নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে আবারও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে। রোববার রাত ৯ টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে আনা হয় তাঁকে। হাসপাতালে রেখে তাঁর কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো নয় বলে জানান তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন। এই অবস্থায় সুচিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে পাঠানোর আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে গত ২২ আগস্ট বিকেলে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে হাসপাতালে যান খালেদা জিয়া। তখন মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশক্রমে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। ওইসব পরীক্ষা-রিপোর্টের ফলাফল সম্পর্কে জানতে চাইলে জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, 'রিপোর্টে যাই আসুকনা কেন, সেটা আপনাদের জানার প্রয়োজন নাই। আজকে উনাকে (খালেদা জিয়া) হাসপাতালে আনতে হয়েছ, এটাই বাস্তবতা। আরও কিছু পরীক্ষা করা হবে। হাসপাতালে আনায় এটাই প্রমান করে যে, রিপোর্ট ভালো হলে নিশ্চয় হাসপাতালে আনার প্রয়োজন হতো না।'
জাহিদ হোসেন বলেন, কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের অধীনে ম্যাডামকে ভর্তি করা হয়েছে। তার আগের রিপোর্টের ফলাফল ভালো নয় বলেই আরও কিছু পরীক্ষার জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কোন অবস্থাতেই সুস্থ আছেন বলা যাবে না। জরুরী ভিত্তিতে সুচিকিৎসা প্রয়োজন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মাল্টি ডিসিপ্লিন অ্যাডভান্স সেন্টারে।মেডিক্যাল বোর্ডের পরামর্শ তাকে জরুরি ভিত্তিতে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করতে হবে।
দেশের বিদ্যমান চিকিৎসা ব্যবস্থা খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট নয় বলে জানান জাহিদ। এই অবস্থায় অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটলে তার দায় সরকারকেই নিতে হবে বলেন তিনি।
কবে নাগাদ বেগম খালেদা জিয়া বাসায় ফিরতে পারেন এমন প্রশ্নের জবাব জাহিদ বলেন, মেডিকেলের চিকিৎসার বিষয়ে অগ্রিম বলার সুযোগ নাই। এটা রোগ, রোগের উপসর্গ সার্বিক বিষয়ের উপর নির্ভর করে।
৭৮ বছর বয়সি খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার নেতৃত্বাধীন একটি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। গত ১১ জুন এভারকেয়ার হাসপাতালে তার হৃদপিণ্ডের ব্লক অপসারণ করে একটি ‘স্টেন্ট' বসানো হয়।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা ২০১৮ সালে কারাগারে গিয়েছিলেন। দেশে করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তাকে নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। তখন শর্ত দেওয়া হয়েছিল, তাকে দেশে থেকেই চিকিৎসা নিতে হবে। বিএনপি তাকে বিদেশ নেওয়ার দাবি জানিয়ে এলেও সরকারের পক্ষ থেকে সাড়া মেলেনি।
কারাগার থেকে বেরিয়ে খালেদা জিয়া গুলশানের বাসায়ই থাকছেন। ২০২১ সালের এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর তাকে কয়েক দফায় হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়।
বহু বছর ধরে আর্থ্ররাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন খালেদা জিয়া। গত বছর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার ‘পরিপাকতন্ত্রে' রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথাও জানান চিকিৎসকরা।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে আবারও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে। রোববার রাত ৯ টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে আনা হয় তাঁকে। হাসপাতালে রেখে তাঁর কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো নয় বলে জানান তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন। এই অবস্থায় সুচিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে পাঠানোর আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে গত ২২ আগস্ট বিকেলে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে হাসপাতালে যান খালেদা জিয়া। তখন মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশক্রমে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। ওইসব পরীক্ষা-রিপোর্টের ফলাফল সম্পর্কে জানতে চাইলে জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, 'রিপোর্টে যাই আসুকনা কেন, সেটা আপনাদের জানার প্রয়োজন নাই। আজকে উনাকে (খালেদা জিয়া) হাসপাতালে আনতে হয়েছ, এটাই বাস্তবতা। আরও কিছু পরীক্ষা করা হবে। হাসপাতালে আনায় এটাই প্রমান করে যে, রিপোর্ট ভালো হলে নিশ্চয় হাসপাতালে আনার প্রয়োজন হতো না।'
জাহিদ হোসেন বলেন, কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের অধীনে ম্যাডামকে ভর্তি করা হয়েছে। তার আগের রিপোর্টের ফলাফল ভালো নয় বলেই আরও কিছু পরীক্ষার জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কোন অবস্থাতেই সুস্থ আছেন বলা যাবে না। জরুরী ভিত্তিতে সুচিকিৎসা প্রয়োজন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মাল্টি ডিসিপ্লিন অ্যাডভান্স সেন্টারে।মেডিক্যাল বোর্ডের পরামর্শ তাকে জরুরি ভিত্তিতে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করতে হবে।
দেশের বিদ্যমান চিকিৎসা ব্যবস্থা খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট নয় বলে জানান জাহিদ। এই অবস্থায় অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটলে তার দায় সরকারকেই নিতে হবে বলেন তিনি।
কবে নাগাদ বেগম খালেদা জিয়া বাসায় ফিরতে পারেন এমন প্রশ্নের জবাব জাহিদ বলেন, মেডিকেলের চিকিৎসার বিষয়ে অগ্রিম বলার সুযোগ নাই। এটা রোগ, রোগের উপসর্গ সার্বিক বিষয়ের উপর নির্ভর করে।
৭৮ বছর বয়সি খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার নেতৃত্বাধীন একটি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। গত ১১ জুন এভারকেয়ার হাসপাতালে তার হৃদপিণ্ডের ব্লক অপসারণ করে একটি ‘স্টেন্ট' বসানো হয়।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা ২০১৮ সালে কারাগারে গিয়েছিলেন। দেশে করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তাকে নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। তখন শর্ত দেওয়া হয়েছিল, তাকে দেশে থেকেই চিকিৎসা নিতে হবে। বিএনপি তাকে বিদেশ নেওয়ার দাবি জানিয়ে এলেও সরকারের পক্ষ থেকে সাড়া মেলেনি।
কারাগার থেকে বেরিয়ে খালেদা জিয়া গুলশানের বাসায়ই থাকছেন। ২০২১ সালের এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর তাকে কয়েক দফায় হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়।
বহু বছর ধরে আর্থ্ররাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন খালেদা জিয়া। গত বছর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার ‘পরিপাকতন্ত্রে' রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথাও জানান চিকিৎসকরা।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ যখন জামায়াতে ইসলামীকে রাজনীতিতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে, আমি তার প্রতিবাদ করেছি। একইভাবে এখন বলছি, আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।’
১ ঘণ্টা আগেস্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা পদে ইস্তফা দেওয়ার পর রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হবেন কি না, তা অবশ্য টক শোতে স্পষ্ট করেননি গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ। একই সঙ্গে গণ-অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতাদের নিয়
২ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি দেওয়া ছাড়া বিদেশিদের দ্বারা কোনো পাতানো নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী অংশ নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগর সড়কে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তেব্য তিনি এ কথা বলেন।
৩ ঘণ্টা আগেকমরেড হারুন চৌধুরী নিজেকে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এম. এল) সভাপতি দাবি করে বছেলেন, ‘দিলীপ বড়ুয়া দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তবে তিনি এখন কোথায় আছেন সেই বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমি দলের সভাপতি।’
৪ ঘণ্টা আগে