্বংস হতে দেব না।’
সোমবার বিকেলে নগরীর হরি কিশোর রায় রোডের বিএনপি কার্যালয়ের সামনের সড়কে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে উত্তর-দক্ষিণ ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ওয়ারেস আলী মামুন, বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. মাহাবুবুর রহমান লিটন ও উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলু।
সমাবেশ সঞ্চালনা করেন ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর মাহমুদ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর প্রথমবারের মতো নগরীতে বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে চাঙা ভাব দেখা যায়। নেতা–কর্মীরা বৃষ্টি উপেক্ষা করে মিছিলে মিছিলে যোগ দেন সমাবেশে।

২০২৪ সালে ও তার আগে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য আওয়ামী লীগের মতোই ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা, ধর্ষণ ও নারকীয় হত্যাযজ্ঞের দায়ে জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও দলের কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
৯ মিনিট আগে
বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ী গণভোটের কোনো বিধান নেই, মন্তব্য করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি সাজ্জাদ জহির চন্দন বলেছেন, এই মুহূর্তে গণভোট সংবিধানসম্মত নয়। আজ শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে এক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে গণভোটের প্রয়োজন ছিল না। এরপরও বিএনপি এতে রাজি হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের দিনই সেটি আয়োজনেরও দাবি জানিয়েছে দলটি। অথচ এরপরও বলা হচ্ছে বিএনপি নির্বাচন পেছানোর কথা বলছে।
২ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বা আরপিও সংশোধনের সিদ্ধান্ত একটি দলের অযৌক্তিক দাবির কাছে নতি স্বীকারের শামিল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। আজ শনিবার (১ নভেম্বর) গণমাধ্যমকে পাঠানো প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায়...
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২৪ সালে ও তার আগে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য আওয়ামী লীগের মতোই ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা, ধর্ষণ ও নারকীয় হত্যাযজ্ঞের দায়ে জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও দলের কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত ‘স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অপরিহার্য’ শীর্ষক মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে এ দাবি জানান তিনি। অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
আলাল বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি তোলা উচিত, চব্বিশ এবং আগের গণহত্যা, নির্মম নির্যাতন–নিপীড়ন, ভোটাধিকার হরণ—এসবের জন্য যদি আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হতে পারে, তাহলে একাত্তরে গণহত্যা, ধর্ষণ, নারকীয় হত্যাযজ্ঞের কারণে জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করতে হবে, তাদের কার্যক্রমকেও নিষিদ্ধ করতে হবে। একই অপরাধে দুই রকমের বিচার হতে পারে না। প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে আজকের এই কথাটা বলতে চাই।’
তিনি বলেন, যদি আওয়ামী লীগের মতো একই ধরনের অপরাধে জামায়াতের বিচার না হয়, তাহলে সেটা হবে ইতিহাসের প্রতি অবিচার।
এই বিএনপি নেতা দাবি করেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে বিএনপিই একমাত্র শক্তি। অথচ এই শক্তিকেই দুর্বল করার ষড়যন্ত্র চলছে। সরকার নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে নির্বাচনের নামে প্রক্রিয়া চালালেও জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা কেড়ে নিচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার মনে করেছে, দেশের সব অনাচারের মূলে সংবিধান। কিন্তু সমস্যার মূল সংবিধান নয়— ক্ষমতার অপব্যবহার ও জনগণের ভোটাধিকার হরণ। শেখ হাসিনার ১৬–১৭ বছরের শাসনে এই অন্যায়, নির্যাতন, দুর্নীতি ও অর্থপাচারই হয়েছে সবচেয়ে বড় বাস্তবতা।
জামায়াত প্রসঙ্গে আলাল আরও বলেন, আজকে জামায়াত তাদের পোশাক-চেহারা, আচরণ পাল্টে নতুন রূপে হাজির হয়েছে। তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে বৈঠক করছে, কিন্তু মূল উদ্দেশ্য বিএনপিকে আক্রমণ করা। এই বহুরূপীদের চেহারা জনগণ চিনে ফেলেছে।
জামায়াতের জন্য ভালো খবরও আছে মন্তব্য করে তিনি একটি গল্পের অবতারণা করে বলেন, ‘মুরগির বাচ্চারা মুরগিকে দুঃখ করে বলছে, মা মানুষের এত সুন্দর সুন্দর নাম। আমাদের তো কোনো নাম হয় না কেন, আমরা এতগুলো বাচ্চা তোমার? উত্তরে মুরগি বলছে, না না তোমাদেরও নাম হয়। বাচ্চারা বলে, কোথায় নাম হয়? মা বলে, তোমরা মারা গেলে পরে তোমাদের নাম হয় চিকেন বিরিয়ানি, চিকেন রোস্ট, চিকেন বার্গার, চিকেন তন্দুরি— দেখ কত সুন্দর সুন্দর নাম!’
আলাল বলেন, ‘জামায়াতও মরার পরে জামায়াতের নাম হবে, তার আগে হবে না। এদেশের মানুষ তাদেরকে গ্রহণ করবে না। পঁচাত্তরের চেতনা আমাদেরকে সেটাই শিখিয়েছে। স্বাধীনতার পক্ষের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের এবং মুক্তিযুদ্ধের মূল যে ধারণা, মূল যে রূপরেখা, সেটা হৃদয়ে লালন করে শহীদ জিয়াউর রহমান বীরোত্তম, তাঁর নেতৃত্বে হয়েছে পঁচাত্তরের ৭ই নভেম্বর।’

২০২৪ সালে ও তার আগে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য আওয়ামী লীগের মতোই ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা, ধর্ষণ ও নারকীয় হত্যাযজ্ঞের দায়ে জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও দলের কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত ‘স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অপরিহার্য’ শীর্ষক মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে এ দাবি জানান তিনি। অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
আলাল বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি তোলা উচিত, চব্বিশ এবং আগের গণহত্যা, নির্মম নির্যাতন–নিপীড়ন, ভোটাধিকার হরণ—এসবের জন্য যদি আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হতে পারে, তাহলে একাত্তরে গণহত্যা, ধর্ষণ, নারকীয় হত্যাযজ্ঞের কারণে জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করতে হবে, তাদের কার্যক্রমকেও নিষিদ্ধ করতে হবে। একই অপরাধে দুই রকমের বিচার হতে পারে না। প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে আজকের এই কথাটা বলতে চাই।’
তিনি বলেন, যদি আওয়ামী লীগের মতো একই ধরনের অপরাধে জামায়াতের বিচার না হয়, তাহলে সেটা হবে ইতিহাসের প্রতি অবিচার।
এই বিএনপি নেতা দাবি করেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে বিএনপিই একমাত্র শক্তি। অথচ এই শক্তিকেই দুর্বল করার ষড়যন্ত্র চলছে। সরকার নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে নির্বাচনের নামে প্রক্রিয়া চালালেও জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা কেড়ে নিচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার মনে করেছে, দেশের সব অনাচারের মূলে সংবিধান। কিন্তু সমস্যার মূল সংবিধান নয়— ক্ষমতার অপব্যবহার ও জনগণের ভোটাধিকার হরণ। শেখ হাসিনার ১৬–১৭ বছরের শাসনে এই অন্যায়, নির্যাতন, দুর্নীতি ও অর্থপাচারই হয়েছে সবচেয়ে বড় বাস্তবতা।
জামায়াত প্রসঙ্গে আলাল আরও বলেন, আজকে জামায়াত তাদের পোশাক-চেহারা, আচরণ পাল্টে নতুন রূপে হাজির হয়েছে। তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে বৈঠক করছে, কিন্তু মূল উদ্দেশ্য বিএনপিকে আক্রমণ করা। এই বহুরূপীদের চেহারা জনগণ চিনে ফেলেছে।
জামায়াতের জন্য ভালো খবরও আছে মন্তব্য করে তিনি একটি গল্পের অবতারণা করে বলেন, ‘মুরগির বাচ্চারা মুরগিকে দুঃখ করে বলছে, মা মানুষের এত সুন্দর সুন্দর নাম। আমাদের তো কোনো নাম হয় না কেন, আমরা এতগুলো বাচ্চা তোমার? উত্তরে মুরগি বলছে, না না তোমাদেরও নাম হয়। বাচ্চারা বলে, কোথায় নাম হয়? মা বলে, তোমরা মারা গেলে পরে তোমাদের নাম হয় চিকেন বিরিয়ানি, চিকেন রোস্ট, চিকেন বার্গার, চিকেন তন্দুরি— দেখ কত সুন্দর সুন্দর নাম!’
আলাল বলেন, ‘জামায়াতও মরার পরে জামায়াতের নাম হবে, তার আগে হবে না। এদেশের মানুষ তাদেরকে গ্রহণ করবে না। পঁচাত্তরের চেতনা আমাদেরকে সেটাই শিখিয়েছে। স্বাধীনতার পক্ষের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের এবং মুক্তিযুদ্ধের মূল যে ধারণা, মূল যে রূপরেখা, সেটা হৃদয়ে লালন করে শহীদ জিয়াউর রহমান বীরোত্তম, তাঁর নেতৃত্বে হয়েছে পঁচাত্তরের ৭ই নভেম্বর।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, ‘তিন তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশের উন্নয়নের প্রতীক বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। আমরা তাঁর মুক্তির জন্য আন্দোলন করে আসছি, কিন্তু তাতে সরকারের টনক নড়ছে না। আমরা খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আরেকটি যুদ্ধ করতে চাই; আমাদের পরিষ্কার কথা আন্
০১ জুলাই ২০২৪
বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ী গণভোটের কোনো বিধান নেই, মন্তব্য করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি সাজ্জাদ জহির চন্দন বলেছেন, এই মুহূর্তে গণভোট সংবিধানসম্মত নয়। আজ শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে এক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে গণভোটের প্রয়োজন ছিল না। এরপরও বিএনপি এতে রাজি হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের দিনই সেটি আয়োজনেরও দাবি জানিয়েছে দলটি। অথচ এরপরও বলা হচ্ছে বিএনপি নির্বাচন পেছানোর কথা বলছে।
২ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বা আরপিও সংশোধনের সিদ্ধান্ত একটি দলের অযৌক্তিক দাবির কাছে নতি স্বীকারের শামিল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। আজ শনিবার (১ নভেম্বর) গণমাধ্যমকে পাঠানো প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায়...
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ী গণভোটের কোনো বিধান নেই মন্তব্য করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি সাজ্জাদ জহির চন্দন বলেছেন, এই মুহূর্তে গণভোট সংবিধানসম্মত নয়।
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে জার্মান ফাউন্ডেশন ফ্রেডরিখ এবার্ট স্টিফটুং (এফইএস)-এর সহযোগিতায় ‘পলিটিকস ল্যাব’ শিরোনামে চলমান চার পর্বের ধারাবাহিক কর্মশালার শেষ দিনে আয়োজিত ‘পলিটিকস ল্যাব: পাবলিক ডায়ালগ’ শীর্ষক সংলাপে এ কথা বলেন তিনি। এ সংলাপের আয়োজন করে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)।
সাজ্জাদ জহির চন্দন বলেন, ‘সংবিধানে কোথাও গণভোটের কোনো বিধান নেই। একটা আছে, যেটা ১৪২ ধারা। যেটা নির্বাচিত সংসদে যদি কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে মতভেদ তীব্রতর হয়, তাহলে সেই বিষয়ের ওপরে নির্বাচিত সংসদ জনগণের মতামত আহ্বান করতে পারে। কিন্তু এই মুহূর্তে গণভোট সংবিধানসম্মত নয়।’
আট মাস আলোচনার পর জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের পর পরিস্থিতি জটিলতার দিকে মোড় নেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আট মাস আলোচনার পর একটা অশ্বডিম্বের মতো একটা অবস্থা।’
এই সংকট তৈরির জন্য ঐকমত্য কমিশনকে দায়ী করে তিনি বলেন, ‘এটার সমাধানটা কী? এই গণভোটের সমাধানটা কী? জুলাই সনদ কীভাবে বাস্তবায়ন হবে? সে বিষয়ে কোনো দিকনির্দেশনা কিন্তু নেই। মানে এক ধরনের হাওয়ার ওপরে সবকিছু চলছে। এখানে ৮৪টা পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ২০টাতে একমত হয়েছে, বাকিগুলোতে একমত হয়নি। তাহলে কোন বিষয়ে ভোটটা হবে।’
সাজ্জাদ জহির চন্দন আরও বলেন, ‘আমরা দেখলাম জুলাই সনদে স্বাক্ষর হলো। এরপর সর্বশেষ সংস্কার কমিশন তারা আবার আরেকটা খেলা খেলল এখানে। দেখেন কী অবস্থা! তারা বলছে যে নোট অব ডিসেন্ট কিছুই থাকবে না। ভিন্নমত থাকবে না। আমার তো ভিন্নমত আছে, কেন থাকবে না?’

বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ী গণভোটের কোনো বিধান নেই মন্তব্য করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি সাজ্জাদ জহির চন্দন বলেছেন, এই মুহূর্তে গণভোট সংবিধানসম্মত নয়।
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে জার্মান ফাউন্ডেশন ফ্রেডরিখ এবার্ট স্টিফটুং (এফইএস)-এর সহযোগিতায় ‘পলিটিকস ল্যাব’ শিরোনামে চলমান চার পর্বের ধারাবাহিক কর্মশালার শেষ দিনে আয়োজিত ‘পলিটিকস ল্যাব: পাবলিক ডায়ালগ’ শীর্ষক সংলাপে এ কথা বলেন তিনি। এ সংলাপের আয়োজন করে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)।
সাজ্জাদ জহির চন্দন বলেন, ‘সংবিধানে কোথাও গণভোটের কোনো বিধান নেই। একটা আছে, যেটা ১৪২ ধারা। যেটা নির্বাচিত সংসদে যদি কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে মতভেদ তীব্রতর হয়, তাহলে সেই বিষয়ের ওপরে নির্বাচিত সংসদ জনগণের মতামত আহ্বান করতে পারে। কিন্তু এই মুহূর্তে গণভোট সংবিধানসম্মত নয়।’
আট মাস আলোচনার পর জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের পর পরিস্থিতি জটিলতার দিকে মোড় নেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আট মাস আলোচনার পর একটা অশ্বডিম্বের মতো একটা অবস্থা।’
এই সংকট তৈরির জন্য ঐকমত্য কমিশনকে দায়ী করে তিনি বলেন, ‘এটার সমাধানটা কী? এই গণভোটের সমাধানটা কী? জুলাই সনদ কীভাবে বাস্তবায়ন হবে? সে বিষয়ে কোনো দিকনির্দেশনা কিন্তু নেই। মানে এক ধরনের হাওয়ার ওপরে সবকিছু চলছে। এখানে ৮৪টা পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ২০টাতে একমত হয়েছে, বাকিগুলোতে একমত হয়নি। তাহলে কোন বিষয়ে ভোটটা হবে।’
সাজ্জাদ জহির চন্দন আরও বলেন, ‘আমরা দেখলাম জুলাই সনদে স্বাক্ষর হলো। এরপর সর্বশেষ সংস্কার কমিশন তারা আবার আরেকটা খেলা খেলল এখানে। দেখেন কী অবস্থা! তারা বলছে যে নোট অব ডিসেন্ট কিছুই থাকবে না। ভিন্নমত থাকবে না। আমার তো ভিন্নমত আছে, কেন থাকবে না?’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, ‘তিন তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশের উন্নয়নের প্রতীক বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। আমরা তাঁর মুক্তির জন্য আন্দোলন করে আসছি, কিন্তু তাতে সরকারের টনক নড়ছে না। আমরা খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আরেকটি যুদ্ধ করতে চাই; আমাদের পরিষ্কার কথা আন্
০১ জুলাই ২০২৪
২০২৪ সালে ও তার আগে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য আওয়ামী লীগের মতোই ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা, ধর্ষণ ও নারকীয় হত্যাযজ্ঞের দায়ে জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও দলের কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
৯ মিনিট আগে
জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে গণভোটের প্রয়োজন ছিল না। এরপরও বিএনপি এতে রাজি হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের দিনই সেটি আয়োজনেরও দাবি জানিয়েছে দলটি। অথচ এরপরও বলা হচ্ছে বিএনপি নির্বাচন পেছানোর কথা বলছে।
২ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বা আরপিও সংশোধনের সিদ্ধান্ত একটি দলের অযৌক্তিক দাবির কাছে নতি স্বীকারের শামিল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। আজ শনিবার (১ নভেম্বর) গণমাধ্যমকে পাঠানো প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায়...
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে গণভোটের প্রয়োজন ছিল না। এরপরও বিএনপি এতে রাজি হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের দিনই সেটি আয়োজনেরও দাবি জানিয়েছে দলটি। অথচ তারপরও বলা হচ্ছে বিএনপি নির্বাচন পেছানোর কথা বলছে।
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে ‘স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অপরিহার্য’ শীর্ষক মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সমাবেশ শেষে ৭ নভেম্বরের চেতনায় জাতীয় নির্বাচন অপরিহার্য উল্লেখ করে একটি মিছিল নিয়ে বিএনপির কার্যালয় নয়াপল্টনে এসে শেষ করেন।
সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের কোনো সুযোগ নেই। আমরা জাতীয় নির্বাচনের দিনই গণভোট করার কথা বলেছি।’
গণভোটের বিষয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘গণভোটের কথা বলা হয়েছে আমরা রাজি হয়েছি, ঠিক আছে। গণভোটের কোনো প্রয়োজন ছিল না, তারপরও রাজি হয়েছি ঠিক আছে, আমরা বলেছি যে নির্বাচনের দিনই গণভোট করতে হবে...কারণ, পৃথক গণভোট আয়োজনে খরচ আরও বেড়ে যাবে, হাজারো কোটি টাকার ওপর খরচ হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনের দিন দুটো ব্যালট থাকবে, একটি ব্যালটে গণভোটের কথা থাকবে, আরেকটি ব্যালটে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। এটা অত্যন্ত সুন্দর কথা, কিন্তু এটা না করে এখন আবার তারা গণভোট আগে হতে হবে, তারপর নির্বাচন হবে। এটা তো আপনারাই বলছেন, আমরা তো নির্বাচন পেছানোর কথা একবারও বলিনি, আমরা বারবার বলেছি নির্বাচনটা অতি দ্রুত করতে হবে। এই কথা বলে মানুষকে মিথ্যা কথা বলে প্রতারণা করবেন না।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে একটি মহল একাত্তরকে ভুলিয়ে দিতে চায়। কিন্তু সেটি করার সুযোগ নেই। কারণ, একাত্তরেই আমাদের জন্ম। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘অভ্যুত্থানের তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন হলে অপশক্তি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠারও সাহস পেত না। জুলাই সনদের কথা আজ যা বলা হচ্ছে, তা আমাদের ৩১ দফায় সব সংস্কারের কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে।’
পিআর পদ্ধতি নিয়ে নির্বাচিত সংসদ সিদ্ধান্ত নেবে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেছেন, ‘২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তখনই নির্বাচন হতে হবে, পিআর হবে কি হবে না—ওটা আগামী পার্লামেন্ট সিদ্ধান্ত নেবে।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘অত্যন্ত কঠিন একটি সময় আমরা পার করছি, এ সময়টা আমাদের জন্য একটা পরীক্ষা, এখানে কতটা ধৈর্য ধরে আমরা এ সময়টা পার করতে পারি, নির্বাচনটা করতে পারি, এখানে বিভিন্ন শক্তি...প্রধান উপদেষ্টা নিজেই বলেছেন যেকোনো সময় হামলা হতে পারে, উনি পরিষ্কার করে বলা উচিত ছিল হামলা কোত্থেকে আসবে, কারা করবে, বলা উচিত ছিল জাতিকে, জাতি প্রস্তুত আছে যেকোনো হামলার প্রতিরোধ করতে। বন্ধুগণ, এ কথাগুলো আমরা এই জন্যই বলছি যে হামলাটামলার ভয় দেখিয়ে এ দেশের মানুষকে কখনো পরাজিত করা যায় না। পরিষ্কার করে বলতে চাই, এ দেশের মানুষ গণতন্ত্র চাই, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চায়।’
সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত।

জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে গণভোটের প্রয়োজন ছিল না। এরপরও বিএনপি এতে রাজি হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের দিনই সেটি আয়োজনেরও দাবি জানিয়েছে দলটি। অথচ তারপরও বলা হচ্ছে বিএনপি নির্বাচন পেছানোর কথা বলছে।
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে ‘স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অপরিহার্য’ শীর্ষক মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সমাবেশ শেষে ৭ নভেম্বরের চেতনায় জাতীয় নির্বাচন অপরিহার্য উল্লেখ করে একটি মিছিল নিয়ে বিএনপির কার্যালয় নয়াপল্টনে এসে শেষ করেন।
সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের কোনো সুযোগ নেই। আমরা জাতীয় নির্বাচনের দিনই গণভোট করার কথা বলেছি।’
গণভোটের বিষয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘গণভোটের কথা বলা হয়েছে আমরা রাজি হয়েছি, ঠিক আছে। গণভোটের কোনো প্রয়োজন ছিল না, তারপরও রাজি হয়েছি ঠিক আছে, আমরা বলেছি যে নির্বাচনের দিনই গণভোট করতে হবে...কারণ, পৃথক গণভোট আয়োজনে খরচ আরও বেড়ে যাবে, হাজারো কোটি টাকার ওপর খরচ হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনের দিন দুটো ব্যালট থাকবে, একটি ব্যালটে গণভোটের কথা থাকবে, আরেকটি ব্যালটে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। এটা অত্যন্ত সুন্দর কথা, কিন্তু এটা না করে এখন আবার তারা গণভোট আগে হতে হবে, তারপর নির্বাচন হবে। এটা তো আপনারাই বলছেন, আমরা তো নির্বাচন পেছানোর কথা একবারও বলিনি, আমরা বারবার বলেছি নির্বাচনটা অতি দ্রুত করতে হবে। এই কথা বলে মানুষকে মিথ্যা কথা বলে প্রতারণা করবেন না।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে একটি মহল একাত্তরকে ভুলিয়ে দিতে চায়। কিন্তু সেটি করার সুযোগ নেই। কারণ, একাত্তরেই আমাদের জন্ম। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘অভ্যুত্থানের তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন হলে অপশক্তি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠারও সাহস পেত না। জুলাই সনদের কথা আজ যা বলা হচ্ছে, তা আমাদের ৩১ দফায় সব সংস্কারের কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে।’
পিআর পদ্ধতি নিয়ে নির্বাচিত সংসদ সিদ্ধান্ত নেবে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেছেন, ‘২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তখনই নির্বাচন হতে হবে, পিআর হবে কি হবে না—ওটা আগামী পার্লামেন্ট সিদ্ধান্ত নেবে।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘অত্যন্ত কঠিন একটি সময় আমরা পার করছি, এ সময়টা আমাদের জন্য একটা পরীক্ষা, এখানে কতটা ধৈর্য ধরে আমরা এ সময়টা পার করতে পারি, নির্বাচনটা করতে পারি, এখানে বিভিন্ন শক্তি...প্রধান উপদেষ্টা নিজেই বলেছেন যেকোনো সময় হামলা হতে পারে, উনি পরিষ্কার করে বলা উচিত ছিল হামলা কোত্থেকে আসবে, কারা করবে, বলা উচিত ছিল জাতিকে, জাতি প্রস্তুত আছে যেকোনো হামলার প্রতিরোধ করতে। বন্ধুগণ, এ কথাগুলো আমরা এই জন্যই বলছি যে হামলাটামলার ভয় দেখিয়ে এ দেশের মানুষকে কখনো পরাজিত করা যায় না। পরিষ্কার করে বলতে চাই, এ দেশের মানুষ গণতন্ত্র চাই, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চায়।’
সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, ‘তিন তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশের উন্নয়নের প্রতীক বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। আমরা তাঁর মুক্তির জন্য আন্দোলন করে আসছি, কিন্তু তাতে সরকারের টনক নড়ছে না। আমরা খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আরেকটি যুদ্ধ করতে চাই; আমাদের পরিষ্কার কথা আন্
০১ জুলাই ২০২৪
২০২৪ সালে ও তার আগে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য আওয়ামী লীগের মতোই ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা, ধর্ষণ ও নারকীয় হত্যাযজ্ঞের দায়ে জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও দলের কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
৯ মিনিট আগে
বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ী গণভোটের কোনো বিধান নেই, মন্তব্য করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি সাজ্জাদ জহির চন্দন বলেছেন, এই মুহূর্তে গণভোট সংবিধানসম্মত নয়। আজ শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে এক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
২ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বা আরপিও সংশোধনের সিদ্ধান্ত একটি দলের অযৌক্তিক দাবির কাছে নতি স্বীকারের শামিল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। আজ শনিবার (১ নভেম্বর) গণমাধ্যমকে পাঠানো প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায়...
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে এক ভিডিও বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। ওই বার্তায় তিনি নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বা আরপিও সংশোধনের সিদ্ধান্তে সরকারের নিরক্ষেপতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। পাশাপাশি নির্বাচনের প্রতীক ব্যবহার, জুলাই সনদের বিষয়েও কথা বলেছেন তিনি।
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) গণমাধ্যমকে পাঠানো ভিডিও বার্তায় আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘গত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এর আগের সপ্তাহে গৃহীত আরপিও সংশোধনের সিদ্ধান্ত একটি দলের অযৌক্তিক দাবির কাছে নতি স্বীকারের শামিল। এর মাধ্যমে সরকারের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।’
এই সরকারের কর্মকাণ্ড অতীতেও একটি বিশেষ দলের প্রতি আনুগত্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে—এমন অভিযোগ করে তাহের বলেন, প্রধান উপদেষ্টা লন্ডনে গিয়ে একটি দলের চাপে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ও সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তে পরিষদের পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত পরিবর্তন তারই উদাহরণ।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতীক ব্যবহারের বিষয়ে পরিষদের গৃহীত সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা সরকারের নিরপেক্ষতার ক্ষতি করেছে বলে মনে করেন এই জামায়াত নেতা। তিনি বলেন, ‘আমরা এই সিদ্ধান্ত মানি না এবং এর নিন্দা জানাই।’
জামায়াতের এই নায়েবে আমির বলেন, ‘ইতিপূর্বে নির্বাচন কমিশন ও উপদেষ্টা পরিষদ উভয়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, প্রতিটি দল নিজ নিজ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেবে। আমরা সেই সিদ্ধান্তের পক্ষেই আছি এবং জাতিও এর সঙ্গে একমত। তাই আমরা আগের সিদ্ধান্ত পুনর্বহালের দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় এর বিরুদ্ধে রাজপথে প্রতিবাদ হবে।’
সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে বিএনপি যে পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, তা একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত—মন্তব্য করে তাহের বলেন, ‘জনগণ ফেব্রুয়ারিতে একটি জাতীয় নির্বাচন চায়। নির্বাচনের ঠিক আগে এ ধরনের অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করা নির্বাচনপ্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করবে। আমরা আশা করি, প্রধান উপদেষ্টা কোনো চাপে নতি স্বীকার করবেন না।’
জামায়াত নেতা বলেন, ‘জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে যাওয়া মানে হবে নিজেরই সংস্কার কর্মসূচি পরিত্যাগ করা। প্রধান উপদেষ্টা নিজের পরিকল্পনাকে নিজ হাতে ধ্বংস করবেন, এটা জাতি বিশ্বাস করে না। আমরা আশা করি, প্রধান উপদেষ্টা দৃঢ় অবস্থান নেবেন, সংস্কার বাস্তবায়নে সঠিক ও সাহসী সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে এক ভিডিও বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। ওই বার্তায় তিনি নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বা আরপিও সংশোধনের সিদ্ধান্তে সরকারের নিরক্ষেপতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। পাশাপাশি নির্বাচনের প্রতীক ব্যবহার, জুলাই সনদের বিষয়েও কথা বলেছেন তিনি।
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) গণমাধ্যমকে পাঠানো ভিডিও বার্তায় আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘গত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এর আগের সপ্তাহে গৃহীত আরপিও সংশোধনের সিদ্ধান্ত একটি দলের অযৌক্তিক দাবির কাছে নতি স্বীকারের শামিল। এর মাধ্যমে সরকারের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।’
এই সরকারের কর্মকাণ্ড অতীতেও একটি বিশেষ দলের প্রতি আনুগত্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে—এমন অভিযোগ করে তাহের বলেন, প্রধান উপদেষ্টা লন্ডনে গিয়ে একটি দলের চাপে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ও সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তে পরিষদের পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত পরিবর্তন তারই উদাহরণ।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতীক ব্যবহারের বিষয়ে পরিষদের গৃহীত সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা সরকারের নিরপেক্ষতার ক্ষতি করেছে বলে মনে করেন এই জামায়াত নেতা। তিনি বলেন, ‘আমরা এই সিদ্ধান্ত মানি না এবং এর নিন্দা জানাই।’
জামায়াতের এই নায়েবে আমির বলেন, ‘ইতিপূর্বে নির্বাচন কমিশন ও উপদেষ্টা পরিষদ উভয়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, প্রতিটি দল নিজ নিজ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেবে। আমরা সেই সিদ্ধান্তের পক্ষেই আছি এবং জাতিও এর সঙ্গে একমত। তাই আমরা আগের সিদ্ধান্ত পুনর্বহালের দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় এর বিরুদ্ধে রাজপথে প্রতিবাদ হবে।’
সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে বিএনপি যে পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, তা একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত—মন্তব্য করে তাহের বলেন, ‘জনগণ ফেব্রুয়ারিতে একটি জাতীয় নির্বাচন চায়। নির্বাচনের ঠিক আগে এ ধরনের অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করা নির্বাচনপ্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করবে। আমরা আশা করি, প্রধান উপদেষ্টা কোনো চাপে নতি স্বীকার করবেন না।’
জামায়াত নেতা বলেন, ‘জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে যাওয়া মানে হবে নিজেরই সংস্কার কর্মসূচি পরিত্যাগ করা। প্রধান উপদেষ্টা নিজের পরিকল্পনাকে নিজ হাতে ধ্বংস করবেন, এটা জাতি বিশ্বাস করে না। আমরা আশা করি, প্রধান উপদেষ্টা দৃঢ় অবস্থান নেবেন, সংস্কার বাস্তবায়নে সঠিক ও সাহসী সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, ‘তিন তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশের উন্নয়নের প্রতীক বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। আমরা তাঁর মুক্তির জন্য আন্দোলন করে আসছি, কিন্তু তাতে সরকারের টনক নড়ছে না। আমরা খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আরেকটি যুদ্ধ করতে চাই; আমাদের পরিষ্কার কথা আন্
০১ জুলাই ২০২৪
২০২৪ সালে ও তার আগে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য আওয়ামী লীগের মতোই ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা, ধর্ষণ ও নারকীয় হত্যাযজ্ঞের দায়ে জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও দলের কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
৯ মিনিট আগে
বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ী গণভোটের কোনো বিধান নেই, মন্তব্য করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি সাজ্জাদ জহির চন্দন বলেছেন, এই মুহূর্তে গণভোট সংবিধানসম্মত নয়। আজ শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে এক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে গণভোটের প্রয়োজন ছিল না। এরপরও বিএনপি এতে রাজি হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের দিনই সেটি আয়োজনেরও দাবি জানিয়েছে দলটি। অথচ এরপরও বলা হচ্ছে বিএনপি নির্বাচন পেছানোর কথা বলছে।
২ ঘণ্টা আগে