জমির উদ্দিন, আনোয়ারা থেকে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্যের শুরুতেই চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বলেন, ‘দইজ্জার তল দিয়ে গাড়ি চলে (নদীর তল দিয়ে গাড়ি যাবে)। এটি আপনাদের জন্য উপহার।’ এই কথা বলেই মুখে হাসি শেখ হাসিনার।
কিন্তু বক্তব্যের শেষে প্রায় ১৫ সেকেন্ড নীরব থেকে বক্তব্য শেষে অংশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এক বোন ছাড়া আপনজন বলতে আমার কেউ বেঁচে নেই। সবাইকে তারা মেরে ফেলেছে। আপনারই আমার আপনজন। আমার জন্য দোয়া করবেন।’
আজ শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার কেইপিজেড মাঠে জনসভায় তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে দেশের, তথা দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম পানির নিচে দিয়ে যাওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী ২০ মিনিট বক্তব্য দেন। বক্তব্যে নিজের দুঃখকষ্ট ও পরিবার হারানোর বেদনা তুলে ধরেন। বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করার পাশাপাশি আগামী নির্বাচনে নিজের জন্যও ভোট চান।
জনগণের ভোট নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে উল্লেখ শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদেরকে ওই সমস্ত ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। খালেদা জিয়া ভোট চুরি করেছিল। এ কারণে তাদেরকে একবার ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছিল। আজকে আমার কাছে ওয়াদা করেন নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনারা আবার আমাকে জেতাবেন কি না?’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে, বাংলার মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের ব্যবস্থা করবেন। তাঁর সেই আদর্শ নিয়ে আমি এগিয়ে যাচ্ছি।’
এরপর প্রধানমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘ভাই-বোনেরা আমার। আমি তো সবই হারিয়েছি। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট আমার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করে। একই সাথে আমার মা, তিন ভাই...১০ বছরের ছোট ভাইকেও হত্যা করে। আমি আর ছোট বোন বিদেশে ছিলাম, তাই বেঁচে গিয়েছিলাম। ৬ বছর জিয়াউর রহমান আসতে দেয়নি। জোর করেই দেশে ফিরে আসি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে আপনাদের জন্য আমি একটি ছোট্ট উপহার নিয়ে এসেছি। এটি হলো টানেল। এখন দইজ্জার তল দিয়ে গাড়ি চলে। দক্ষিণ এশিয়ায় এত বড় আর টানেল নেই। আগামীকাল টানেল জনসাধারণ চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এখন ঢাকা থেকে কক্সবাজার যেতে চট্টগ্রামের ভেতরে ঢুকে যানজটে পড়তে হবে না। টানেলটি এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে। যা আমাদের উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে।’
খালেদা জিয়া ভোট চুরি করেছিলেন দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ কারণে তাদেরকে একবার ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছিল। আমরা বাবা-মা সব হারিয়েছি। দুই বোন বাইরে থাকায় বেঁচে গেছি। বাংলাদেশের যখন এসেছি তখন খুনিদের দল ক্ষমতায় ছিল। এখানে আসার পর অনেক বাধা পেয়েছি। আমাকে বারবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। আমার একটাই কাজ, দেশের মানুষের কল্যাণ করা। আর কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে বিবেচনা করে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হাতে নেওয়া হয়েছে। আমরা উন্নয়ন করছি, আর বিএনপি জ্বালাও-পোড়াও করছে। আমরা বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা দিচ্ছি। যাতে কোনো লোক যাতে কষ্ট না পায়। আজকে বিনা পয়সায় বই দেওয়া হচ্ছে। আমরা বৃত্তি-উপবৃত্তি দিচ্ছি। আজকে সকালের হাতে মোবাইল ফোন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষণা ২০০৮ সালে দিয়েছিলাম। আজকের সমস্ত বাংলাদেশে ডিজিটাল নেটওয়ার্ক আছে। সারা দেশে বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্প দিয়ে আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘২০১৮ সালে সরকারে এসে আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক দ্বারা অব্যাহত রেখেছে। যার কারণে বাংলাদেশে আজকে মানুষের ভাতের কষ্ট নেই। সবাই দুই বেলা খেতে পারছে। আমরা বিনা পয়সার ঘর করে দিচ্ছি। ১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ে যারা বাড়িঘর হারিয়েছে, তাদের জন্য আমরা কক্সবাজারে ফ্ল্যাট করে দিয়েছি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, বঙ্গবন্ধুর বাংলায় কেউ গৃহহীন থাকবে না। প্রত্যেক মানুষকে জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। আমাদের যুবসমাজের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। যারা বিদেশে যান, আমার অনুরোধ দালালকে টাকা দিয়ে যাবেন না। আমি কর্মসংস্থান ব্যাংক করে দিয়েছি। সেখান থেকে জামানত ছাড়া ঋণ পাবেন। লোকজনকে বিভিন্ন ভাষা শেখার জন্য আমরা সুযোগ করে দিয়েছি। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় এসে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ, এখন আবার গাজা ও ইসরাইল যুদ্ধ। এ কারণে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। তবে আমরা এক কোটি পরিবারকে কার্ড দিয়েছি। এটি দিয়ে তারা স্বল্পমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য নিতে পারছে। করোনার সময় আমরা বিনা মূল্যে টিকা দিয়েছি। পৃথিবীর অনেক ধনী দেশ দিতে পারেনি। আমরা দিয়েছি আপনারা যাতে সুরক্ষিত থাকেন। গ্রাম পর্যায়ের রাস্তাঘাট করে দিয়েছে। চট্টগ্রামের এত উন্নয়নের করেছি, এর আগে কেউ করেনি। বিএনপির কাজ মানুষ খুন, লুটপাট ও দুর্নীতি করা। খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাৎ করেছে। এ মামলায় যিনি সাজাপ্রাপ্ত। তার ছেলে তারেক রহমান বিভিন্ন মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে বিদেশে পালিয়ে আছে। সে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে মুচলেকা দিয়ে দেশ ছেড়েছিল।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্যের শুরুতেই চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বলেন, ‘দইজ্জার তল দিয়ে গাড়ি চলে (নদীর তল দিয়ে গাড়ি যাবে)। এটি আপনাদের জন্য উপহার।’ এই কথা বলেই মুখে হাসি শেখ হাসিনার।
কিন্তু বক্তব্যের শেষে প্রায় ১৫ সেকেন্ড নীরব থেকে বক্তব্য শেষে অংশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এক বোন ছাড়া আপনজন বলতে আমার কেউ বেঁচে নেই। সবাইকে তারা মেরে ফেলেছে। আপনারই আমার আপনজন। আমার জন্য দোয়া করবেন।’
আজ শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার কেইপিজেড মাঠে জনসভায় তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে দেশের, তথা দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম পানির নিচে দিয়ে যাওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী ২০ মিনিট বক্তব্য দেন। বক্তব্যে নিজের দুঃখকষ্ট ও পরিবার হারানোর বেদনা তুলে ধরেন। বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করার পাশাপাশি আগামী নির্বাচনে নিজের জন্যও ভোট চান।
জনগণের ভোট নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে উল্লেখ শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদেরকে ওই সমস্ত ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। খালেদা জিয়া ভোট চুরি করেছিল। এ কারণে তাদেরকে একবার ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছিল। আজকে আমার কাছে ওয়াদা করেন নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনারা আবার আমাকে জেতাবেন কি না?’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে, বাংলার মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের ব্যবস্থা করবেন। তাঁর সেই আদর্শ নিয়ে আমি এগিয়ে যাচ্ছি।’
এরপর প্রধানমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘ভাই-বোনেরা আমার। আমি তো সবই হারিয়েছি। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট আমার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করে। একই সাথে আমার মা, তিন ভাই...১০ বছরের ছোট ভাইকেও হত্যা করে। আমি আর ছোট বোন বিদেশে ছিলাম, তাই বেঁচে গিয়েছিলাম। ৬ বছর জিয়াউর রহমান আসতে দেয়নি। জোর করেই দেশে ফিরে আসি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে আপনাদের জন্য আমি একটি ছোট্ট উপহার নিয়ে এসেছি। এটি হলো টানেল। এখন দইজ্জার তল দিয়ে গাড়ি চলে। দক্ষিণ এশিয়ায় এত বড় আর টানেল নেই। আগামীকাল টানেল জনসাধারণ চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এখন ঢাকা থেকে কক্সবাজার যেতে চট্টগ্রামের ভেতরে ঢুকে যানজটে পড়তে হবে না। টানেলটি এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে। যা আমাদের উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে।’
খালেদা জিয়া ভোট চুরি করেছিলেন দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ কারণে তাদেরকে একবার ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছিল। আমরা বাবা-মা সব হারিয়েছি। দুই বোন বাইরে থাকায় বেঁচে গেছি। বাংলাদেশের যখন এসেছি তখন খুনিদের দল ক্ষমতায় ছিল। এখানে আসার পর অনেক বাধা পেয়েছি। আমাকে বারবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। আমার একটাই কাজ, দেশের মানুষের কল্যাণ করা। আর কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে বিবেচনা করে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হাতে নেওয়া হয়েছে। আমরা উন্নয়ন করছি, আর বিএনপি জ্বালাও-পোড়াও করছে। আমরা বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা দিচ্ছি। যাতে কোনো লোক যাতে কষ্ট না পায়। আজকে বিনা পয়সায় বই দেওয়া হচ্ছে। আমরা বৃত্তি-উপবৃত্তি দিচ্ছি। আজকে সকালের হাতে মোবাইল ফোন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষণা ২০০৮ সালে দিয়েছিলাম। আজকের সমস্ত বাংলাদেশে ডিজিটাল নেটওয়ার্ক আছে। সারা দেশে বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্প দিয়ে আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘২০১৮ সালে সরকারে এসে আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক দ্বারা অব্যাহত রেখেছে। যার কারণে বাংলাদেশে আজকে মানুষের ভাতের কষ্ট নেই। সবাই দুই বেলা খেতে পারছে। আমরা বিনা পয়সার ঘর করে দিচ্ছি। ১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ে যারা বাড়িঘর হারিয়েছে, তাদের জন্য আমরা কক্সবাজারে ফ্ল্যাট করে দিয়েছি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, বঙ্গবন্ধুর বাংলায় কেউ গৃহহীন থাকবে না। প্রত্যেক মানুষকে জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। আমাদের যুবসমাজের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। যারা বিদেশে যান, আমার অনুরোধ দালালকে টাকা দিয়ে যাবেন না। আমি কর্মসংস্থান ব্যাংক করে দিয়েছি। সেখান থেকে জামানত ছাড়া ঋণ পাবেন। লোকজনকে বিভিন্ন ভাষা শেখার জন্য আমরা সুযোগ করে দিয়েছি। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় এসে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ, এখন আবার গাজা ও ইসরাইল যুদ্ধ। এ কারণে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। তবে আমরা এক কোটি পরিবারকে কার্ড দিয়েছি। এটি দিয়ে তারা স্বল্পমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য নিতে পারছে। করোনার সময় আমরা বিনা মূল্যে টিকা দিয়েছি। পৃথিবীর অনেক ধনী দেশ দিতে পারেনি। আমরা দিয়েছি আপনারা যাতে সুরক্ষিত থাকেন। গ্রাম পর্যায়ের রাস্তাঘাট করে দিয়েছে। চট্টগ্রামের এত উন্নয়নের করেছি, এর আগে কেউ করেনি। বিএনপির কাজ মানুষ খুন, লুটপাট ও দুর্নীতি করা। খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাৎ করেছে। এ মামলায় যিনি সাজাপ্রাপ্ত। তার ছেলে তারেক রহমান বিভিন্ন মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে বিদেশে পালিয়ে আছে। সে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে মুচলেকা দিয়ে দেশ ছেড়েছিল।’
জমির উদ্দিন, আনোয়ারা থেকে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্যের শুরুতেই চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বলেন, ‘দইজ্জার তল দিয়ে গাড়ি চলে (নদীর তল দিয়ে গাড়ি যাবে)। এটি আপনাদের জন্য উপহার।’ এই কথা বলেই মুখে হাসি শেখ হাসিনার।
কিন্তু বক্তব্যের শেষে প্রায় ১৫ সেকেন্ড নীরব থেকে বক্তব্য শেষে অংশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এক বোন ছাড়া আপনজন বলতে আমার কেউ বেঁচে নেই। সবাইকে তারা মেরে ফেলেছে। আপনারই আমার আপনজন। আমার জন্য দোয়া করবেন।’
আজ শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার কেইপিজেড মাঠে জনসভায় তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে দেশের, তথা দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম পানির নিচে দিয়ে যাওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী ২০ মিনিট বক্তব্য দেন। বক্তব্যে নিজের দুঃখকষ্ট ও পরিবার হারানোর বেদনা তুলে ধরেন। বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করার পাশাপাশি আগামী নির্বাচনে নিজের জন্যও ভোট চান।
জনগণের ভোট নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে উল্লেখ শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদেরকে ওই সমস্ত ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। খালেদা জিয়া ভোট চুরি করেছিল। এ কারণে তাদেরকে একবার ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছিল। আজকে আমার কাছে ওয়াদা করেন নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনারা আবার আমাকে জেতাবেন কি না?’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে, বাংলার মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের ব্যবস্থা করবেন। তাঁর সেই আদর্শ নিয়ে আমি এগিয়ে যাচ্ছি।’
এরপর প্রধানমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘ভাই-বোনেরা আমার। আমি তো সবই হারিয়েছি। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট আমার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করে। একই সাথে আমার মা, তিন ভাই...১০ বছরের ছোট ভাইকেও হত্যা করে। আমি আর ছোট বোন বিদেশে ছিলাম, তাই বেঁচে গিয়েছিলাম। ৬ বছর জিয়াউর রহমান আসতে দেয়নি। জোর করেই দেশে ফিরে আসি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে আপনাদের জন্য আমি একটি ছোট্ট উপহার নিয়ে এসেছি। এটি হলো টানেল। এখন দইজ্জার তল দিয়ে গাড়ি চলে। দক্ষিণ এশিয়ায় এত বড় আর টানেল নেই। আগামীকাল টানেল জনসাধারণ চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এখন ঢাকা থেকে কক্সবাজার যেতে চট্টগ্রামের ভেতরে ঢুকে যানজটে পড়তে হবে না। টানেলটি এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে। যা আমাদের উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে।’
খালেদা জিয়া ভোট চুরি করেছিলেন দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ কারণে তাদেরকে একবার ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছিল। আমরা বাবা-মা সব হারিয়েছি। দুই বোন বাইরে থাকায় বেঁচে গেছি। বাংলাদেশের যখন এসেছি তখন খুনিদের দল ক্ষমতায় ছিল। এখানে আসার পর অনেক বাধা পেয়েছি। আমাকে বারবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। আমার একটাই কাজ, দেশের মানুষের কল্যাণ করা। আর কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে বিবেচনা করে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হাতে নেওয়া হয়েছে। আমরা উন্নয়ন করছি, আর বিএনপি জ্বালাও-পোড়াও করছে। আমরা বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা দিচ্ছি। যাতে কোনো লোক যাতে কষ্ট না পায়। আজকে বিনা পয়সায় বই দেওয়া হচ্ছে। আমরা বৃত্তি-উপবৃত্তি দিচ্ছি। আজকে সকালের হাতে মোবাইল ফোন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষণা ২০০৮ সালে দিয়েছিলাম। আজকের সমস্ত বাংলাদেশে ডিজিটাল নেটওয়ার্ক আছে। সারা দেশে বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্প দিয়ে আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘২০১৮ সালে সরকারে এসে আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক দ্বারা অব্যাহত রেখেছে। যার কারণে বাংলাদেশে আজকে মানুষের ভাতের কষ্ট নেই। সবাই দুই বেলা খেতে পারছে। আমরা বিনা পয়সার ঘর করে দিচ্ছি। ১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ে যারা বাড়িঘর হারিয়েছে, তাদের জন্য আমরা কক্সবাজারে ফ্ল্যাট করে দিয়েছি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, বঙ্গবন্ধুর বাংলায় কেউ গৃহহীন থাকবে না। প্রত্যেক মানুষকে জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। আমাদের যুবসমাজের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। যারা বিদেশে যান, আমার অনুরোধ দালালকে টাকা দিয়ে যাবেন না। আমি কর্মসংস্থান ব্যাংক করে দিয়েছি। সেখান থেকে জামানত ছাড়া ঋণ পাবেন। লোকজনকে বিভিন্ন ভাষা শেখার জন্য আমরা সুযোগ করে দিয়েছি। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় এসে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ, এখন আবার গাজা ও ইসরাইল যুদ্ধ। এ কারণে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। তবে আমরা এক কোটি পরিবারকে কার্ড দিয়েছি। এটি দিয়ে তারা স্বল্পমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য নিতে পারছে। করোনার সময় আমরা বিনা মূল্যে টিকা দিয়েছি। পৃথিবীর অনেক ধনী দেশ দিতে পারেনি। আমরা দিয়েছি আপনারা যাতে সুরক্ষিত থাকেন। গ্রাম পর্যায়ের রাস্তাঘাট করে দিয়েছে। চট্টগ্রামের এত উন্নয়নের করেছি, এর আগে কেউ করেনি। বিএনপির কাজ মানুষ খুন, লুটপাট ও দুর্নীতি করা। খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাৎ করেছে। এ মামলায় যিনি সাজাপ্রাপ্ত। তার ছেলে তারেক রহমান বিভিন্ন মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে বিদেশে পালিয়ে আছে। সে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে মুচলেকা দিয়ে দেশ ছেড়েছিল।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্যের শুরুতেই চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বলেন, ‘দইজ্জার তল দিয়ে গাড়ি চলে (নদীর তল দিয়ে গাড়ি যাবে)। এটি আপনাদের জন্য উপহার।’ এই কথা বলেই মুখে হাসি শেখ হাসিনার।
কিন্তু বক্তব্যের শেষে প্রায় ১৫ সেকেন্ড নীরব থেকে বক্তব্য শেষে অংশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এক বোন ছাড়া আপনজন বলতে আমার কেউ বেঁচে নেই। সবাইকে তারা মেরে ফেলেছে। আপনারই আমার আপনজন। আমার জন্য দোয়া করবেন।’
আজ শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার কেইপিজেড মাঠে জনসভায় তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে দেশের, তথা দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম পানির নিচে দিয়ে যাওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী ২০ মিনিট বক্তব্য দেন। বক্তব্যে নিজের দুঃখকষ্ট ও পরিবার হারানোর বেদনা তুলে ধরেন। বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করার পাশাপাশি আগামী নির্বাচনে নিজের জন্যও ভোট চান।
জনগণের ভোট নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে উল্লেখ শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদেরকে ওই সমস্ত ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। খালেদা জিয়া ভোট চুরি করেছিল। এ কারণে তাদেরকে একবার ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছিল। আজকে আমার কাছে ওয়াদা করেন নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনারা আবার আমাকে জেতাবেন কি না?’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে, বাংলার মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের ব্যবস্থা করবেন। তাঁর সেই আদর্শ নিয়ে আমি এগিয়ে যাচ্ছি।’
এরপর প্রধানমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘ভাই-বোনেরা আমার। আমি তো সবই হারিয়েছি। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট আমার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করে। একই সাথে আমার মা, তিন ভাই...১০ বছরের ছোট ভাইকেও হত্যা করে। আমি আর ছোট বোন বিদেশে ছিলাম, তাই বেঁচে গিয়েছিলাম। ৬ বছর জিয়াউর রহমান আসতে দেয়নি। জোর করেই দেশে ফিরে আসি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে আপনাদের জন্য আমি একটি ছোট্ট উপহার নিয়ে এসেছি। এটি হলো টানেল। এখন দইজ্জার তল দিয়ে গাড়ি চলে। দক্ষিণ এশিয়ায় এত বড় আর টানেল নেই। আগামীকাল টানেল জনসাধারণ চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এখন ঢাকা থেকে কক্সবাজার যেতে চট্টগ্রামের ভেতরে ঢুকে যানজটে পড়তে হবে না। টানেলটি এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে। যা আমাদের উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে।’
খালেদা জিয়া ভোট চুরি করেছিলেন দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ কারণে তাদেরকে একবার ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছিল। আমরা বাবা-মা সব হারিয়েছি। দুই বোন বাইরে থাকায় বেঁচে গেছি। বাংলাদেশের যখন এসেছি তখন খুনিদের দল ক্ষমতায় ছিল। এখানে আসার পর অনেক বাধা পেয়েছি। আমাকে বারবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। আমার একটাই কাজ, দেশের মানুষের কল্যাণ করা। আর কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে বিবেচনা করে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হাতে নেওয়া হয়েছে। আমরা উন্নয়ন করছি, আর বিএনপি জ্বালাও-পোড়াও করছে। আমরা বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা দিচ্ছি। যাতে কোনো লোক যাতে কষ্ট না পায়। আজকে বিনা পয়সায় বই দেওয়া হচ্ছে। আমরা বৃত্তি-উপবৃত্তি দিচ্ছি। আজকে সকালের হাতে মোবাইল ফোন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষণা ২০০৮ সালে দিয়েছিলাম। আজকের সমস্ত বাংলাদেশে ডিজিটাল নেটওয়ার্ক আছে। সারা দেশে বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্প দিয়ে আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘২০১৮ সালে সরকারে এসে আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক দ্বারা অব্যাহত রেখেছে। যার কারণে বাংলাদেশে আজকে মানুষের ভাতের কষ্ট নেই। সবাই দুই বেলা খেতে পারছে। আমরা বিনা পয়সার ঘর করে দিচ্ছি। ১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ে যারা বাড়িঘর হারিয়েছে, তাদের জন্য আমরা কক্সবাজারে ফ্ল্যাট করে দিয়েছি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, বঙ্গবন্ধুর বাংলায় কেউ গৃহহীন থাকবে না। প্রত্যেক মানুষকে জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। আমাদের যুবসমাজের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। যারা বিদেশে যান, আমার অনুরোধ দালালকে টাকা দিয়ে যাবেন না। আমি কর্মসংস্থান ব্যাংক করে দিয়েছি। সেখান থেকে জামানত ছাড়া ঋণ পাবেন। লোকজনকে বিভিন্ন ভাষা শেখার জন্য আমরা সুযোগ করে দিয়েছি। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় এসে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ, এখন আবার গাজা ও ইসরাইল যুদ্ধ। এ কারণে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। তবে আমরা এক কোটি পরিবারকে কার্ড দিয়েছি। এটি দিয়ে তারা স্বল্পমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য নিতে পারছে। করোনার সময় আমরা বিনা মূল্যে টিকা দিয়েছি। পৃথিবীর অনেক ধনী দেশ দিতে পারেনি। আমরা দিয়েছি আপনারা যাতে সুরক্ষিত থাকেন। গ্রাম পর্যায়ের রাস্তাঘাট করে দিয়েছে। চট্টগ্রামের এত উন্নয়নের করেছি, এর আগে কেউ করেনি। বিএনপির কাজ মানুষ খুন, লুটপাট ও দুর্নীতি করা। খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাৎ করেছে। এ মামলায় যিনি সাজাপ্রাপ্ত। তার ছেলে তারেক রহমান বিভিন্ন মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে বিদেশে পালিয়ে আছে। সে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে মুচলেকা দিয়ে দেশ ছেড়েছিল।’

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ৩০-৪০ বছর আগের মিথ্যা মামলার বিচার করে যদি মিথ্যা ফাঁসি দেওয়া যায়, তাহলে ২০ বছর আগে সত্য জীবন্ত হত্যায় হাসিনা, ইনু, মেননসহ ১৪ দলের ফ্যাসিস্টদের বিচার কেন করা যাবে না? ১৪ দলের ফ্যাসিস্টদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
১ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে গণভোটের সময় ‘নির্বাচনের আগে বা একই দিনে’ হওয়ার সুপারিশ করেছে ঐকমত্য কমিশন। এতে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেনি জামায়াতে ইসলামী।
২ ঘণ্টা আগে
আওয়ামী লীগ এখন মরা হাতি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেছেন, এই মরা হাতিকে এখন যে ইচ্ছা লাথি দিতে পারে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে সংকলিত বই ‘অগ্নিঝরা বর্ষা: দেশে ও বিদেশে’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা হতে চেয়েছিলেন আসিফ নজরুল। এখন তাঁর কোর্টে বল গেছে, দেখা যাক তিনি কেমন খেলতে পারেন।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ৩০-৪০ বছর আগের মিথ্যা মামলার বিচার করে যদি মিথ্যা ফাঁসি দেওয়া যায়, তাহলে ২০ বছর আগে সত্য জীবন্ত হত্যায় হাসিনা, ইনু, মেননসহ ১৪ দলের ফ্যাসিস্টদের বিচার কেন করা যাবে না? ১৪ দলের ফ্যাসিস্টদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। আইন মন্ত্রণালয়কে পল্টন ট্র্যাজেডির মামলা পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। এ জন্য ট্রাইব্যুনালকে দায়িত্ব দিতে হবে—এই হত্যাকাণ্ডের পুনরায় তদন্তের জন্য।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ফটকে ‘২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগ কর্তৃক সংঘটিত নারকীয় হত্যাকাণ্ডের’ বিচারের দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গোলাম পরওয়ার বলেন, ২৮ অক্টোবরে নৃশংস ও ইতিহাসের নজিরবিহীন বর্বরোচিত হামলা হয়েছে। সারা দেশ ও দুনিয়া সেদিন শিহরিত হয়েছে। মানুষ সেই দৃশ্য ভিডিওতে দেখতে পারেনি। হাসিনা লাশের ওপরে নাচানাচি করে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়েছিল, শেষে তারা লাশ পুড়িয়ে ছাই করে দিয়ে ভারত পালিয়ে গেছে। এই ফ্যাসিস্টকে বাংলাদেশের জনগণ আর প্রশ্রয় দিতে পারে না।
সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার উদ্দেশে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমরা শুনতে পাচ্ছি, খুনি হাসিনা দিল্লি থেকে কর্মসূচি দিচ্ছেন। আইন উপদেষ্টাসহ সকলকে বলব এই খুনিদের রাজনীতি চিরতরে বাংলাদেশ থেকে বিদায় করার জন্য। তাদের এই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।’
জুলাই সনদ প্রসঙ্গে জামায়াতের এ নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোট এবং অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আমি বলতে চাই, জুলাই সনদ অবিলম্বে আদেশ জারি করে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট দিতে হবে।’
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমরা শুনতে পাচ্ছি, একটি দলকে খুশি করার জন্য সরকারের অভ্যন্তরের কেউ কেউ গণভোটকে উপেক্ষা করে একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের পাঁয়তারা করছেন। আমরা বলতে চাই, একই দিনে গণভোট যাঁরা করতে চাচ্ছেন, তাঁদের উদ্দেশ্য হলো জুলাই সনদকে অকার্যকর করা।’
জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, ‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে যে জুলাই সনদে বিদ্যমান রাষ্ট্রকাঠামো পরিবর্তন করে রাষ্ট্র সংস্কারের ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটেছে, একই দিনে গণভোট যাঁরা চাচ্ছেন, তাঁরা জুলাই সনদকে অকার্যকর করতে চান। এই অপরিণামদর্শী পথ থেকে ফিরে এসে আগামী নভেম্বরে গণদাবি অনুযায়ী গণভোট দিন। তার আগে রাষ্ট্রপতির আদেশে জুলাই সনদ আদেশ জারি করুন। তারপর জাতীয় নির্বাচন দিন। তাহলেই জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ, মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে।’
জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, ‘২৮ অক্টোবর যাঁরা জীবন দিয়েছিলেন, আল্লাহর কাছে তাঁদের শাহাদাত প্রার্থনা করছি। যাঁরা আহত হয়েছিলেন, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন, অসুস্থ হয়েছিলেন, রাব্বুল আলামিনের কাছে তাঁদের জন্য সুস্থতা কামনা করছি।’
ঢাকা মহানগর জামায়াতের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম, মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ৩০-৪০ বছর আগের মিথ্যা মামলার বিচার করে যদি মিথ্যা ফাঁসি দেওয়া যায়, তাহলে ২০ বছর আগে সত্য জীবন্ত হত্যায় হাসিনা, ইনু, মেননসহ ১৪ দলের ফ্যাসিস্টদের বিচার কেন করা যাবে না? ১৪ দলের ফ্যাসিস্টদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। আইন মন্ত্রণালয়কে পল্টন ট্র্যাজেডির মামলা পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। এ জন্য ট্রাইব্যুনালকে দায়িত্ব দিতে হবে—এই হত্যাকাণ্ডের পুনরায় তদন্তের জন্য।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ফটকে ‘২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগ কর্তৃক সংঘটিত নারকীয় হত্যাকাণ্ডের’ বিচারের দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গোলাম পরওয়ার বলেন, ২৮ অক্টোবরে নৃশংস ও ইতিহাসের নজিরবিহীন বর্বরোচিত হামলা হয়েছে। সারা দেশ ও দুনিয়া সেদিন শিহরিত হয়েছে। মানুষ সেই দৃশ্য ভিডিওতে দেখতে পারেনি। হাসিনা লাশের ওপরে নাচানাচি করে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়েছিল, শেষে তারা লাশ পুড়িয়ে ছাই করে দিয়ে ভারত পালিয়ে গেছে। এই ফ্যাসিস্টকে বাংলাদেশের জনগণ আর প্রশ্রয় দিতে পারে না।
সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার উদ্দেশে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমরা শুনতে পাচ্ছি, খুনি হাসিনা দিল্লি থেকে কর্মসূচি দিচ্ছেন। আইন উপদেষ্টাসহ সকলকে বলব এই খুনিদের রাজনীতি চিরতরে বাংলাদেশ থেকে বিদায় করার জন্য। তাদের এই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।’
জুলাই সনদ প্রসঙ্গে জামায়াতের এ নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোট এবং অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আমি বলতে চাই, জুলাই সনদ অবিলম্বে আদেশ জারি করে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট দিতে হবে।’
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমরা শুনতে পাচ্ছি, একটি দলকে খুশি করার জন্য সরকারের অভ্যন্তরের কেউ কেউ গণভোটকে উপেক্ষা করে একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের পাঁয়তারা করছেন। আমরা বলতে চাই, একই দিনে গণভোট যাঁরা করতে চাচ্ছেন, তাঁদের উদ্দেশ্য হলো জুলাই সনদকে অকার্যকর করা।’
জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, ‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে যে জুলাই সনদে বিদ্যমান রাষ্ট্রকাঠামো পরিবর্তন করে রাষ্ট্র সংস্কারের ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটেছে, একই দিনে গণভোট যাঁরা চাচ্ছেন, তাঁরা জুলাই সনদকে অকার্যকর করতে চান। এই অপরিণামদর্শী পথ থেকে ফিরে এসে আগামী নভেম্বরে গণদাবি অনুযায়ী গণভোট দিন। তার আগে রাষ্ট্রপতির আদেশে জুলাই সনদ আদেশ জারি করুন। তারপর জাতীয় নির্বাচন দিন। তাহলেই জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ, মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে।’
জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, ‘২৮ অক্টোবর যাঁরা জীবন দিয়েছিলেন, আল্লাহর কাছে তাঁদের শাহাদাত প্রার্থনা করছি। যাঁরা আহত হয়েছিলেন, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন, অসুস্থ হয়েছিলেন, রাব্বুল আলামিনের কাছে তাঁদের জন্য সুস্থতা কামনা করছি।’
ঢাকা মহানগর জামায়াতের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম, মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ প্রমুখ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্যের শুরুতেই চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বলেন, ‘দইজ্জার তল দিয়ে গাড়ি চলে (নদীর তল দিয়ে গাড়ি যাবে)। এটি আপনাদের জন্য উপহার।’ এই কথা বলেই মুখে হাসি শেখ হাসিনার। কিন্তু বক্তব্যের শেষে প্রায় ১৫ সেকেন্ড নীরব থেকে বক্তব্য শেষে অংশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এক বোন ছাড়া আপনজন বলতে আম
২৮ অক্টোবর ২০২৩
জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে গণভোটের সময় ‘নির্বাচনের আগে বা একই দিনে’ হওয়ার সুপারিশ করেছে ঐকমত্য কমিশন। এতে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেনি জামায়াতে ইসলামী।
২ ঘণ্টা আগে
আওয়ামী লীগ এখন মরা হাতি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেছেন, এই মরা হাতিকে এখন যে ইচ্ছা লাথি দিতে পারে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে সংকলিত বই ‘অগ্নিঝরা বর্ষা: দেশে ও বিদেশে’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা হতে চেয়েছিলেন আসিফ নজরুল। এখন তাঁর কোর্টে বল গেছে, দেখা যাক তিনি কেমন খেলতে পারেন।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে গণভোটের সময় ‘নির্বাচনের আগে বা একই দিনে’ হওয়ার সুপারিশ করেছে ঐকমত্য কমিশন। এতে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেনি জামায়াতে ইসলামী।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আজকের পত্রিকাকে এমনটি বলেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারছি না। কারণ, এখানে ‘‘অথবা’’ দিয়েছে। নির্বাচনের সঙ্গে একই দিনে গণভোট আয়োজনের সুপারিশ থাকায় আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট নই।’
আযাদ যোগ করেন, ‘আমাদের বক্তব্য হলো—অবিলম্বে আদেশ জারি করতে হবে এবং নভেম্বরে গণভোট আয়োজন করতে হবে।
‘নভেম্বরে গণভোট না হলে জনগণ তো বুঝবে না কী সংস্কার হবে আর ভোট দিব কাকে। জনগণ তো সংস্কার ছাড়া নির্বাচন চায় না।’
একটা দল নির্বাচনের দিন গণভোট চাচ্ছে, এতে আপনাদের প্রতিক্রিয়া কী—এমন প্রশ্নের জবাবে আযাদ বলেন, তারা চাইতেই পারে, তবে এর পেছনে সংস্কার বানচালের কোনো উদ্দেশ্য আছে কি না—এমন প্রশ্ন থেকে যায়।

জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে গণভোটের সময় ‘নির্বাচনের আগে বা একই দিনে’ হওয়ার সুপারিশ করেছে ঐকমত্য কমিশন। এতে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেনি জামায়াতে ইসলামী।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আজকের পত্রিকাকে এমনটি বলেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারছি না। কারণ, এখানে ‘‘অথবা’’ দিয়েছে। নির্বাচনের সঙ্গে একই দিনে গণভোট আয়োজনের সুপারিশ থাকায় আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট নই।’
আযাদ যোগ করেন, ‘আমাদের বক্তব্য হলো—অবিলম্বে আদেশ জারি করতে হবে এবং নভেম্বরে গণভোট আয়োজন করতে হবে।
‘নভেম্বরে গণভোট না হলে জনগণ তো বুঝবে না কী সংস্কার হবে আর ভোট দিব কাকে। জনগণ তো সংস্কার ছাড়া নির্বাচন চায় না।’
একটা দল নির্বাচনের দিন গণভোট চাচ্ছে, এতে আপনাদের প্রতিক্রিয়া কী—এমন প্রশ্নের জবাবে আযাদ বলেন, তারা চাইতেই পারে, তবে এর পেছনে সংস্কার বানচালের কোনো উদ্দেশ্য আছে কি না—এমন প্রশ্ন থেকে যায়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্যের শুরুতেই চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বলেন, ‘দইজ্জার তল দিয়ে গাড়ি চলে (নদীর তল দিয়ে গাড়ি যাবে)। এটি আপনাদের জন্য উপহার।’ এই কথা বলেই মুখে হাসি শেখ হাসিনার। কিন্তু বক্তব্যের শেষে প্রায় ১৫ সেকেন্ড নীরব থেকে বক্তব্য শেষে অংশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এক বোন ছাড়া আপনজন বলতে আম
২৮ অক্টোবর ২০২৩
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ৩০-৪০ বছর আগের মিথ্যা মামলার বিচার করে যদি মিথ্যা ফাঁসি দেওয়া যায়, তাহলে ২০ বছর আগে সত্য জীবন্ত হত্যায় হাসিনা, ইনু, মেননসহ ১৪ দলের ফ্যাসিস্টদের বিচার কেন করা যাবে না? ১৪ দলের ফ্যাসিস্টদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
১ ঘণ্টা আগে
আওয়ামী লীগ এখন মরা হাতি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেছেন, এই মরা হাতিকে এখন যে ইচ্ছা লাথি দিতে পারে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে সংকলিত বই ‘অগ্নিঝরা বর্ষা: দেশে ও বিদেশে’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা হতে চেয়েছিলেন আসিফ নজরুল। এখন তাঁর কোর্টে বল গেছে, দেখা যাক তিনি কেমন খেলতে পারেন।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আওয়ামী লীগ এখন মরা হাতি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেছেন, এই মরা হাতিকে এখন যে ইচ্ছা লাথি দিতে পারে।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে সংকলিত বই ‘অগ্নিঝরা বর্ষা: দেশে ও বিদেশে’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘ইতিহাসকে যেন আর ক্ষমতার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা না হয়। আওয়ামী লীগ এখন ডেড চ্যাপটার। এটা এখন মরা হাতি—এটাকে এখন যে ইচ্ছা, সে লাথি দিতে পারে। তবে আমাদের ঐক্য বজায় রাখতে হবে, না হলে ঝামেলা হতে পারে।’
আমলাতন্ত্রের সমালোচনা করে হাসনাত বলেন, ‘ব্যুরোক্রেসিকে গতিশীল করতে হবে। তারা গতিশীল না হলে যে ক্ষোভ জমছে, তাতে বিস্ফোরণ হবেই। আমলাতন্ত্র ঠিক না করতে পারলে, যেই ক্ষমতায় আসুক, ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।’

আওয়ামী লীগ এখন মরা হাতি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেছেন, এই মরা হাতিকে এখন যে ইচ্ছা লাথি দিতে পারে।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে সংকলিত বই ‘অগ্নিঝরা বর্ষা: দেশে ও বিদেশে’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘ইতিহাসকে যেন আর ক্ষমতার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা না হয়। আওয়ামী লীগ এখন ডেড চ্যাপটার। এটা এখন মরা হাতি—এটাকে এখন যে ইচ্ছা, সে লাথি দিতে পারে। তবে আমাদের ঐক্য বজায় রাখতে হবে, না হলে ঝামেলা হতে পারে।’
আমলাতন্ত্রের সমালোচনা করে হাসনাত বলেন, ‘ব্যুরোক্রেসিকে গতিশীল করতে হবে। তারা গতিশীল না হলে যে ক্ষোভ জমছে, তাতে বিস্ফোরণ হবেই। আমলাতন্ত্র ঠিক না করতে পারলে, যেই ক্ষমতায় আসুক, ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্যের শুরুতেই চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বলেন, ‘দইজ্জার তল দিয়ে গাড়ি চলে (নদীর তল দিয়ে গাড়ি যাবে)। এটি আপনাদের জন্য উপহার।’ এই কথা বলেই মুখে হাসি শেখ হাসিনার। কিন্তু বক্তব্যের শেষে প্রায় ১৫ সেকেন্ড নীরব থেকে বক্তব্য শেষে অংশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এক বোন ছাড়া আপনজন বলতে আম
২৮ অক্টোবর ২০২৩
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ৩০-৪০ বছর আগের মিথ্যা মামলার বিচার করে যদি মিথ্যা ফাঁসি দেওয়া যায়, তাহলে ২০ বছর আগে সত্য জীবন্ত হত্যায় হাসিনা, ইনু, মেননসহ ১৪ দলের ফ্যাসিস্টদের বিচার কেন করা যাবে না? ১৪ দলের ফ্যাসিস্টদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
১ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে গণভোটের সময় ‘নির্বাচনের আগে বা একই দিনে’ হওয়ার সুপারিশ করেছে ঐকমত্য কমিশন। এতে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেনি জামায়াতে ইসলামী।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা হতে চেয়েছিলেন আসিফ নজরুল। এখন তাঁর কোর্টে বল গেছে, দেখা যাক তিনি কেমন খেলতে পারেন।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা হতে চেয়েছিলেন আসিফ নজরুল। এখন তাঁর কোর্টে বল গেছে, দেখা যাক তিনি কেমন খেলতে পারেন।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুরুল হক হলে আয়োজিত ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। এনসিপি এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।
সভায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে তাঁর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ঘোষণা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পাটওয়ারী। তাঁর দাবি, ঘোষণা অনুষ্ঠানে জুলাই আন্দোলনে শহীদ পরিবার ও আহতদেরও রাখতে হবে। ওই দিন এনসিপি সনদে সই করবে বলেও জানান তিনি।
পাটওয়ারী বলেন, ‘আমরা জেনেছি, জুলাই সনদ বর্তমানে আইন কমিশনে আছে। আমরা দেখতে চাই ড. আসিফ নজরুল স্যার কোনো টালবাহানা ছাড়াই জনগণের পক্ষে থেকে দ্রুত বাস্তবায়নে কাজ করবেন। প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে শহীদ মিনারে আসবেন।’
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের রিপোর্ট জমা দেওয়া জুলাই শহীদ ও জনগণের বড় অর্জন। জুলাই সনদ সই না করার কারণে হারিয়ে যাওয়ার ভয় ছিল। তবে রিস্ক (ঝুঁকি) নিয়ে অবস্থান নিয়েছে এনসিপি। ঐকমত্য কমিশনের রিপোর্টের মাধ্যমে এর সুফল পেয়েছে বাংলাদেশের মানুষ।’
এ বিষয়ে তিনি আরও যোগ করেন, ‘বাহাত্তরের পচা সংবিধান দিয়ে এ দেশ আর চলতে পারে না। এ সংবিধান আমাদের ভাইদের হত্যার বৈধতা দিয়েছে।’
এই নেতা বলেন, ‘রক্তের ট্যাংকার দিয়ে কেউ রাজনীতি করতে চাইলে, বুলেট রেভল্যুশনের পর ব্যালট রেভল্যুশনের মাধ্যমে মানুষ জবাব দেবে। দলীয় দাস হিসেবে কেউ সংস্কার রুখতে চাইলে সেফ এক্সিট পাবে না তারা, মানুষ তাদের বিচার করবেই।’
এনসিপি সরকার গঠন করবে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘কারণ, পেছনের দরজা দিয়ে এনসিপি ক্যান্টনমেন্টে যাবে না, কোনো অ্যাম্বাসিতেও যাবে না। তাই মানুষ এনসিপিকে ভোট দেবে।’
ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার অথর্ব নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে দাবি করে তিনি আরও বলেন, ‘যে লাউ সেই কদুর নির্বাচন চায় না এনসিপি। বিএনপি-জামায়াত বিরোধী বিরোধী নাটক করছে। তারা একদল ভারতে, আরেক দল পাকিস্তানে পা দিয়ে রেখেছে।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা হতে চেয়েছিলেন আসিফ নজরুল। এখন তাঁর কোর্টে বল গেছে, দেখা যাক তিনি কেমন খেলতে পারেন।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুরুল হক হলে আয়োজিত ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। এনসিপি এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।
সভায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে তাঁর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ঘোষণা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পাটওয়ারী। তাঁর দাবি, ঘোষণা অনুষ্ঠানে জুলাই আন্দোলনে শহীদ পরিবার ও আহতদেরও রাখতে হবে। ওই দিন এনসিপি সনদে সই করবে বলেও জানান তিনি।
পাটওয়ারী বলেন, ‘আমরা জেনেছি, জুলাই সনদ বর্তমানে আইন কমিশনে আছে। আমরা দেখতে চাই ড. আসিফ নজরুল স্যার কোনো টালবাহানা ছাড়াই জনগণের পক্ষে থেকে দ্রুত বাস্তবায়নে কাজ করবেন। প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে শহীদ মিনারে আসবেন।’
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের রিপোর্ট জমা দেওয়া জুলাই শহীদ ও জনগণের বড় অর্জন। জুলাই সনদ সই না করার কারণে হারিয়ে যাওয়ার ভয় ছিল। তবে রিস্ক (ঝুঁকি) নিয়ে অবস্থান নিয়েছে এনসিপি। ঐকমত্য কমিশনের রিপোর্টের মাধ্যমে এর সুফল পেয়েছে বাংলাদেশের মানুষ।’
এ বিষয়ে তিনি আরও যোগ করেন, ‘বাহাত্তরের পচা সংবিধান দিয়ে এ দেশ আর চলতে পারে না। এ সংবিধান আমাদের ভাইদের হত্যার বৈধতা দিয়েছে।’
এই নেতা বলেন, ‘রক্তের ট্যাংকার দিয়ে কেউ রাজনীতি করতে চাইলে, বুলেট রেভল্যুশনের পর ব্যালট রেভল্যুশনের মাধ্যমে মানুষ জবাব দেবে। দলীয় দাস হিসেবে কেউ সংস্কার রুখতে চাইলে সেফ এক্সিট পাবে না তারা, মানুষ তাদের বিচার করবেই।’
এনসিপি সরকার গঠন করবে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘কারণ, পেছনের দরজা দিয়ে এনসিপি ক্যান্টনমেন্টে যাবে না, কোনো অ্যাম্বাসিতেও যাবে না। তাই মানুষ এনসিপিকে ভোট দেবে।’
ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার অথর্ব নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে দাবি করে তিনি আরও বলেন, ‘যে লাউ সেই কদুর নির্বাচন চায় না এনসিপি। বিএনপি-জামায়াত বিরোধী বিরোধী নাটক করছে। তারা একদল ভারতে, আরেক দল পাকিস্তানে পা দিয়ে রেখেছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্যের শুরুতেই চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বলেন, ‘দইজ্জার তল দিয়ে গাড়ি চলে (নদীর তল দিয়ে গাড়ি যাবে)। এটি আপনাদের জন্য উপহার।’ এই কথা বলেই মুখে হাসি শেখ হাসিনার। কিন্তু বক্তব্যের শেষে প্রায় ১৫ সেকেন্ড নীরব থেকে বক্তব্য শেষে অংশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এক বোন ছাড়া আপনজন বলতে আম
২৮ অক্টোবর ২০২৩
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ৩০-৪০ বছর আগের মিথ্যা মামলার বিচার করে যদি মিথ্যা ফাঁসি দেওয়া যায়, তাহলে ২০ বছর আগে সত্য জীবন্ত হত্যায় হাসিনা, ইনু, মেননসহ ১৪ দলের ফ্যাসিস্টদের বিচার কেন করা যাবে না? ১৪ দলের ফ্যাসিস্টদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
১ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে গণভোটের সময় ‘নির্বাচনের আগে বা একই দিনে’ হওয়ার সুপারিশ করেছে ঐকমত্য কমিশন। এতে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেনি জামায়াতে ইসলামী।
২ ঘণ্টা আগে
আওয়ামী লীগ এখন মরা হাতি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেছেন, এই মরা হাতিকে এখন যে ইচ্ছা লাথি দিতে পারে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে সংকলিত বই ‘অগ্নিঝরা বর্ষা: দেশে ও বিদেশে’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান
৩ ঘণ্টা আগে